আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

জিআই পণ্যের মর্যাদা পেল বগুড়ার দই

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি পেল বগুড়ার দই। এ নিয়ে দেশের ১৫টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেল। গত ২৬ জুন শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই দিন বগুড়ার দই ছাড়া জিআই স্বীকৃতি পাওয়া অন্য পণ্যগুলো হলো শেরপুর জেলার তুলসীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম।

আরও পড়ুন: আমরা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের দিকে ধাবিত হচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী

ডিপিডিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বগুড়া রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই শেষে ২৬ জুন দই ছাড়াও তিনটিকে জিআই পণ্য হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জিল্লুর রহমান বলেন, কোনো পণ্যের জিআই স্বীকৃতির আবেদন এলে তা যাচাই-বাছাই করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এরপর দুই মাস সময় দেওয়া, এ নিয়ে কারও কোনো আপত্তি আছে কি না। আপত্তি না থাকলে ওই পণ্যের স্বীকৃতি দিয়ে দেওয়া হয়। বগুড়ার দইয়ের ক্ষেত্রেও কেউ কোনো আপত্তি তোলেনি। তাই এর স্বীকৃতি মিলেছে। আরও কয়েকটি পণ্য প্রক্রিয়াধীন। শিগগিরই এগুলোর স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর ডিপিডিটিতে বগুড়ার দইকে জিআই পণ্য করার জন্য আবেদন করে জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। আবেদনের প্রায় সাড়ে চার বছর পর স্বীকৃতি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী আলাল।

আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ হাইকোর্টের

কোনো একটি দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পায় জামদানি।

ডিপিডিটি সূত্রে জানা গেছে, অন্তত ২৪টি পণ্যের জিআই স্বীকৃতির আবেদন প্রক্রিয়াধীন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম, কুষ্টিয়ার তিলেখাজা, কুমিল্লার রসমালাই, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম, নোয়াখালীর মহিষের দুধের দই, লতিরাজ কচু, সোনালি মুরগি, সাবিত্রী রসকদম, চাচুরি বিলের কৈ মাছ, নাক ফজলি আম, সুন্দরবনের মধু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, জামালপুরের নকশিকাঁথা, ফুটি কার্পাস তুলা প্রভৃতি।


আরও খবর



রোববার থেকে বনজীবী-পর্যটকদের জন্য খুলছে সুন্দরবন

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার পর রোববার থেকে বনজীবী ও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সুন্দরবনে সম্পদ আহরণের জন্য ১২ হাজার নৌকা ও ট্রলারকে বোর্ড লাইসেন্স সার্টিফিকেট-বিএলসি দেওয়া হয়। এসব নৌযানের মাধ্যমে প্রতিবছর এক থেকে দেড় লাখ জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়াল সুন্দরবনের সম্পদ আহরণ করেন।

তিনি বলেন, সুন্দরবন শুধু জীববৈচিত্র্য নয়, মৎস্য সম্পদেরও আধার। জুন থেকে অগাস্ট-এই তিন মাস প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশিরভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ কারণে তিন মাসের জন্য জেলে ও পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ।

এ বন সংরক্ষক আরও বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলে ও পর্যটকদের সুন্দরবনে ঢোকার পাস (অনুমতি) দেওয়া হবে। নির্ধারিত ফরেস্ট স্টেশনগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। অনুমতিপত্রের মেয়াদ অনুযায়ী, সুন্দরবনে অবস্থানকারী জেলেদের তালিকা বনরক্ষীদের ক্যাম্প কর্মকর্তার কাছেও থাকবে। বনরক্ষীরা তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি খালে টহল দিয়ে অনুমোদন পাওয়া জেলেদের নৌকা যাচাই করে দেখবেন।

বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, জেলে-বাওয়ালিরাও এখন সুন্দরবনের ভেতরে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।তবে সাধারণ জেলে-বাওয়ালিদের অভিযোগ, নিষিদ্ধ সময়ে সুন্দরবনে অপরাধ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার স্থানীয় জেলেদের কয়েকটি অসাধুচক্র বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন চুক্তির মাধ্যমে সুন্দরবনে ঢুকে অল্প সময়ে বিষ ছিটিয়ে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করছেন।বনের ভেতরে গাছ পুড়িয়ে চলে শুঁটকি তৈরি। দেশ-বিদেশের বাজারে ওই চিংড়ির শুঁটকির চাহিদা ও দাম বেশি।মাছ ও কাঁকড়া সুন্দরবনসংলগ্ন আশপাশ এলাকার আড়ত এবং বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হয়।এতে প্রকৃত জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমারের ভাষ্য, নিষিদ্ধ মৌসুমে সুন্দরবন কেন্দ্রীক সব ধরনের অপরাধ দমনে সচেষ্ট থাকেন বনরক্ষীরা। তবে এর মধ্যে দুএকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে।দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বনরক্ষীদের কারও বিরুদ্ধে অবহেলা অথবা অপরাধীর সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার; যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। ১৩টি বড় নদীসহ ৪৫০টির মত খাল রয়েছে সুন্দরবনে।

জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হওয়া এই বনের জলাধার ভেটকি, রূপচাঁদা, দাঁতিনা, চিত্রা, পাঙ্গাশ, লইট্যা, ছুরি, মেদ, পাইস্যা, পোয়া, তপসে, লাক্ষা, কই, মাগুর, কাইন, ইলিশসহ ২১০ প্রজাতির সাদা মাছের আবাস।এছাড়াও রয়েছে গলদা, বাগদা, চাকা, চালি, চামিসহ ২৪ প্রজাতির চিংড়ি।বিশ্বখ্যাত শিলা কাঁকড়াসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়ার প্রজনন হয় এখানে।

বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সুন্দরবনের প্রতি সব দেশের মানুষের আকর্ষণ রয়েছে। সুন্দরবনের সাতটি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে প্রতিবছর আড়াই লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন।বন বিভাগ থেকে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সুন্দরবন ভ্রমণ করেন ২ লাখ ১৬ হাজার পর্যটক। যা থেকে সুন্দরবন বিভাগের রাজস্ব আয় হয় ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

২০২১-২২ অর্থবছরে সুন্দরবনে ৭৫ হাজার ৫৬০ জন দেশি এবং ৮৬৪ জন বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। ওই অর্থবছর সুন্দরবন বিভাগ পর্যটকদের কাছ থেকে ৮৮ লাখ ৯৪ হাজার ৭০ টাকা রাজস্ব আয় করে।

খুলনার ট্যুর অপারেটরা জানান, সুন্দরবনে পর্যটনের মৌসুম শুরু হয় অক্টোবরে, চলে মার্চ পর্যন্ত। এই ছয় মাসের ব্যবসার জন্য এ খাতের ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় থাকেন। তবে গত মৌসুম দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটন ব্যবসায় ধস নামে।

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবন

আরও খবর



সরকারি অফিসে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারের নির্দেশনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ করে সকল সরকারি অফিসে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার অনুরোধের প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায়, প্লাস্টিকের ফাইল, ফোল্ডারের পরিবর্তে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব অন্যান্য সামগ্রীর তৈরি ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে কটন বা জুট ফেব্রিকের ব্যাগ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে কাঁচের বোতল ও কাঁচের গ্লাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্লাস্টিকের ব্যানারের পরিবর্তে কটন ফেব্রিক, জুট ফেরিক বা বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানে তৈরি ব্যানার ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া দাওয়াতপত্র, ভিজিটিং কার্ড ও বিভিন্ন ধরনের প্রচার পত্রে প্লাস্টিকের লেমিনেটেড পরিহার করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় বিভিন্ন সভা, সেমিনারে সররাহকৃত খাবারের প্যাকেট কাগজের বা পরিবেশ বান্ধব হয় সেটি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের প্লেট, গ্লাস, কাপ, স্টু, কাটলারিসহ সকল পণ্য পরিহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্লাস্টিকের কলমের পরিবর্তে পেনসিল বা কাগজের কলম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বার্ষিক প্রতিবেদনসহ সকল ধরনের প্রকাশনায় লেমিনেটেড মোড়ক ও প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার ও ফুলের তোড়ায় প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

ওই সকল বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য সকল সিনিয়র সচিব, সচিব, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া প্লাস্টিকদূষণে সচেতনতা তৈরি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সচিবালয়কে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণার উদ্যোগ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৫ আগস্ট জারিকৃত এক পত্রের মাধ্যমে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের অনুরোধ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত ২৮ আগস্ট পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৭ ধরনের বস্তু, সামগ্রী ও পদার্থকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর গত  ২৯ আগস্ট জারিকৃত এক অফিস আদেশে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহে ব্যক্তিগত ও দাপ্তরিক পর্যায়ে 'সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা' করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।


আরও খবর



রিপোর্ট দিয়ে কী হবে যদি অভিযুক্ত গ্রেফতারই না হয়: তনুশ্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত বিনোদন জগতে পা দিতেই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। এ বিষয়টি সবারই জানা। তখন তার অভিযোগের আঙুল উঠেছিল অভিনেতা নানা পাটেকরের দিকে। এ নিয়ে বলিউডে জলঘোলা কম হয়নি। এবার মালায়লাম চলচ্চিত্র জগতে নারীদের ওপর যৌন হেনস্তা নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে হেমা কমিটি। সেই রিপোর্টেরই নিন্দা করেছেন তনুশ্রী দত্ত।

আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, বলিউডে যৌন হেনস্তা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন তনুশ্রী দত্ত। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল অভিনেতা নানা পাটেকরের দিকে। এরপর অভিযোগ উঠেছিল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে। তার দাবি চকোলেট ছবির সেটে সবার সামনে খোলামেলা পোশাক পরে থাকতে বাধ্য করেছিলেন পরিচালক। এবার হেমা কমিটির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিলেন তনুশ্রী দত্ত।

মালায়লাম চলচ্চিত্র জগতে নারীদের ওপর যৌন হেনস্তা নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করেছে হেমা কমিটি, সেই রিপোর্টেরই নিন্দা করেছেন তনুশ্রী। কর্মস্থলে নারীদের যৌন হেনস্তা থেকে সুরক্ষা প্রদানকারী বিশাখা কমিটিরও সমালোচনা করেন এ অভিনেত্রী।

২০১৭ সালে প্রযোজক তথা অভিনেতা দিলীপসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গাড়ির মধ্যে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন মালায়লাম ছবির এক অভিনেত্রী। সেই ঘটনার পরেই নারীদের সুরক্ষার জন্য গঠন করা হয় হেমা কমিটি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হেমা কমিটির নিন্দা করে তনুশ্রী বলেন, এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করার অর্থ কী? বরং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হতো। আরও কঠোর আইন আনা উচিত ছিল। আমি বিশাখা কমিটির কথাও শুনেছিলাম। অনেকগুলো পাতা নিয়ে তৈরি সেই দীর্ঘ রিপোর্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হলো?

এ আগে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ টেনে এনে তনুশ্রী বলেন, নানা পাটেকর ও দিলীপের মতো মানুষ মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। এদের এই বিকারের কোনো সমাধান নেই। নিষ্ঠুর ও ক্ষতিকর মানুষই এ ধরনের কাজ করতে পারে। এ ধরনের সমিতি নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না। এ পদ্ধতির ওপর আমার কোনো ভরসাও নেই। তিনি বলেন, এ রিপোর্ট পেশ করে ওরা শুধু সময় নষ্ট করতে পারে। আসল কাজ এরা করে না। নিরাপদ কর্মস্থল পাওয়া নারীদের বা যে কোনো মানুষের মৌলিক অধিকার।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নানা পটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন তনু্শ্রী। তাঁর দাবি ছিল, ২০০৮ সালে হর্ন ওকে ছবির সময় তাঁকে যৌন হেনস্তা করেন নানা। এ নিয়ে বলিউডে জলঘোলা কম হয়নি।

এরপর অভিযোগ উঠেছিল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে। তার দাবি চকোলেট ছবির সেটে সবার সামনে খোলামেলা পোশাক পরে থাকতে বাধ্য করেছিলেন পরিচালক।

২০০৫ সালে শুটিং হওয়া চকোলেট ছবির একটি দৃশ্যে ছোট স্কার্ট পরতে হয়েছিল তনুশ্রীকে। শুটিংয়ের ফাঁকে মেকআপ ভ্যানে সেই খোলামেলা পোশাকের ওপরে একটি বড় কোট পরে বসেছিলেন এ অভিনেত্রী। এতেই নাকি আপত্তি জানিয়েছিলেন বিবেক। দাবি করেছিলেন শুটিং সেটে ক্যামেরার বাইরেও তাকে একই পোশাকেই থাকতে হবে!

ঘটনার রেশ টেনে সংবাদমাধ্যমে তনুশ্রী বলেছিলেন, শুটিংয়ের ফাঁকে শিল্পীরা ভ্যানে বিশ্রাম নেন। বিশেষ করে যখন ছোট পোশাক পরতে হয়। আমি ওই ছোট পোশাকের ওপরে লম্বা কোট পরে বসতাম। তখন পরিচালক বললেন একটু পরেই শুটিং শুরু হবে। কোটটা খুলে ফেলো। পুরো শুটিংয়ের কলাকুশলীদের সামনে আমাকে ছোট স্কার্ট পরিয়ে বসিয়ে রাখতেন তিনি।


