কালিহাতী (টাঙ্গাইল) থেকে মো. আব্দুল লতিফ
তালুকদার:
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে
আজকের দর্পণের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর ) সকালে কালিহাতী
প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কেক কাটার আয়োজন করা হয়। আজকের দর্পণের কালিহাতী প্রতিনিধি মো.
আব্দুল লতিফ তালুকদারের আয়োজনে ও সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী প্রেসক্লাব
সভাপতি মীর আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি মো. কামরুল হাসান, কার্যকরী সদস্য তারেক আহমেদ,
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সাহিত্য সম্পাদক আনিছুর রহমান শেলী, ক্রীড়া সম্পাদক
নূর নবী রবিন, দপ্তর সম্পাদক এম এম হেলাল বাদশা প্রমুখ।
রমজান মাসে
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকবে কি না, এ বিষয়ে আপিল বিভাগ আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
দেবেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন
আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
এর আগে সোমবার
(১১ মার্চ) রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না
করে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে
শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ
আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
শুনানিতে এ
কে এম ফয়েজ বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। করোনার সময় দুই বছর সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
রমজানে ১০-১৫ দিন স্কুল বন্ধ রাখলে পড়ালেখার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং খোলা রাখলে যানজটের
সৃষ্টি হবে, অভিভাবকরা সমস্যায় পড়বেন। এ ছাড়া স্কুল বন্ধ রাখতে অভিভাবকরা বিভিন্ন জায়গায়
মানববন্ধন করে যাচ্ছেন।
শুনানিতে অ্যাটর্নি
জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, স্কুল খোলা রাখা সরকারের পলিসির বিষয়। হাইকোর্ট এখানে
হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
সোমবার সকালে
রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া
আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
তার আগে রোববার
(১০ মার্চ) রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কে এম
কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে
শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহমুদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল
শেখ মো. সাইফুজ্জামান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি
ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল
খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও
জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। তাদের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
তিন যুগ আগে
পারিবারিক দ্বন্দ্বে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায়
করা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তিন আসামিকে খালাস
দিয়েছেন আদালাত।
বুধবার (১৩
মার্চ) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা
হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান
ও মারুফ রেজা।
১৯৮৯ সালের
২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামীর করা মামলায়
মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদকে আসামি করা হয়।
২০২০ সালের
১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক
রফিকুল ইসলাম আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি
হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের
মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব।
অভিযোগপত্রে
আরও বলা হয়, সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক
বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার
পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার
সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।চুক্তি করা ২৫ হাজার টাকার মধ্যে মারুফ রেজাকে
১৫ হাজার টাকা দেন হাসান আলী। ১০ হাজার টাকা পরে দেওয়ার কথা বললেও আর দেননি।
২০২১ সালের
২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ
চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক
বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী
আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যদিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।এ
মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
সাবেক রাষ্ট্রপতি
জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (২০ মার্চ)। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ
সহচর, রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। অহিংস রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ, ভাষাসৈনিক
ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জিল্লুর রহমান দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ২০১৩
সালের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি
তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।
এ উপলক্ষে তার
পরিবার, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ নানা কর্মসূচি পালিত হবে।
এর মধ্যে রয়েছে- সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা
পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা প্রভৃতি।
জিল্লুর রহমান
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামে ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জিল্লুর রহমান বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির সামরিক শাসনবিরোধী
আন্দোলন, ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ
দেশের প্রতিটি গণআন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭২ সালে আওয়ামী
লীগের কমিটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি এবং জিল্লুর রহমান সাধারণ
সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার হত্যার পর প্রায় চার বছর কারাবন্দি ছিলেন।
পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ছিলেন।
২০০৭ সালের
১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি আইন জারির মধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার
হলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জিল্লুর রহমান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দলীয়
সরকার গঠন হলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং
সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তার সহধর্মিনী
বেগম আইভি রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আহত
হওয়ার তিন দিন পর মৃত্যুবরণ করেন।
সিনেমা জগতের বাইরেও বিভিন্ন ইস্যুতে বেশ
সক্রিয় বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যের
কারণে আলোচনার কেন্দ্রে তিনি। জানান দিয়েছেলেন রাজনীতিতে নামার আগ্রহের কথাও।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সমর্থনেও
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেকেছেন বেশ সক্রিয়। এবার যেন সেটিরই পুরস্কার পেলেন তিনি।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।
নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে মোদির দলের হয়ে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করবেন তিনি।
রবিবার (২৪ মার্চ) লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের
পঞ্চম তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেখানেই পাওয়া গেল কঙ্গনার নাম। এছাড়া এই তালিকায়
অভিনেতা অরুণ গোভিলের নামও রয়েছে। তিনি বিজেপির হয়ে লড়বেন উত্তর প্রদেশের মিরুত
থেকে।
বিজেপির মনোনয়ন পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ
করে এক্স-এ কঙ্গনা লিখেছেন,‘প্রিয় ভারত ও ভারতীয় জনতার নিজস্ব দল
বিজেপির জন্য বরাবরই আমার সমর্থন ছিল। আজ দল থেকে আমাকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী
হিসেবে ঘোষণা করেছে, আমার জন্মস্থান হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে। আমি দলের উচ্চ
পর্যায়ের আদেশ মেনে নির্বাচন করব। আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। আশা
করছি দলের একজন দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে মানুষের সেবা করতে পারব।’
প্রসঙ্গত, ভারতে লোকসভা নির্বাচনে সাত
ধাপে এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৯ এপ্রিল শুরু হয়ে যা চলবে ১ জুন পর্যন্ত।
আর ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে আগামী ৪ জুন।
সাবেক গৃহায়ণ
ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনা
তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু চার্জশিট দেওয়ার সময়
অনেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং আজ পর্যন্ত সেই মামলার অভিযোগ গঠন পর্যন্ত হয়নি।
তিনি স্পেশাল
ট্রাইব্যুনাল করে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করার আহ্বান জানান।
শনিবার (২ মার্চ)
জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শ ম রেজাউল
করিম এ কথা জানান।
এ সময় স্পিকার
শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
শ ম রেজাউল
করিম বলেন, বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়মুক্তি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।
কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন
লাগার পর সেই সময় আমি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। আমি তখন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে
কাজ করেছিলাম, তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে আমরা রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য সর্বোচ্চ
পর্যায়ের একটি কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তার পর চার্জশিট
দেওয়ার সময় অনেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আজ পর্যন্ত সেই মামলার অভিযোগ গঠন
পর্যন্ত হয়নি।
তিনি বলেন,
নারায়ণগঞ্জের একটি ফুড ফ্যাক্টরিতে ৫২ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করালো। সেই প্রক্রিয়ার আসামিরা
সব জেলে গেছেন, আজ পর্যন্ত বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি। এ রকম অনেক ঘটনা যেটা বিরোধী
দলের চিপ হুইপ বলেছেন। এই জায়গায় আমার দাবি, এই জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত প্রয়োজনে
আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করা না হলে শুধু এই অপরাধের
না, অন্যদের কাছে একটা মেসেজ যাবে না।
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী
বলেন, আমরা সেই সময় ১৩০০ ভবনকে চিহ্নিত করেছিলাম। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে যে ভবনের
প্ল্যান সঠিক নাই, যে ভবনের অধিকাংশ ফ্লোর অনুমোদিতভাবে নেওয়া হয়েছে সেই ভবনগুলো কিন্তু
ভাঙা সম্ভব হয়নি। এটাও কিন্তু এক প্রকারের দায়মুক্তি দেওয়া। কাজে আমি আশা করব সেটা
করা দরকার। আর একটা বিষয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসেন, আমি বলব আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ কায়েম
করেছি কিন্তু ডিজিটাল ব্যবস্থা অপব্যবহারে ভয়ংকর ক্ষতিগ্রস্ত যারা তাদেরও বিচার পাওয়ার
অধিকার আছে। আমি একটি মামলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি, পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
কাছে গিয়েছি। আসামিরা স্বীকারোক্তি করার মামলায় তিন বছরে চার্জশিট দেওয়া হয় না। এই
অজুহাতে আসামিরা জেলখানা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ দরকার কিন্তু ডিজিটাল
ব্যবস্থার অপব্যবহার করে যারা তাদেরও বিচারের জন্য যদি ব্যবস্থা না হয় সেটাও কিন্তু
এক প্রকার দায়মুক্তি তাদের জন্য হয়ে যায়। আমি আশা করি এই বিষয়গুলোকে সম্পৃক্ত করে,
বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শুধু আর্থ সামাজিক উন্নয়ন না, অবকাঠামো উন্নয়ন না; আইনের
শাসন প্রতিষ্ঠার যে মৌলিক লক্ষ্য যেটা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেই জায়াগায় আমাদের
পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে যে, আমাদের একদিকে উন্নয়ন হলো অন্যদিকে আমরা পিছিয়ে
পড়ছি। আশা করি এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা গুরুত্বেও সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
দ্বাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র
সুসংহত করার জন্য যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হতো তাহলে বাংলাদেশে সাংবিধানিক শূন্যতা
দেখা দিত। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আইন বাংলাদেশের সংবিধান। সেখানে সংবিধানের বিধিবিধান
এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে একটি নির্বাচিত সরকার আর একটা নির্বাচিত সরকারের
কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এর মধ্যবর্তী কোনো অবস্থা নাই। যেটা আমাদের সাংবিধানিক
অবস্থান এবং একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের
অগ্রযাত্রার অপ্রতিরোধ্য গতির মধ্য থেকে দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে এর
ফলে আজকে বাংলাদেশ স্থিতিশীলতা পেয়েছে,উন্নয়ন পেয়েছে, সমৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে বাংলাদেশ
বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের জাদুকর শেখ হাসিনা বিশ্বের কাছে বিস্ময়।
বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা আজকে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার
পরিকল্পনা করেছেন সে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হচ্ছে আমার বিশ্বাস, গণতান্ত্রিক
প্রক্রিয়া, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার কারণে। আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনার
হাতেই নিরাপদ বাংলাদেশ।