আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

‘জেন্ডার বৈষম্য নিরসনে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম বলেছেন, নারী ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে দেশে জেন্ডার বৈষম্য নিরসন বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।

নারী সমাজকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ততা করা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেও জানান মন্ত্রী।

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডির উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আত্মনির্ভরশীল নারীদের সম্মাননা-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, অতীতে নারীরা শিক্ষা, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে জেন্ডার বৈষম্য নিরসনে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। নারীরা তাদের স্ব-স্ব যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আমাদের দেশে নারীর ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। জেন্ডার বৈষম্য নিরসনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক সম্ভাবনাময় একটি দেশ। দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে নারী-পুরুষ উভয়ের সুপ্ত প্রতিভাকে সমভাবে কাজে লাগাতে হবে। নারী হোক পুরুষ হোক ভালো কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে। কাউকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। সমতার বিশ্ব গড়তে হলে নারী-পুরুষের সমঅংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

মোঃ তাজুল ইসলাম আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিক্ষা, রাজনীতি, প্রশাসন, প্রতিরক্ষা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করেছে। নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে নারীদের অংশগ্রহণ, সঞ্চয় কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, নেতৃত্ব বিকাশ, নারী অধিকার সুরক্ষা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ প্রসারিত করে নারীর ক্ষমতায়নে নতুন মাত্রা যুক্ত করায় এলজিইডির কাজের প্রশংসা করেন মন্ত্রী।

প্রধান অতিথি জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর দূরদর্শী রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর বিচক্ষণতা দিয়ে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও তার অবদান রাখার সুযোগ দিতে হবে। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামে, যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে অবদান রেখেছেন তা মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই। বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং স্থান কখনোই পূরণ হওয়ার নয়।

এসময়, এলজিইডির সকল প্রকৌশলীকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন সকল উন্নয়ন কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এসব কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশও দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে তিন ক্যাটাগরিতে ১১ জন শ্রেষ্ঠ স্বাবলম্বী নারীকে এলজিইডি প্রদত্ত সন্মাননা পুরস্কার ও নগদ অর্থ তুলে দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এলজিইডির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়া নারীদের সাফল্যগাথা প্রচার ও এক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী নারীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি আত্মনির্ভরশীল নারীদের সন্মামননা দিয়ে আসছে।


আরও খবর



মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন?

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের আগেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিক। মুক্তির পর বিমানযোগে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। একই সঙ্গে কয়লাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকেও দুবাইয়ে পৌঁছাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নাবিকদের আরেকটি দলকে। জলদস্যুদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর তাদের মুক্তিপণ দিয়েই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে।

জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে কথা বলতে এরই মধ্যে জাহাজে আনা হয়েছে ইংরেজি জানা দোভাষিকে। তার মাধ্যমেই জাহাজের মালিকপক্ষ কবীর গ্রুপের সাথে দর কষাকষি করে চূড়ান্ত হয়েছে মুক্তিপণ। ফলে যে কোনো মুহূর্তে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। তবে কততে নির্ধারিত হয়েছে জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন তা এখনো জানা যায়নি।

জানা গেছে, মুক্তিপণ আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়েই জলদস্যুরা বুধবার থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকার পাশাপাশি জাহাজে কাজ করার সুযোগও দিচ্ছে। ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন কবীর গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেলেই ২৩ নাবিককেই বিমানযোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। আর জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দুবাইয়ের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে জাহাজের মালিক পক্ষ কবির স্টিল এরই মধ্যে ২৩ নাবিকের আরেকটি দলকে প্রস্তুত রেখেছে। তারাই নতুন করে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নেবে।’

 সোমালি জলদস্যুদের ওপর যেমন নানামুখী চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিলো, তেমনি নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মুক্তিপণ দেয়ারও কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন মেরিন বিশেষজ্ঞরা।

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়েছে। সে হিসেবে ঈদের আগেই সবাই মুক্তি পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।


আরও খবর



২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদযাত্রায় যানজট, যাত্রী হয়রানি ও সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে ৮ ও ৯ এপ্রিল ২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরে বলা হয়, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে এক কোটি, গাজীপুর থেকে ৪০ লাখ, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১২ লাখসহ ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এসব যাত্রীর ঈদের আগের চারদিনে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ, ট্রেনে ৪ লাখ, প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসে ৩৫ লাখ, মোটরসাইকেলে ১২ লাখ, লঞ্চে ৬০ লাখ, উড়োজাহাজে প্রায় এক লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে।

গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে এবং খোলা ট্রাক ও পণ্যবাহী পরিবহনে ১৮ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এছাড়াও আন্তঃজেলায় যাতায়াত করবে প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি যাত্রী। এতে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদবাজার, গ্রামের বাড়ি যাতায়াতসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির পরিবহনে বাড়তি প্রায় ৬০ কোটি ট্রিপ হতে পারে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গণপরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবারের ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা এবার রোজা ৩০টি সম্পন্ন হলে ১১ এপ্রিল ঈদ হতে পারে। ঈদের আগে ১০ এপ্রিল মাত্র একদিন সরকারি ছুটি রয়েছে। ঈদের পরে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পযর্ন্ত ৫ দিনের লম্বা ছুটি রয়েছে। ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রায় মুসলমানদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও পহেলা বৈশাখ উদযাপনে লম্বা ছুটির সুবাধে গ্রামের বাড়ি যাবে। তাই যাত্রী সংখ্যা বাড়বে।

আগামী ৯ ও ১০ এপ্রিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে। অথচ আমাদের গণপরিবহনগুলোতে ২২ থেকে ২৫ লাখের মতো মানুষ পাড়ি দেয়ার সক্ষমতা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আগে ছুটি না বাড়ালে দেশের সব পথে যাতায়াত পরিস্থিতি কোমায় চলে যেতে পারে। তাই ৮ এবং ৯ এপ্রিল দুই দিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হলে ৫ এপ্রিল থেকে সবাই স্বচ্ছন্দে, ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবে। গণপরিবহন সংকট ও যাত্রী ভোগান্তি থেকেও মুক্তি মিলবে। এই কারণে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি করছি।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে দেশে ৭১৪টি স্পটে যানজট হতে পারে এমন খবর গণমাধ্যমে এসেছে। যার মধ্যে ১৪০টি স্পটে প্রখর নজরদারি দরকার। ১০টি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ২১৮টি অতিঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনার স্পটের বিষয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সরকারকে সতর্ক করেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এসব স্পটেই ৬০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এবারের ঈদযাত্রায় রাজধানীবাসী যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে।

তাই এই মুহূর্ত থেকে রাজধানীর প্রতিটি সড়কের ফুটপাত হকার ও অবৈধ পার্কিং মুক্ত করার দাবি জানাই। রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের প্রবেশদ্বারগুলোতে যাত্রীদের অসহনীয় যানজটে পড়তে হবে। এসব যানজট নিয়ন্ত্রণে রাস্তার মোড় পরিষ্কার রাখা ও ছোট যানবাহন বিশেষ করে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক প্রধান সড়কে চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। তা না হলে আগামী ২৫ রমজান থেকে ঈদের দিন সকাল অবধি রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল অচল হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, কিছু অসাধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও পরিবহন নেতাদের চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন টোল পয়েন্টের কারণে জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট হয় বলে যানজটমুক্ত করার দাবি জানান। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ও পরিবহন সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চালাতে কিছু কিছু অসাধু পরিবহন মালিক-চালক মরিয়া হয়ে উঠেছে। কোনো পথে ঈদের ভাড়া দ্বিগুণ-তিনগুণ হয়ে যাওয়ার কারণে নিম্ন আয়ের লোকজন কম ভাড়ায় বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে অথবা পণ্যবাহী পরিবহনের ছাদে যাতায়াতে বাধ্য হয়। এতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্যা প্রাণহানী ঘটে থাকে।

এসময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে অতীতের বিভিন্ন সময়ের মতো কেবল কাগুজে বাঘের মতো হুঁশিয়ারি নয় প্রকৃতপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ডেঙ্গু প্রতিরোধে জোরালো উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার জোরালো ভূমিকা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের মিটিং হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধের ঘাটতি যেন না থাকে, তা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবার স্যালাইনের কোনো অভাব হবে না। পাশাপাশি কেউ যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল জনবল সংকটে ভুগছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে জনবল সংকটের সমস্যা অতি দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ করা হবে। এতে ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালের চাপ কমবে।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুপুরের মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৈশাখের শুরু থেকেই সারা দেশে বইছে তীব্র দাবদাহ। এর ফলে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচদিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।


আরও খবর



দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্যান্য খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শুধু ফুটবল বলে নয়, আমাদের দেশীয় অনেক খেলা আছে সেসব খেলাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এতে আমাদের কোমলমতিদের মেধা বিকাশের সুযোগ হবে। কারণ খেলাধুলার মধ্য দিয়েই আমাদের ছেলে-মেয়েদের আরও মেধা বিকাশের সুযোগ হবে।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টবঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখনই সরকার এসেছি, তখনই চেষ্টা করেছি ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি আরও বেশি অনুরাগী করে তুলতে। কেননা খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটায়। ডিসিপ্লিন শিখায়, আনুগত্যের শিক্ষা দেয়। সেই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি।

সরকার প্রধান বলেন, সব ধরনের খেলাধুলার বিকাশে সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছে। যাতে করে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবে। সবাই শিক্ষা দীক্ষা খেলাধুলা সবদিক থেকে আরও বেশি উন্নত হবে, সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে আমাদের আজকের এ সোনার ছেলে মেয়েরা। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও আশীর্বাদ রইল।


আরও খবর