আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

কামাল পরিবারের ৩২০ কোটি টাকা দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিগত আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রীরা কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। দেশ থেকে পাচার করেছেন হাজার কোটি টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানে একে একে সেইসব দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসেছে।

আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও তার পরিবারের নামে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি সংস্থাটির অনুসন্ধানে আরও ২০০ কোটি টাকার বেশি মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটির অনুসন্ধান টিম। সব মিলিয়ে আপাতত ৩০০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে।

আর ওই দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে আসাদুজ্জামান কামাল, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, তার ছেলে শাফি মোদাচ্ছের খান, মেয়ে সোফিয়া তাসনিম খান ও সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেনকে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। চলতি সপ্তাহের যে কোনো দিনই কমিশনের অনুমোদনক্রমে মামলা করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, দুদকের অনুসন্ধানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অকাট্য প্রমাণ মিলেছে। নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে নামে-বেনামে ১০০ কোটি টাকার বেশি স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ব্যাংকের নগদ অর্থ, ঢাকা ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে। অনুসন্ধানে তাদের ব্যাংক হিসাবেই শত কোটি টাকার বেশি অর্থের সন্ধান মিলেছে। এছাড়া তার এপিএস মনিরের বিরুদ্ধে প্রায় ২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে।

তিনি আরও বলেন, দুদক টিম ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অন্তত ২০০ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। আপাতত এসব কারণেই মামলা সুপারিশ করা হয়েছে। তবে আমাদের বিশ্বাস তদন্তে তাদের এর চেয়ে বহুগুন সম্পদ ও মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের অন্যান্য ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। এ যাত্রায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা না হলেও খুব শিগগিরই মামলা সুপারিশ কমিশনে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও তার পরিবারসহ ওই ৫ জনের বাইরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম, মন্ত্রীর সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপুর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অনুসন্ধান চলমান আছে। ইতোমধ্যে তার নামে থাকা ব্যাংক হিসাব ও আয়কর নথিসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে বস্তায় বস্তায় কোটি কোটি টাকা আদায় করা অভিযোগ ছিল। যার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কামাল-হারুন সিন্ডিকেট।

ইতোমধ্যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন সে কারণে আদালতের অনুমতিক্রমে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তার স্ত্রী, দুই সন্তান এবং মন্ত্রীর পিএস, এপিএসসহ ওই ১০ ব্যক্তিকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আদেশ দেয় আদালত। আদালতে দেওয়া আবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

কামাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ঘুষ হিসেবে বস্তা বস্তা টাকা নিতেন। পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে এই টাকা আদায় করা হতো। এ জন্য তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য ছিলেন যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন। টাকা আদায় বা উত্তোলনে মূল ভূমিকা পালন করতেন ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাস। হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই কামাল-হারুন সিন্ডিকেট। একপর্যায়ে হারুন অর রশীদ অবসরে গেলেও এই মন্ত্রণালয়ের সব ঘুষ, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। ঝুঁকি এড়াতে টাকাগুলো পাঠানো হয়েছে দেশের বাইরে।

অভিযোগ রয়েছে জেলায় পুলিশ সুপার নিয়োগে সর্বনিম্ন ৮০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত নিতো এই চক্র। এই সিন্ডিকেটের আশীর্বাদ ছাড়া পুলিশের কেউ কোনো জেলায় বা গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন পেতেন না। জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়নের ক্ষেত্রে ১ থেকে ৩ কোটি টাকা নিতো এই সিন্ডিকেট।

২০২২ সালের ৩০ জুন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান ডিআইজি মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম। পাঁচ কোটি টাকার বিনিময়ে মোল্ল্যা নজরুলকে গাজীপুরের কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়। এর মাস খানেক আগে হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের কাছে ৫ কোটি টাকার একটি চেক দেন মোল্ল্যা নজরুল। পরবর্তী সময়ে গাজীপুরের কমিশনার হিসেবে নিয়োগের পর হোটেল ওয়েস্টিনে হারুন অর রশীদের কাছে নগদ ২ কোটি টাকা দেন তিনি। এসময় পূর্বের চেকটি ফেরত নিয়ে মোল্ল্যা নজরুল ৩ কোটি টাকার একটি চেক দেন। পরে বাকি টাকাও দেওয়া হয়। এসব টাকা বস্তায় ভরে পৌঁছে দেওয়া হতো আসাদুজ্জামান খান কামালের ফার্মগেটের বাসায়।

সূত্র জানায়, এনজিওর নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা এনওসি দিতে গিয়ে প্রতি সংস্থা থেকে ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা দিতে হতো আসাদুজ্জামান খান সিন্ডিকেটকে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি উন্নয়ন সংস্থার এনওসি নিতে গেলে বিপত্তি শুরু হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এর আগে পুলিশের বিশেষ শাখা, জেলা প্রশাসক, এনএসআই ইতিবাচক প্রতিবেদন দাখিল করে। তারপরও অদৃশ্য কারণে ফাইলটি মাসের পর মাস আটকে রাখা হয় মন্ত্রণালয়ে। বাধ্য হয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে মন্ত্রীকে ৮৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। ফার্মগেট এলাকায় কামালের বাসার সামনে টাকার ব্যাগটি দেওয়া হয় তার পরিবারের এক সদস্যের কাছে।

ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সে কোনো সার্কুলার হলেই মন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি তালিকা পাঠানো হতো। সে মোতাবেক তাদের নিয়োগ দিতে ফায়ার সার্ভিসকে বাধ্য করতেন সাবেক এই মন্ত্রী। ২০২৩ সালে ২ অক্টোবর ৫৩৫ জনকে জনকে নিয়োগ দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এর মধ্যে ছিলেন ৪৩৬ পুরুষ ফায়ার ফাইটার, ১৫ জন নারী ফায়ার ফাইটার ও ৮৪ জন গাড়িচালক। নিয়োগ কার্যক্রমের শুরুতেই মন্ত্রীর দপ্তর থেকে ২৫০ জনের একটি তালিকা পাঠানো হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে। সাবেক এই মন্ত্রীর নির্দেশে সেই তালিকা মোতাবেক নিয়োগ দিতে বাধ্য হয় ফায়ার সার্ভিস। নিয়োগের জন্য জনপ্রতি ৮-১২ লাখ টাকা নিতো কামাল-হারুন সিন্ডিকেট।


আরও খবর



ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দলীয়করণ নিয়ে মুখ খুললেন নায়ক উজ্জ্বল

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বিগত সরকারের আমলে একচ্ছত্র দলীয়করণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল।

সাদাকালো যুগের সফল নায়কদের মধ্যে অন্যতম ভাবা হয় তাকে। কিন্তু বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় গুরুত্বহীন হয়ে পড়েন তিনি।

চলচ্চিত্র শিল্পের সুখকর সময় অতীত। অথচ মহান মুক্তিযুদ্ধে চলচ্চিত্র শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের ভূমিকা ছিল গর্বের। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জহির রায়হান নির্মাণ করেন তথ্যচিত্র স্টপ জেনোসাইড। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র থেকে শিশু-কিশোররাও জেনেছে স্বাধীনতা এবং মুক্তির ইতিহাস। কিন্তু সেই ঐতিহ্য এখন দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে নেই বললেই চলে।

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দলীয়করণ নিয়ে উজ্জ্বল বলেছেন, যেভাবে রাষ্ট্রের সব জায়গায় ক্ষত-বিক্ষত করেছে গত সরকার, এফডিসিও তার বাইরে নয়। রাষ্ট্র যেভাবে ধ্বংস করেছে, দেশের শিল্প-সাহিত্যের সমস্ত প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করে ধ্বংস করেছে। এফডিসি এখন চারণভূমি। এফডিসির ফ্লোরগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। অথচ ফ্লোরগুলো ঠিক রেখেই উন্নয়ন করা সম্ভব ছিল। প্রতিটি ফ্লোরে আমাদের অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক দলীয়করণ হয়েছে।

প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য ছবি জমা দিয়ে শুধুমাত্র লবিং, লিয়াজোঁ, স্বজনপ্রীতি, দলীয়প্রীতি না থাকায় সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক মেধাবী চলচ্চিত্র নির্মাতা। উজ্জ্বলের দাবি, দলীয় বিবেচনায় অনুদানের টাকা পেয়েছে অনেকে।

অনুদান সব সময় যোগ্য লোক পায়নি। এখানেও দলীয়করণ হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সিনেমা করেছে। কেন? এতে করে জনগণের টাকা নষ্ট হয়েছে।

নন্দিত নির্মাতা সুভাষ দত্ত পরিচালিত বিনিময় সিনেমায় উজ্জ্বল নামে অভিনয় করেন উজ্জ্বল। এর পরে সমাধি, নালিশ, উসিলা, নসিব, অপরাধ, সমাধানসহ অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে রাজা বাবু সিনেমায় তাকে দেখা যায়। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও কোনো সম্মাননা পাননি তিনি।

৭৮ বছর বয়সি উজ্জ্বল এ নিয়ে বলেন, আমি যদি চাইতাম তাহলে বিএনপি সরকারের সময় বড় বড় পুরস্কার নিতে পারতাম। আমি সেটা করিনি। এটা আমার মধ্যে নেই। কিন্তু, গত সরকার তা করেনি। অনুদান, সেন্সরবোর্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার সবখানে দলীয়করণ হয়েছে। অথচ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তন করেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

১৯৪৬ সালের ২৮ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে জন্ম নেয়া উজ্জ্বল ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে এমএ পাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে মঞ্চ নাটক করতেন এবং ১৯৬৭১৯৭০ সাল পর্যন্ত টেলিভিশনের নাটকেও অভিনয় করতেন।


আরও খবর
মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যেসব সংস্কার চায় বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে চার ক্ষেত্রে সংস্কার চায় বিএনপি। এগুলো হচ্ছে, নির্বাচন ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং বিচার বিভাগ।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠানটাই নষ্ট হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একবারে নষ্ট হয়েছে। বিচার বিভাগ, যেটা রাষ্ট্রের জন্য সবচাইতে জরুরি, সেখানে দলীয়করণ চূড়ান্ত হয়েছে, দুর্বৃত্তায়ন চূড়ান্ত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করা খুব প্রয়োজন। অর্থনীতিতে বেসিক সমস্যা আছে, যদিও এর তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব না। কতগুলো ইমিডিয়েট পদক্ষেপ দরকার যাতে অর্থনীতি সচল থাকে। ব্যাংকিং সেক্টরে আমূল সংস্কার দরকার। সেটা দ্রুত হয়তো সম্ভব না, তবে শুরুটা করা দরকার। প্রধানত যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে চাই, সেগুলো হলো নির্বাচন ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং বিচার বিভাগ, এই চারটি বিষয়ে নূন্যতম যে সংস্কার সেটি হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

তিনি বলেন, এই সংস্কারগুলো করার আগে বর্তমান সরকারের উচিত হবে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলা। কথা বলে ধারণাগুলো নেওয়া। এটি করা উচিত এবং এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যদি সংস্কার হয় তাকে অবশ্যই সমর্থন করব আমরা।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অনুপস্থিত থাকা উপজেলা চেয়ারম্যানের জায়গায় ক্ষমতা পেলেন ইউএনও

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদে অনেক চেয়ারম্যান ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং যোগাযোগ করেও তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় সেসব উপজেলা পরিষদে সব ধরনের জনসেবা অব্যাহত রাখা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে।

এতে জানানো হয়, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদে অনেক চেয়ারম্যান ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং যোগাযোগ করেও তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না মর্মে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়। উপজেলা পরিষদের অনেক প্যানেল চেয়ারম্যানও কর্মস্থলে ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

এজন্য উপজেলা পরিষদগুলোর অনেক ধরনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে এবং জনসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে উল্লেখ করে আদেশে বলা হয়, যেসব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং প্যানেল চেয়ারম্যান অনুপস্থিত রয়েছেন সেসব উপজেলা পরিষদে সব ধরনের জনসেবা অব্যাহত রাখা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।

১৪ আগস্ট থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে বলেও আদেশে জানানো হয়।


আরও খবর



ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে সাগর মিয়া (২০) নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘঠনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাতটায় উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের ইসবপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘঠে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলুর লোকজনের সঙ্গে একই এলাকার আওলাদ মিয়ার লোকজনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আওলাদ মিয়ার স্বজন জলসুখার বনহাটীর বাসিন্দা মৃত তকবোল মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন।

এরই জেরে ফয়েজ আহমেদ খেলু স্বজন ইসবপুর গ্রামের বাসিন্দা মেতী মিয়ার ছেলে আকাশ মিয়া সাগরকে পোস্টের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘঠে। রাতে বিষয়টি জানার পর আওলাদ মিয়ার ছেলে সাবেক পুলিশ সদস্য জনি মিয়া আকাশের পরিবারকে দেখে নেবে বলে হুমকিসহ গালাগাল করেন।

পরে রোববার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।

আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমেদ বলেন, দুপক্ষের মধ্যে আগে থেকে বিরোধ ছিল। শনিবার বিকেলে ফেসবুকে একটি পোস্টের জেরে এই সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ

আরও খবর



চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলসহ উপদেষ্টা পরিষদের ৮ সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাতিল হতে যাচ্ছে বিভিন্ন পদে থাকা চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ, এ জন্য তালিকাও তৈরি হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব চুক্তি বাতিল করা হবে। তবে এর মধ্যে বেশি বিতর্কিত যে নিয়োগগুলো আছে, সেগুলো অনতিবিলম্বে বাতিল করা হবে। রোববার (১১ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এ ধরনের আটটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ সূত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।

শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া পদত্যাগ করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতউলইসলাম। জানা যায়, তাদের দুইজনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগ করা হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরদের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে তিন সদস্যের (মুসলিম চৌধুরী, আহসান এইচ মনসুর ও নজরুল ইসলাম) একটি অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের মধ্যে আরও আছে অতি দ্রুত কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সংঘাত ও হামলায় আহত সবার তালিকা করে তাদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের পক্ষ থেকে বহন করা হবে। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব হাসপাতালকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। আর আন্দোলনে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশি ছাত্র-জনতার সমর্থনে প্রতিবাদ করায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে গ্রেফতার ও সাজা পাওয়া ৫৭ বাংলাদেশির মুক্তির জন্য অবিলম্বে আলোচনা শুরু করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই সংশ্লিষ্ট সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন।

এছাড়া অত্যাবশ্যকীয় সব পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব ঘটনা প্রতিহত করতে প্রধান উপদেষ্টা জরুরি ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা ও তাদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন।

এছাড়া ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল পুনরায় চালু করা হবে। তবে মেরামত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর১০ স্টেশনে ট্রেন থামবে না।


আরও খবর