আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

জিয়ার মদদে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড : এলজিআরডি মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্রত্যক্ষ মদদদাতা ছিলেন জিয়াউর রহমান। তার নির্দেশে ঘটানো হয় ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।

রবিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্যাতন, অন্যায়-অবিচার, শোষণ, প্রতিহিংসা ও ধ্বংসাত্মকের রাজনীতি করে। পক্ষান্তরে আওয়ামীলীগ ন্যায়বিচার, মানুষের অধিকার আদায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি করে। এখানেই দুটি রাজনৈতিক দলের পার্থক্য। বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কারণে দলটি আজ ধূলিসাৎ হওয়ার পথে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে শহীদ করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা দীর্ঘ ২১ বছর দেশ ও মানুষকে কি দিয়েছে জাতি তা জানে। বাঙালি জাতির ভাগ্যকে নির্বাসন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াউর রহমান এবং তাদের দোসররা।

তিনি বলেন, যুদ্ধের পর রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, ব্যাংক বিমা, শিল্প কারখানা সব ধ্বংস হয়েছিল। সদ্য স্বাধীন ধ্বংসস্তূপ দেশকে জাতির পিতা সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করার কাজ শুরু করেন এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাত্র সাড়ে তিন বছরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেন। অর্থনৈতিক, আর্থ-সামাজিক, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে সক্ষম হন বঙ্গবন্ধু।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা পাকিস্তানিদের দোসর, রাজকার, আলবদর-আলশামস বাহিনী, স্বাধীনতা বিরোধী ছিল অথচ জাতির পিতাকে হত্যার পর কি যোগ্যতার কারণে তাদের উচ্চ পদে আসীন করে সম্মানিত করেছে, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে। এসব দেখে মুজিব আদর্শের অনুসারীদের কি বুকে রক্তক্ষরণ হয়নি?

জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশে ফিরে ক্ষতবিক্ষত দলকে পুনর্গঠন করে দেশ ও মানুষের সেবায় ব্রত হয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং তার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময়।

দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এবং শেখ হাসিনার পথ নকশা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু আদর্শে পরিচালিত বাংলাদেশ এখন আর কারো মুখাপেক্ষীর দেশ নয়, এ দেশ ফকির মিসকিনের দেশ নয়, এ দেশ ঘুরে দাঁড়ানো এক বাংলাদেশ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভ করার পর পাকিস্তান বলেছিল তারা অভিশাপ থেকে মুক্তি লাভ করেছে। অথচ এখন তারা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ হয়ে হিংসা করে। কারণ উন্নয়নের সব সূচকে পাকিস্তান আমাদের দেশ থেকে অনেক পিছিয়ে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, এলজিইডি ও ডিপিএইচইর প্রধান প্রকৌশলী, এনআইএলজির মহাপরিচালক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধিরা।


আরও খবর



আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড বাংলাদেশের

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিদ্যুৎ উৎপাদনের আবারও রেকর্ড ছাড়ালো বাংলাদেশ। দেশের ইতিহাসে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।

বলা হয়, রাত ৯টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়ছে। এ সময় ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছিল। তার আগের দিন রাতে পিক আওয়ারে রেকর্ড ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছিল।

বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনসক্ষমতা প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট। উৎপাদন করা হচ্ছে ১৩ হাজার থেকে সাড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত। চাহিদা আছে সাড়ে ১৩ হাজার থেকে ১৭ হাজার মেগাওয়াট।


আরও খবর



টিপু-প্রীতি হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে মামলাটির বিচার অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালত এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণ পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রফিক উদ্দীন (বাচ্চু) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ২৫ এপ্রিল মামলায় দায়ে অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এরপর আদালত ২৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন কথিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর, প্রধান সমন্বয়কারী সুমন সিকদার মুসা, শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ, শামীম হোসাইন, তৌফিক হাসান ওরফে বিডি বাবু, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুর রহমান ওরফে ঘাতক সোহেল, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, মাহবুবুর রহমান টিটু, নাসির উদ্দিন মানিক, মশিউর রহমান ইকরাম, ইয়াসির আরাফাত সৈকত, আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ ইমাম খান, সেকান্দার শিকদার আকাশ, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম মাতবর, আবু সালেহ শিকদার, কিলার নাসির, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ মারুফ খান, ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতু, ইমরান হোসেন জিতু, রাকিবুর রহমান রাকিব, মোরশেদুল আলম পলাশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুর, রিফাত হোসেন, সোহেল রানা, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, সামসুল হায়দার উচ্ছল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল।

২০২৩ সালের ৫ জুন ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।

২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শোরুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতিও নিহত হন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না।

এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।


আরও খবর



চরম উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ’র রকেট হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ওপর শিগগিরই সরাসরি ইরানের হামলার শঙ্কার মধ্যে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর ইসরায়েলে দখলদারদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আর্টিলারি অবস্থানে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট হামলা চালিয়েছে তারা।

এক্সে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লেবানন সীমান্তের কাছে গ্যালিলি প্যানহ্যান্ডেলের শহরগুলোর আকাশে অসংখ্য রকেট ও ড্রোন। এর আগেই সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছোড়া গুলিতে সেসব রকেট ও ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ৪০টির মতো রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। বাকিগুলো খোলা জায়গায় ও লেবানন সীমান্তেই পড়েছিল।

আইডিএফ আরও বলেছে, ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী উত্তর ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ দ্বারা উৎক্ষেপিত দুটি বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এদিকে নিউইয়র্ক পোস্টের খবর, বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের উত্তর অথবা দক্ষিণে হামলা করতে পারে ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি শুক্রবার বলেন, কোন আকারে, কোন মাত্রায় এবং কোন সুযোগ নিয়ে হামলা হতে পারে, তা আমি বলতে পারছি না। তবে ইরানের হামলার হুমকি কার্যকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন খুব, খুব নিবিড়ভাবে বিষয়টি দেখছে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, হামলায় রাইসি প্রশাসন ১০০টি ড্রোন এ কয়েকডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। তা ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে বলেও জানান মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে শেষ মুহূর্তে ইরান হামলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে বলেও ধারণা তাদের।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে বিমান হামলা চালায়। এতে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হন। এরপর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে তেহরান।


আরও খবর



আবারও বাড়ছে স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আবারও বাড়তে যাচ্ছে সোনার দাম। এতে করে বিশ্ববাজারে সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের বাজারেও এই ধাতুটি সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। জানা গেছে, শনিবার (৬ এপ্রিল) সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে। দাম যা-ই বাড়ানো হোক ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়বে সোনা।

এর আগে গত বছরে স্বর্ণ বিশ্লেষকরা ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন, চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যাবে। তাদের সেই পূর্বাভাস সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

বাজুসের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের বাজারে সর্বশেষ সোনার দাম নির্ধারণ করার পর বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ২০০ ডলার বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে সোনার দাম না বাড়িয়ে আর বিকল্প কোনো পথ নেই। আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় বুলিয়ান মার্কেটের তথ্য পর্যালোচনা করে নতুন করে সোনার দাম বাড়ানো হবে। এ লক্ষ্যে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি আজ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে।

বাজুসের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এমনিতে সোনার দাম অনেক বেশি। যে কারণে ঈদের আগেও এই ব্যবসায় মন্দা দেখা যাচ্ছে। মানুষ সোনার অলঙ্কার খুব একটা কিনছে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে। যে কারণে বিক্রি না থাকলেও বাধ্য হয়েই ঈদের আগে সোনার দাম আরও বাড়ানো হচ্ছে।

এর আগে দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ। যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুসের নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা গুনতে হচ্ছে।

দেশের বাজারে সর্বশেষ যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। এখন সেই দাম বেড়ে ২ হাজার ৩২৯ ডলার হয়ে গেছে। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ করার চেয়ে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্সের দাম ১৭৪ ডলার বেড়ে গেছে।

এর মধ্যে গত এক সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৯৭ দশমিক ১৪ ডলার বা ৩ দশমিক ৫২ ডলার। এ দামের মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবারই বেড়েছে ৪০ দশমিক শূন্য ৯ ডলার বা ১ দশমিক ৭৫ ডলার। এতে সপ্তাহ শেষে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩২৯ দশমিক ৫২ ডলার। সোনার এতো দাম আগে কখনো দেখেনি বিশ্ববাসী।

এ বিষয়ে বাজুসের এক সদস্য বলেন, বর্তমানে দেশের বাজারে সোনা রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত দাম হওয়ার কারণে মানুষ এখন সোনার অলঙ্কার খুব একটা কিনছে না। ফলে ঈদকেন্দ্রীক জুয়েলারি ব্যবসায় মন্দা চলছে। বিক্রি না থাকলেও এখন দেশের বাজারে সোনার দাম না বাড়ানোর আর কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববাজারে যে হারে দাম বেড়েছে তাতে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়াতে হবেই।

তিনি বলেন, ঈদকেন্দ্রীক বিক্রি ভালো না হওয়ায় প্রাথমিকভাবে আমরা চেয়েছিলাম ঈদের আগে সোনার দাম আর না বাড়ানোর। যে কারণে দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্ববাজারে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও দেশের বাজারে দাম বাড়ানো হয়নি। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে ঈদের আগেই দাম বাড়াতে হচ্ছে। কারণ দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণের পর এরইমধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ২০০ ডলার বেড়ে গেছে। এখন দেশের বাজারে দাম না বাড়ালে সোনা পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজই বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং সোনার নতুন দাম নির্ধারণের লক্ষ্যে বৈঠকে বসবে। তারা আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার বিষয়টি পর্যালোচনার পাশাপাশি স্থানীয় মার্কেটের তথ্যও পর্যালোচনা করবে। সার্বিক তথ্য পর্যালোচনা করে বৈঠকের মাধ্যমে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, বিশ্ববাজারে যে হারে সোনার দাম বেড়েছে তাতে দেশের বাজারে নতুন করে দাম বাড়াতেই হবে। সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করতে আমরা আজ বৈঠক করবো। বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নতুন করে দাম কত বাড়বে।


আরও খবর



বুয়েট শিক্ষার্থী রাব্বীকে সিট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলে সিট ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ইমতিয়াজের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জরুল হক।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ এ রিট দায়ের করেছেন।বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেনের হলের সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর