আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

জেলা কমিটি গঠন নিয়ে তীব্র কোন্দল বিএনপিতে

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সারাদেশের জেলা কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কমিটিই পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে না। কাউন্সিলও হচ্ছে না বেশিরভাগ জেলায়। বাড়ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। কেন্দ্র থেকে মীমাংসার জন্য কমিটি গঠন করা হলেও বিভেদ কমছে না। বরং তা মামলা, এমনকি সংঘর্ষে গড়াচ্ছে। সর্বশেষ বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুই নেতার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। চলমান আন্দোলন-সংগ্রামে এসব ঘটনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দলের সিনিয়র নেতাদের।

 

নেতাকর্মী বলছেন, কমিটি গঠন নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আন্তরিক কিংবা কঠোর হয়েও ফল পাচ্ছেন না। দলের প্রভাবশালী নেতাদের হস্তক্ষেপে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের সৃষ্ট কোন্দলের কারণে সময়মতো কমিটি গঠন সম্ভব হচ্ছে না। আবার হাইকমান্ডের নির্দেশনায় তড়িঘড়ি করে যেনতেন কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এতে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে; সঙ্গে কোন্দলও। সাংগঠনিক স্থবিরতার জন্য তৃণমূল নেতাকর্মী হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীর গতিকেও দায়ী করছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর দলকে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগ নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ প্রক্রিয়ায় তিনি সারাদেশের সাংগঠনিক অবস্থা জানার জন্য বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের দেওয়া রিপোর্টের আলোকে দফায় দফায় জেলার নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন। তৃণমূল থেকে নেতৃত্ব তুলে আনার জন্য কাউন্সিল প্রক্রিয়াকে প্রাধান্য দিয়ে সারাদেশে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন তিনি।

 

জানা গেছে, সারাদেশে বিএনপির ৮২টি সাংগঠনিক ইউনিট রয়েছে। বেশিরভাগ কমিটিই মেয়াদোত্তীর্ণ। ২০১৯ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৭১টি কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। তবে সবটাতে আহ্বায়ক কমিটি করা হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যর্থ হয়েছেন নেতারা। মাত্র ১০টি জেলার কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিছু জেলার কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়নি। কোনো কোনো জেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ আহ্বায়ক কমিটি রয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রমে কমিটি পুনর্গঠনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

 

আহ্বায়ক কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে কাউন্সিল আয়োজন করে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো জেলাই নতুন কমিটি গঠন করতে পারেনি। বরং অনেক জেলায় কোন্দল চরম মাত্রা লাভ করেছে। যেমন চাঁদপুর জেলা কমিটি গঠন নিয়ে তিন দফা তারিখ পরিবর্তনের পর গত বছরের ২ এপ্রিল দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু জেলার বিবদমান দুই অংশকে সমন্বয় না করে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণা করায় এ জেলায় এখন দুটি কমিটি বিদ্যমান। একক নির্বাচন কমিশনের অধীনে এক জায়গায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে চার জায়গায়। ভোটের হিসাবেও তারতম্য ছিল বিস্তর। এসব ঘটনা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে দলের বিক্ষুব্ধ একটি অংশ। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা ওয়াসীম পাটোয়ারী এ নিয়ে মামলা করেন।

 

চাঁদপুরের কোন্দল নিরসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চাঁদপুর জেলা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, কুমিল্লার বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়াসহ বিবদমান দুই অংশকে নিয়ে বসেন। এতে কাউন্সিলে বিজয়ী জেলা সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সলিম উল্লাহ সেলিম এবং অপরাংশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা খান সফরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

 

