লাইসেন্স ছাড়াই জয়পুরহাটে যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন দোকানে এসব সিলিন্ডার বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে সাধারণ মানুষ। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলছেন এসব লাইসেন্স বিহীন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসার কারণে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জয়পুরহাট জেলা শহর ছাড়াও পাঁচটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজারের তিন শতাধিক দোকানে দেদারছে চলছে এলপি গ্যাস সিল্ডিারের ব্যবসা। অথচ জেলায় এলপি গ্যাস ব্যবসার লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ১শ’ টির মতো। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন দোকানে এসব সিলিন্ডার বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে সাধারণ মানুষ। লাইসেন্স ছাড়া অরক্ষিত অবস্থায় এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির কারণে যে কোন সময় বিস্ফোরণ ঘটে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। অনুমোদন ছাড়া খোলা বাজারে গ্যাস বিক্রিতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় অনুমোদন ভুক্ত ব্যবসায়ীরা। লাইসেন্স ছাড়া এসব গ্যাস বিক্রি বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার নতুনহাট এলাকার শামীম হোসেন জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দরকার। নজরদারি না থাকায় যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি। ফলে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার তেঘর বিশা এলাকার দুলাল হোসেন বলেন সরকার নির্ধারিত দামে আমরা কখনো গ্যাস সিলিন্ডার পাইনা। সরকার দাম বেঁধে দেয় একটা আর খুচরা বাজারে বিক্রি হয় বেশি দামে। সরকারের হস্তক্ষেপে আমরা এর প্রতিকার চাই।
এ প্রসঙ্গে উপ-সহকারী পরিচালক ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স জয়পুরহাট মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স ছাড়া অরক্ষিত অবস্থায় এমন দেদারছে গ্যাস ব্যবসার কারনে এসব এলপিগ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর এতে করে সাধারণ ক্ষয়-ক্ষতিসহ প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, বর্তমানে গ্যাস সিলিন্ডার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। এই পণ্য বাংলাদেশ বিতরণ এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী ব্যক্তিগনই বিক্রয় করতে পারেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যত্রয় ঘটে। এ রকম যেন ব্যত্রয় না ঘটে এ জন্য জেলা প্রশাসক জয়পুরহাট প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে জেলার সাধারণ মানুষকে রক্ষায় এমন যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ ছাড়াও এ জেলার সচেতন নাগরিকগণ দ্রুত অবৈধ সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।