ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২ মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ।
সোমবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ ৪ মাস খাদিজার জামিন স্ট্যান্ডওভার রাখেন।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার বিচারপতি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ১০ মাসের বেশি সময় কারাগারে পার করেছেন খাদিজাতুল কুবরা। কারাগারে থাকায় তিনি গত ঈদুল ফিতর পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে পারেননি। এবার পবিত্র ঈদুল আযহাও কেটেছে কারাগারে।
খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মামলা সূত্রে জানা যায়, অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।
একটি মামলার বাদী নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম এবং অন্যটির কলাবাগান থানার এসআই আরিফ হোসেন। দুই বাদীই দায়িত্ব পালনকালে মুঠোফোনে ইউটিউবে ঘুরতে ঘুরতে খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের ভিডিও দেখতে পান। তারপর দুজনই নিজ নিজ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। খাদিজার জাতীয় পরিচয়পত্র ও একাডেমিক ডকুমেন্টে বয়স ১৭ বছর কিন্তু তাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পুলিশ দুটি মামলা করে। এর দুই বছর পর মামলার অভিযোগপত্র তৈরি হলে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেই থেকে কারাগারে খাদিজা।
খাদিজার বোন সিরাজাউম মনিরা বলেন, আমার বোন খাদিজার জামিন আবার নাকোচ হয়েছে। আমরা ভালো নেই। খাদিজার কিডনিতে পাথর ছিলো ঠিকভাবে ট্রিটমেন্ট করা হয় নাই। ওখান থেকে রিপোর্ট করছে ওরা বলছে সমস্যা নেই কিন্তু ওর (খাদিজা) সাথে দেখা হলে বলে, ওর শরীর একদমই ভালো থাকে না। আমরা হতাশ হয়ে যাচ্ছি।