চট্টগ্রামের কর্ণফুলিতে
এস আলম সুগার মিলের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। বুধবার (০৬ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত
এস আলম সুগার মিলের ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না
থাকলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সময় লাগবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
চট্টগ্রাম ফায়ার
সার্ভিসের সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এম ডি আবদুল মালেক বলেন, আগুন তেমন আর নেই। মাঝেমধ্যে
ফুলকি দেখা যাচ্ছে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে।
এদিকে, চিনির
কাঁচা রাসায়নিকের গলিত পোড়া বর্জ্য কারখানার ড্রেন দিয়ে যাচ্ছে কর্ণফুলিতে। এতে করে
পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। আর অপরিশোধিত চিনির ধোঁয়ায় উপস্থিত লোকজনের
চোখ জ্বলছে, ছড়াচ্ছে গন্ধও।
কারখানার মূলফটক
থেকে গুদাম পর্যন্ত পুরো রাস্তায় অপরিশোধিত চিনি গলে লালচে কালো কাদার মতো তরল ছড়িয়ে
আছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটাচ্ছেন। আগুনের বিস্তার ঠেকাতে গুদামের মুখে
দেওয়া হয়েছে বালি। গুদামের ছাদের বেশিরভাগ টিন কালো হয়ে বেঁকে গেছে। ধোঁয়া ছড়াচ্ছে
আশপাশে। কারখানা এলাকার ভেতরের রাস্তায় জমা চিনি গলা আস্তরণ এস্কেভেটর দিয়ে সরানো হচ্ছে।
অপরিশোধিত চিনির ধোঁয়ার তীব্রতায় উপস্থিত লোকজনের চোখ জ্বলছে। চিনি গলে যাওয়ার গন্ধও
ছড়াচ্ছে। চিনির কাঁচামালের আগুনে পোড়া বর্জ্যগুলো কারখানার ড্রেন দিয়ে সোজা চলে যাচ্ছে
কর্ণফুলি নদীতে। এতে করে নদী ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
এস আলম সুগার
মিলের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হাসমত আলী জানান, কারখানার পুরো প্রসেসিং যন্ত্রপাতি
এবং কারখানা নিরাপদ রয়েছে। আগুন যাতে ছড়াতে না পারে, সেজন্য গোডাউন থেকে কারখানার
মূল প্ল্যান্টে আসার বেল্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার
(০৪ মার্চ) বিকাল ৩টা ৫৩ মিনিটে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ
চিনিকলে আগুন লাগে। রমজান মাস ঘিরে বিপুল পরিমাণ চিনি আমদানি করেছিল এস আলম সুপার রিফাইন্ড
সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত এক লাখ মেট্রিক টন চিনি রাখা ছিল
ওই চিনিকলে।