জয়পুরহাট কালেক্টর চত্বরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১৯৮০ সালে নির্মাণ করা হয় দুটি ভবন। গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিনতলা ভবনে রয়েছে ১২টি ফ্ল্যাট। কয়েক বছর পর থেকে ভবন দুটিতে আর কোনো কর্মকর্তাকে থাকতে দেখা যায়নি। প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ভবন দুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বছরের পর বছর জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা ভবন পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে বাড়িতে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদকসেবীসহ বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের অভয়ারণ্য সরকারি এ বাসভবন। এটা এখন শহরবাসীর জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবন দুটি সংস্কার করে বসবাস উপযোগী করার দাবি তাদের।
জয়পুরহাট গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. ফারজানা আকতার বলেন, অনেক বছর ধরে ভবন দুটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ভবন দুটির দরজা-জানালা চুরি হয়ে গেছে। আগাছা-লতাপাতায় জনশূন্য ভবন দুটিতে এখন সাপ আর পোকামাকড়ের বাস।
স্থানীয় বাসিন্দা সবুজ, আতিক, বাবুসহ অনেকে জানান, ভবন দুটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকায় আগাছা জন্ম নিয়েছে। ময়লা-আবর্জনায় মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে ভবন। চুরি হয়ে যাচ্ছে লোহার জানালা-দরজাসহ অন্যান্য সামগ্রী। দিনে ও রাতে মাদকসেবীদের আনাগোনাসহ চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। নিরাপদে চলাফেরা করা যায় না।
জয়পুরহাট জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভবন দুটি পরিত্যক্ত থাকায় অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আমার কাছে আসে। ভবন দুটি সংস্কার করলে সরকার রাজস্ব পাবে, পাশাপাশি এলাকার পরিবেশও ভালো হবে।