আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

জুয়ার টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জুয়ার টাকা না পেয়ে খাদিজা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী আশরাফুল ইসলাম ও তার মা আদুরি বেগম পলাতক রয়েছেন। বুধবার (৩ মে) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর (বেলের তল) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানায়, আশরাফুল ইসলাম একজন ইটভাটা শ্রমিক। এ কাজের পাশাপশি দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে জুয়া খেলায় আসক্ত ছিলেন।জুয়া খেলতে নিষেধ করে আসছিলেন তার স্ত্রী খাদিজা বেগম। বুধবার সন্ধ্যার দিকে খাদিজার কাছে আশরাফুল জুয়া খেলার জন্য টাকা চায়।

আরও পড়ুন<< ৭ মে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে

এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বাধলে আশরাফুল ইসলাম তার স্ত্রীকে পিটিয়ে এবং শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।এরপর বাড়ি থেকে আশরাফুল ও তার মা আদুরি বেগম পালিয়েছে যায়। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চন্ডিপুর ইউনিয়নের মেম্বার রনজু মিয়া বলেন, খাদিজা বেগম নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে তার স্বামী আশরাফুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গৃহবধূ খাদিজাকে পিটিয়ে বা শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



বিয়ের আগে সম্পর্ক ভাঙল সমকামী যুগল সুফি ও অঞ্জলির

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিয়ে ভাঙল সমকামী যুগল অঞ্জলি চক্র ও সুফি মালিকের। অঞ্জলি ভারতের বাসিন্দা। আর সুফি পাকিস্তানের নাগরিক। দুজনই থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।

অনেক দিন ধরে তাদের প্রেম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত। পাঁচ বছর আগে অঞ্জলি ও সুফির প্রেম পর্বের সূত্রপাত। সমকামী এ যুগল ২০১৯ সালে নিজেদের প্রেমের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের একাংশের মন জয় করেছিলেন। অনেকের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাদের।

সেই সময় দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বৃষ্টির মধ্যে নাচের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে অনেকের প্রশংসা কুড়ান অঞ্জলি ও সুফি। এরপর টানা পাঁচ বছরের প্রেম। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করার কথাও ছিল তাদের। কিন্তু তার আগে ইনস্টাগ্রামে পৃথক পোস্টে নিজেদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন তারা।

কেন বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে সম্পর্কে ইতি টানলেন অঞ্জলি ও সুফি? অঞ্জলি জানিয়েছেন, সুফির বিশ্বাসঘাতকতার জন্যই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কী বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তা নিজেই জানিয়েছেন সুফি। তিনি জানান, বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি অঞ্জলিকে ঠকিয়েছেন, তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে সুফি লিখেছেন, আমাদের বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগে আমি অঞ্জলির সঙ্গে প্রতারণা করেছি। বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। ওকে ভীষণভাবে আঘাত করেছি। আমি ভুল স্বীকার করছি। আমি জানি কী ভুল করেছি। আমি শুধু অঞ্জলি ও আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যাদের ভালোবাসি, তাদেরই আঘাত করে ফেলি। তার মধ্যে আমার পরিবার, প্রিয়জন ও বন্ধুরা রয়েছে। যারা এত দিন ধরে আমাদের পাশে থেকেছেন, তাদের ধন্যবাদ।

অন্যদিকে অঞ্জলি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, সুফি ও আমি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে রয়েছি। আমাদের ভালোবাসা আপনাদের সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমরা ভাগ্যবান। কিন্তু এখন আমাদের পথ আলাদা হয়ে যাচ্ছে। সুফির বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আমরা আমাদের বিয়ে বাতিল করেছি এবং সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর জন্য সুফির প্রতি মানুষ যেন কোনো নেতিবাচক ব্যবহার না করেন, সেই অনুরোধও ওই পোস্টে করেন অঞ্জলি।

