আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করবেন কীভাবে?

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

আজ পালিত হতে যাচ্ছে এই বছরের কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। ঘরে ঘরে কৃষ্ণের বাল্য রূপ গোপালের পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। দেখে নিন এই পুজোর বিধি।

চন্দ্রমা ধরে হিন্দু শাস্ত্রে যে ক্যালেন্ডার হয় তাতে অষ্টমী তিথিতে জন্মছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ৷ হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য দেখা যায়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি প্রতি বছর ইংরাজি ক্যালেন্ডারে অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনও এক সময়ে পরে। এই বছর জন্মাষ্টমীর পুজো হবে ৬ এবং ৭ সেপ্টেম্বর৷

কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী বাংলার হিন্দুসমাজের আচরণীয় ব্রতগুলির অন্তর্গত একটি ব্রত। হিন্দু প্রধানত বৈষ্ণব মতাবলম্বীরা জাগতিক মঙ্গলকামনায় এবং অশুভ-অকল্যাণ দূর করতে এই ব্রত পালন করে থাকেন। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষে অষ্টমী তিথিতেই শ্রীকৃষ্ণের পুজো করা হয়ে থাকে।


আসুন সবাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই শুভ জন্মতিথি অর্থাৎ জন্মাষ্টমীর ব্রত পালন করি। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করবেন।

১। জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ঘুমনোর আগে অবশ্যই ভাল করে মুখ ধুয়ে ঘুমতে হবে।

২। জন্মাষ্টমীর দিন সকাল থেকে মধ্য রাত্রি পর্যন্ত উপবাস এবং জাগরণ। উপবাস থেকে হরিনাম জপ, কৃষ্ণ লীলা শ্রবণ, ভগবানকে দর্শন, ভক্ত সঙ্গে হরিনাম কীর্তন, অভিষেক দর্শন করতে হবে এবং ভগবানকে অভিষেক করে একাদশীর দিনের মতো অনুকল্প প্রসাদ সেবন করতে হবে।

৩। তবে যাঁদের উপবাস পালনে সমস্যা, অসুস্থ, তাঁরা অবশ্যই দুপুর ১২ টার পরে, কৃষ্ণের কাছে ক্ষমা চেয়ে, একটু দুধ, বা ফল খেতে পারবেন। তবে এই ব্রতে একাদশীর মতোই অন্ন-সহ পঞ্চ রবি শস্য খাবার বিধান নেই।

৪। জন্মাষ্টমীর পরের দিন সকালে স্নান করা শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পারণ মন্ত্র পাঠ করে শ্রীকৃষ্ণের প্রসাদ দিয়ে পারণ করবেন।

আসুন পারণ মন্ত্র জেনে নেওয়া যাক:

পারণ আরম্ভের মন্ত্র: "সর্বায় সর্বেশ্বরায় সর্বপতয়ে সর্বসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।"

পারণান্তে মন্ত্র: "ভূতায় ভূতেশ্বরায় ভূতপতয়ে ভূতসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।"

এ ভাবে জন্মাষ্টমীর ব্রত পালন করতে হয়।

শাস্ত্রে আছে, কেউ যদি এক বার শ্রীকৃষ্ণের এই জন্মাষ্টমী উপবাস পালন করেন, তা হলে তাঁকে আর এই জড় জগতে জন্ম, মৃত্যু, ব্যাধি, কষ্ট ভোগ করতে হয় না ও পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে হয় না।


আরও খবর
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ রাতে

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে আজ রাতে। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ফল প্রকাশের কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা পর্যন্ত এ ধাপে আবেদন করার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, আজ রাতে একই সঙ্গে প্রথম ধাপে নির্বাচিতদের মধ্যে মাইগ্রেশনের আবেদন করা শিক্ষার্থীরা কে, কোন কলেজ পেলেন, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

ফল প্রকাশের পর রোববার সকাল ৮টা থেকে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতরা প্রাথমিক নিশ্চায়নের সুযোগ পাবেন। এ নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া চলবে ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত।

