![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/43968f9fc3a8503a516579a337f2b5e8.jpeg)
মৌসুমের আগে ভাগেই চট্টগ্রামে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ছাড়িয়েছে আড়াইশোরও বেশি। এরপরও এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিধনে কোন উদ্যোগ নেয়নি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। জনসচেতনাকে মোক্ষম অস্ত্র বলে মনে করছেন চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। করোনার মতো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলেও মত দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে চসিকের উদ্যোগে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, নগরের প্রত্যেক সংস্থা, সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, মসজিদে জুমার নামাজে মাধ্যমে নাগরিকদের সচেতন করতে পারলে করোনার মতো ডেঙ্গুও প্রতিরোধ সম্ভব।
তিনি বলেন, আমাদের চারপাশে যে সমস্ত জায়গায় এডিস মশা জন্মায় সেই সমস্ত জায়গায় যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে সেই ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে হবে। নালা-নর্দমায় এডিস মশা জন্মায় না। পরিস্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বসা-বাড়ির আশে-পাশে ডাব ও নারকেলের খোসা, প্লাস্টিকের বোতল, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ছাদ বাগান ও ফ্রিজে জমানো পানি তিন দিনের বেশি যাতে জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাসা বাড়ি, ছাদ-আঙ্গিনা নিজ নিজ উদ্যোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটি আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব।
তিনি চট্টগ্রাম নগরকে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নগর গড়ারও আহ্বান জানান। সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ ডেঙ্গু প্রতিরোধে তাদের মতামত প্রদান করেন।
চসিকের কনফারেন্স রুমে প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল তসলিম, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি পরিচালক ডা. মো. সাখওয়াত উল্লাহ্, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েল ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার ডা. হোসাইন সরোয়ার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রক) ডা. মো. নরুল হায়দার, ভারপ্রাপ্ত জেলা কীটতত্ববিদ সৈয়দ মো. মঈন উদ্দীন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি।