আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

জয়পুরহাটে ট্রেন-বাস সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে জয়পুরহাট শহরের পুরানাপৈলে লেবেল ক্রসিং রেলগেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বৈধ লেভেল ক্রসিং থাকলেও গেটম্যান না থাকার কারণে মূলতঃ এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পুরানাপৈলে পার্বতীপুর-রাজশাহীগামী ৩২ নম্বর উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় যাত্রীবাহী বাসের ১০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়। অন্য সদস্যরা হলেন- পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশিষ কুমার মণ্ডল, পাকশী বিভাগীয় মেডিক্যাল অফিসার শাকিল আহমেদ। 

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে জয়পুরহাট শহরের পুরানাপৈলে লেবেল ক্রসিং রেলগেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বৈধ লেভেল ক্রসিং থাকলেও গেটম্যান না থাকার কারণে মূলতঃ এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদূল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনাস্থলে পার্বতীপুর লোকোসেড ও ঈশ্বরদী লোকাসেড থেকে রিলিফ ট্রেনের উদ্ধার কর্মীরা ইতোমধ্যে রওয়ানা হয়েছে। প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: জয়পুরহাট

আরও খবর



রেকর্ড উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি দেখল বিশ্ব

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রেকর্ড উষ্ণতম ফেব্রুয়ারির সাক্ষি হলো বিশ্ব। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্লাইমেট সার্ভিস গতমাসকে আধুনিক বিশ্বের উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি বলে বর্ণনা করেছে। এ নিয়ে টানা নবম মাস উষ্ণতার নতুন রেকর্ড গড়লো।

বিবিসি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে এ বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি মাসই আধুনিক বিশ্বে সবচেয়ে উষ্ণতম হওয়ার রেকর্ড গড়েছে। এ ছাড়া বিশ্বের সমুদ্রপৃষ্ঠও উষ্ণতার নতুন রেকর্ড গড়েছে। সেই সঙ্গে অ্যান্টার্কটিক সাগরের বরফের পরিমাণ আবারও ভয়াবহ পরিমানে হ্রাস পেয়েছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এখনও এল নিনো সক্রিয় থাকায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ার মূল দায় মানুষের। 

আরও পড়ুন>> প্রথম আরব নারী হিসেবে নোরার অনন্য কৃতিত্ব

এ বিষয়ে খেদ প্রকাশ করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মহাসচিব অধ্যাপক সেলেস্তে সাওলো বলেন, এজন্য দ্ব্যর্থহীনভাবে দায়ী তাপামাত্রা ধরে রাখা গ্রিনহাউজ গ্যাস।

এই অতিরিক্ত উষ্ণ আবহাওয়া মূলত সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে। ওই সব অঞ্চল এই বছর তীব্র তাপদাহ দেখেছে।

ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ১২ মাসের গড় হিসেবে এখন বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাক-শিল্পায়ন যুগের তুলনায় ১ দশমিক ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। এই প্রথম এক বছরের হিসেবে বৈশ্বিক তাপমাত্রার গড় বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে ছাড়িয়ে গেল।


আরও খবর



মানুষের মৃত্যুর লাইসেন্স আমরা দিতে পারি না: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সাভার চামড়া শিল্পনগরীর আর কোনো দূষণই গ্রহণযোগ্য হবে না। এখানকার শিল্পকারখানাগুলোতে ইটিপি চালু করতে টাইমলাইন দিতে হবে। কোরবানির পর আর ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধ কারখানাগুলোর পরিবেশের ছাড়পত্র বাতিল কার্যক্রম শুরু করা হবে। মানুষের মৃত্যুর লাইসেন্স আমরা দিতে পারি না। দূষণ রোধে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয় একমত, যৌক্তিক সীমানার বাইরে যাওয়া সম্ভব না।

আজ বুধবার বিকেলে সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে শিল্পনগরীর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনা সভায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের চাহিদা পূরণ না করতে পারলে পন্য রপ্তানি করা যাবে না। আমরা বিগত ১০ বছরে মাইনাসে আছি। দূষণ রোধে এখন গুরুত্ব দিতে হবে। দুষণের কারণে মানুষেরক্যান্সার হয়। মানুষের মৃত্য কারণ হয়। অক্সিজেন না থাকায়, পানি পচে গেছে, এমনকি এখানে ব্যাকটেরিয়াও বেঁচে থাকতে পারে না। কোরবানির পর সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ কাজে সকলের সহযোগিতা দরকার।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারিখাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা ও বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ। 


আরও খবর



বাপ-দাদার শেখানো পেশায় যাদের জীবন জীবিকা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

এক সময় মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, ঘটি, মটকা, সরা, চারি, কাসা, কলস, ব্যাংক, প্রদীপ, পুতুল, কলকি, দেবদেবীর মূর্তি ও ঝাঝরের বিকল্প ছিল না তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের রুচির পরিবর্তনে মাটির তৈরি সামগ্রীর স্থান দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিক, মেলামাইন, স্টিল আর অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি নানা রকম আধুনিক সামগ্রী। তাই বর্তমানে বাজারে চাহিদা কম থাকায় এবং কাঁচামালের চড়ামূল্য ও পুঁজির অভাবে টিকতে না পাড়ায় সংকটে পড়েছে পাবনার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পীরা।

মৃৎশিল্পীরা জানান, বর্তমান মানুষের ব্যবহারিক জীবনে মৃৎশিল্পের তেমন কোন আর ভূমিকা নেই। প্রযুক্তি বিকাশের এ যুগে এই শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধিত না হওয়ায় বর্তমানে এই পেশায় টিকে থাকা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে কালের আবর্তে বাপ-দাদার পেশা হারিয়ে যেতে চললেও এখনোও টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পাবনা চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের গৌড়িপুর পালপাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পীরা।

সরেজমিনে গৌড়িপুর পালপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, ভোরের আলো ফুটতেই মাটির হাঁড়ি পাতিল তৈরি করে রোদে শুকাতে দিচ্ছে কুমাররা, কেউ বা ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন সামগ্রী তৈরীতে, কেউ বা করছেন রং এভাবেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মব্যস্ততা।

পালপাড়ায় গিয়ে কথা হয় মায়া রাণীর সাথে তিনি জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে মাটির তৈজসপত্র তৈরী করে আসছেন তিনি। আগে মাটির সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন আর তেমন কোন চাহিদা নেই, তাই শীত মৌসুমে পিঠাপুলির সামগ্রী তৈরী করেই কোনোমতে চলছে তার সংসার।

এমনিতেই ব্যবসা চলে কম তার উপরে নেই রাস্তাঘাট তাই গৌড়িপুর পালপাড়া থেকে নিমাইচড়া বাজার পর্যন্ত পাকা সড়কের দাবি জানান তিনি।

মৃৎপাত্র পোড়ানোর সময় কথা হয় দুলাল পালের সাথে কথা হইলে তিনি জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে বাপ-দাদার শেখানো পেশায় কাজ করছেন। আগের দিনে বাজারে মৃৎপাত্রের প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন অনেকটাই কম। অন্য কোন কাজ না জানায় এই পেশাই আঁকড়ে ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।

দুলাল পাল আরও বলেন, পেশাগত প্রয়োজনে ব্যাংক ঋণ পাননা তারা। সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পেলে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন তিনি। স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা মনে করেন, ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্পকে বাঁচাতে সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন।

কথা হয় বিকাশ পাল, সম্বল পাল, দরদী পাল ও সুবর্ণা পালের সঙ্গে, তারা এই প্রতিবেদককে জানান, এক সময়ে এই গ্রামে মৃৎশিল্পের রমরমা ব্যবসা ছিল। আগে গৌড়িপুর গ্রামে প্রায় ১১০টি ঘর মৃৎশিল্পের কাজ করতো কিন্তু বর্তমানে বেশির ভাগ পালরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় এখন ১০-১৫ টি ঘরে প্রায় ৩০-৩৫ জন পাল এই কাজের সাথে জড়িত বলে জানান তারা।

তারা আরও জানান, মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা সরকারি কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা বা প্রণোদনা কোন দিন পেয়েছেন কি না তা তাদের জানা নেই। তারা বলেন, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও মৃৎশিল্পীদের শিল্প জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যদি আধুনিক করে গড়ে তোলা যায় তা হলেই কেবল গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব বলে তারা মনে করেন।

কথা হয় গোপাল চন্দ্রপালের সঙ্গে তিনি বলেন, আগের দিনে মৃৎশিল্পের প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন এঁটেল মাটি, রঙ, যন্ত্রপাতি ও জ্বালানি ছিল সহজলভ্য। কিন্তু বর্তমানে এসব প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন হিমশিম খাচ্ছেন। তারা জানান, পূর্বে যেখানে বিনামূল্যে মাটি সংগ্রহ করা যেত বর্তমানে সেই মাটি ১০-১২ হাজার টাকায় কিনতে হয়। আগে খড় কিনতে তাদের কোন টাকা পয়সা লাগতো না, এখন সেই এক বুঝা খড় ৩০০ টাকায় কিনতে হয় তাদের।

গোপালচন্দ্র পাল বলেন, বর্ষা মৌসুমে তাদের হাতে তেমন কোন কাজ না থাকায় সে সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি সংগ্রহ করে থাকেন তারা। তবে অনেক সময় মাটি কিনতে আইনি জটিলতায় পড়তে হয় তাদের।

বাড়ির উঠোনে পাত্রগুলোতে রং করতে দেখা যায় উজ্জ্বল কুমার পালকে, তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সাধারণত মৃৎপাত্রগুলো কুমার পরিবারের নারী-পুরুষ উভয়ে মিলেমিশে তৈরি করে থাকেন। এই তৈরিকৃত সামগ্রী বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে কিনেন। অনেকে আবার বাড়ি বাড়ি ফেরি করেও বিক্রি করেন। বর্ষা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকায় কুমারদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ যায়। সে সময় কুমাররা সারা বছর কাজ করার জন্য এঁটেল মাটিসহ প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহে নেমে পড়েন। শুধু পাবনা নয়, গোটা দেশে এ পেশায় নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কারও যেন কোন মাথাব্যথাই নেই।

বাড়ির উঠোনে মাটির পাত্র তৈরি করছেন অনিতা পাল ও প্রার্থনা পাল তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আগের দিনে তাদের ব্যবসা অনেক ভালো চলতো বর্তমানে মানুষ প্লাস্টিক, এ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করায় এখন কম চলে। তারা বলেন, আগে কলসিসহ বিভিন্ন তৈজসপত্র তৈরী করলেও বর্তমানে তা ব্যবহার কম হওয়ায় এখন শুধু ঝাঁঝর, কাসা, হাঁড়ি পাতিল তৈরী করে থাকেন তারা। 

এবিষয়ে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভিন সুলতানা মুক্তি বলেন, তারা কখনও আমার কাছে কোন দাবি নিয়ে আসেনি। আমি আমার এলাকার অনেক সড়কের কাজ করেছি, তাদের সড়কের বিষয়েও কাজ করার চেষ্টা করবো এবং আমি সবসময় তাদের পাশে থাকবো।


আরও খবর



‘ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধে বাংলাদেশে কোনো প্রভাব পড়বে না’

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

শনিবার (২৩ মার্চ) বিকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার তার আপন গতিতেই চলবে। ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়লে সেটা নিয়ে কিছু না করা হলেও কেউ যদি মজুদদারি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারত থেকে ইতিমধ্যে যে পেঁয়াজ কেনা হয়েছে সেগুলো ৩ দিনের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন>> অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিক বাজারে বেচা-কেনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনোরকম পুলিশি তৎপরতা বা ম্যাজিস্ট্রেসি তৎপরতা প্রয়োজন নেই। বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ পণ্যের সরবরাহ আছে এবং দামও যৌক্তিক পর্যায়ে আছে।

চালের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, চাল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এ কারণে আরেক মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে কোনো কিছু বলা ঠিক হবে না।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




খালেদা জিয়ার মুক্তি’র বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো ও তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

গত ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে এই চিঠিতেও তারা আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি চেয়েছেন। আমি বুঝলাম না স্থায়ী মুক্তি মানে কী? এবং বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার কাছে আজকে আমার সচিব ফাইলটা দিয়েছেন। ওনারা (খালেদার পরিবারের সদস্যরা) কী আবেদন করেছেন, সেটা দেখে ভালো করে বিবেচনা করে আমি অতি সত্বর নিষ্পত্তি করব। আগামীকাল নাগাদ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

আনিসুল হক বলেন, ফাইলটা আজকেই পেয়েছি। আমাকে বিবেচনা করতে হবে, পড়তে হবে, আমাকে দেখতে হবে। তবে একটা বিষয় বলতে পারি সেটা হলো খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না।

উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে।


আরও খবর