১৪দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও ঝালকাঠি-১ আসনের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমরসহ ৬২জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কর্মী বিত্তয় কুমার সরকার (কেশব সুমন) বাদী হয়ে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ মনিরুজ্জামান অভিযোগ গ্রহন করে ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জকে প্রাথমিক তদন্ত করে আইনগত ব্যববস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৪ আগষ্ট সকাল ১১টায় শহরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এক বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি ১৪দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর রোনালস রোডের বাস ভবন অতিক্রম কালে বাড়ীর মধ্য থেকে বেড় হয়ে আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আসামীরা ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকা জুড়ে আতংকজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এসময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অসংখ্য নেতাকর্মীরা আহত অবস্থায় ছত্রভংগ হয়ে যায়। আহতরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে গেলে আসামীরা সেখানেও হামলা চালিয়ে চিকিৎসা গ্রহনের বাধা প্রদান করে।
মামলায় আমু-ওমর ছাড়াও ফকরুল মজিদ কিরন, ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, সাবেক মেয়র আফজাল হোসেন, কাউন্সিলর তরুন কর্মকার, কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির, কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, কাউন্সিলর কামাল শরীফ, সৈয়দ মিলন, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালীসহ নামধারী ৬২জন ও অজ্ঞাত ৫০/৬০জনকে আসামী করা হয়। বাদীর পক্ষে এড. মাহবুব হোসেন আদালতে শুনানীতে অংশ গ্রহন করেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী বিত্তয় কুমার সরকার কেশব সুমন জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ১দফা দাবী আদায়ে ৪আগস্ট সকালে মিছিল বেড় করে। সেই মিছিলে আমির হোসেন আমু ও শাহজাহান ওমরের নির্দেশে আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে আমরা অনেক ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছি। সেই ঘটনার সুষ্ঠু ও কঠোর বিচারের দাবীতে আমি এ মামলা দায়ের করেছি।