নিশ্চায়নের জন্য এ সময়ের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৩৩৫ টাকা জমা দিতে হবে। তবে মাইগ্রেশনপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না।

এদিকে, দ্বিতীয় ধাপে কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা তৃতীয় ধাপে আবেদনের সুযোগ পাবেন। আগামী ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে।

ভর্তি শুরু হবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর, যা চলবে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এ বছর বিভিন্ন কলেজের একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এবার ভর্তির সর্বোচ্চ ফি ৮ হাজার ৫০০ টাকা। ভর্তি শেষে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে ৮ অক্টোবর।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে এবার মোট আসন ২৬ লাখ চার হাজার ৮৫৬টি। প্রথম ধাপে ১২ লাখ ৬১ হাজার ৭৯৭ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে নিশ্চায়ন করেছেন ১০ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৭ জন। অর্থাৎ প্রথম ধাপে কলেজ পেয়েও নিশ্চয়ন করেননি ২ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে পছন্দক্রম জটিলতায় আবেদন করেও প্রথম ধাপে নির্বাচিত হননি এসএসসি উত্তীর্ণ ৪৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে সাড়ে ৮ হাজারের বেশি জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীও রয়েছেন।


আরও খবর



ড. ইউনূসের পক্ষে খোলাচিঠি: রাবি প্রগতিশীল শিক্ষকদের উদ্বেগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বনেতাদের খোলা চিঠি দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।

গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে শ্রম আদালতে চলমান মামলা স্থগিত করার জন্য একটি খোলা চিঠি দেন বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, কয়েকজন নোবেল বিজয়ী এবং সুশীল সমাজের সদস্যরা। এই চিঠির বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বনেতাদের খোলা চিঠি বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ বলে মনে করে। রাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করার জন্য এ ধরনের চেষ্টাকে আমরা গভীর ষড়যন্ত্রের বহির্দেশীয় অংশ বলে মনে করি।

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বৈদেশীয় অযাচিত, বেআইনি, অসাংবিধানিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এ সময় দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট সব দেশের অভ্যন্তরীণ ও আইনানুগ বিষয়ে এ ধরনের অযাচিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।


আরও খবর



মোবাইলে কত রিচার্জ করলেন জানাতে হবে এনবিআরকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী মোবাইল রিচার্জ ও ইন্টারনেটের খরচ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জানাতে হবে। এ জন্য বছরজুড়ে মোবাইল রিচার্জ বাবদ যে টাকা খরচ হয়, তা লিখে রাখতে হবে।

যাদের বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকার বেশি আয় এবং ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ তাদেরই কেবল সম্পদের বিবরণীসহ জীবনযাত্রার হিসাবনিকাশ জমার সাথে মোবাইল ও ইন্টানেট বাবদ খরচের তথ্য দিতে হবে।

নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, রিটার্ন জমার সময় আইটি ১১গ (২০২৩) ফরমে খরচের বিবরণী দাখিলের সময় এসব তথ্য দিতে হবে। নতুন বিধিমালার আইটি-১০ বিবি ধারা মোতাবেক এ বিবরণী দিতে হবে।

পুরাতন আয়কর আইনে বাড়ির ল্যান্ড ফোনের খরচ উল্লেখ ছিল। বছর শেষে ফোনের মোট বিল আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হোত। নতুন আইনে বাড়ির ল্যান্ড ফোনের পাশাপাশি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের খরচ যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রতিবার যে মোবাইল ও ইন্টারনেট বাবদ খরচ হবে, তা লিখে রাখতে হবে এবং বছর শেষে আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বিলের তথ্যও দিতে হবে আয়কর রিটার্নে।

নতুন ব্যবস্থার ফলে আয়কর রিটার্নে নতুন করে ভীতি বাড়লো বলে মনে করেন আয়কর আইনজীবী মাহমুদ হোসেন খান। তিনি বলেন, নতুন আয়কর আইন সহজ করতে গিয়ে আরও জটিল করা হয়েছে। একজন আয়কর দাতা এখন আরও বেশি ভয় পাবেন। আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় রাজস্ব অফিসগুলোকে আয়কর দাতাকে এক ধরনের ফাঁদে ফেলার সুযোগ হলো। পকেট থেকে টাকা খসাতে হবে। একজন করদাতার পক্ষে সারা বছরের মোবাইল ফোনে কত টাকা রিচার্জ করেন, তার হিসাব রাখা কঠিন। সাধারণত একসঙ্গে বেশি অর্থ রিচার্জ করেন না মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা। নতুন আইন অনুযায়ী আয় রিটার্ন জমা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে; বলেন এই আয়কর আইনজীবী।

নতুন আইন অনুযায়ী, জীবনযাত্রার বিবরণীতে ৯ ধরনের তথ্য দিতে হবে। এগুলো হলোব্যক্তিগত ও পরিবারের ভরণপোষণ খরচ, আবাসনসংক্রান্ত খরচ, গাড়ির ব্যয়, পরিষেবা খরচ, শিক্ষা ব্যয়, নিজ খরচে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ ও অবকাশসংক্রান্ত তথ্য, উৎসবের খরচ, সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য উৎসে করের হিসাব, প্রাতিষ্ঠানিক ও অন্যান্য উৎস থেকে নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধের তথ্য। আগে ১১ ধরনের তথ্য দিতে হতো।


আরও খবর



কৃষি মার্কেটের আগুন নিয়ে যা বলল ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের আগুনের সূত্রপাত একটি মুদি দোকান থেকে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তারা আরও জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ হলেও মার্কেটটিতে কোনো অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল না। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রেস ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য জানায়।

ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিস জানায়, মার্কেটে লাগা আগুন নাশকতা নাকি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস এন্ড মেইনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। এখানে পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না। ঘটনাস্থলে উৎসুক মানুষের ভিড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। এই মার্কেটের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা নিয়ে আগে থেকেই আলোচনা ছিল। বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো নিয়ে কথা উঠে। সেসব মার্কেটে বিভিন্ন সময় অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা করতে বলা হয়। তবে তা আমলে নেননি ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে এই কৃষি মার্কেটও একটি।

ফায়ার কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, এই কৃষি মার্কেটে কোনো সেফটি প্ল্যান ছিল না। তাদের বার বার নোটিস দেওয়া হয়েছে। বিভিন্নভাবে গণসংযোগ করা হয়েছে। সচেতনতার প্রোগ্রাম যেভাবে আমরা করেছি সেভাবে তারা সাড়া দেন নাই। এই মার্কেটটা কিছুটা বঙ্গবাজার টাইপের। এর ভিতরে এবং বাইরে ছোট ছোট যতোগুলো রাস্তা ছিল- পুরোটাই বিভিন্ন মালামালে দিয়ে গাদাগাদি করে বন্ধ করা ছিল। পুরো মার্কেট টাইট ফ্লবসিবল গেট দিয়ে আটকানো ছিল।

তিনি আরও বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ৯ মিনিটের মাথায় আমরা চলে আসি। রাত ৩টা ৫২ থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি। সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৭টি ইউনিটে ১৫০ জন ফায়ার ফাইটার কাজ করেছে। আমাদের সঙ্গে বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব, সেনা ও নৌবাহিনী সহযোগিতা করেছে।

ঘটনাস্থলে আসার পর ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, এখানকার নাইট গার্ডরা বাহিরে ছিলেন। প্রথমে তাদেরকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। ফলে ফায়ার ফাইটারদের ভিতরে প্রবেশ করতে বেগ পেতে হয়েছে। তালা ও গেট ভেঙে আমাদেরকে ভেতরে ঢুকতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মার্কেটের বাইরেও রাস্তাগুলো বিভিন্নভাবে দখল করা ছিল। দোকানের সামনে ছোটখাটো দোকান আমাদের একটা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলোর জন্য আমাদেরকে বেগ পোহাতে হয়। আমরা আশার পর আগুনের মাত্রা অনেক বেশি দেখেছি। একটা পর্যায়ে মার্কেটের প্রায় চার ভাগের তিনভাগ সম্পূর্ণ আগুন ধরে যায়। আমরা চেষ্টা করেছি আগুনটা যেন না ছড়ায়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি সপ্তাহে গণসংযোগ করি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মার্কেটের প্রতিনিধিদেরকে ডেকে আমরা অনেকবার আলোচনা করেছি, ওয়ার্কশপ করেছি। মার্কেটের যারা মালিকপক্ষ তাদেরকে ডেকে আমরা বুঝিয়েছি।

আগুন নেভাতে গিয়ে পানির সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মার্কেটে প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ইকুইপমেন্টই ছিল না। আমাদের সবথেকে বেশি বেগ পোহাতে হয়েছে পানির সংকট নিয়ে। ঘটনাস্থলে পানির সোর্স তেমন ছিল না। এখানে বিভিন্ন ভবনে পানির সোর্স রয়েছে কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। খুব দ্রুত আমাদের পানি শেষ হয়ে যায়। অন্যান্য বাহিনীর সহায়তায় আমরা কার্যক্রম চালাই।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগা নিয়ে তিনি আরও বলেন, আগুন নেভানোর আরেকটি বড় বাধা ছিল মানুষের ভিড়। মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের পুলিশ, বিজিবি হিমশিম খেয়েছে। এই ভিড়ের কারণে আমাদের এত সময় লেগেছে। যদিও মানুষ চেষ্টা করতে চায় আমাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য কিন্তু আদৌ এটা আমাদের অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আগুনের সূত্রপাত তদন্ত করব। তবে যতটুকু বুঝেছি মার্কেটে মুদির দোকানের যেই অংশটি ছিল ওই অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যারা ছিল তাদের দুই একজন কিছুটা আহত হয়েছেন। এর বাইরে কোন বড় ধরনের হতাহতের তথ্য নেই।

সকালে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাশিদ বিন খালেদ বলেন, রাত ৩টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান তারা। খবর পেয়ে ১২টি ইউনিট আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করে। আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকলে পরে আরও পাঁচটি ইউনিট যোগ দেয়।

১৭টি ইউনিটের সাড়ে ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা দিতে সেনাবাহিনী ছাড়াও পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব সদস্যরা যোগ দেয়। আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর
তিন দিনের ছুটিতে ঢাকার রাস্তা ফাঁকা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বেনাপোলে ৩ কেজি সোনার বারসহ ৩ পাচারকারী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বেনাপোল প্রতিনিধি:

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর সীমান্ত থেকে দুই কেজি ৯শ ৪০ গ্রাম ৪টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ সময় একটি এলিয়ন প্রাইভেটকারসহ তিনজন পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা।

আটকরা হলো- ঝিনাইদহ জেলার কালীগন্জ থানার পিরোজপুর গ্রামের মহিউদ্দীনের ছেলে সাইদুর রহমান মাজেদ (৩৩), যশোর সদরের বাগডাংগা গ্রামের নাসির আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৬) ও যশোরের শার্শা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রেজাউল চৌধুরীর ছেলে মাসুদ চৌধুরী বাবু (৩১)।

বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে দৌলতপুর সীমান্তের বারোপোতা বাজার এলাকা থেকে সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান পিএসসি।

এই বিজিবি কর্মকর্তা আরো জানান, সোনা পাচারের গোপন সংবাদে দৌলতপুর সীমান্তের বারোপোতা বাজার বটতলা এলাকায় বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল অবস্থান নেয়। এ সময় একটি এলিয়ন প্রাইভেটকারে থাকা সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের শরীর তল্লাশি করে বড় বড় চারটি সোনারবার পাওয়া যায়। যার ওজন দুই কেজি ৯শ ৪০ গ্রাম এবং বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

এ নিয়ে গত এক বছরে একশ বার কেজি সোনা আটক আটক করেছে ২১ বিজিবি। যার সিজার মূল্য প্রায় একশ ১ কোটি টাকা।

এ ব্যাপারে আটক তিনজন পাচারকারীর নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দিয়ে সোনার চালানটি যশোরের ট্রেজারি শাখায় জমা করা হবে বলে জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