আরও খবর
জনগণের কাছে দেশটা কারাগার : আফজাল হোসেন

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




গণ অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হলো আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বহু প্রাণের বিনিময়ে আলোর মুখ দেখেছে ছাত্র-জনতার বিপ্লব। বহু রক্তপাতের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়েছে সম্ভাবনাময় নতুন বাংলাদেশ। জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনে আগস্টে রূপ নেয়, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে। টিকে থাকার সব চেষ্ট ব্যর্থ হলে ৫ আগষ্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হলো আজ। ছাত্র-জনতার দাবি, কিছুটা দেরি হলেও বিজয়ের সুফল পাবে বাংলাদেশের জনগণ।

তীব্র গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন ৫ আগস্ট। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া জুড়ে তখন মুক্তির বাতাস। সবার চোখে-মুখে শুধুই প্রাপ্তির আনন্দ। পুরো দেশের একক উৎসবে রূপ নিলো ছাত্র-জনতার বিজয়। মুখের কথায় খই ফোটানো প্রভাবশালীরা অন্ধকারে মিলিয়ে গেলেন আলো নিভিয়ে। এক মাস খুবই অল্প সময়। তবুও কী কোন প্রাপ্তি দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্পর্শী?

শুরুটা কোটা সংস্কার দাবিতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে। মারমুখী সরকার, লেলিয়ে দেয়া হয় পেটুয়া বাহিনী। ধীরে ধীরে বাড়ে তীব্রতা; শাহবাগ কেন্দ্রিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আন্দোলন দমাতে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করে সরকার। পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাবের পাশাপাশি, সেনাবাহিনী নামিয়ে করা হয় সান্ধ্য আইন।

শাষকগোষ্ঠী যেন মেতে ওঠে রক্তের নেশায়। মূল্যহীন করে তোলে ছাত্র-জনতার জীবন। পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষণ অথবা পাহাড়-সমতল; মুক্তির নেশায় মেতে ওঠে সবাই। জ্বলতে থাকেন দ্রোহের আগুনে। অনেকের ভাবনার জগতে ছিল না, এমনকি এখনও কেউ কেউ বিশ্বাস করতে পারেন না- পালিয়ে গেছেন নির্মম-পরাক্রমশালী হাসিনা সরকার।

পুলিশের বে-হিসেবি গুলির বিপরীতে তারুণ্যের অদম্য সাহস আর সীমাহীন মুক্তির নেশা। বন্দুকের নলের মুখে দাঁড়িয়েছে বুক চিতিয়ে। রংপুরের আবু সাঈদ হয়ে ওঠেন শত শত তরুণ-বিপ্লবী প্রাণের প্রতিচ্ছবি। এখনও কানে বাজে মুগ্ধের আহ্বান পানি লাগবে পানি

এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকে। তাদের বিশ্বাস, একদিন সব ঠিক হবে, মিলবে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সুফল।


আরও খবর



মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ। প্রথম সন্তানের বাবা-মা হলেন দীপিকা পাডুকোন ও রণবীর সিং। আজ রবিবার মুম্বাইয়ের এইচ এন রিলায়েন্স হাসপাতালে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন তিনি। দুই থেকে তিন হলেন দীপিকা-রণবীর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানা যায়, যদিও এখনও পর্যন্ত নিজেদের পক্ষ থেকে সন্তান আগমনের আনুষ্ঠানিক খবর ঘোষণা দেননি রণবীর-দীপিকা।

এর আগে গত শুক্রবার গণেশ চতুর্থীতে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে প্রার্থনা করতে দেখা যায় রণবীরদীপিকাকে। এর পরদিন শনিবার বিকেলে মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে দেখা যায় এ দম্পতিকে।

অন্তঃসত্ত্বা দীপিকাকে হাসপাতালে দেখা যেতেই তার মা হওয়ার গুঞ্জন বেড়েছে। যদিও অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২৮ সেপ্টেম্বর ভূমিষ্ঠ হতে পারে তাদের প্রথম সন্তান। কিন্তু তার অনেক আগেই হাসপাতালে হাজির তারকা জুটি। এর পরদিনই সন্তান এল দীপিকার কোলে। কিছু দিন আগেই মাতৃত্বকালীন ফটোশ্যুটে ধরা দেন দীপিকা। অভিনেত্রীর বেবিবাম্প প্রকাশ পায় সেই সব ছবিতেই।

দীপিকাকে সর্বশেষ দেখা গেছে কল্কি ২৮৯৮ এডি ছবিতে। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন এই ছবির শুটিং করেছিলেন অভিনেত্রী। ছবিতেও এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এছাড়াও দীপাবলিতে দীপিকার পরবর্তী সিনেমা সিংহম এগেইন মুক্তি পাবে।


আরও খবর
জনগণের কাছে দেশটা কারাগার : আফজাল হোসেন

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