আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

জনসচেতনতা বাড়িয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে চান চসিক মেয়র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

মৌসুমের আগে ভাগেই চট্টগ্রামে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ছাড়িয়েছে আড়াইশোরও বেশি। এরপরও এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিধনে কোন উদ্যোগ নেয়নি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। জনসচেতনাকে মোক্ষম অস্ত্র বলে মনে করছেন চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। করোনার মতো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলেও মত দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে চসিকের উদ্যোগে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেয়র বলেন, নগরের প্রত্যেক সংস্থা, সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, মসজিদে জুমার নামাজে মাধ্যমে নাগরিকদের সচেতন করতে পারলে করোনার মতো ডেঙ্গুও প্রতিরোধ সম্ভব।

তিনি বলেন, আমাদের চারপাশে যে সমস্ত জায়গায় এডিস মশা জন্মায় সেই সমস্ত জায়গায় যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে সেই ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে হবে। নালা-নর্দমায় এডিস মশা জন্মায় না। পরিস্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বসা-বাড়ির আশে-পাশে ডাব ও নারকেলের খোসা, প্লাস্টিকের বোতল, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ছাদ বাগান ও ফ্রিজে জমানো পানি তিন দিনের বেশি যাতে জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাসা বাড়ি, ছাদ-আঙ্গিনা নিজ নিজ উদ্যোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটি আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব।

তিনি চট্টগ্রাম নগরকে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নগর গড়ারও আহ্বান জানান। সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ ডেঙ্গু প্রতিরোধে তাদের মতামত প্রদান করেন।

চসিকের কনফারেন্স রুমে প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল তসলিম, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি পরিচালক ডা. মো. সাখওয়াত উল্লাহ্, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েল ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার ডা. হোসাইন সরোয়ার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রক) ডা. মো. নরুল হায়দার, ভারপ্রাপ্ত জেলা কীটতত্ববিদ সৈয়দ মো. মঈন উদ্দীন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি।


আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




৬ মাস করে সাজা স্থগিত করা সরকারের আরেক খেলা : ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাস করে স্থগিত করা সরকারের আরেক খেলা বলে দাবি করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দাবি করেন, সরকারের চালাকি ছয় মাস করে সাজা স্থগিত করা। তার মানে সাজা কমছে না। ভবিষ্যতে যখন তাদের প্রয়োজন হবে সাজা আবার যুক্ত হবে। এটা আরেকটা খেলা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

দুদকের মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, পুরো সাজানো একটা মামলা ছিল। মূল লক্ষ্য ছিল তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া।

আইনকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে তাকে লড়তে হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপির এজিএমে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আদালতের রায়ের পরে কোথায় থাকব জানি না। আপনারা গণতন্ত্রের আন্দোলনে কখনো পিছপা হবেন না।

সরকার দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। প্রতিটা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে এরা (সরকার)। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ভুলণ্ঠিত, সংবাদ মাধ্যমকে গলা টিপে ধরা হয়েছে। বেআইনিভাবে দখল করা ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করাই লক্ষ্য।

খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র সমার্থক ও এক মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারলে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা হবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে পারলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।

ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করা হচ্ছে, তার কোনোটাই বাংলাদেশের পক্ষে নয় দাবি করে তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের সবক দেন, চুক্তি ও সমঝোতার পার্থক্য নাকি বুঝি না। শুধু একটা কথা বলব, দেশের সঙ্গে বেঈমানি করবেন না। এমন চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর করবেন না, যেটা জনগণের স্বার্থবিরোধী।

ভারত সফর থেকে এবার কী এনেছেন প্রশ্ন রেখে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ সরকারের সীমান্ত হত্যা নিয়ে কোনো কথা নেই। ভারত নাকি আমাদের কাছের বন্ধু। এত কাছের বন্ধু কিন্তু সীমান্তে গুলি করে নাগরিক হত্যা করে। এমন নজির বিশ্বে কোথাও নেই। সরকার আত্মরক্ষার্থে যেসব কথা বলছে তাতে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যারা আসবে তাদের বরণ করে নেব। কিন্তু নিজেরা ক্ষমতায় থাকতে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকে দখল করে নেবেন, সেটা হতে দেব না। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন সামগ্রিক আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে আলাদা করা যাবে না। দেশ বিপদে পড়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজিজ-বেনজীর-মতিউর সব শেখ হাসিনার প্রোডাক্ট। ভারতের সঙ্গে যত চুক্তি সব দেশের স্বার্থবিরোধী। জেল ও মৃত্যু অবধারিত, এগুলোকে ভয় পেয়ে কাউকে ছাড় দেব না। ঘরে বসে থেকে মার খেতে আর রাজি না।

আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, সরকার তাদের ময়ূর সিংহাসন বজায় রাখতে সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে তাদের সিংহাসন থাকবে না। সরকার বাংলাদেশকে অন্য দেশের দাসে পরিণত করেছে। শুধু স্লোগানে আটকে না থেকে, রাজপথে নামতে হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।


আরও খবর



জয়পুরহাটে শিক্ষক হত্যায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় আলী হাসান বাবু নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ১১ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে তাদের আরও দুই বছর কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রূপসীপাড়ার নজিবর রহমানের ছেলে আসাদুল, পাঁচবিবি উপজেলার রহমতপুর গ্রামের হাসানের ছেলে মজিবর রহমান, পাইকদরিয়া গ্রামের ছলিমুদ্দিনের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন, গোবিন্দপুর গ্রামের ফুলমিয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান, একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মো. আনিছুর, একই উপজেলার জোড়া তেলখোর খাসপাড়ার মৃত হেমায়েত ফকিরের ছেলে মো. কালাম, একই গ্রামের রেজাউলের ছেলে খায়রুল ইসলাম, শিয়ারা গোবিন্দপুর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে মো. বাবু, একই উপজেলার জোড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. সোহেল, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রুপসীপাড়া গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও জয়পুরহাট সদরের সুন্দরপুর ধোপাপাড়ার মোজাম উদ্দিনের ছেলে মো. আজিজুল।

রায় ঘোষণার সময় মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও মো. আজিজুল নামে দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিদের পলাতক দেখানো হয়েছে।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার কাঁকড়া গ্রামের আলী হাসান বাবু একটি কলেজে শিক্ষকতা করতেন। এর পাশাপাশি তিনি স্টকের ব্যবসা করতেন। ২০০৯ সালের ১৭ জুন রাতে ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে পাঁচবিবি উপজেলার কাঁকড়া ব্রিজ এলাকায় খুন হন তিনি। তার মোটরসাইকেল এবং মরদেহ স্থানীয় হারামতি নদীতে পাওয়া যায়।

ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডে মোট ১১ জনের সংশ্লিষ্টতা পান তদন্তকারী কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পর আজ রায় ঘোষণা করা হলো।


আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




‘খালেদা জিয়ার সময় বন্যায় ১ লক্ষের বেশি লোক মারা গিয়েছিলো’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আপনাদের মনে করিয়ে দেই যারা নতুন প্রজন্ম তারা হয়তো জানেন না ১৯৯১ সালে তৎকালীন সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো। বিএনপির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। সেই ৯১ এর বন্যায় খালেদা জিয়ার আগাম প্রস্তুতি না নেওয়ায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার লোক মারা গিয়েছিলো। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি ১ লক্ষ ৩৮ হাজার লোক বন্যায় মারা গিয়েছিলো। একই কবরের ভিতরে ৪-৫ জন করে পুতে রাখা হয়েছিলো। গরু-মহিষ নদীর ভিতর ভেসে গিয়েছিলো। শুধু মাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি না নেয়ার কারণে এই ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছিলো।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা অডিটরিয়ামে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, আইলা, সিডর, বুলবুল, রেমাল অনেক প্রকৃতিক দুর্যোগ এসেছে। আমাদের সরকার প্রতিটি দুর্যোগের আগে প্রস্তুতি এমন ভাবে নিয়েছেন যাতে মানুষ, জীব, গৃহপালিত পশু ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। আমাদের আগাম প্রস্তুতির কারণে কিন্তু ভয়ঙ্কর কোন ক্ষতি হয়নি। এটা একজন সফল রাষ্ট্র নায়কের সুচিন্তিত পরিকল্পনার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। এখানেই পার্থক্য শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী যারা ছিলেন তাদের মধ্যে। যে কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় এটা রাষ্ট্র নায়কদের জানতে হয়। আর শেখ হাসিনা সেটা জানেন।

পিরোজপুর সদর উপজেলা অডিটরিয়ামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে বরাদ্দ প্রাপ্ত মানবিক সহয়তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য ঢেউটিন ও নগদ অর্থের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।


আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




বাজেট পেশ করতে সংসদে পৌঁছেছেন অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি দেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী। আবুল হাসান মাহমুদ আলী অর্থমন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম বাজেট পেশ করবেন। এটি দেশের ৫৩তম বাজেট।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বাজেট ঘোষণার জন্য সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডের সরকারি বাসভবন থেকে রওয়ানা দেন তিনি। পরে পৌনে ১১টায় সংসদে পৌঁছান মন্ত্রী।

