আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

কাল থেকে চালু হচ্ছে দেশের সব হাসপাতালের আউটডোর-ইনডোর সেবা

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

আগামীকাল মঙ্গলবার সারা দেশের হাসপাতালে সীমিত পরিসরে ইনডোর ও আউটডোর সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। এ ছাড়া জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা আগের মতো চালু থাকবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতালের প্রশাসনিক গেইটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকদের পক্ষে এসব তথ্য জানান হাসপাতালটির নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুল আহাদ।

তিনি বলেন, জরুরিসেবা আগের মতোই চালু থাকবে। সীমিত পরিসরে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগ চালু করা হবে। হাসপাতালগুলোতে রুটিন সেবা বন্ধ, তবে ইমার্জেন্সি সেবা চালু থাকবে। এ ছাড়া ইনডোর সেবা চলবে।

ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। হামলাকারীদের মধ্যে যাদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, তাদের গ্রেপ্তার,স্বাস্থ্যসুরক্ষা আইন ও স্বাস্থ্য পুলিশ গঠনের খসড়া না হওয়া পর্যন্ত এ তাদের এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে ৮ মাসে মারা গেছেন ৯২ জন

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ধনীর সঙ্গে ডেট করেও সুখী হতে পারিনি: অভিনেত্রী চমক

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিয়ের পর থেকে ছোটপর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক ও তার স্বামী আজমান নাসিরকে নিয়ে নেটদুনিয়ায় চর্চার শেষ নেই। তিন মাস আগে হঠাৎ বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর নাসিরের এটি তৃতীয় বিয়ে বলে সমালোচনায় মেতে ওঠেন নেটিজেনরা। অন্যদিকে চমকেরও নাকি এটা দ্বিতীয় বিয়ে, এবার সেই গুঞ্জনেও পাল তুলেছেন তারা।

গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে চমক বলেন, সবাই এতকিছু লিখছিল, এটা আমার মোটেও পছন্দ হচ্ছিল না। এটা তো আমার একান্ত ব্যক্তিগত। আমরা একসঙ্গে আছি। আমার কিন্তু আগে কোনো বিয়ে হয়নি, তারপরও এটা নিয়ে কথা হচ্ছিল শুধু শুধু। এটা ঠিক, আমার একটা সিরিয়াস প্রেম ছিল। এরপর আরও দু-তিনটা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছি।

সবার এমন চর্চা আর নেগেটিভ মন্তব্যে ভীষণ বিরক্ত চমক। তাই বাধ্য হয়ে এবার মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, এটা তার প্রথম বিয়ে। তবে এর আগে সিরিয়াস প্রেম ছিল অভিনেত্রীর।

অভিনেত্রী চমক বলেন, কেউ হাজার কোটি টাকার মালিক, কিন্তু মানুষ ঠিক না হলে ক্যামনে কি! এর আগে আমি একজন অসম্ভব ধনীর সঙ্গে ডেট করেছিলাম। কিন্তু তখন সুখী হতে পারিনি। ওর সঙ্গে আমার মনে হয়েছে, আমি হ্যাপি, পরিপূর্ণ।

বিয়ের পর চমকের স্বামীকে ধনকুবেরও ভেবেছিলেন অনেকেই। সেই প্রসঙ্গ টেনে চমক বলেন, বিয়ের পর সবাই বলছিল যে, আমার স্বামী ধনকুবের। কিন্তু বিশ্বাস করেন, আমার স্বামীর চেয়ে বেশি আয় করি আমি। আর তাছাড়া আমার স্বামীর এটি তৃতীয় বিয়ে হলেও কার কী এসে যায়, আমার তো কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমার আসলে হেরে যাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতেই ভালো লাগে।

তিনি আরও বলেন, এই মানুষটা বারবার হেরে যাচ্ছিল, কিছুই পায়নি জীবনে, তার জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন যদি আমি হই, তার জীবনে সবচেয়ে বড় সুখটা যদি আমি দিতে পারি, কেন নয়। আমি তাকে অত কিছু জিজ্ঞেস করতে যাইওনি। সে আমার প্রতি সৎ, প্রচণ্ড ভালোবাসে, কেয়ার করে- এটাই আমার কাছে অনেক।

তাই আবারও বলছি, আমাকে পাওয়া যদি কারও জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন হয়, তখন সেই মানুষটার সঙ্গে থেকে যাওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত মনে হয়েছে। আর আমি হেরে যাওয়া মানুষের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি। কারণ, যে জীবনে অনেক জিতেছে, তার জীবনে তো আমাকে দরকার নাই। গুরুত্বও কম পাব। সে মানুষের সঙ্গে থাকাটা আমার ইচ্ছাও না। যোগ করেন অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হয়ে শোবিজে পথচলা শুরু চমকের। মাঝে পড়াশোনার জন্য বিরতি শেষে ২০২০ সালে ছোট পর্দায় অভিনয় শুরু করেন তিনি।

চমকের উল্লেখযোগ্য নাটক ও সিরিজগুলো হলো- হায়দার, হাউজ নং ৯৬, মহানগর, সাদা প্রাইভেট, অসমাপ্তভাইরাল হাজব্যান্ড


আরও খবর
মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে গণশুনানি

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

স্বাস্থ্যসেবা খাতে চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এই স্লোগান দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক সংগঠন সনাক-টিআইবি চট্টগ্রামের উদ্যোগে স্বাস্থ্যসেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাবৃদ্ধি এবং হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে গণশুনানি শীর্ষক জবাবাদিহিতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উদ্যোগে সেবাগ্রহীতাদের নিয়ে এই গণশুনানির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেবার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি সম্ভাব্য সব ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের পক্ষে অঙ্গীকার করেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. অজয় দাশের সভাপতিত্বে ও সনাক-টিআইবি চট্টগ্রামের সদস্য প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অজয় দাশ।

কর্মসূচীর উদ্দেশ্য ও সনাক-টিআইবির দেশব্যাপী চলমান দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন বিষয়ে ধারনা প্রদান করেন সনাক-টিআইবির সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী। অনুষ্ঠানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষে সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কে এম আশিক কামাল।

এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. আবুল বাশার, ডা. রাজদ্বীপ বিশ্বাস, স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদ মোঃ ফয়েজ আহমদ, পরিসংখ্যানবিদ শওকত আল-আমীন চৌধুরী, সেবা তত্ত্বাবধায়ক রেশমী দাস, সিনিয়র স্টাফ নার্স মনোয়ারা বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সনাক চট্টগ্রামের সদস্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির যুগ্ম আহবাযক অধ্যাপক সঞ্জয় বিশ্বাস, রওশন আরা চৌধুরী ও এস এম ফরহাদ উল্লাহ প্রমুখ।

উক্ত অনুষ্ঠানে সেবাগ্রহীতাগণ হাসপাতালে সেবা নিতে এসে যে সব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন সেসব বিষয় কর্তৃপক্ষকে সরাসরি প্রশ্ন করার মাধ্যমে সমাধান কামনা করেন। রোগীদের উত্থাপিত সমস্যাসমূহ ছিল, হাসপাতালে সার্বক্ষণিক পানির সরবরাহ না থাকা ও বেশির ভাগ পরীক্ষা বাহির থেকে করানো, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব, সিটি স্কেন যন্ত্র ও এমআর আই যন্ত্র স্থাপন, ঔষধ সরবরাহ কম, আয়াদের বিভিন্ন অনিয়ম, রোগীদের সরবরাহকৃত খাবারের মান খারাপ, ভর্তি রোগীর সীট ব্যবস্থপনায় অনিয়ম। শিশু ওয়ার্ডে রাতের বেলায় ডিউটি ডাক্তার না, নেবুলাইজার মেশিন এর স্বল্পতা ইত্যাদি। পাশাপাশি জলাতঙ্ক টিকার ক্ষেত্রে বকশিস এর অভিযোগ করলে তত্ত্বাবধায়ক মহোদয় নাম দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

সেবাগ্রহীতাদের এসব প্রশ্নের জবাবে কর্তৃপক্ষ বলেন, হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা আমাদের অতিথি, তাদের উন্নত সেবা প্রদান করা আমাদের কর্তব্য মনে করি। হাসপাতালে অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও রোগীদের ভালো সেবা দিতে আমরা তৎপর রয়েছি। রোগীদের সাথে এখানকার ডাক্তারদের ব্যবহার অত্যন্ত ভালো।

কর্তৃপক্ষ আরো বলেন, কাগজে কলমে ২৫০ শয্যার হলেও ১৫০ শয্যার লোকবল নিয়ে হাসপাতালে সেবা দিতে নিয়মিত হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই হাসপাতালে প্রায় দুশতাধিক রোগী নিয়মিত ভর্তি থাকে। ফলে আন্তরিকতা থাকা স্বত্বেও রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দেয়া সবসময় সম্ভব হয়ে উঠছেনা। এছাড়াও বিভিন্ন অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ওয়াসা, পিডব্লিউডিসহ সংশ্লিষ্ঠ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে বারবার তাগাদা দেয়া স্বত্তেও পর্যাপ্ত ও দ্রুত সহযোগীতা পাওয়া যায় না।

কর্তৃপক্ষ আরো বলেন, রোগীদের যত্রতত্র ময়লা ফেলা এবং পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মী না থাকায় এতোবড় হাসপাতালের সঠিকভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা স্বল্প সংখক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পক্ষে সবসময় সম্ভব হয় না। কর্তৃপক্ষ বলেন, ডাক্তারদের সম্মাননা হচ্ছে চিকিৎসা শেষে ঘরে ফেরার সময় রোগীর হাসিমুখ। আমরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসা সব রোগীদের হাসিমুখে বাড়ি পাঠাতে চাই। এজন্য রোগীদেরকেও সচেতন হতে হবে। হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে আমাদের নিজের বাড়ীর মত করে যত্নবান হতে হবে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবেনা।

সভাপতির বক্তব্যে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়স (ভারপ্রাপ্ত) ডা. অজয় দাশ বলেন, এ হাসপাতালের ডাক্তারসহ সকলেই সবসময় আন্তরিক থাকে রোগীদের ভালো সেবা দেয়ার জন্য। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও আমরা সাধ্যের সবটুকু দিয়ে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আজকের কর্মসূচী স্বার্থক কেননা আমরা রোগিদের সাথে সরাসরি বসে তাদের সমস্যার কথা শুনার মাধ্যমে অনেক কিছু সমাধানের ব্যবস্থা বের হয়ে আসছে। বাংলাদেশের খুব কম হাসপাতালেই আছে সেবার মান পর্যবেক্ষণে এই ধরনের উদ্যেগ গ্রহণ করে। পাশাপাশি বিগত সময়ে আর্থিক অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে আউটসোর্সিং এর স্টাফ ক্লোজ করার বিষয় অবহিত করেন। হাসপাতালের অভ্যন্তরে বিশেত অন্তঃবিভাগে কোথাও কাউকে টাকা, বকশিস না দেওয়ার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেন।

সনাক-টিআইবির সহযোগিতায় আমরা নিয়মিতভাবে রোগিদের কথা শুনছি এবং সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করছি। রোগীরা যেসব সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন তা সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি সেবার মান উন্নয়নে নাগরিক সমাজ ও রোগীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সেবা গ্রহীতাদের প্রায় সবাই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এর ডাক্তারদের সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখক নারীসহ প্রায় শতাধিক সেবা গ্রহীতা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



সিলেটে ৯১১ আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ৫৬টি

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের কাছে লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৯১১টি। মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে গোলাবারুদসহ এসব আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৫৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা হয়েছে। যা মূল আগ্নেয়াস্ত্রের মাত্র ৬ শতাংশ।

সিলেট মহানগর ও জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সিলেট মহানগর এলাকায় লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ২৪৮টি আর জেলার লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৬৬৩টি। তবে সব মিলিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে ৫৬টি। বাকিগুলা এখনো জমা হয়নি। ফলে বাকি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে বুধবার রাত ১২টা থেকে।

সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. সম্রাট তালুকদার বলেন, সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই আমরা থানাগুলোকে প্রচারণা চালানোর জন্য বলেছি। এসব আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো থানায় জমা না দিলে সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা আসার পর কাজ শুরু করবে পুলিশ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বার্তায় জানানো হয়েছে, ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এ বিষয়ে সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুবর্ণা সরকার জানান, গত ১৫ বছরের লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র স্থগিত করেছে সরকার। সেইসঙ্গে সবাইকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে থানায় আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও বেশিভাগ অস্ত্রধারী আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেয়নি। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। যারা নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



১৫ আগস্ট মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ যাবেন প্রাচী

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে ক্ষমতাচ্যূত হয়ে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশ ছাড়ার ঘোষণা ছড়িয়ে পড়তেই আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়। অনেকেই আবার ফোন বন্ধ করে চলে গেছেন আত্মগোপনে।

এই সুযোগে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী রাজনীতি করার দরুন প্রযোজক সেলিম খান ও তার ছেলে তরুণ চিত্রনায়ক শান্ত খানকে বাজারের মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডি ৩২-এর বাড়িটি পুড়িয়ে ছাই করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকা তার ভাস্কর্যগুলো।

ফলে এক সময় বঙ্গবন্ধুর চেতনায় বিশ্বাসী বলে নিজেকে পরিচয় দেয়া অনেকেই মুখে কুলুপ এটেছেন। তবে সেদিক থেকে ব্যতিক্রম গুণী অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে সরব আছেন তিনি। বরং ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর থেকে ফেসবুকে রাজনৈতিক পোস্ট নিয়ে আরও বেশি সরব হন রোকায়ে প্রাচী।


আজ তেমনি একটি পোস্ট করেছেন এই অভিনেত্রী। তিনি ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছেন আগামী ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে উপস্থিত হওয়ার। একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, আমরা জেগে উঠবো এই ধ্বংস থেকে। জেগে উঠবো আগুনে পোড়া ৩২ এর এই ঘর থেকে। জেগে উঠবো নিভে যাওয়া ছাই থেকে। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভেবেছ সব সাহস পুড়েছে? পুড়েছ তোমরা! আমরা বাঙালি এই ছাইভস্ম থেকেই উঠবো আবার আগুন হয়ে জেগে! জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।


আরও খবর
মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




৬৪ জেলায় ডিসি হচ্ছেন যারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবারের (২০ আগস্ট) মধ্যে তাদের প্রত্যাহার করা হবে জানা গেছে। এরপর নতুন করে ডিসি নিয়োগ দেওয়া হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সদ্য পদোন্নতি পাওয়া উপসচিবসহ বিসিএস ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগের মানদণ্ড হবে মেধা, দক্ষতা ও সততা।

ডিসি নিয়োগ ইস্যুতে বিগত সরকারের আমলে বঞ্চিত পাঁচ কর্মকর্তার সহায়তা নেওয়া হবে। তারা হলেন- বিসিএস ২৪ ব্যাচের নুরজাহান খানম ও নজরুল ইসলাম, ২৫ ব্যাচের নুরুল করিম ভুইয়া ও ফরিদা খানম এবং ২৭ ব্যাচের সারোয়ার আলম।

জানা গেছে, সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকালে ডিসি হতে ইচ্ছুক প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বা কালকের মধ্যেই নতুন ডিসি নিয়োগ হবে।

সোমবার রাতে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কক্ষে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে, ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর মধ্যে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ৩২৩ জন পৌর মেয়র রয়েছেন।

এ ছাড়াও ৯৮৮ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এতদ্বারা উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ১০২৪ এর খারা ১০ম প্রয়োগ করে নিম্নবর্ণিত সব ভাইস চেয়ারম্যান ও সব মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদকে উপজেলা পরিষদের স্বত্ব পদ থেকে অপসারণ করা হলো।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