আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

জন্মনিয়ন্ত্রক পিল স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়: গবেষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জানা গেছে, হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলগুলো স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বহন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাকে কিছুটা বাড়িয়ে দেয়, তবে সামগ্রিক ঝুঁকি কম থাকে বলে উল্লেখ করেছেন তারা।

প্লোস মেডিসিনবিষয়ক জার্নালে প্রকাশিত এ সমীক্ষায় উঠে এসেছে, প্রোজেস্টিন-হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণের ফলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি ২০-৩০ শতাংশ বেড়েছে। যে পদ্ধতিতে সন্তান প্রসব করানো হোক না কেন। 

গবেষকরা আরও পেয়েছেন, ১৫ বছরের কাছাকাছি বয়সিদের ক্ষেত্রে প্রতি এক লাখ পিল ব্যবহারকারীর মধ্যে ঝুঁকির অন্তর্ভুক্ত হন ২৬৫ জন।

গবেষকরা বলছেন, ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টোজেন হরমোন সমন্বিত গর্ভনিরোধকগুলোর ব্যবহার আগে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কম ছিল। তবে প্রোজেস্টোজেন গর্ভনিরোধকগুলোর প্রভাব সম্পর্কে সীমিত তথ্য পাওয়া গেছে।

যাইহোক, সম্প্রতি কয়েক বছরে ইংল্যান্ডের প্রেসক্রিপশন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রোজেস্টোজেন-গর্ভনিরোধকগুলোর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

গবেষকরা যুক্তরাজ্যের সিপিআরডি থেকে ১৯৯৬-২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখেছেন, ৫০ বছরের কম বয়সি নারী ৯ হাজার ৪৯৮ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে। ১৮ হাজার ১৭১ জন নারী স্তন ক্যানসারবিহীন কিন্তু নিয়ন্ত্রণ পিলের কারণে আক্রান্ত হয়েছে।

গবেষকরা দেখেছেন, যে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত ৪৪ শতাংশ নারীর মধ্যে ৩৯ শতাংশই আক্রান্ত হওয়ার তিন বছর আগে হরমোনাল গর্ভনিরোধক নির্ধারণ করেছিলেন। প্রোজেস্টেজেন-শুধু জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির জন্য এ আক্রান্ত হয় এটি অর্ধেক প্রেসক্রিপশন বলছে। 

গবেষণায় আরও বলা হয়, জন্মনিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পদ্ধতি পিল বা ইনজেকশন যে কোনোটাই নেওয়া হোক না কেন, সবই একই পরিমাণ ঝুঁকি বহন করে। 


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




সিঙ্গাপুরের পথে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিমিত্তে সিঙ্গাপুরে গেলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রবিবার (০৩ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৪ ফ্লাইট যোগে আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ওবায়দুল কাদেরের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শিগগিরই তিনি ঢাকায় ফিরবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান : শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

স্বাধীনতার এতদিনেও দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সে পথেই বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু নিরলস চেষ্টা করতে থাকেন। কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে ছোট-বড় রাজনীতিবিদ যেই হোক না কেন দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশ দীর্ঘদিন পেছনের দিকে হাঁটতে থাকে। সব ধরনের উন্নয়ন থমকে যায়। সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণা করার পরিবর্তে পশ্চাৎপদ হতে থাকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন হওয়ার পর ফের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ফিরে এসেছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে লাল-সবুজ পতাকার যে অভিষ্ট লক্ষ্য, তা পূরণ হওয়ার পথে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি পরপর ক্ষমতায় থাকার কারণে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমিয়ে বড় ধরনের সফলতা এসেছে। এই সফলতা পূর্ণাঙ্গতা পাবে যদি আমরা সুশাসন দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তি দমন করে আরও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারি। তবেই আমরা স্বাধীনতার পরিপূর্ণ সাফল্য পাবো।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারাই স্বাধীনতার ঘাটতি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের অর্জন আকাশসম। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে যেতে পারছি। কিন্তু দুর্নীতি, অনিয়ম স্বমূলে উৎপাটন করতে পারিনি। স্বাধীনতার এত বছরেও রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি রয়েছে। দুর্নীতি স্বমূলে উৎপাটন করতে না পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে আমি মনে করি, কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে ছোট-বড় রাজনীতিবিদ যেই হোক না কেন দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া।

