আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেলো অটোরিকশার ২ যাত্রীর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ এপ্রিল 20২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ এপ্রিল 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক যাত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের লিছু মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (২২) ও চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের দুবাউড়া গ্রামের তোলাই মিয়ার ছেলে জলফু মিয়া (৪০)।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শায়েস্তাগঞ্জ থেকে একটি অটোরিকশা সুতাং এলাকায় যাওয়ার পথে শায়েস্তাগঞ্জের থানা মোড়ে মহাসড়কে ওঠার সময় সিলেটগামী একটি কাভার্ডভ্যান অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে চালকসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপরজনকে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ডভ্যান ও চালককে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



যে ১০টি বিষয় দেখে বোঝা যাবে ভবন নিরাপদ কিনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে প্রায় অর্ধশত মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে বহু। গতবছরও ঢাকায় একাধিক বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ঈদের আগে আগে রাজধানীর বঙ্গবাজারের সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যাতে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এবং অনেক ব্যবসায়ী সর্বশান্ত হয়। এই ঘটনার কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার এবং বছর শেষে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে দেশে ৭৭টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে এবং তাতে কয়েকশত মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন।

আগুন নেভানোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমূহ কী কী বা, নিজের প্রিয়জনদের নিয়ে কোনও ভবনে প্রবেশের আগে একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে বুঝবেন যে ভবনটি তাদের জন্য নিরাপদ কি-না; এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা শহরের অন্তত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং আগুন নেভানোর জন্য সেসব ভবনে কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। তাই, খাওয়া-দাওয়া বা ঘোরাঘুরি, যে কোনও প্রয়োজনেই কোনও ভবনে প্রবেশ করার আগে ঐ ভবনটি কতটা নিরাপদ, তা যতটা সম্ভব যাচাই করে নেয়ার পরামর্শ দেন তারা। যেসব বিষয় যাচাই করে ভবনে প্রবেশ করবেন।

১. একটা ভবন কতটা নিরাপদ সহজ বোঝার জন্য ভবনের সামনে নিরাপত্তা সনদ বা সার্টিফিকেট প্রদর্শন করা আছে কি-না, তা দেখে ওই ভবনে প্রবেশ করা।

২. কোনো জনাকীর্ণ ভবনের প্রবেশদ্বার যদি তিন মিটারের কম হয়, তাহলে সেখানে প্রবেশ করার আগে ভাবা উচিৎ। জনাকীর্ণ স্থানসমূহের মাঝে আছেরেস্টুরেন্ট, মসজিদ, গীর্জা, হাসপাতাল, এমনকি স্কুলও। এই ধরনের স্থানে একসঙ্গে অনেক মানুষ প্রবেশ করে এবং বের হয়। এছাড়া, বাণিজ্যিক ভবনে বিভিন্ন অফিস থাকায় সেসব স্থানও সবসময় লোকে লোকারণ্য থাকে।

৩. আগুন লাগার পর একটা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য ভবনে মূলত দুইটা জিনিস থাকা দরকার। পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং অ্যালার্ম সিস্টেম। আর কিছুর দরকার নাই। কোনও শপিংমল, হাসপাতাল বা রেস্টুরেন্টে পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং ফায়ার অ্যালার্ম না থাকলে সেখানে যাবেন না।

৪. একটি আদর্শ ভবনে দুই ধরনের সিঁড়ি থাকে। একটি দিয়ে সবসময় চলাচল করা হয়। অন্যটি দিয়ে জরুরি অবস্থায় আত্মরক্ষার জন্য বের হওয়া যায়। সেজন্য একে বলা হয় জরুরি বহির্গমন পথ। আগুন লাগলে একে অগ্নি নির্গমন পথও বলা হয়। আবাসিক ভবন ছাড়া অন্য কিছু হলে সেই ভবনের প্রত্যেক তলায় অগ্নি নির্গমন পথ থাকতে হবে।

৫. কোনো ভবনে আগুন লেগেছে এবং সেই ভবনে পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং আলাদা অগ্নি নির্গমন পথও রয়েছে। কিন্তু সব থাকার পরও আগুনের মাঝে পড়লে সাধারণত মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়। তাড়াহুড়োর কারণে ঘটনাস্থল থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পায় না। সেজন্য ভবনে আগুন লাগলে (বিদ্যুৎ থাকুক বা না থাকুক) জরুরি বহির্গমনের দিকে যাওয়ার পথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো জ্বলে ওঠার ব্যবস্থা থাকতে হবে। অগ্নি চলাকালীন সময়ে জ্বলে উঠে, এমন এক্সিট সাইন এবং ডিরেকশন থাকতে হবে।

