আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

জোরেশোরে চলছে জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে কোনো ঈদ জামাত হয়নি। তবে এবার সংক্রমণ পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ফলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে জোরেশোরে চলছে মাঠ প্রস্তুতের কাজ।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, চারদিকে বাঁশ দিয়ে প্যান্ডেল করার কাজ শেষ। এখন চলছে বাঁশের কাঠামোর ওপর সামিয়ানা টাঙানোর কাজ। মাঠের ভেতরে একাধিক দর্জিকে সামিয়ানা সেলাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। ওপরে সামিয়ানা টাঙানো প্রায় শেষ। মাইক ও বৈদ্যুতিক তার বসানোর কাজও প্রায় শেষদিকে। সবমিলিয়ে পুরো ঈদগাহ মাঠজুড়ে পুরোদমে কাজ করছেন শ্রমিকরা। মাঝেমধ্যে সেখানে এসে ঘুরে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুতে টেন্ডার পেয়েছে পিয়ারো সরদার অ্যান্ড সন্স। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক মোজাম্মেল হক বলেন, প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ ৯০ ভাগ শেষ। আজ শনিবার ত্রিপল ও কাপড় বিছানোর কাজ করবো।

মাঠের আইনশৃঙ্খলা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ঈদ জামাত ঘিরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাঠে কাজ শুরুর পর থেকে পুলিশ টহল দিচ্ছে। মাঠ প্রস্তুতের পর ঈদ জামাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কয়েক স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানাবেন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। এদিকে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। গত ১২ এপ্রিল সচিবালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ বা ৩ মে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। দেশে করোনাভাইরাস মহামারির ব্যাপক সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত দুই বছর জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছিল না। এর পরিবর্তে দুই বছর ধরে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় ঈদগাহ

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




আইন পাস করে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করছে ইসরাইল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করতে আইন পাস করেছে ইসরাইলের আইনসভা নেসেট। কয়েক দফা পর্যালোচনার পর সোমবার আইনটিকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন ইহুদিবাদী দেশটির আইনপ্রণেতারা।

পাস হওয়া এই আইনের আওতায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ইসরাইলে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করতে পারবেন।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম বিল আকারে এটি উত্থাপিত হয়েছিল নেসেটে। চার-পাঁচ দফায় পর্যালোচনার পর সোমবার ইসরাইলি আইনপ্রণেতাদের ভোটে বিলটি আইনে পরিণত হলো।

নতুন এই আইন অনুসারে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যদি কখনও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে আল-জাজিরাকে বন্ধ করে দিতে সুপারিশ করে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদমাধ্যমটির সম্প্রচার ইসরাইলে বন্ধ করা, আল-জাজিরার ইসরাইল শাখার কার্যালয় সিলগালা করা এবং সেখানকার সমস্ত মালপত্র বাজেয়াপ্ত করার এখতিয়ার পাবে রাষ্ট্রটির তথ্য মন্ত্রণালয়। শুধু তাই নয়, ইসরাইলে বিদেশি চ্যানেলগুলোও বন্ধ করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।

আইনটি পাসের পর ইসরাইলে আল-জাজিরা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, আল-জাজিরা ইসরাইলের নিরাপত্তার ক্ষতি করেছে, ৭ অক্টোবরের গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে এবং ইসরাইলি সৈন্যদের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। 

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় আল-জাজিরার অফিস রয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে হত্যা করে ইসরাইল। ওই সময় জেনিন শহরে ইসরাইলের একটি সামরিক অভিযানের খবর কাভার দিচ্ছিলেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: আল-জাজিরা

আরও খবর



রূপগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৮

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ার নাওড়া গ্রামের হাজীবাড়ির সামনে এ সংঘর্ষ হয়। রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন-আকবর (২৪), তাজেল (৩৬), জয়নাল (৩৫), শামীম (২৫), মুক্তার হোসেন (৬০), নুর হোসেন (২৪), আরিফ (৯) ও রোমান (২০)।

জানা যায়, বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পক্ষে জমি বেচাকেনা ব্যবসা ও দখল নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা এই দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় সময়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এরই জেরে রবিবার রাতে রফিকুল ইসলামের এক অনুসারীকে মোশারফের অনুসারীরা পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনার জেরে সোমবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চিকিৎসকের বরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর (ইনচার্জ) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ৮ জন এখানে ভর্তি আছে। আমরা আহতদের চিকিৎসা চলমান রেখেছি।

রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর



রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টায় তারা এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সস্ত্রীক বঙ্গভবনে যান ভুটানের রাজা।

এর আগে এদিন ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ওয়াংচুকও শ্রদ্ধা জানান।

তার আগে সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ভুটানের রাজা। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগ সরকার গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এটি বাংলাদেশে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম সফর।

সফরের শুরুর দিন রাজা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।


আরও খবর



১৬ বছর পর নিলামে সোনা বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

প্রায় ১৬ বছর পর নিলামে সোনা বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন মানের ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সব প্রক্রিয়া শেষ করে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ভেনাস জুয়েলার্সের কাছে এসব সোনা হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে এই সোনা বিক্রির জন্য ২০২২ সালের নভেম্বরে নিলাম ডেকেও উপযুক্ত দরদাতা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর বিক্রি করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, শুল্ক গোয়েন্দার জব্দ করা সোনা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রির বিপরীতে পাওয়া ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা কাস্টমসের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় নিলামের মাধ্যমে এ সোনা বিক্রি করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্থায়ী খাতে নেওয়া সোনার প্রায় দুই হাজার ৪২৯ কেজি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ করেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মালিককে ফেরত বা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে এক হাজার ৮৭ কেজি ৪০০ গ্রাম।

সর্বশেষ ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রায় ২২ কেজি সোনা নিলামে বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ২০২২ সালের নভেম্বরে স্থায়ী খাতের আরও ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ওই বছরের নভেম্বরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশ নিলেও অপেক্ষাকৃত কম দর প্রস্তাব করে। যে কারণে সে সময় বিক্রি না করে আবার নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছরের মে মাসে। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে গত অক্টোবরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাবিত দর মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যে দামের প্রস্তাব করেছে, তাতে ২৫ কেজি সোনার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। কিন্তু এই দাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজেকশন রেটের চেয়ে কম হওয়ায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নিলাম কমিটি। এরপর বিষয়টি নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হলেও বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) প্রদত্ত রেটের (বাজার রেট) চেয়ে অন্তত ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম ধরে সোনা বিক্রির প্রজেকশন রেট ঠিক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদি নিলামে ওই রেটের সমান বা বেশি পাওয়া যায়, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সংক্রান্ত কমিটি সোনা বিক্রি করে দেয়।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। শেষ জীবনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে অবস্থিত প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির মনোবিদ্যা এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রফেসার এমেরিটাস হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিহেভেরিয়াল ইকোনমিক্স বা আচরণগত অর্থনীতির সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন ড্যানিয়েল কাহনেম্যান। যদিও কখনও অর্থনীতির কোর্স করেননি এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। ইউনিভার্সিটি ড্যানিয়েল কাহনেম্যানের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে।

মূলত মানুষের অভ্যাস, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধরন কী ভাবে ব্যয় এবং তার হাত ধরে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে (বিহেভেরিয়াল ইকনমিক্স) তা নিয়ে গবেষণা করেছেন কাহনেম্যান। বিশেষত অনেক কিছুই না জেনে কীভাবে একজন সিদ্ধান্ত নেন বা নেন না, কেমন আয়ের মানুষ বেশি খুশি থাকেন এই সব ঘিরেই আবর্তিত তার কাজ। আর এটিই পাল্টে দিয়েছে অর্থনীতি সম্পর্কে বহু চিরাচরিত ধ্যান-ধারণাকে। প্রসপেক্ট থিয়োরি (অনিশ্চয়তার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া) নিয়ে গবেষণার জন্য ২০০২ সালে নোবেল পান তিনি।

১৯৩৪ সালে কাহনেম্যান ফিলিস্তিনের (বর্তমান ইসরায়েলের) তেল আবিবে জন্মগ্রহণ করেন। নিজের প্রাথমিক জীবনের বেশিরভাগ সময় নাৎসি-অধিকৃত ফ্রান্সে কাটিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার বাবা একটি রাসায়নিক কারখানায় গবেষণার প্রধান হিসেবে কাজ করতেন। তবে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির ঠিক আগে ১৯৪৮ সালে কাহনেম্যানের পরিবার ব্রিটিশ শাসিত ফিলিস্তিনে ফিরে আসে।

১৯৫৪ সালে ইসরায়েলের জেরুজালেমে হিব্রু ইউনিভার্সিটি থেকে মনস্তত্ত্ববিদ্যা নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন কাহনেম্যান। পরে তিনি যোগ দেন ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সে। সেখানে সেনা নিয়োগে মানসিকতা যাচাই করতে তৈরি করেন বিশেষ ব্যবস্থা। পরে আমেরিকার বার্কলেতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়া থেকে পিএইচডি করার পরে ফের হিব্রু ইউনিভার্টিসিতে যোগ দেন অধ্যাপক হিসেবে। ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় কাহনেম্যানের বিখ্যাত বই থিংকিং ফাস্ট অ্যান্ড স্লো


আরও খবর