আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

জয়পুরহাটে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পপি ফল ও গাছ জব্দ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার দুপুরে পপি ক্ষেতগুলো কেটে সেগুলো জব্দ করেছে জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্প সদস্যরা। ৪ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ গাছে ১৬ লাখ ৯৪ হাজার পিস পপি ফল ক্ষেত থেকে কেটে তা র‌্যাব

জয়পুরহাট থেকে সুমন কুমার সাহা

জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল বনখুর মাঠে চাষ হয়েছে নিষিদ্ধ আফিম মাদকের পপি। তরকারির সুস্বাদু উপাদেয় পোস্তদানা মসলার জন্য যে পপি চাষ তা না জেনেই এক জনের চাষে উদ্বুদ্ধু হয়েছেন অনেক কৃষকই। এ ভাবেই জেলায় বিস্তার লাভ করছিল পপি চাষের। তবে কৃষি বিভাগের তথ্যে এ ফসল নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হওয়ায় পপি ক্ষেত কেটে তা জব্দসহ ৫ জনকে আটক করেছে র‌্যাব।

আটককৃত হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার বনখুর গ্রামের মৃত বিপুল চন্দ্র দাসের ছেলে রাজেন্দ্রনাথ দাস (৬০), মৃত রুপচাঁন মন্ডলের ছেলে নইমুদ্দিন মন্ডল (৬০), বড়তাজপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা (৬৫), পাঁচবিবি উপজেলার পুর্ব বালিঘাটা গ্রামের আব্দুল রউফ ওরফে রবের ছেলে রিপন সর্দার (৩৭) ও বালিঘাটা বাজারের মৃত কুমুন্ড বিহারী দাসের ছেলে নেপাল চন্দ্র দাস (৫২)।

জয়পুরহাট র‌্যাব-৫ ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মোহাইমেনুর রশিদ জানান অল্প খরচে পপি চাষ করে অধিক টাকা লাভ হওয়ায় বর্তমানে এ ফসলের চাষ বেড়েছে। বর্তমানে মরণ নেশা আফিমের কাঁচামাল হিসেবে এই পপি চাষ করেছেন ৫ জন কৃষক। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার দুপুরে পপি ক্ষেতগুলো কেটে সেগুলো জব্দ করেছে জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্প সদস্যরা। ৪ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ গাছে ১৬ লাখ ৯৪ হাজার পিস পপি ফল ক্ষেত থেকে কেটে তা র‌্যাব হেফাজতে নেওয়া পর সেগুলো ধ্বংস করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: জয়পুরহাট

আরও খবর



উখিয়ায় বনবিট কর্মকর্তাকে পিষে মারল বনদস্যুদের ডাম্পট্রাক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছিল বনদস্যুরা। খবর পেয়ে তা ঠেকাতে গিয়ে পাচারকারীদের ডাম্প ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন বনবিভাগের এক কর্মকর্তা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন, বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭)।

রোববার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম।

নিহত মো. সাজ্জাদুজ্জামান (৩০) কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজরিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শফিউল বলেন, শনিবার গভীর রাতে হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মিনি ট্রাকে করে মাটি পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে মোটরসাইকেলে বনরক্ষীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সাজ্জাদুজ্জামান।

স্থানীয়রা আহত বনরক্ষীকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারোয়ার আলম বলেন, বন রক্ষা করতে গিয়ে সাজ্জাদ নিজের জীবন দিয়েছেন। তার নির্মম মৃত্যুতে আমরা একজন দক্ষ ও পরিশ্রমী বন কর্মকর্তাকে হারালাম।

পাহাড়-বন ধ্বংসকারীদের প্রতিরোধে এই মুহূর্তে সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়ে সারোয়ার আলম আরও বলেন, না হয় অচিরেই বন ধ্বংস হয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে পরিবেশ-প্রকৃতি।

উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।


আরও খবর



নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি শিগগির তাদেরকে মুক্ত করতে পারবো। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।

তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারবো। বুধবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশে সবসময় গণতন্ত্র হরণ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তাদের হাত ছিল। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই সেটি ঘটানো হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ১৩ সালে কি ধরণের সন্ত্রাসী ও জঘন্য মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা তারা চালিয়েছিল। ১৪ সালের নির্বাচনে পাঁচশ নির্বাচনী কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং নির্বাচনী কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেটির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। ১৮ সালের নির্বাচনেও একই প্রচেষ্টা ছিল। সর্বশেষ ২৪ সালের বিগত নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হয়।

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি এবং হামলায় একব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গত মন্ত্রীসভার মিটিংয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন জেলা শহরে এই কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংদের গ্রেপ্তারের পর স্বাভাবিক জেলে না রেখে সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, সাধারণ জেলে যদি তাদেরকে পাঠানো হয় সেখানে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা আরো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে পারে। দেশে এটি নতুন সমস্যা, এটিকে দূর করতে সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হচ্ছে।

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন আমাদের দেশে রমজান আসার আগে এবং রমজানের সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার জন্য একটি অসাধু চক্র ও কিছু মজুতদার সবসময় সক্রিয় হয়। এবারও তা হয়েছে। সেটির সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করা, পণ্যের মূল্য যাতে বাড়ে। কিন্তু সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রেক্ষিতে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল এবং অনেক পণ্যের দাম কমেছে। 


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদযাত্রায় যানজট, যাত্রী হয়রানি ও সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে ৮ ও ৯ এপ্রিল ২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরে বলা হয়, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে এক কোটি, গাজীপুর থেকে ৪০ লাখ, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১২ লাখসহ ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এসব যাত্রীর ঈদের আগের চারদিনে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ, ট্রেনে ৪ লাখ, প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসে ৩৫ লাখ, মোটরসাইকেলে ১২ লাখ, লঞ্চে ৬০ লাখ, উড়োজাহাজে প্রায় এক লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে।

গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে এবং খোলা ট্রাক ও পণ্যবাহী পরিবহনে ১৮ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এছাড়াও আন্তঃজেলায় যাতায়াত করবে প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি যাত্রী। এতে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদবাজার, গ্রামের বাড়ি যাতায়াতসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির পরিবহনে বাড়তি প্রায় ৬০ কোটি ট্রিপ হতে পারে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গণপরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবারের ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা এবার রোজা ৩০টি সম্পন্ন হলে ১১ এপ্রিল ঈদ হতে পারে। ঈদের আগে ১০ এপ্রিল মাত্র একদিন সরকারি ছুটি রয়েছে। ঈদের পরে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পযর্ন্ত ৫ দিনের লম্বা ছুটি রয়েছে। ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রায় মুসলমানদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও পহেলা বৈশাখ উদযাপনে লম্বা ছুটির সুবাধে গ্রামের বাড়ি যাবে। তাই যাত্রী সংখ্যা বাড়বে।

আগামী ৯ ও ১০ এপ্রিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে। অথচ আমাদের গণপরিবহনগুলোতে ২২ থেকে ২৫ লাখের মতো মানুষ পাড়ি দেয়ার সক্ষমতা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আগে ছুটি না বাড়ালে দেশের সব পথে যাতায়াত পরিস্থিতি কোমায় চলে যেতে পারে। তাই ৮ এবং ৯ এপ্রিল দুই দিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হলে ৫ এপ্রিল থেকে সবাই স্বচ্ছন্দে, ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবে। গণপরিবহন সংকট ও যাত্রী ভোগান্তি থেকেও মুক্তি মিলবে। এই কারণে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি করছি।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে দেশে ৭১৪টি স্পটে যানজট হতে পারে এমন খবর গণমাধ্যমে এসেছে। যার মধ্যে ১৪০টি স্পটে প্রখর নজরদারি দরকার। ১০টি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ২১৮টি অতিঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনার স্পটের বিষয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সরকারকে সতর্ক করেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এসব স্পটেই ৬০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এবারের ঈদযাত্রায় রাজধানীবাসী যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে।

তাই এই মুহূর্ত থেকে রাজধানীর প্রতিটি সড়কের ফুটপাত হকার ও অবৈধ পার্কিং মুক্ত করার দাবি জানাই। রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের প্রবেশদ্বারগুলোতে যাত্রীদের অসহনীয় যানজটে পড়তে হবে। এসব যানজট নিয়ন্ত্রণে রাস্তার মোড় পরিষ্কার রাখা ও ছোট যানবাহন বিশেষ করে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক প্রধান সড়কে চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। তা না হলে আগামী ২৫ রমজান থেকে ঈদের দিন সকাল অবধি রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল অচল হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, কিছু অসাধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও পরিবহন নেতাদের চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন টোল পয়েন্টের কারণে জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট হয় বলে যানজটমুক্ত করার দাবি জানান। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ও পরিবহন সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চালাতে কিছু কিছু অসাধু পরিবহন মালিক-চালক মরিয়া হয়ে উঠেছে। কোনো পথে ঈদের ভাড়া দ্বিগুণ-তিনগুণ হয়ে যাওয়ার কারণে নিম্ন আয়ের লোকজন কম ভাড়ায় বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে অথবা পণ্যবাহী পরিবহনের ছাদে যাতায়াতে বাধ্য হয়। এতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্যা প্রাণহানী ঘটে থাকে।

এসময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে অতীতের বিভিন্ন সময়ের মতো কেবল কাগুজে বাঘের মতো হুঁশিয়ারি নয় প্রকৃতপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল, হচ্ছে ভাত-পোলাও পায়েস

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

নানা ধরনের সুগন্ধি চাল উৎপাদনের জন্য দিনাজপুরের নামডাক দেশজুড়ে। এ জেলায় উৎপাদিত ধান-চাল দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হয়ে থাকে। এবার দিনাজপুরেই পাওয়া যাচ্ছে বাঁশফুলের চাল (দানা)। শুনতে অবাক মনে হলেও এই চাল থেকেই তৈরি হচ্ছে ভাত, পোলাও, পায়েস। এমনকি চালের আটা দিয়ে মুখরোচক পিঠাপুলিও বানানো হচ্ছে।

প্রতিবেশী এক বৃদ্ধের কাছে গল্প শুনে বাঁশফুলের বীজ থেকে এই দানা (চাল) সংগ্রহ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের পাকাপান গ্রামের যুবক সাঞ্জু রায়।

ধান থেকে উৎপাদিত চালের মতোই দেখতে বাঁশফুলের এই চাল। তুলনামূলক কম উৎপাদন আর চাহিদা বেশি থাকায় গ্রাহকদের চাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সাঞ্জু রায়।

সাঞ্জু রায় জানান, স্থানীয় এক বৃদ্ধের কাছ থেকে বাঁশফুল থেকে চাল উৎপাদনের ধারণা পান তিনি। যুদ্ধের সময় যখন চাল কিংবা ভাত অপ্রতুল ছিল, তখন স্থানীয়রা এই বাঁশের ফুল থেকে চাল ফলিয়ে রান্না করে খেতেন। সম্প্রতি এক বৃদ্ধ সাঞ্জু রায়ের এলাকায় বাঁশ ফুল দেখে চাল উৎপাদনের কথা বলেন। তার প্রেরণায়ই সাঞ্জু চাল উৎপাদনের পরিকল্পনা করেন।

প্রথমে বাঁশফুল সংগ্রহ করেন সাঞ্জু। লম্বা হওয়ায় বাঁশের ওপরের অংশ থেকে ফুল সংগ্রহ করা বেশ কষ্টকর। সংগৃহীত ফুল পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। সেই ফুল রোদে শুকিয়ে মেশিনের সাহায্যে ছোট-ছোট করে চালের মতো ভাঙানো হয়।

স্থানীয়রা জানান, বাঁশফুল থেকে চাল উৎপাদনের বিষয়টি সাঞ্জু রায়ের কাছ থেকে প্রথম দিকে শুনে বিশ্বাস হচ্ছিল না। তবে যখন সত্যিই তিনি চাল উৎপাদন করলেন, তখন সবাই অবাক হয়েছেন।

৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাঁশফুলের চাল। অনেকে চালের বিনিময়েও বাঁশফুলের চাল কিনছেন। এই চাল থেকে তৈরি পোলাও, ভাত কিংবা পায়েস বেশ সুস্বাদু বলেও জানান তারা।

বেড়ুয়া বাঁশ বা কাটা বাঁশের ফুল থেকে এই চাল উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব বাঁশের বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছর বলে জানা গেছে।


আরও খবর



পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিল বিজিপির আরও ১২ সদস্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারের বিজিপির আরও ১২ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনী সদস্যরা সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা জানান, ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি রেজু আমতলি পাড়া সীমান্ত দিয়ে দুই বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম সকালে ১২ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৭৭ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় নেওয়া সব সদস্যদের নিরস্ত্র করে বিজিবিদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর