গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায়
একটি ইলেকট্রিক পন্য তৈরি কারখানায় ইফতার খেয়ে অসুস্থ হয়ে রোববার তিন শ্রমিকের মৃত্যু
হয়েছে। অপর এক শ্রমিক গুরুত্বর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে
কারখানার শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়েছে কারখানার সামনে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে।
এসময়ে শ্রমিকরা গাড়ির টায়ারে অগ্নিসংযোগ
করেছে। তাৎক্ষনিক ভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আল আমিন হোসেন (২৮) নামের আরেক
শ্রমিক হাসপাতালে মুর্মুষ অবস্থায় ভর্তি আছেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর
উপজেলায়। তিনি কারখানার পাউডার কোটিং সেকসনের অপারেটর ছিলেন।
কারখানার শ্রমিক ও পুলিশ জানায়, রোববার
ইফতারের সময় কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানায় ইফতার খেয়ে ১০-১২ জন শ্রমিক
আসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজি বিশেষায়িত
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। অপর
এক শ্রমিক ওই হাসপাতালের আইসিওতে ভর্তি রয়েছে। এদিকে শ্রমিক নিহতের খবর ওয়ালটন কারখানায়
ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা কারখানার সমানে
গাড়ির পুরনো টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে। এতে রাত ৮
টা থেকে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ও উপজেলা
প্রশাসন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শ্রমিকদের বুঝয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল স্বভাবিক
হয় উঠে।
কারখানার ডেপুটি অপারেটিভ ডাইরেক্টর মো.
সুজন মিয়া বলেন, আমরা যতোদুর জেনেছি তারা খাবার খেয়ে নয় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে
মারা গেছেন।
রোববার রাত সাড়ে ১০টায় দিকে কালিয়াকৈর
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ তিন শ্রমিকের
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।