সদ্য বিচ্ছেদ হওয়া যুগলের অনুরাগীদের একাংশের দাবি ছিল, তাদের বিয়ে ভাঙার ঘোষণা নিছকই মজা। তবে অঞ্জলি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সত্যিই বিচ্ছেদ হয়েছে তাদের। বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনলাইনে যে আবেদন তিনি করেছিলেন, তাও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অঞ্জলি।

অঞ্জলি ও সুফি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে ছিলেন। বছরখানেক আগে তারা একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

এক বছর আগে নিউইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে অঞ্জলিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সুফি। এরপর নিজেদের বাগদানের কথা ঘোষণা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তারা।

অঞ্জলি নিউইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকোতে বিবাহের অনুষ্ঠান পরিকল্পনা সংক্রান্ত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে সুফি নিউইয়র্কে জীবনধারা ও ভ্রমণ বিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর

ইনস্টাগ্রামে অঞ্জলি ও সুফি দুজনেরই ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ করে।

ইউটিউবে যৌথভাবে একটি চ্যানেলও চালান সুফি ও অঞ্জলি। সেই ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় দেড় লাখ ফলোয়ার রয়েছে। তবে তাদের বিচ্ছেদের পর সেই চ্যানেলের কী হবে, তা এখনো জানা যায়নি।


আরও খবর



ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চেক প্রতারণার পৃথক তিন মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (০৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে এসব মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। ওইদিন আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রাসেলের জামিন মঞ্জুর করেন। একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আদালতে হাজির হননি।

এদিকে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল গত রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রমে অংশ নেন।

সেখানে তিনি বলেন, ইভ্যালির কাছে প্রত্যেক পাওনাদারের দেনা পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে যারা অভিযোগ করেছেন অথবা যারা অভিযোগ করেননি সবাইকেই তালিকা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হবে।


আরও খবর



ফেব্রুয়ারিতে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫৫

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৫০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩১ জন। বুধবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১১৫ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৫ জন নিহত ও ৩১৭ জন আহত হয়েছেন, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মাসে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৪৬ টি দুর্ঘটনায় ৫৯৯ জন নিহত এবং ১ হাজার ৯৯ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত, ও আহত হয়েছে ৬৪ জন। নৌ-পথে ৫টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৪ জন আহত এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১৭৩ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২১০ জন নিহত, ১২৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ, নিহতের ৩৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও আহতের ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে ১১৫টি। এতে ১৩৫ জন নিহত ও ৩১৭ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম হয়েছে সিলেট বিভাগে ২১টি। এতে ২২ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন।

মোট দুর্ঘটনার ৫৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ গাড়িচাপা দেওয়ার, ১৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষের, ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার ও ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ বিবিধ ঘটনা। চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ ও ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২৮ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৬৩ জন চালক, ৩৪ জন পথচারী, ৪৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৯ জন শিক্ষার্থী, ৬ জন শিক্ষক, ৯৩ জন নারী, ৫৮ জন শিশু, ৩ জন সাংবাদিক, ১ জন চিকিৎসক, ১ জন আইনজীবী, ১ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭১০টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ বাস, ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা ও ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে মোট দুর্ঘটনার ৩৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ ফিডার রোডে হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে মোট দুর্ঘটনার ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে হয়েছে।

সংগঠনটি সড়ক দুর্ঘটনার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ বা দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম-দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়া ও সড়ক-মহাসড়কে অবাধ চলাচল, রোড সাইন বা রোড মার্কিং ও সড়কবাতি না থাকা, রাতে ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টো পথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি ও বেপরোয়া যানবাহন চালানো।


আরও খবর



ডায়াবেটিস রোগীরা সেহরিতে কী খাবেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ডায়াবেটিস রোগীদের টানা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখলে তাদের জন্য সেহরি বাধ্যতামূলক।

একজন ডায়াবেটিস রোগী সঠিক নিয়মে সঠিক খাবার দিয়ে সেহরি করলে, খুব সহজে ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন। আসুন জেনে নিই কিছু টিপস; যা আপনাকে দীর্ঘ একটি দিনেও রোজা রাখতে সাহায্য করবে।

১. অনেকে মনে করেন, সেহরি পেটপুরে খেলে সারা দিনে ক্ষুধা লাগে না। তাই অনেককে সেহরি বেশি খেতে দেখা যায়। শেষ সময় পর্যন্ত অনেকে পানি পান করতেই থাকেন। এটি বরং অস্বস্তি তৈরি করবে।

২. অন্য সময় দুপুরে বা নৈশভোজে যা খেতেন, সেহরি সেই স্বাভাবিক খাবারটাই খাবেন। পরিমিত পরিমাণে ভাত অথবা রুটি, সঙ্গে মাছ বা মাংস, ডাল, সবজি, সালাদ। শেষে এক কাপ দুধ বা দই।

৩. ডায়াবেটিস রোগীরা সেহরি আতপ চালের ভাত খাবেন না। লাল চালের ভাত খাওয়া ভালো। কারণ, সেদ্ধ মোটা চাল ও লাল চালের গ্লাইসিমিক ইনডেক্স অনেক কম। এতে ফাইবার বেশি, তাই ধীরে শোষিত হয়। তাই সারা দিন ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করবে। ভাতের বদলে লাল আটার রুটিও খেতে পারেন।

৪. অনেক বেশি খাবার খেলে বদহজম, গ্যাসের সমস্যা হওয়া ছাড়াও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

৫. সবজির পাশাপাশি কিছু শাক অবশ্যই খাবেন। শাকের সেলুলুজ আপনাকে সারা দিনে পেট ভরে থাকার মতো অনুভূতি দেবে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে।

৬. সেহরি শেষ সময়ের ১০-১৫ মিনিট আগে খাওয়া শেষ করতে হবে। অনেকের স্বভাব, মাঝরাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া। ডায়াবেটিস রোগীরা তা কখনো করবেন না।

৭. বিরিয়ানিপোলাও বা খিচুড়ির মতো খাবার খাবেন না। এগুলো পানির চাহিদা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

৮. প্রোটিন হিসেবে মাংসের বদলে মাছ খান অথবা ঘন ডাল রাখুন।

৯. অনেকে ওজন কমাতে কিছু না খেয়েই রোজা রাখেন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

১০. চাইলে একটা খোসাসহ ফল খেতে পারেন।

১১. সন্ধ্যা থেকে সেহরি পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন। সেহরি চাকফি পান করলে ডিহাইড্রেশন বাড়বে।

সেহরি কোনো কিছুই বেশি খাবেন না। চাহিদার বেশি খাবার খেলেই বিপত্তি ঘটবে। শরীর প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে বাকিটা ফ্যাট হিসেবে আপনার শরীরে জমা করে রাখবে। ফলে ওজন বেড়ে যাবে।

নিউজ ট্যাগ: ডায়াবেটিক রোগী

আরও খবর



এমপি আবুল কালামকে আ.লীগের পদ থেকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদকে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন সংগঠন থেকে তাকে বহিষ্কার করা হবে না, তার ব্যাখ্যাসহ লিখিত জবাব ১৫ দিনের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি বরাবর জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে আপনার (এমপি আজাদ) নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ম. রুহুল আমিনের গাড়িতে হামলা হয়েছে মর্মে কেন্দ্রীয় দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তরসম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাজীবসহ কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে আপনাকে সাংগঠনিক নির্দেশক্রমে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

এমতাবস্থায় সংগঠনের আদর্শ, শৃঙ্খলা ও স্বার্থপরিপন্থি কার্যক্রমের সঙ্গে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আপনাকে কেন সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তার ব্যাখ্যাসহ লিখিত জবাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ম. রুহুল আমিন বলেন, আবুল কালাম আজাদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লোকবল দিয়ে আমার ওপর হামলা করেছে। এর ভিডিও ফুটেজসহ আমি প্রধানমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ করেছি। তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমাকেও একটি চিঠি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, মারামারি ঘটনার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নয়। আমার বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়া হয়েছে। দল থেকে অব্যাহতির বিষয়ে মৌখিক বা লিখিত কোনো বার্তা আমি এখনো পাইনি। আপনার মাধ্যমে এ বিষয়ে জানতে পেরেছি।


আরও খবর