বাসভবন থেকে বেরিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যতটুকু সম্ভব ভালো করার চেষ্টা করছি। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করবে এবারের বাজেট।‘

আজ বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার বাড়লেও ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হচ্ছে ৫ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছর ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে।

ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশি ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি, যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।


আরও খবর



রথযাত্রা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে সিএমপি'র ট্রাফিক নিদের্শনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

আগামী ৭ জুলাই শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মীয় রথযাত্রা যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনকালীন বিপুল সংখ্যক ভক্ত ও পূজারীদের সমাগমে ৩টি প্রধান রথযাত্রা নগরীর নির্দিষ্ট সড়কসমূহ দিয়ে প্রদক্ষিণ করবে। সেজন্য আগামী ৭ জুলাই (রোববার) বেলা ২টা থেকে নির্ধারিত রুটসমূহে ডাইভারশনসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

 বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে গণমাধ্যমে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন।

শ্রীশ্রী তুলশীধামের রথযাত্রা রুট-১ বোস ব্রাদার্স থেকে রাইফেল ক্লাব-আমতল-নিউ মার্কেট মোড় (বামে মোড়)-জিপিও-কোতোয়ালী মোড় (বামে মোড়)-কোর্ট বিল্ডিং উঠার মুখ-লালদীঘি উত্তর পাড়-বক্সির বিট-আন্দরকিল্লা-জেএমসেন হল-চেরাগী পাহাড়-জামালখান মোড়-সার্সন রোড-কাজিরদেউরী-নেভাল এভিনিউ-লাভ লেইন-বৌদ্ধ মন্দির-নন্দনকানন ১নং গলি হয়ে পূনঃরায় বোস ব্রাদার্স (তুলশীধাম)।

শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির (ইসকন), নন্দনকানন রথযাত্রা রুট-২ শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির (ইসকন), নন্দনকানন ১নং গলি থেকে-ডিসি হিল-বৌদ্ধ মন্দির-হেমসেন লেইন-চেরাগী পাহাড়-জেএমসেন হল-আন্দরকিল্লা-বক্সির বিট-লালদীঘির উত্তর পাড়-সোনালী ব্যাংক-কোতোয়ালী মোড়-জিপিও গ্যাপ-নিউ মার্কেট মোড়-আমতল-রাইফেল ক্লাব-পুলিশ প্লাজা (বোস ব্রাদার্স) হয়ে পূনঃরায় নন্দনকানন ১নং গলি।

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন)-এর রথযাত্রা রুট-৩ প্রবর্ত্তক ইসকন মন্দিও থেকে প্রবর্ত্তক মোড়-গোলপাহাড় মোড়)-চট্টেশ্বরী মোড়-আলমাস-কাজিরদেউরী-আসকার দিঘীর উত্তর পাড়-সার্সন রোডের মাথা-জামালখান মোড় (খাস্তগীর স্কুল)-প্রেস ক্লাব-চেরাগী পাহাড়-জে.এম.সেন হল-আন্দরকিল্লা-বক্সির বিট-লালদীঘির উত্তর পাড়-সোনালী ব্যাংক-কোতোয়ালী মোড় -নিউ মার্কেট- আমতল-রাইফেল ক্লাব-সিনেমা প্যালেস হয়ে হাজারী গলি (কেসিদে রোড)।

আগামী ৭ জুলাই নগরীর উপরোল্লিখিত সড়কসমূহে রথযাত্রার সুষ্ঠু চলাচলের নিমিত্তে নগরীর  চট্টেশ্বরী মোড়, ওয়াসা মোড়, স্টেডিয়াম গোল চত্ত্বর, নেভাল মোড়, নুর আহাম্মদ সড়কের মাথা, এনায়েতবাজার মোড়, তিন পোলের মাথা, নিউ মার্কেট, আলকরণ রোডের মুখ (জিপিও), কোতোয়ালীর মোড়, লালদীঘির উত্তর পাড়, আন্দরকিল্লা মোড়, গুডস হিল মুখ, গণি বেকারী ও সার্সন রোডের মুখে রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে ডাইভারশন প্রদান করা হবে। ফলে উক্ত সময়ে রথযাত্রা অভিমুখে সকল ধরণের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

এমতাবস্থায় রথযাত্রা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নিমিত্তে সকল প্রকার যানবাহনের চালক ও যাত্রী সাধারণসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে রথযাত্রা অনুষ্ঠান চলাকালীন উক্ত এলাকার সড়কগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

 রথযাত্রা অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার নিমিত্তে সিএমপির ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে।


আরও খবর