ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে
জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানি সরবরাহ করবে না
ইসরাইল। কোনো কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে না, কোনো মানবিক যুদ্ধবিরতিতে যাবে না ইসরাইলের
সেনাবাহিনী।
ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ
জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস তাদের বন্দিদের মুক্তি না দেবে ততক্ষণ; গাজার উপর
অবরোধ আরোপ করে রাখবেন তারা।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের পক্ষ থেকে গাজার
হাসপাতালগুলোর ‘মর্গে পরিণত’ হওয়া এড়াতে জ্বালানি
সরবরাহের আহ্বান জানানোর পর তিনি এই মন্তব্য করেছেন। খবর রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রসের
আঞ্চলিক পরিচালক ফ্যাব্রিজিও কার্বোনি বলেছেন, গাজার হাসপাতালগুলোর ডিজেল চালিত জেনারেটর
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট মানবিক দুর্দশা পীড়াদায়ক।
আমি বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কাছে অনুরোধ করছি।
রেড ক্রসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গাজা
বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে হাসপাতালেও বিদ্যুৎ নেই। এতে ইনকিউবেটরে জন্ম নেওয়া নবজাতক
ও অক্সিজেনে থাকা বয়স্ক রোগীরা ঝুঁকিতে পড়ছেন। তাছাড়া কিডনি ডায়ালাইসিস ও এক্সরে
নেওয়া যায় না। বিদ্যুৎ না থাকলে হাসপাতালগুলো মর্গে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
রেড ক্রসের এমন আহ্বানের পর ইসরাইলি জ্বালানিমন্ত্রী
ইসরাইল কাৎজ এক্স-এ বলেন, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া ছাড়া কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেছেন, গাজায় মানবিক সহযোগিতা?
যতক্ষণ না পর্যন্ত ইসরাইলি জিম্মিরা বাড়িতে ফিরবে ততক্ষণ কোনও বিদ্যুতের সুইচ চালু
করা হবে না, কোনো পানির পাম্প চালু হবে না, কোনো জ্বালানির ট্রাক প্রবেশ করবে না। মানবতার
জন্য মানবতা। কেউ আমাদের নৈতিকতা শিক্ষা দিতে আসবেন না।
শনিবার ইসরাইলে হামলা চালিয়ে দেশটির বেশ
কয়েকজন বেসামরিক মানুষ এবং সেনাকে ধরে নিয়ে যায় হামাস। ওই সময় হামাসের পক্ষ থেকে জানানো
হয়, ইসরাইলের কারাগারে অবৈধভাবে যেসব ফিলিস্তিনি বন্দি আছে তাদের মুক্তি দিলে ইসরাইলি
বন্দিদের ছেড়ে দেবেন তারা।
হামাস এমন আকস্মিক হামলা চালানোর পর গাজা
উপত্যকা লক্ষ্য করে অব্যাহতভাবে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে এখন পর্যন্ত
১ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।