জয়পুরহাটে মুরশিদা হত্যার দায়ে দীর্ঘ ২৩ বছর পর তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ এবং তাদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ২০১ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় প্রত্যেককে আরো ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নুর ইসলাম এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের মৃত নিজামুদ্দিন ওরফে কিনিমুদ্দিনের ছেলে আতাউল ওরফে আতাউর রহমান, তার স্ত্রী মেরিনা বেগম ও একই গ্রামের মৃত হাউসা ওরফে হাউস মিয়ার ছেলে আমজাদ হোসেন।
মামলাসূত্রে জানা যায়, পাঁচবিবি উপজেলার আজরা সিধুইল গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর মেয়ে মঞ্জিলা ওরফে মুরশিদার সৎ মা আনোয়ারার খালাতো ভাই ছিলেন আসামী আতাউর রহমান। মোকছেদ আলী মারা যাওয়ার পর তার জমির ভাগের ১৮ হাজার টাকা ছিল মঞ্জিলার নামে। সেই টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে আতাউর মঞ্জিলার ভাল জায়গায় বিয়ে দিবেন বলে প্রলোভন দিয়ে ২০০০ সালের ১১ মে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।
হঠাৎ ১৩ মে বাদির বাড়ি এসে আসামি আমজাদ হোসেন জানায়, তার মেয়ে মুরশিদা আত্মহত্যা করেছে। পরে বাদি প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন আতাউল ও তার স্ত্রী মেরিনাসহ আব্দুল বারীক, হিরা ও আমজাদ মিলে ১২ মে মঞ্জিলাকে মেরে ফেলার গোপন পরামর্শ করে এবং ওই দিনই বিকাল অনুমান ৪ টার দিকে মঞ্জিলাকে মারপিট করে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রচার করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা খালেদা বেওয়া বাদী হয়ে ১৪ মে পাঁচবিবি থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বুধবার দুপুরে আসামীদের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
এ মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি ও আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।