এক পর্যায়ে মমিনুল হককে মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া। কিন্তু মমিনুল জানান, মামলা করেছেন সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা ওয়াসীম পাটোয়ারী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মোস্তাক মিয়াকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যের সামনে এ ঘটনায় বিব্রত হয় দল। কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও বিষয়টি নিয়ে তাঁরা তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে মামলার বিষয়টি যাতে জটিল আকার ধারণ না করে, এ জন্য আবারও ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের সঙ্গে নেতারা কথা বলবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না। সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া জানান, ওই ঘটনা অরাজনৈতিক ও অসাংগঠনিক। এটা খুব দুঃখজনক। দলের সিনিয়র নেতাদের সামনেই ঘটনাটা ঘটেছে। এর বেশি কিছু তাঁর বলার নেই। এভাবে প্রায় সব জেলাতেই কমিটি নিয়ে চলছে চরম অস্থিরতা। বরিশাল জেলাতেও কমিটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে দুই অংশ। এর একটি অংশের নেতারা আদালতের শরণাপন্ন হতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। অপরদিকে চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। অডিও-ভিডিও রেকর্ড ছাড়াও বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত তুলে ধরে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা চলছে। মাঝেমধ্যেই ঘটছে সংঘর্ষ। এসব ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

বরগুনা জেলা কমিটি গঠন নিয়েও চলছে বিতর্ক। কমিটি গঠনে কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের ঘটনা তদন্ত করছে দল। ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন কমিটি গঠনেও চলছে তুঘলকি কাণ্ড। একেক কমিটিতে ৭-৮ জনকে দেওয়া হচ্ছে 'সাইনিং পাওয়ার' বা স্বাক্ষর ক্ষমতা। এতে কমিটি গঠনে হযবরল অবস্থা হচ্ছে। আবার অখ্যাত, নিষ্ফ্ক্রিয় নেতাদের পদায়ন নিয়েও চলছে অসন্তোষ।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দল পুনর্গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। যেসব জেলার কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ সেখানে কাজ চলছে। নতুন কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এখানে নেতৃত্ব পেতে প্রতিযোগিতা অনেক। সবাই ত্যাগী ও নির্যাতিত। সবাই যোগ্যও। সবার বিরুদ্ধে মামলা-হামলা রয়েছে। তাই কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কেউ বাদ পড়লে কষ্ট পাবেন- এটাই স্বাভাবিক। এটা ঠিক হয়ে যাবে।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি

আরও খবর



বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চাইলেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি তাকে বলবো, এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন। ৮০ ভাগ নেতাকর্মী কারা? আমির খসরু, মির্জা ফখরুল একে একে জেল থেকে বের হয়ে গেছেন। তাহলে নিগৃহীত কে হচ্ছে? তাদের তালিকা প্রকাশ্যে দিতে হবে।

বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নিগৃহীত হয়েছে বলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করলে তার প্রতিউত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির ঈদ উপহার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি নেতারা অনেক মিথ্যাচার করেছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের নেগেটিভ রাজনীতি এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই রাজনীতি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। কেউই গ্রহণ করবে না। বিএনপি নামে একটি দল সংকুচিত হয়ে যাবে।

বিএনপি ইফতার পার্টি করে, আর আওয়ামী লীগ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীর নির্দেশ ইফতার পার্টি নিজেরা না করে গরিব সাধারণ মানুষের মাঝে, যারা এ সংকটের মুহূর্তে কষ্টে আছে তাদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করাএটাই আমাদের সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন কাজ।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এখন তারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। আসলে বিএনপি পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। বিএনপির চেতনায় পাকিস্তান।

আওয়ামী লীগ কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের দাসত্ব করে না মন্তব্য করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ। আমাদের চেতনায় বাংলাদেশ। সেটাই আমরা মনে প্রাণে ধারণ করি। আজ বিএনপির চারদিকে অন্ধকার। শেখ হাসিনার উন্নয়ন, মানবতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধ করে রেখে দিয়েছে। এখান থেকে বের হতে পারছে না। আজ তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে একটা স্বাধীন দেশ সে কথাও তারা ভুলে গেছে। নির্বাচনের আগে কীভাবে বিদেশি শক্তির তাঁবেদারি করেছে। নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছিল। নির্বাচন যখন হয়ে গেছে, সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব দেশ সংকট উত্তরণ করে ভালোর দিকে যাচ্ছে, সুসময় আসতে সময় লাগে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্বে সংকট, তার প্রতিক্রিয়া আমাদের দেশেও আছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। তুলনামূলক অনেক দেশের মানুষের যে কষ্ট সে তুলনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক ভালো আমরা আছি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।