সুশাসনের স্বার্থেই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। জনগণ যেন তার সব স্তরের প্রতিনিধি বেছে নিতে পারে। এটিকে নিশ্চিত করা দরকার। কারণ মুক্তিযুদ্ধের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল জনগণ তার পছন্দের ব্যক্তিকে প্রতিনিধি হিসেবে বাছাই করতে পারবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক দুর্নীতিবাজের সাজা হচ্ছে। কিন্তু সুকৌশলে দুর্নীতির ফের বিস্তার ঘটছে। দুর্নীতি কমছে না এটিই আমাদের জাতি হিসেবে লজ্জার।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নিকারাগুয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েন্ডি ক্যারোলাইনা মোরালেস আরবিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডানিয়েল ওর্তেগা, তার স্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নিষ্ঠুর নিষ্পেষণে সমর্থন দেয়ায় তার ভূমিকার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মোরালেস আরবিনা বিরোধী কণ্ঠকে নীরব করে দিয়েছেন এবং কমপক্ষে ৩০০ নাগরিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন। নির্বাসনে থাকা জেলপ্রাপ্ত রাজনৈতিক বন্দিদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ায়ও সমর্থন দিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কমপক্ষে আড়াইশ গ্রুপসহ কমপক্ষে ৩৫০০ নাগরিক সমাজের সংগঠনকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য দায়ী আরবিনা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ওর্তেগা-মুরিলো শাসকগোষ্ঠীর ভিত্তিহীন অভিযোগে আক্রমণের অংশ মোরালেস আরবিনা। এসব সংগঠনের বিরুদ্ধেও মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ধর্মীয় নেতাদের অন্যায়ভাবে বন্দি করা হয়েছে। নিকারাগুয়ান সরকার এবং তার সহযোগীদের জঘন্য আচরণের জন্য জবাবদিহিতা উন্নীত করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।


আরও খবর



চার দিনের ডিসি সম্মেলন শুরু আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ। এবারের ডিসি সম্মেলনে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে আসা ৩৫৬টি উন্নয়ন ও সংস্কার প্রস্তাব উঠছে। শনিবার সচিবালয়ে ডিসি সম্মেলন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

সচিব জানান, এবারের সম্মেলনের বিশেষত্ব হলো নতুন সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নে ডিসিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেবেন।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের মতো এবারও জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতিবছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবার সম্মেলনে ৩০টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন ২৫টি। এছাড়া একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে দুটি অধিবেশন হবে। কার্য-অধিবেশনগুলোয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের মন্ত্রী/উপদেষ্টা/প্রতিমন্ত্রী/সিনিয়র সচিব/সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।

এবার সম্মেলনে ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অংশ নেবে। অন্য বছর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একটি সেশন থাকলেও এবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিদেশে থাকায় সেটি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এছাড়া সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে সেনাবাহিনীর অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্যে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় হবে।

এবার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৬টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোয় জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইনকানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবারের ডিসি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবরা বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। এজন্য আজ (রোববার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উন্নয়নে মাঠ প্রশাসন শীর্ষক এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

এবারের সম্মেলনে বেশি সংখ্যক প্রস্তাব সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ সংক্রান্ত। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ২২টি। এছাড়া ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন, তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসরণ, স্বাস্থ্যসেবা পরিবারকল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ এবং উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় করা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গত বছর অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনে উত্থাপিত ২১২টি প্রস্তাবের ১৩০টি বাস্তবায়ন হয়েছে এবং ৮২টি বাস্তবায়নাধীন। বাস্তবায়নের হার ৬২ শতাংশ। বাস্তবায়ন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সন্তুষ্ট। বাস্তবতা এবং বাস্তবায়নের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে সাংবাদিকদের করা এমন সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ডিসির অধীনে এমন কাজ হতেই পারে না। তবে প্রকল্পের বিষয় হলে তা খতিয়ে দেখা হবে। এসি ল্যান্ড থেকে ভূমি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সর্বস্তরে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা, তারপরও ভূমি নিয়ে এত সমস্যা কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে এড়িয়ে যান সচিব।

ডিসির বাংলা অর্থ জেলা প্রশাসক কেন-এমন প্রশ্নের জবাবও তার জানা নেই বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এছাড়া ডিসি সম্মেলনে কত টাকা ব্যয় হচ্ছে, তাও সচিবের এ মুহূর্তে জানা নেই বলে জানান তিনি।

এবারের সম্মেলনে সর্বাধিক প্রস্তাব এসেছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে, তাহলে দেশে সড়ক ব্যবস্থাপনার বেহাল কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, তা এখন বলা যাবে না। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সিনিয়র সচিব, সচিবরা আলোচনা করে কর্ম-অধিবেশন শেষে গণমাধ্যমকে অবহিত করবেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসনের অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ডিসি সম্মেলন

আরও খবর



উপজেলা ভোটের প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ)। আগামী মে মাসে চার ধাপে এ নির্বাচন হবে বলে আগেই তারিখ ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। এবার পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর আগে জামানতের অংক বাড়ানোসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংশোধনী এনে উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০২৪ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ১ লাখ টাকা জামানত দিতে হবে, আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত দিতে হবে ৭৫ হাজার টাকা। আগে উভয় পদে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা করে।

এদিকে নতুন বিধিমালায় নির্বাচনী সময়-এর সংজ্ঞাও সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত নির্বাচনী সময় বলতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলের গেজেট প্রকাশের পর ১৫ দিন পর্যন্ত সময়কে বোঝানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিধিমালায় অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

সংশোধিত বিধিমালায় নির্বাচনী ব্যয়ে পরিবর্তন এসেছে। আগের আইনে ১ লাখ ভোটারের জন্য প্রার্থী ব্যক্তিগত ও নির্বাচনী ব্যয় করতে পারেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ১ লাখ থেকে ২ লাখ ভোটারের জন্য ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ২ লাখের বেশি ভোটারসংবলিত উপজেলার জন্য ১১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন।

নতুন উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয় বাবদ অনধিক ২৫ লাখ টাকা এবং মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয় বাবদ অনধিক ১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

নতুন নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক জমা দিতে হবে এবং উল্লেখ করতে হবে টিআইএন নম্বর। আগের বিধিমালায় নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। সংশোধিত বিধিমালায় এটি সংশোধন করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

আগে ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহ আগে থেকে প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারতেন। এবার তা সংশোধন করে প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে প্রচার শুরুর কথা বলা হয়েছে। প্রচারের আওতায় এবার ডিজিটাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও সন্নিবেশ করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধানও শিথিল করেছে ইসি। এতদিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক সই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হতো। এটি এখন একেবারেই তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভোটারদের সমর্থনসূচক সই লাগবে না।

নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া নির্বাচনের ফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পষ্ট করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী মে মাসে চার ধাপে ৪৮১ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।

তফসিল আজ: উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় এই পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এর তফসিল ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (আজ) কমিশনসভা রয়েছে। ভোটের তারিখ তো আগেই জানানো হয়েছে। প্রথম ধাপের পূর্ণাঙ্গ তফসিল কাল হতে পারে।

অশোক কুমার সংশোধিত নির্বাচন বিধি ও আচরণবিধির বিষয়ে জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য ভোটারের স্বাক্ষর অনেক সময় দিতে চায় না। তাই অনেকে জাল স্বাক্ষর নেয়। এ কারণে কমিশন এটি তুলে দিতে চেয়েছে। আগের মতো দলীয় প্রার্থী দিতে পারবে, নাও দিতে পারবে। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন লাগে। এটা পরিবর্তন করতে হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য তো সময় দরকার। আর এটা ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে করতে হবে। এটার জন্য সময় আছে।


আরও খবর