আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৫১ শিক্ষার্থী এখনো কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারেনি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময়সীমা শেষ হলেও পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারেনি বরিশালে জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৫১ শিক্ষার্থী। তারাসহ প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী এখন এনালগ পদ্ধতিতে কলেজে ভর্তির অপেক্ষায় আছে। তবে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীন আসন খালি আছে প্রায় ৩০ হাজার।

এনালগ পদ্ধতি বলতে বোঝানো হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতি শেষে কলেজগুলোতে আসন ফাঁকা থাকলে শিক্ষার্থীরা ভর্তি সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে নামি কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য সুপারিশের প্রয়োজন হয় বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, বোর্ডের অধীনে কলেজগুলোতে প্রায় এক লাখ আসন রয়েছে। যার বিপরীতে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৭২ শিক্ষার্থী। হিসাবে প্রায় ৩০ হাজার আসন এখনও খালি। তবে আসন এক লাখ থাকলেও এবার বোর্ডে এসএসসি পাস করেছে ৯৪ হাজার ৮৭১ জন। অর্থাৎ পাস করা শিক্ষার্থীদের চেয়ে আমাদের আসন বেশি। তাই আসন পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই শিক্ষার্থীদের।’

উদ্বেগের বিষয় হলো জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৫১ শিক্ষার্থী এখনও কোনও কলেজে ভর্তি হতে পারেনি উল্লেখ করে ড. মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, এ কারণে গতবারও পাঁচ ধাপে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। হয়তো এবারও সেই পথে হাঁটতে হবে। সেক্ষেত্রে সভা হবে। সেই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বছর বরিশাল জিলা স্কুল থেকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া নাবিল রহমান আলভির বাবা আনিসুর রহমান বলেন, আমার ছেলের পছন্দ ছিল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ। ওই কলেজ পাওয়ার জন্য তিনবার আবেদন করেছিল। কিন্তু পছন্দের কলেজ না পাওয়ায় এখন এনালগ পদ্ধতির জন্য অপেক্ষা করছে।’

আনিসুর রহমান বলেন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীন যারা জিপিএ-৫ পেয়েছে তারা পছন্দের প্রথম কলেজ পাওয়ার দাবিদার। সেখানে সাড়ে ৫০০ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী পছন্দের কলেজ না পেয়ে এখন এনালগ পদ্ধতির অপেক্ষায় রয়েছে।’

এনালগ পদ্ধতিতে যদি পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়া যায়, তাহলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেন ভর্তি হওয়া যাবে না প্রশ্ন রাখেন আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, এতে মেধাবীদের মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, আর কত ভালো ফল করলে পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবো।’

শুধু আনিসুর রহমানের ছেলে নয়, পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষা বোর্ডের অধীন ছয় জেলার প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী এনালগ পদ্ধতিতে ভর্তির অপেক্ষায় আছে। তারা শিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, কবে এনালগ পদ্ধতির ঘোষণা আসবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। কারণ, ভালো ফল করার পরও তারা বলতে পারছে না কোথায় ভর্তি হচ্ছে। আবার একই সমস্যায় পড়েছে অন্যান্য শিক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির বিভাগীয় সমন্বয়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, বিষয়টি নিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা আমাকে জানিয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দের কলেজ বণ্টনের চতুর্থ তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা আশা করছি, ওই তালিকায় জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীরা পছন্দের কলেজ পেয়ে যাবে।’

এটি কোনও সিস্টেমের মধ্যে পড়ে না জানিয়ে এই শিক্ষক নেতা আরও বলেন, মেধাবীদের অগ্রাধিকার দিয়ে পছন্দের কলেজ দিতে হবে। তা না হলে তারা কোনোভাবেই নিশ্চয়ন করবে না, এটাই স্বাভাবিক। এ কারণে এখনও সাড়ে ৫০০ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীসহ ২৮ হাজার ভর্তি হয়নি। তাদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে, যারা কোনও কলেজ পায়নি।’

মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, কোন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কলেজ দেওয়া হচ্ছে, তা আমার জানা নেই। আমি যখন বিষয়টি জানি না তখন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরাও জানে বলে মনে হয় না। আসলে বিষয়টি পরিষ্কার করে জানানো উচিত। ভর্তি সহজ করতে ডিজিটাল করা হলো। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অপেক্ষায় আছে এনালগ পদ্ধতিতে ভর্তি হওয়ার জন্য। তাহলে ডিজিটাল করে লাভ কি হলো?

