আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কাঠালিয়ায় নতুন সেপটি ট্যাংকের সেন্টারিং খুলতে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি গ্রামে একটি নির্মানাধীন বাড়ির নতুন সেপটি ট্যাংকের সেন্টারিং খুলতে গিয়ে সিমিন্টের বিষক্ত গ্যাসে রাজমিস্ত্রীসহ দুই জনের মৃত্যু ও একজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার মহিষকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাজমিস্ত্রী আসাদুল ও প্রতিবেশি যুবক মজনুর মৃত্যু হয়, অন্য প্রতিবেশি যুবক শুভ গুরতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।

প্রতক্ষ্যদর্শী ও মৃত্যু আসাদুলের স্বজনরা জানান, মহিষকান্দি গ্রামের মিরাজ খানের নির্মাণাধীন বাড়ির নতুন সেপটি ট্যাংকির সেন্টারিং মঙ্গলবার সকালে রাজমিস্ত্রী আসাদুল খুলতে যান। ট্যাংকির মুখ খুলে ভিতরে ঢুকে সেন্টারিং এর কাঠ খুলতে গেলে বিষক্ত গ্যাসে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ অবস্থা দেখে বাড়ির মালিকের ভাই পলাশ খান প্রতিবেশি যুবক মজনু ডেকে নিয়ে আসেন রাজমিস্ত্রীকে উদ্ধার করার জন্য। মজনু মিস্ত্রীকে উদ্ধার করতে ট্যাংকির ভিতরে ঢুকলে সেও অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ সময় অন্য প্রতিবেশি যুবক শুভ দুই জনকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসে সেও অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তিনজনকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী জেলা পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মজনু ও আসাদুলের মৃত্যু হয়। শুভকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রাজমিস্ত্রী আসাদুলের (৩০) বাড়ী ভান্ডারিয়া উপজেলার গাজীপুর গ্রামে। মজনু (২৫) মহিষকান্দি গ্রামের শাহাদতের ছেলে ও শুভ খান (২২) একওই গ্রামের ইদ্রিস খানের ছেলে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় জানান, সেপটি ট্যাংকির কাজ করতে গিয়ে বিষক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ মাটি, আগুনে পুড়ে ছাই ৩০ দোকান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

ঈদের নামাজ চলাকালে শরীয়তপুরের একটি বাজারে আগুন লেগে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝির ঘাট বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাজারের ইউনুস খানের মুদির দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুদির দোকানটির আশেপাশে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের কয়েকটি দোকান থাকায় দ্রুত আগুন অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি আগুনে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঈদের সকালে এমন ভয়াবহ আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সালমান ফারসী বলেন, আমার দোকানে মুদি মালামাল ও ভোজ্য তেলের পাশাপাশি কাঁচা মালসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সকালে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় শুনি আমার দোকানে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই আমার সারাজীবনের পুঁজি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে আমার।

ঈদের সকালের এই আগুনে রাসেল মাতবরের ৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার চারটি দোকান ছিল, যা ভাড়া দিয়ে আমি আয় করে থাকি। ঈদের দিন এমন ক্ষতি হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি। ঈদের আনন্দ পুড়ে শেষ হয়ে গেছে আমার।

মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারটি পদ্মা নদীর কাছাকাছি এলাকায়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর শংকর বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে।


আরও খবর



ঈদে ঢাকা ছাড়ার আগে নগরবাসীকে ডিএমপির ১৪ পরামর্শ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। ফলে আগামী বেশ কয়েকদিনের জন্য ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ঢাকা। এ সুযোগে বিভিন্ন চক্র চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে নানাভাবে মানুষকে হয়রানি করতে পারে। এছাড়া নিজেদের সামান্য অসাবধানতা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। সেজন্য আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ঢাকা ছাড়ার আগে নগরবাসীকে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৬ এপ্রিল) ডিএমপি সদরদপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরামর্শগুলো হলো

১. গ্যাস ও পানির লাইনসহ সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বাসা থেকে বের হবেন। বাসাবাড়িতে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে প্রথমেই ঘরের দরজা-জানালা খুলবেন। ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের না হওয়া পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করবেন না।

২. বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। পূর্বে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কি না পরীক্ষা করতে হবে।

৩. বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৪. নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রেখে যাবেন।

৫. রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে ফোনকল করতে হবে।

৬. মোটরসাইকেল চুরি রোধে অ্যালার্ম ব্যবহার করতে হবে। এতে কেউ মোটরসাইকেল স্পর্শ করলেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। লক করার কাজে স্টিলের তৈরি মেরিন অ্যাংকর চেইন ব্যবহার করতে হবে। মোটরসাইকেলে জিপিএস ট্র্যাকার লাগাতে হবে এবং চাকায় উন্নতমানের ডিস্ক লক ব্যবহার করতে হবে।

৭. দেশের বা বিদেশের কোনো আইপিএস কিংবা বিসিএস কর্মকর্তা, বিশেষ বাহিনীর কর্মকর্তা ইত্যাদি পরিচয়ে ফেসবুকে পাঠানো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলে প্রতারিত কিংবা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতে পারেন। সেজন্য এ ধরনের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করা উচিত হবে না।

৮. যার নাম-ঠিকানা আপনার জানা নেই এমন অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া ভিডিও কল গ্রহণ করবেন না। এরূপ ভিডিও কলে পাঠানো অশ্লীল ছবি কিংবা ভিডিও রেকর্ড করে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতে পারে।

৯. আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা বিকাশ বা নগদ অ্যাকাউন্ট কোনো ব্যক্তি বন্ধ করতে পারে না। এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ভয় দেখিয়ে আপনার কাছ থেকে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কিংবা পিন নম্বর বিভিন্ন কৌশলে বারবার চাইতে পারে। এ ধরনের ফোন কল পেয়ে থাকলে কোনো অবস্থাতেই পাসওয়ার্ড বা পিন কোড দেওয়া যাবে না।

১০. ভুল করে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে- এমন ফোনকল পেলে যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না।

১১. লটারি জিতেছেন কিংবা বিদেশ থেকে দামি উপহার বা ডলার পাঠানো হবে- এ রূপ ফোনকল পেলে বিশ্বাস করবেন না। এয়ারপোর্ট কাস্টমসে কিংবা এনবিআর অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে প্রতারকরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের লোভে পড়বেন না।

১২. অত্যন্ত দামি ধাতুর তৈরি সীমান্ত পিলারে বিনিয়োগ করে কোটি কোটি টাকা লাভ করা যাবে এরূপ প্রলোভনে বিশ্বাস করবেন না। প্রতারকরা নকল পিলার দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। বাস্তবে এ ধরনের কোনো পিলার নেই।

১৩. ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়্যাটসঅ্যাপ ও ইমো আইডিতে আত্মীয়, বন্ধু কিংবা পরিচিত ব্যক্তির বিপদে পড়ে জরুরি টাকা পাঠানোর অনুরোধ পেলে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ না করে টাকা পাঠাবেন না। মোবাইল চুরি করে কিংবা বিভিন্ন আইডি হ্যাক করে এ ধরনের অনুরোধ পাঠানো হয়।

১৪. সস্তায় হোটেল ভাড়া করা, বিমানের টিকিট কাটা কিংবা কম খরচে ইউরোপ ও কানাডা কিংবা আমেরিকায় পাঠানোর প্রস্তাব কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কিংবা অ্যাপসে পাঠালে বিশ্বাস করবেন না।


আরও খবর



৩১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

মহান স্বাধীনতা দিবসে ৩১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ১৭ মার্চ 'জাতীয় শিশু দিবস' উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা শুরু হয়ে বেলা আড়াইটায় শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী।

মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, আমরা যুদ্ধে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে। দেশের জনগণকে রক্ষা করার জন্য। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। পঁচিশে মার্চ রাতে যে গুলিবর্ষণ হয়েছিল তা আজও আমাদের নাড়া দেয়। সেই রাতে মায়েরা তাদের সন্তান নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রাত্রিযাপন করেছিলো। বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্ব এবং দিকনির্দেশনায় আমরা সম্মিলিতভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করেছি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, অতীতে কী হয়েছে সেগুলো আমি ভাবতে চাই না। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

চবি উপাচার্য বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শোষণ ও ২৩ বছরের পাকিস্তান শোষণ থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। দেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু জীবনের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছেন কারাগারে।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছে দেশের মুক্তির জন্য। ১৭৫৭ সালে এদেশে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে ওঠে। ইতিহাসের শুরু থেকেই সবাই এদেশকে শোষণ করে গেছে, কেউ স্বাধীনতা দেয়নি। ১৯৭১ সালে বিশ্ব মোড়লরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল।

আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো জিনিস আমাকে যেমন আনন্দিত করে, তেমনি খারাপ কাজগুলো ব্যথিত করে। আজকের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়ে উপাচার্য প্রমাণ করলেন তিনিই এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তি।


আরও খবর



বান্দরবানে সন্ত্রাসী হামলা রুখতে গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট এবং সন্ত্রাসী হামলা রুখতে কারও গাফিলতি বা ব্যর্থতা থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি আরও বলেন, রুমা এমন একটি জায়গায়, যে জায়গায় কোনো দিন এ ধরনের একটা অশান্ত পরিবেশ হবে আমরা চিন্তা করিনি। আমরা সব সময় দেখেছি, শান্তি প্রিয় মানুষগুলো এই এলাকায় থাকেন। হঠাৎ করে এই ঘটনা কেন ঘটল, এটাই আজকে আমাদের কাছে প্রশ্ন। ডাকাতির মূল উদ্দেশ্য ছিল বোধ হয় অর্থ সংগ্রহ করা, এখন পর্যন্ত আমরা যা মনে করছি। আমরা সব কিছুই দেখব। অস্ত্র সহকারে এবং পোশাক সহকারে এখানে ঢুকবে; আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে এটাও কাম্য নয়। যা করার নিরাপত্তা বাহিনী এখন সেটা করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা কোনো ক্রমেই আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে আর দেবো না। এই শান্তি প্রিয় এলাকায়, যেখানে শান্তির সুবাতাস সব সময় বইতো, এখানে অশান্তি হোক এটা আমরা চাই না। আমরা অবশ্যই এর কারণ, কারা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল সবগুলো আমরা বের করব এবং আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

অভিযান শুরু হবে কি না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে নিরাপত্তা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে, তারা তাদের মতো করে করবেন। কোনো কিছুকেই আমরা আনচ্যালেঞ্জড যেতে দেবো না। উৎস কোথায়, কীভাবে হলো সবগুলো আমরা বের করব।

এর আগে সকালে হেলিকপ্টারে রুমা পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরিদর্শন করেন সেখানকার সোনালী ব্যাংক শাখা। এছাড়া পাশের একটি মসজিদ কমপ্লেক্সসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন।

গত মঙ্গলবার রাতে একদল বন্দুকধারী রুমা সোনালী ব্যাংক শাখায় তাণ্ডব চালায়। অপহরণ করে ব্যাংকের ম্যানেজারকে। পরদিন থানচি বাজার ঘেরাও করে সোনালি ও কৃষি ব্যাংকেও হামলা চালিয়ে নগদ অর্থ লুট করে। স্থানীয়রা জানায়, হামলাকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী কেএনএফের পোশাক পরিহিত ছিল।


আরও খবর



আনোয়ারায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নুরজাহান বেগম (৬৩) নামে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নুরজাহান বেগম হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকার মো. শাহ আলমের স্ত্রী।

নিহতের ফুফাতো ভাই তৌহিদুল হক জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন আমার ফুফি, এমন সময় দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস এসে তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। এক পা ভেঙে যায় তার। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমার ফুফিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে একই জায়গায় বার বার দুর্ঘটনা ঘটনার পর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় উত্তেজিত জনতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। কিছুক্ষণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ এসে যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেন।

জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ বলেন, দুর্ঘটনার খবরে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। সড়ক দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পুলিশ মাইক্রোবাস উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর