আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

জবিতে একসঙ্গে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

র‌্যাগিং, পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন (নকল) ও শিক্ষার্থী নিপীড়নসহ নানা কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ৬২তম সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন করায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন, পদার্থবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান এবং রসায়নসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে নকল করায় কারও এক সেমিস্টার, কারও দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ছাড়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অপরাধে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এই দুই শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। 

আরও পড়ুন>> ইরাকে বিয়েতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত বেড়ে ৪৫০

অন্যদিকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিকুল ইসলাম আশিক নামে এক ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। তা ছাড়া আশিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী সেলে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বহিষ্কার শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই পরীক্ষায় নকলের জন্য। কারও এক সেমিস্টার, কারও দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকের কাছে নকল পাওয়া গেছে; কিন্তু নকল করেনি এমন যারা আছে, তাদের কোর্স বাতিল করা হয়েছে।

প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কারও কাছে নকল পাওয়া গেলে আর সে যদি নকল না করে থাকে, তা হলে কোর্স পরীক্ষা বাতিল করা হয়। কেউ নকল করলে এক সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়। আর যদি খাতা নেওয়ার সময় শিক্ষার্থী বাধা দেয় তা হলে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া অপরাধের নানা ধরন দেখে বহিষ্কার করা হয়। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ছোট অপরাধ হলে শিক্ষার্থীদের দিকটি আমরা দেখি। আর অভিযোগ গুরুতরভাবে প্রমাণিত হলে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ঢামেকে চিকিৎসককে মারধর, ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারপিট ও ভাঙচুরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিইউবিটির শিক্ষকসহ তিন শিক্ষার্থীকে। এ ছাড়া মামলায় আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢামেক হাসপাতালের অফিস সহায়ক আমির হোসেন (৫৩) বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এজাহার করেছেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন বিইউবিটির শিক্ষক শাহরিয়ার অর্ণব, শিক্ষার্থী পলজয়, সহাব তুর্জ ও সাইমি নাজ শয়ন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহাবুদ্দিন।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে ঢামেকের ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে ডা. কানিজ ফাতেমা ইসরাত জাহানের তত্ত্বাবধানে অজ্ঞাতনামা একজন সড়ক দুর্ঘটনা আহত হয়ে ভর্তি হয়। পরদিন শনিবার সকাল ৭টায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

শনিবার বিকাল ৪টায় হঠাৎ নিউরোসার্জারি বিভাগের ২০১ নম্বর ওয়ার্ডের ইমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটারের চিকিৎসক আল মাশরাফিকে ৩০ থেকে ৪০ জন লোক ঘিরে ধরে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে মারতে মারতে তার গায়ের অ্যাপ্রোন খুলে ফ্লোরে ছুড়ে ফেলা হয় এবং হাসপাতালে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে তাকে মারধর করতে থাকেন।

বাদী আরও অভিযোগ করেন, সেই সময় চিকিৎসক মো. ইমরান হোসেনসহ আমি এগিয়ে যাই এবং চিকিৎসক ইমরান হোসেন স্যারকে কেন মারধর করা হচ্ছে, জানতে চাইলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে একজন বলে ওঠে, এই সেই ডাক্তার, যে গতকাল ডিউটিতে ছিল। তখন তারা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ডা. ইমরানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর শুরু করে এবং টেনেহিচঁড়ে মারতে মারতে গায়ের পোশাক ছিঁড়ে হাসপাতালের পরিচালক স্যারের অফিস রুমে নিয়ে যান। পরে সেখানে সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এ ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেন চিকিৎসকরা। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) মারধর ও জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় সেবা বন্ধ করে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দেন চিকিৎসকরা। সকাল থেকেই জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে কর্মবিরতিতে যান তারা।

পরে রবিবার বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে বৈঠকে তারা সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দেন। বৈঠকে উপদেষ্টা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ চান না অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের মাটিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে দোলাচল কাটছেই না। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) দেওয়া আইসিসির সময় শেষ হচ্ছে আগামীকাল তথা ২০ আগস্ট। অন্তবর্তীকালীন সরকার বিশ্বকাপ আয়োজনে আশাবাদী হলেও কয়েকটি দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে শেষ পর্যন্ত এটি বাংলাদেশ থেকে সরেও যেতে পারে।

ইতোমধ্যে একাধিক দেশ নারী ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট আয়োজনে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে এখন বিসিবির সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এদিকে, আসন্ন নারী বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। তার মতে, মানবিক কারণেই এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিপক্ষে তিনি। বলেন, এই মুহূর্তে সেখানে (বাংলাদেশে) খেলাটা আমার কাছে মনে হয় কঠিন হবে, একজন মানুষ হিসেবে আমার মনে হয় এটা ভুল হতে পারে।

ব্যাপারটা আইসিসির ওপরই ছাড়লেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক, যেসব মানুষ মারা যাচ্ছে, তাদের সহায়তায় এখন সবাইকে প্রয়োজন। বাংলাদেশে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের চেয়ে বড় ব্যাপার ঘটছে নিশ্চিতভাবে। তবে এটি আইসিসির ওপর ছেড়ে দেব আমি।

বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে এরই মধ্যে বাংলাদেশে খেলে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের দল। সেই অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে কাজে লাগবে বলে জানালেন অ্যালিসা হিলি, বাংলাদেশের কন্ডিশন আর ধীরগতির টার্নিং উইকেটে খেলে অভ্যস্ত হওয়া ভালো অবস্থানে নিয়ে গেছে আমাদের। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ হোক বা না হোক, আমাদের যা আছে তাতে মনে হয় না এটা তেমন প্রভাব ফেলবে।

এদিকে, বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য ভালো মাইলফলক হবে। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশ একটা সংকটকালীন সময় পার করছে, আবার একইসঙ্গে যারা আমাদের মেহমান হয়ে আসবেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। সবকিছু বিবেচনায় এটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই, এখন এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার।

বিষয়টি নিয়ে আইসিসির সঙ্গে আলোচনা চলমান থাকার কথা জানিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা) স্যার আছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব। আইসিসির সঙ্গেও আমাদের আলোচনা চলমান আছে। তারপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।

আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কী আছে ইউপি চেয়ারম্যানদের ভাগ্যে?

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা মেয়র ও চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পট পরিবর্তনের পর সরকার সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে কিংবা পরিষদে না যাওয়ায় নাগরিক সেবা ব্যাহতের কারণে এমন সিদ্ধান্ত বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় সরকারের ওই চারটি প্রতিষ্ঠানের পদ থেকে মেয়র চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হলেও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ক্ষেত্রে ভিন্ন নীতি সরকারের।

দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই আত্মগোপনে আছেন। কোথাও কোথাও চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।

এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের আইন অনুযায়ী, পদত্যাগ করলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যপদ শূন্য হবে। এছাড়া পদত্যাগ, মৃত্যু বা অন্য কারণে চেয়ারম্যান পদ শূন্য হলে নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবে।

তবে শূন্য হওয়া ছাড়াও আইন অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি বা দণ্ডিত হলে, পরিষদের স্বার্থ পরিপন্থি কাজ করলে চেয়ারম্যানদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিতে পারবে সরকার।

এছাড়াও দুর্নীতি, অসদাচরণ বা নৈতিক স্খলনজনিত কোন অপরাধ কিংবা বিনা অনুমতিতে দেশত্যাগের কারণে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী তাদেরকে অপসারণ করতে পারে সরকার।

বর্তমান পরিস্থিতিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাচন কমিশনারের বরাতে বিবিসি বাংলা জানায়, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণে সবগুলো আইনই প্রায় কাছাকাছি। তবে এসব আইন দেখে সরকার তাদের অপসারণ করছে না। একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আরিফ হোসেন বলেছেন, যাচাই-বাছাই করে দেখা যাক সেখানে কার্যক্রম কী রকম আছে, যদি পরবর্তীকালে প্রয়োজন হয় বা প্রয়োজনের তাগিদে কোনো পদক্ষেপ নিতে হয় সেটি নেওয়া হবে।


আরও খবর



সুদানে বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বন্যায় ৬০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সুদানে আরবাত বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ বহু সুদানিজ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে তল্লাশি অভিযান চলছে, তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরবাত বাঁধের ধারণক্ষমতা ২৫ মিলিয়ন কিউবিক মিটার এবং এটি উপকূলীয় শহর পোর্ট সুদানে অবস্থিত, যেখানে সামরিক সরকারের অবস্থান।

দীর্ঘ ১৬ মাসের গৃহযুদ্ধের কারণে বিধ্বস্ত হওয়ার পর সুদান এখন প্রবল বর্ষা এবং বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বাঁধ ভাঙার কারণে স্থানীয় খামার এবং গ্রামগুলিকে ভেসে গিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলি ইসা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন যে বহু বাসিন্দা সাতটি গাড়িতে আটকে ছিল। বাঁচানোর বহু চেষ্টার পরও কাউকে বাঁচানো যায়নি।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয় সময় গত রোববার, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পোর্ট সুদান শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত আরবাত বাঁধ ভেঙে যায়। আর তাতেই তৈরি হয় বন্যা। ধ্বংস হয়েছে অন্তত ২০টি গ্রাম। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৫০ হাজার মানুষের বাড়িঘর।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




হাসিনা-রেহানা-জয়-পুতুলসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে ফল দোকানি মো. ফরিদ শেখকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও বোন শেখ রেহানাসহ ২১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদের আদালতে মামলার আবেদন করেন ফরিদের বাবা মো. সুলতান শেখ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ, জুনায়েদ আহমেদ পলক, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শেখ ফজলে নূর তাপস, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, হারুন-অর-রশিদ, বিপ্লব কুমার, হাবিবুর রহমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আমির হোসেন আমু, সাদ্দাম হোসেন, আবুল হাসান। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলন চলাকালীন বিকেল সাড়ে ৩টায় ফরিদ শেখ যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়ে তার ফলের দোকানে যাচ্ছিলেন।

এ সময় পুলিশের গুলির আঘাতে মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলিটি ফরিদ শেখের পেটের ডান পাশে লেগে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফরিদকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ আগস্ট হাসপাতালে মারা যান তিনি।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