ফেনী-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক, কোম্পানীগঞ্জ-মাইজদী সড়ক, চাপরাশিরহাটসহ সব সড়কের ওপর গাছের গুড়ি, বাঁশ ও বাস আড়াআড়ি করে রেখে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। হরতালের কারণে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা সদরের দোকানপাট সব বন্ধ আছে। বাইরে থেকে কোনো যানবাহন কোম্পানীগঞ্জে ঢুকতে পারছে না।
সকাল থেকে চলা কর্মসূচির কারণে যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা ঘটায় রাস্তায় মানুষকে বিপাকে পড়তে দেখা গেছে। অনেককে পরিবার-পরিজন নিয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়। এদিকে, হত্যা করা হতে পারে—এমন আশঙ্কা করে গতকাল মঙ্গলবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিজে বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আবদুল কাদের মির্জা।
আজকেও গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র অভিযোগ করে বলেন, তাঁকে, তাঁর পরিবারের সদস্য ও সমর্থকদের হত্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য ৫০ কোটি টাকার ফান্ডও করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এসবের সঙ্গে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা জড়িত। কর্মসূচি চলাকালে তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ, রাহাত, রবিউল প্রমুখের গ্রেপ্তারের দাবির পাশাপাশি নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধের দাবিও জানান।
সূত্র জানায়, অজ্ঞাতস্থান থেকে ফেসবুক লাইভে এসে তাঁকে গালিগালাজ করলে সবুজকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এরপর পুলিশ ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করে পরে আবার ছেড়ে দিলে আবদুল কাদের মির্জা ক্ষুব্ধ হয়ে থানার সামনে গতকাল থেকে অবরোধ শুরু করেন।
আজ সকালে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, ‘জনস্বার্থে এই হরতাল। কাল সকাল পর্যন্ত এক্সিট দিলাম চলি যাক। ডিসি সাব, এসপি সব চলি গেলে, অপরাজনীতি বন্ধ হলে, আমার ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হলে- আমি কালকে থেকে হরতাল করুম না। আর যদি দাবি না মানে... আমার সব দাবি মানতে হবে।’
আবদুল কাদের মির্জা আরো বলেন, ‘আমি এখন অবস্থান নিব আমার পৌরসভাতে, আমি বাড়িতে যামু না। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি লাগাতার... এরপর আরো কঠিন হরতালসহ লাগাতার কর্মসূচি দিমু।’