আরও খবর



গাজা উপত্যকায় হিরোশিমা–নাগাসাকির মতো বোমা ফেলার আহ্বান মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে সেখানে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকির মতো বোমা ফেলার’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের কংগ্রেস সদস্য টিম ওয়ালবার্গ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা–নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা ফেলেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর জেরে জাপানের আত্মসমর্পণ ত্বরান্বিত হয়। চূড়ান্ত জয় পায় মার্কিন জোট।

মিশিগানের দক্ষিণাঞ্চল থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য টিম ওয়ালবার্গ। গত ২৫ মার্চ নিজের নির্বাচনী এলাকার একটি টাউন হলে ভোটারদের সামনে দেওয়া ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

জাপানের শহর দুটিতে মার্কিন বাহিনীর পরমাণু বোমা ফেলার প্রসঙ্গ টেনে টিম গাজায় একই পন্থা অবলম্বনের কথা বলেন। সেই সঙ্গে গাজায় মার্কিন সহায়তা বন্ধ করারও আহ্বান জানান তিনি।

টিমের ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য টিমের চেহারা দেখা না গেলেও তাকে কথা বলতে শোনা যায়।

ওই আয়োজনে গাজাবাসীকে মানবিক সহায়তা দিতে মার্কিন প্রশাসনের ডলার খরচ করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। টিম বলেন, আমার মনে হয়, গাজাবাসীর জন্য আমাদের একটি অর্থও খরচ করা উচিত হবে না।’

মার্কিন এই আইনপ্রণেতা আরও বলেন, নাগাসাকি আর হিরোশিমার মতো করা দরকার। তাহলে দ্রুত এটি (যুদ্ধ) শেষ হবে।’

ওই বক্তব্যের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দিয়েছে টিম ওয়ালবার্গের দফতর। এতে দেখা গেছে, ইউক্রেন যুদ্ধে অবিলম্বে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে রুখে দিতেও একই যুক্তি দেখিয়েছিলেন এই রাজনীতিক।


আরও খবর



জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর



ঈদে বাড়ি ফেরার পথে বাস চাপায় শ্যালক–দুলাভাই নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাস চাপায় ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই। গতকাল মঙ্গলবার রাতে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ইল্লা বটতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার হাইওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহতরা হলেনউজিরপুরের গুঠিয়া ইউনিয়নের পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের হাবুল সরদারের ছেলে উজ্জ্বল সরদার (২৭) ও তাঁর শ্যালক বাকেরগঞ্জ উপজেলার গুয়াখোলা এলাকার জালাল হাওলাদারের ছেলে দিন ইসলাম (১৮)।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো গোলাম রসুল মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী চেয়ারম্যান পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস রাত সাড়ে ৯টার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। রাত পৌনে ১১টার দিকে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ইল্লা বটতলা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা উজিরপুরগামী একটি মোটরসাইকেল চাপা দেন।

এতে ঘটনাস্থলেই উজ্জ্বল সরদার ও তাঁর শ্যালক দিন ইসলাম নিহত হন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। ঈদের ছুটিতে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

চেয়ারম্যান পরিবহন বাসটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ধাওয়া করে গৌরনদীর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বাসটি জব্দ করে পুলিশ। তবে চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আজ বুধবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

 


আরও খবর



বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানের অংশ ছিল বাংলাদেশ। ওই সময় বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের অংশ থাকা অবস্থায় পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হতেন এ অঞ্চলের মানুষ। শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিকামী মানুষ পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। টানা ৯ মাস যুদ্ধ করে ৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদেরকে বলা হতো, এই অংশটি পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা। কিন্তু ওই বোঝাই এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে তিনি লজ্জিত হন। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) একটি মতবিনিময় সভা করেন শেহবাজ শরীফ। ওই সময় তাদের তিনি বলেন, আমি খুবই তরুণ ছিলাম। আমাদের বলা হতো বাংলাদেশ আমাদের ওপর একটি বোঝা। আজ সবাই জানেন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ওই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। তিনি আরও বলেছেন, আমরা এখন যখন বাংলাদেশের দিকে তাকাই লজ্জিত হই।

শেহবাজ শরীফের সঙ্গে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতারা গতকাল বুধবার সিন্ধ সিএম হাউজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের সঙ্গেও ব্যবসা বিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরীফ। গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য শেহবাজ শরীফের ওপর চাপ রয়েছে।


আরও খবর