ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস
কাঞ্চন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত আছেন। গড়ে
তুলেছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলন নামের সামাজিক সংগঠন। গেল দুই বছর বাংলাদেশ
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন,
সমিতির আগামী নির্বাচনে আর অংশ নেবেন না।
এবার জানালেন, যাদের কাজ নেই এবং যারা
এই সমিতিরি সদস্য হওয়ার যোগ্যতাই রাখেন না, তাদেরই সমিতি নিয়ে বেশি আগ্রহ। আর তাদের
সংখ্যা ও দাপট দুটোই বেশি।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও অভিযোগ করেন, ভোটের সময় তাদের সবাইকে টাকা দেওয়া হয় এবং সব পক্ষের
কাছ থেকেই তারা টাকা নেন।
জনপ্রিয় এই অভিনেতা জানান, নির্বাচিত
হওয়ার পর থেকেই নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে অনেক সদস্যের
জন্য নিজের মতো করে কাজ করতে পারেননি তিনি।
তার কথায়, ‘শিল্পী সমিতিতে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোটার
আছেন, যাদের আমিও চিনি না, অন্য অনেকেও চেনেন না। অথচ তারা শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্য।
ভোট প্রদান করেন, নির্বাচনও করেন। আর এ কারণে সিনিয়র শিল্পী ও প্রকৃত শিল্পীরা সমিতিতে
আসতে চান না। আসলে একবার যদি পূর্ণ সদস্য দিয়ে দেওয়া হয়, তখন বাদ দেওয়াটা মুশকিল।’
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, তারা থাকুন। সহযোগী হয়েই
থাকুক। ভোটাধিকার না থাকুক। শুধু ভোটাধিকার থাকার কারণে নির্বাচনের সময়ে এরা বিশাল
গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। ভোটের সময় তাদের সবাইকে টাকা দেওয়া হয়। সব পক্ষের কাছ থেকে
তারা টাকা নেন। আমি আসলে সংখ্যাটা উল্লেখ করতে পারব না। আমি দূরে থাকতে চাই। আমি যখন
এসব নিয়ে কথা বলা শুরু করলাম, তখন অন্যরা আমাকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। আমিও এসব
নিয়ে তাই আর মাথা ঘামাতে চাই না।’
যাদের কাজ নেই তারাই সমিতি নিয়ে বেশি
আগ্রহী এমনটা দাবি করে এই অভিনেতা বলেন, ‘সহযোগী সদস্য যাদের হওয়ার কথা, তাদের আগ্রহটা বেশি। প্রচণ্ড
রকম বেশি। এই সংগঠন তাদের প্রধান পরিচয়। প্রকৃত শিল্পীদের আগ্রহ সহযোগীদের চেয়ে অনেক
কম। প্রকৃত শিল্পীদের তো সমিতির পরিচয় লাগে না। তাদের এমনিতেই সবাই চেনেন, এক নামে
জানেন। সমিতি বরং প্রকৃত শিল্পীদের কারণে আলোকিত-আলোচিত হয়।’