৬. আগুন নেভানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেটিকে ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বলা হয়। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোতে উচ্চচাপে রক্ষিত তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকে। আগুন লাগলে এই যন্ত্র থেকে স্প্রে আকারে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে আগুন নেভানো হয়। একটি নিরাপদ ভবনে অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে অগ্নি নির্বাপন সিলিণ্ডার বা ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।

৭. একই ভবনকে একাধিক কাজে ব্যবহার করাকে ভবনের মিশ্র ব্যবহার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন, একটি ভবনে যদি মানুষের বাসাবাড়ি, অফিস, এমনকি রেস্টুরেন্ট থাকে; তাহলে সেটিকে বহু কাজে ব্যবহৃত ভবন হিসেবে ধরা হয়। এসব ভবন নিরাপদ নয়।

৮. উপরের বিষয়গুলো সাদা চোখে দেখে বুঝে নেয়া যায় যে ভবনটি নিরাপদ কি-না। কিন্তু কিছু বিষয় আছে, যা সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে পড়বে না। কিন্তু ভবনের নিরাপত্তার জন্য সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। অগ্নি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব) আলী আহমেদ খান বলেন, ভবনের ডাক্ট লাইন ও ক্যাবল হোল সিল করা গুরুপূর্ণ।

৯. আগুন নেভানোর জন্য একটা প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা হচ্ছে স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম। এটি একটি ভবনের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকে। কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৫৭ ডিগ্রির বেশি হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিস্ফোরিত হয়ে পানি ছিটিয়ে দেয়। ফলে আগুন নিভে যায়। সাধারণত বড় বড় বাণিজ্যিক বা কারখানা ভবনে সাধারণত এগুলো ব্যবহার করা হয়। তবে বর্তমানে কিছু কিছু আবাসিক ভবনেও এগুলোর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

ভবনে আগুন লাগার পর মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সেখানে সিঁড়ি এবং অ্যালার্ম সিস্টেম সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু সম্পত্তি রক্ষার জন্য সেখানে পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে বা স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম থাকা লাগবে।

১০. কোনও ভবনে গ্লাস দিতে হলে সেটার ড্রয়িং এবং ডিজাইন পরিবর্তন করতে হবে। স্মোক এলে যেন তা অটোমেটিক্যালি বের হতে যেতে পারে। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ওই গ্লাসের জন্য ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। ধোঁয়া ভেতরে ঢুকে গেছে, আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। সেখানে কোনো ভেন্টিলেশন ছিলো না। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের নকশা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা একদমই আলাদা। তাই কোনো ভবনে প্রবেশের আগে তার শুরুর ইতিহাস এবং উদ্দেশ্য জেনে নেয়া গেলে নিজেকে অনেকাংশে নিরাপদে রাখা সম্ভব।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ড. ইউনূসসহ চার কর্মকর্তার বিষয়ে রুল শুনানি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও অধিদপ্তরের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ও আদেশ স্থগিত প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। এ বিষয়টি আগামী রোববার (১০ মার্চ) পর্যন্ত মুলতবি করে ওইদিন পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার (৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।

তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের গত ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন (ক্রিমিনাল রিভিশন) করেন মামলার বাদী।

মামলার বাদী কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শকের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা ওই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গত ১ জানুয়ারি রায় দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল সেদিন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় গত ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। অন্য তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

এ অবস্থায় তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামলার বাদী। আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন, যার ওপর আজ শুনানি হয়।

বিভিন্ন নজির তুলে ধরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে বলেন, রায়ে দুটি দিক থাকে একটি সাজা ও অন্যটি দণ্ড। আপিল ট্রাইব্যুনাল দুটিই স্থগিত করে দিয়েছেন। কনভিকশন (দোষী সাব্যস্তকরণ) স্থগিত হয় না। অনেক সময় দণ্ড স্থগিত হয়। তবে কারণ উল্লেখ করতে হয়। এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। আপিল ট্রাইব্যুনাল পুরো রায় স্থগিত করতে পারেন না। এটি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।


আরও খবর



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নে তদন্তের নামে আর ছাড় নয় : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে তদন্তের নামে আর কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ কমিটি করে তদন্ত হোক আর না হোক, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

রোববার (৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি-নিপীড়ন নিয়ে উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়ন নিরোধে কমিটি করতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠানে সেটা আছেও। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, স্কুল-কলেজে কারও বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজে জড়ানোর অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি করা হয়। সেখানে তদন্ত চলছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা হরহামেশা ঘটছে।

এরপর তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের তদন্ত কমিটি তদন্ত করুক বা না করুক, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে এখন থেকে আর কোনো বাধা বা অজুহাত চলবে না।

ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে সোয়া ৬টা পর্যন্ত এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অধিবেশন শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমরা ডিসিদের জানিয়েছি, দক্ষতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। ডিসিরা সবাই বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো সৃষ্টি হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপকরণ পাচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। শিক্ষায় সরকারের এমন বিনিয়োগ ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে বড় সফলতা আসবে বলেও তারা মতামত দিয়েছেন।

অধিবেশন ও ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।


আরও খবর



খেজুর খাওয়ার এই উপকারিতাগুলো জানতেন ?

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

খেজুর ছাড়া ইফতার অসম্পূর্ণ যেন। তাই তো রোজায় আমাদের খেজুরের প্রয়োজন হয় সবচেয়ে বেশি। তবে শুধু রমজানে নয়, খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন সারা বছরই। কারণ এই পুষ্টিকর ফল খাওয়ার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। যারা সারা বছর খাবারের তালিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক, তারা ডায়েটে রাখতে পারেন খেজুর। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে আরও অনেক উপকার করে থাকে।

খেজুর হলো এমন একটি ফল যা শরীরকে অনেকগুলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিতে পারে। তাই আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন তাহলে খেজুর আপনার খাবারের অংশ করে নিন। ইফতারের পাশাপাশি অন্যান্য সময়েও খেজুর রাখুন আপনার পাতে। এতে অনেকগুলো উপকার মিলবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. হজমশক্তি ভালো রাখে : পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুর হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে দারুণভাবে সাহায্য করে থাকে। বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনেকেই খাবারের দিকে খেয়াল রাখার সময় পান না। বাইরের খাবার বা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেয়ে ফেলেন সময়ের অভাবে। এ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই যদি কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিতে পারেন তাহলে তা আপনাকে ভালো হজমে সাহায্য করবে।

২. ফাইবারের জোগান : খেজুরে থাকে অনেকগুলো পুষ্টিকর উপাদান। বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাদের ডায়েট মেনটেইন করার জন্য প্রয়োজন পড়ে বেশ খানিকটা ফাইবারের। এই ফাইবারের জোগান দিতে পারে খেজুর। কারণ এই শুকনো ফলে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার। তাই এটি দ্রুত শক্তি প্রদান, ভালো হজমসহ নানা উপকারে আসে।

৩. ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ : রোজায় সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে কিছু ঘাটতি তৈরি হতে পারে। পুরো এক মাস আপনার খাবারের তালিকায় খেজুর রাখলে তা সেসব ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে। কারণ খেজুরে থাকে ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন ইত্যাদি। এই প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।

৪. শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ : খেজুরে থাকে পর্যাপ্ত মাত্রায় ক্ষারীয় লবণ। এই উপাদান আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ দক্ষভাবে সাহায্য করে করে থাকে। পরিমিত খেজুর খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই যারা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী একটি খাবার হতে পারে খেজুর।

৫. পানির ঘাটতি পূরণ : সারাদিন রোজা থাকার ফলে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। এই ঘাটতি পূরণে খেতে হবে পানি সমৃদ্ধ বিভিন্ন খাবার। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে খেজুর। কারণ খেজুরের মধ্যে পানির মাত্রা থাকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। তাই ইফতার ও সাহরিতে খেজুর খেলে তা শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে অনেকটাই।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ালো টিসিবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিকেজি চিনির দাম একলাফে ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা নির্ধারণ করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এর আগে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের ৭০ টাকা কেজি দরে চিনি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর গত রমজানে প্রতিকেজি চিনির দাম ছিল আরও ১০ টাকা কম, প্রতি কেজি ৬০ টাকা।

বুধবার (৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির তথ্য জানিয়েছে টিসিবি। এখানে চিনির এ নতুন দাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, বাজারে দাম সমন্বয় করার জন্য চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে। আগে তুলনামূলক কমদামে চিনি বিক্রি করেছে টিসিবি। সর্বশেষ দুই-তিন মাস আগে ডিলারদের চিনি দেওয়া হতো, তখন দাম কমছিল। এখন বাজারে চিনির দাম অনেক বেড়েছে।

একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এক কেজি চিনি ও এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা, প্রতিকেজি চিনি ১০০ টাকা ও মসুর ডাল ৬০ টাকা, খেজুর ১৫০ টাকা ও চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি।

টিসিবি বলছে, সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এসময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে পণ্য নিতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।

জানা গেছে, রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তিব্বত মোড়ের পূর্ব কলোনী বাজার সংলগ্ন পলিটেকনিক মাঠে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে।


আরও খবর