এবার বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০ হাজার ৬৮ জন। পাস করেছিল ৯৪ হাজার ৮৭১ শিক্ষার্থী।


আরও খবর



মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যার অভিযান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। উল্টো তারা বাঙালি বেসামরিক লোকদের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সব রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সব সচেতন নাগরিক। তবে অভিযানে নেমে তারা রিকশাওয়ালা থেকে নিয়ে সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে।

২৫ মার্চ মধ্যরাতে তথা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এ ঘোষণার নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ইহাই হয়ত আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, এই-ই হয়ত আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। সময় যত পেরিয়েছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং সম্পদ উৎপাদন ও আহরণ দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বার্ষিক বাজেট আজ পরিণত হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেটে। সেদিনের ১২৯ ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশটিতে বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৯শ ৬১ মার্কিন ডলার।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবারও জাতি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে।


আরও খবর



আমার এলাকায় দ্বৈত শাসন চলবে না: সাবেক ভূমিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

আমি স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই সাংবিধানিকভাবে আমি নির্বাচিত প্রতিনিধি, আমার এলাকায় দ্বৈত শাসন চলবেনা বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আয়োজনে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৩৫ পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ ও গৃহমঞ্জুরি অর্থ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জাবেদ বলেন, আমি আনোয়ারা-কর্ণফুলীর মানুষের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, এই এলাকার প্রশাসন ও দিকনির্দেশনা আমিই দেব, জনগণকে কিভাবে শান্তিতে রাখতে হয় সেই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব আমার, কে কি হয়েছে কোন পদ পেয়েছে সে বিষয় দেখার দায়িত্ব আমার নয়। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আমি নির্দেশ দিচ্ছি এখন থেকে যে কোন সভা-সমাবেশ এক সপ্তাহ আগেই অনুমতি নিয়ে করতে হবে। অনুমতি না নিয়ে কোন সমাবেশ করতে দেওয়া হবেনা।

তিনি আরও বলেন, আমি কখনো কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি, ভূমি দখল, থানায় হামলা,দালালী, মানুষের উপর অত্যাচার কোন ধরনের অন্যায় কাজ করতে দেইনি। যারা এসব করতে পারেনি তারা আজ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, এসব লোকদের আনোয়ারাবাসী সবাই চেনে, তাদেরকে আমি দুরে রেখেছিলাম বলেই মানুষ শান্তিতে ছিল।

ইউএনও মো. ইশতিয়াক ইমনের সভাপতিত্বে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু নাছেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এম এ মালেক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, সুগ্রীব মজুমদার দোলন, চেয়ারম্যান আমিন শরিফ, এমএ কাইয়ুম শাহ, অসিম কুমার দেব, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, কলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ ইদ্রিস, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী মুরাদ প্রমুখ।


আরও খবর



পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পের বিচার শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার নিউ ইয়র্কের আদালতে শুরু হতে যাচ্ছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

এই প্রথম কোনও ফৌজদারি মামলায় মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার শুরু হতে যাচ্ছে। বিচারের মুখোমুখি হওয়া প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি। দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ চার বছরের জেল হতে পারে ট্রাম্পের। তবে কারাদণ্ড এড়াতে জরিমানাও হতে পারে তার।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সাবেক পর্নো তারকাকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন ড্যানিয়েলসকে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন বলে দাবি করেছেন।

সোমবার জুরি নির্বাচনের মাধ্যমে বিচার শুরু হবে। ধারণা করা হচ্ছে ছয় থেকে আট সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৩৪ টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি অবশ্য সব কটি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার আগে ট্রাম্পের এই বিচারকে নজিরবিহীন হিসেবে দেখা হচ্ছে।


আরও খবর



ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: নিহত ১৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের ঐতিহাসিক শহর চেরনিগিভে বুধবার কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই শহরে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এরই মধ্যে মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শহরের রাস্তা-ঘাট রক্তাক্ত হয়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছেন। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অপরদিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ অবশেষে একটি বিশাল আকারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়েছে। এতে ৬১ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘ সময়ের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভূক্ত থাকছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি যখন বিস্ফোরিত হলো তখন তিনি তার সন্তানদের নিয়ে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডোরে অবস্থান করছিলেন।

৩৩ বছর বয়সী ওলগা বলেন, আমাদের প্রতিবেশীরাও ইতোমধ্যেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। আমরা চিৎকার করে সবাইকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে বলেছিলাম। সবাই তাই করেছিল এবং এর মধ্যেই আরও দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। তারপরেই আমরা পার্কিং লটে ছুটে যাই।

এদিকে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তিন শিশুসহ ৬০ জন রুশ হামলায় আহত হয়েছে। শহরের মেয়র ওলেকসান্দর লোমাকো জানিয়েছেন, ডজনখানেকের বেশি ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডজনখানেক যানবাহন এবং মেডিকেল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রুশ হামলা প্রতিহত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়া।

তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং রাশিয়ার সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করার জন্য বিশ্বের দৃঢ় সংকল্প থাকত তবে তারা এভাবে হামলা চালাতে পারত না। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত চেরনিগিভ শহরটি। যুদ্ধের আগে ওই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঈদ উপহার পেলেন ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লক্ষ্মীপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ৩ শতাধিক নারী-পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি-লুঙ্গী ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাগবাড়ী এলাকায় এ উপহারগুলো বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সুজায়েত উল্যা, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মুক্তার শাহ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক হাসেম আহমেদ রুপম, লক্ষ্মীপুর পৌর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল হাওলদার, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম ফয়সাল মাশরাহ, সাবেক ছাত্রনেতা সাইদুর রহমান প্রমুখ।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ঈদে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নতুন শাড়ি-লুঙ্গী উপহার দিয়েছি। একইসঙ্গে খাদ্য সামগ্রীও দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর