আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কাল চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে ঈদ

প্রকাশিত:রবিবার ০১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কাল সোমবার (০২ মে) চন্দনাইশ শাহ্ছুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করবেন। চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, নোয়াখালী, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লা, ময়মনসিংহ, ঢাকা, গাজীপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, খুলনা, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ফিরোজপুর, ঝালকাটি, ফরিদপুর, মাদারীপুরের অর্ধ সহস্রাধিক গ্রামে কাল ঈদ-উল-ফিতর উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে।

সৌদি আরবসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মাহে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়াকে কেন্দ্র করে চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর শাহ্ছুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সোমবার পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর পালন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, পশ্চিম এলাহাবাদ, উত্তর কাঞ্চননগর আব্বাস পাড়া, পূর্ব এলাহাবাদ, মাইজপাড়া, ছৈয়দাবাদ, হাশিমপুর খুনিয়া পাড়া, পৌরসভার দক্ষিণ হারলা, সাতবাড়ীয়া, বরমা, বাইনজুরী, কেশুয়া, কানাইমাদারী, দক্ষিণ হাশিমপুর বড়পাড়া, ধোপাছড়ি, পটিয়ার হাইদগাঁও, মংলারপাড়া, বাহুলী, কালারপুল, খরনা, সিয়ানপাড়া, বাথুয়া, রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা, লিচুবাগান, কুলুশিয়া, মদুনাঘাট, সাতকানিয়ার বাজালিয়া, ফকিরপাড়া, কেওচিয়া, মির্জারখীল শাহপুর, ঢেমশা, চরতী, বাঁশখালীর গুনাগুরী, মইশ্যাপাড়া, গুয়াজরপাড়া, কালীপুর, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বুরুমছড়া, লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া, সীতাকু-ুর রহমতপাড়া, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকু-ু, সন্দীপ, মিরসরাই, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, উখিয়া, বান্দরবান, আলী কদমে কাল ঈদ উদযাপিত হবে।

নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, কুতুবপুর, ফেনী, ঢাকা জেলার নারায়ণগঞ্জের লামাপাড়া ফতুল্লা, বরিশাল জেলার সাগরদী, টিয়াখালী, জিয়াসড়ক, বাবুগঞ্জের খানপুরা, মাধবপাশা, কেদারপুর, মেহেন্দীগঞ্জের তালুকদারচর, পতাং, চরকেউটিয়া, সাহেবের হাট, বাকেরগঞ্জের সুন্দরকাঠি দরবার শরীফ, গোমা, পেয়ারপুর, হিজলায় শ্রীরামপুর দরবার শরীফ, ঘোশেরচর, মুলাদী, উত্তমনগর, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া, ভা-ারিয়া, পটুয়াখলীর বাউফলে ধাউরাভাঙ্গা, শাবুপুড়া, কয়েনা, শাপলাখালী, রাজনগর, দ্বিপাশা, মদনপুরা, চন্দ্রপাড়া, তাতেরকাঠি, রাঙ্গাবালী-পশুরীবুনিয়া, চরযমুনা, সেনেরহাওলা, খালগোড়া বাজার, ফুলখালী, কোরালিয়া, বাহেরচর, গলাচিপা, ডাকুয়া, কলাপাড়া সদর,ইটবাড়িয়া, নিশানবাড়িয়া দরবার শরীফ,ধানখালী, পাঁচজুনিয়া, চালিতাবুনিয়া, লালুয়া, তেগাছিয়া, চান্দুখালী দরবার শরীফ এবং বরগুনা, শরীয়তপুর, মাদারিপুর, নরসিংদী,ভোলাসহ বাংলাদেশে প্রায় শতাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে সংশ্লিটরা জানান।

জানা যায়, প্রায় দুই শতাধিক বছর আগে সাতকানিয়া মির্জারখীল গ্রামে হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান জাঁহাগিরি (রঃ) হানাফী মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যে কোন দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা ও ঈদসহ সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। তারই উত্তরসূরি হযরত মাওলানা আবদুল হাই জাঁহাগিরির অন্যতম খলিফা চন্দনাইশ শাহ্ছুফি দরবারের পীর হযরত মাওলানা শাহ্ছুফি আমজাদ আলী (রঃ) মুরিদ ও অনুসারিরা একই নিয়মে ঈদ উৎসব পালন করে আসছে। দরবার শরীফের পীর মাও. হজরত শাহ্সুফি ছৈয়্যদ মোহাম্মদ আলী উক্ত দরবারের ঈদের জামাত পরিচালনা করবেন। তিনি অন্যান্য দরবারের অনুসারীরা যারা কাল ঈদ পালন করছেন তাদেরকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদসহ সকল ধর্মীয় কার্যক্রম পালনের আহবান জানান।

এখানে উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল সাতকানিয়া মির্জারখীল ও চন্দনাইশ শাহসুফি দরবার শরীফের অনুসারীরা বিশ্বের যুক্তরাষ্ট্রে চাঁদ দেখা যাওয়ার ওপর ভিত্তি করে রোজা শুরু করেছিলেন। সে হিসেবে কাল মাহে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখাকে কেন্দ্র করে ঈদ-উল-ফিতর পালন করতে যাচ্ছে। একইভাবে মির্জারখীল দরবারের সাজ্জাদানশীন শাহজাদা মাওলানা সাজ্জাদুল আরেফিন সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রোজার নিয়মে ঈদ পালন করার মত ব্যক্ত করেছেন। এদিকে চন্দনাইশ শাহছুফি দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহসুফি মাওলানা ছৈয়দ মোঃ আলী তাদের পূর্বপুরুষের নিয়মানুযায়ী বিশ্বের যে কোন স্থানে চাঁদ দেখাকে কেন্দ্র করে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন। সে হিসেবে বিশ্ব জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবছরও রোজা পালনের পাশাপাশি কাল ঈদ পালন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কাঞ্চননগর শাহ সুফি জাঁহাগিরিয়া দরবার শরীফে সকাল ৯ টায় প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ঢাকাসহ চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের চার বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ। এর মাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ কারণে ঢাকাসহ চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া এর মাত্রা আরও বাড়তে পারে।

তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম থাকা সত্ত্বেও কেন হিট অ্যালার্ট দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আগামী দুইদিন বাড়বে। আজ একটু কম হলেও বেড়ে যাবে। তাই হিট অ্যালার্ট দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বুধবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একই সময় পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়, ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলা ও ঈশ্বরদীতে, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



সময়মতো কমলাপুর ছাড়ছে ট্রেন, খুশি যাত্রীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আর মাত্র এক বা দুইদিন পরেই ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। অনেকেই যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ট্রেনকে বেছে নিয়েছেন। ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। যারা অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তারা এখন ভ্রমণ করতে পারছেন। এবার ট্রেনে ঈদ যাত্রায় খুশি যাত্রীরা। দেখা যায়নি ভোগান্তির তেমন কোন চিত্র, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় নেই। সময়মতো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, একের পর এক ট্রেন নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াতকারী মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ার সময় ছিল ৭টা ৪৫ মিনিটে৷ ট্রেনটি এক মিনিটও বিলম্ব না করে নির্দিষ্ট সময়েই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ত্যাগ করে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, সকাল থকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহানগর প্রভাতী, বালাকা, ধুমকেতু, পারাবত, সুন্দরবন, নীলসাগর এক্সপ্রেসসহ মোট ১১ টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে স্টেশন ত্যাগ করেছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ট্রেনের কোনো সিডিউল বিপর্যয় নেই। এমনকি ট্রেন যাত্রায় বিলম্বও নেই। প্রতিটি ট্রেন তার নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী স্টেশন ত্যাগ করছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এবারের ঈদ যাত্রায় রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় খুশি সাধারণ যাত্রীরা। তারা বলছেন, ট্রেনে ঈদ যাত্রায় আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার স্বস্তিদায়ক৷ একদিনে ট্রেন যেমন সময়মতো ছাড়ছে অন্যদিকে বিনা টিকিটের কোন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারছেন না। রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় যাত্রাও ভালো হচ্ছে।

বুড়িমারি এক্সপ্রেসে লালমনিরহাট যাবেন আশরাফুল ইমন৷ এবারের ঈদ যাত্রা সন্তোষজনক জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো লেগেছে৷ বিশেষ করে বিনা টিকিটের যাত্রী ঠেকাতে এখানকার ব্যবস্থাপনা প্রশংসনীয়৷ এসে দেখলাম সবগুলো ট্রেনই সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে৷ আগে বিলম্বে ট্রেন ছাড়ার অহরহ ঘটনা ঘটলেও এবারের ঈদে সেটি দেখা যাচ্ছে না।

ট্রেনের আরেক যাত্রী আকলিমা আক্তার বলেন, গত ঈদে বাড়ি যেতে অনেক ভেগান্তিতে পোহাতে হয়েছিল। এবার স্টেশনে এসে ভালো লাগছে। ব্যবস্থাপনা ভালো। সবার ঈদযাত্রা আনন্দের হোক।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সকল মাংসের দোকান বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

টানা তিন দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারিভাবে মাংসের দাম নির্ধারণ করায় এই কর্মসূচি পালন করছে তারা। এর আগে গত সোমবার সকালে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

সরেজমিনে বুধবার সকালে শহরের আনন্দবাজার, মেড্ডা বাজার, ফারুকী বাজার, বর্ডার বাজার, কাউতলী বাজার ও বউ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সব মাংসের দোকান বন্ধ রয়েছে। সেখানে মাংস ক্রয় করতে এসে কাঙ্ক্ষিত মাংস না পেয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

মাংস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তাদের দাবি, আগের ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি মাংসের মূল্যে বহাল রাখার। এই দাবি পূরণ করা না হলে মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ দিকে পবিত্র মাহে রমজান মাসে বাজারে এসে কাঙ্ক্ষিত গরুর মাংস কিনতে না পেরে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মাংস ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেন ও শামীম জানান, আমরা জনগনের চাহিদা ও ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করেই মাংস বিক্রি করে থাকি। সরকার আমাদের যে বাজার দর দিয়েছে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা দর। এই দরে মাংস বিক্রি করে আমাদের ব্যবসার লোকশান হবে। তাই আমরা গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমাদের মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা খামারী এবং ব্যাপারি থেকে গরু কিনে থাকে, তারা চামড়াসহ গরু কিনে বাজারে জবাই করে থাকেন। এতে ৭২০ টাকার মতো প্রতি কেজিতে দাম পড়ে। এ অবস্থায় সরকার ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা নির্ধারণ করেছে। তা আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অবশ্যই দাম সমন্বয় করতে হবে। কারণ খামারে গরুর দাম কমাতে হবে। দাম পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় এই মাংসের বাজার বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।

মাংস ক্রয় করতে আসা ক্রেতা মো. সায়েম জানান, গত তিনদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাজারে মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এতে আমরা জনগণ খুব বেশি ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। রমজান মাস হওয়ায় হুজুরদের দাওয়াত করতে হয়, মাংসেরও প্রয়োজন হয়। আমরা এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি জানাই।

ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, মাংসের বাজারে অস্থিরতা ও চলমান সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ীদের বৈঠক হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

বৈঠকে জেলা প্রশাসক সরকার নির্ধারিত মূল্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে এইটুকুই বলতে পারি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেউ বেশি মূল্যে বিক্রি করলে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ীকে বাজারে সুবিধা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




নোয়াখালীতে এমপি কিরনের বিরুদ্ধে মন্দির কমিটির মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউর আখড়া (চৌমুহনী দেবালয়) পরিচালনা কমিটির অনুমোদন দেয়ায় নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেগমগঞ্জ সিনিয়র জজ আদালতে মন্দিরের পক্ষে তপন চন্দ্র মজুমদার ও গণেশ চন্দ্র কুরী এ মামলা করেন। পরে মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দফায় মামলার শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী মজিবুল হায়দার চৌধুরী।

মামলার বাদী তপন চন্দ্র মজুমদার জানান, চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউর আখড়া তথা চৌমুহনী দেবালয় এর নিজস্ব গঠনতন্ত্র রয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যুগ যুগ ধরে মন্দির পরিচালায় কমিটি হয়েছে। হিন্দু কমিউনিটির লোকজন মূলত এ কমিটি নির্বাচন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মন্দির পরিচালনায় ২০২২ সালের ১৪ মে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট মন্দির পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ৪ বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১৪ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার কথা। সে অনুযায়ী প্রায় দুই বছরের কাছাকাছি মন্দির পরিচালনাও করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে মন্দিরের গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন নতুন করে কমিটি গঠনের জন্য ১৪ মার্চ স্বাক্ষরিত তার নিজস্ব প্যাডে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে দায়িত্ব দেয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই ৫জন মাত্র এক দিনের মাথায় ১৫ মার্চ একটি ৫১জন বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে তা এমপি মামুনুর রশিদ কিরনের সামনে উপস্থাপন করলে তিনি ১৬ মার্চ নিজে স্বাক্ষর দিয়ে ওই কমিটির অনুমোদন দেন। যা মন্দিরের গঠনতন্ত্রের বহির্ভূত।

মামলার অপর বাদী গণেশ চন্দ্র কুরী বলেন, সংসদ সদস্য মন্দির কমিটি গঠন বা গঠনের লক্ষ্যে তার নিজ প্যাডে স্বাক্ষর দিয়ে কাউকে কোনো দায়িত্ব দিতে পারেন না। শতবর্ষী এ মন্দিরে এর আগে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মন্দির কমিটি নিয়ে তা হিন্দু কমিউনিটির জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। এতে করে মারামারির অবস্থাও তৈরি হতে পারে। যার কারণে বাধ্য হয়ে তারা আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন।

হিন্দু ধর্মালম্বী একাধিক ব্যক্তি জানান, মন্দির পরিচালনা কমিটির কয়েকজন নেতা সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় নির্বাচনে মামুনুর রশিদ কিরনের প্রতিপক্ষ ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদের পক্ষে নির্বাচন করায় ক্ষোভ থেকে তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুর যাওয়ার পথে বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এটা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন। হাসানপুর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে নাঙ্গলকোটের আগে ঘটনাটি ঘটেছে। ইঞ্জিন লাইনে আছে। তবে ৬ থেকে ৭টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে এ বিষয়টুকু জেনেছি। রিলিফ ট্রেন পাঠানোসহ আরো কিছু প্রাথমিক কাজ আছে, সেগুলো আমরা এই মুহূর্তে করছি। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।

লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ উল্ল্যাহ বাহার বলেন, ঘটনার পর থেকে আপলাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল করবে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।

তবে দুর্ঘটনার বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে ট্রেনটির কয়েকটি বগি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