আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

কে এই সাহিত্যে নোবেলজয়ী জন ফসে?

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন নরওয়ের সাহিত্যিক জন ফসে। জন ফসে সম্পর্কে নোবেল কমিটি এই বাক্যে বলেছে, এ হচ্ছেন সেই লেখক যার লেখার উদ্ভাবনী শক্তি তাদের কথা বলে যারা কথা বলতে পারেন না। সমাজের নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে বিশ্ব দরবারে সর্বোচ্চ পুরস্কারের স্বীকৃতি পেয়েছেন ফসে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকালে নোবেল জেতার পরপরই ফসেকে নিয়ে ইউরোপের সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক অ্যালেক্স মার্শাল সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছেন, খুব বেশিদিন হয়নি ইংরেজি ভাষাভাষীরা ফসেকে চিনতে শুরু করেছে। কিন্তু চিনতে পারার পর খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি ফসের নামের পাশে নোবেলজয়ীর তকমা যোগ করতে। নরওয়েজিয়ান উচ্চারণে জন ফসের নামের উচ্চারণ 'ইউন ফসেহ'।

এশীয় মানুষের কাছে ফসে সুপরিচিত না হলেও, পশ্চিমে ২০১০ সালের পর থেকেই ফসের নাম উচ্চারণ হয়ে আসছে সম্মানের সঙ্গে। ২০১৩ সালে যে বছর কানাডার সাহিত্যিক এলিস মুনরো ছোটগল্পের জন্য নোবেল জিতলেন, সে বছর ফসে নোবেল জিতবে এ সংক্রান্ত বাজি ধরার কারণে ব্রিটেনের কয়েকটি প্রকাশনীকে শাস্তির মুখোমুখি পর্যন্ত হতে হয়েছিল।

গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ এবং অনুবাদ সাহিত্যে ফসে সমান তালে লেখালেখি চালিয়ে গেলেও, ফসে নোবেল পেয়েছেন মূলত তার নাট্যসাহিত্যের জন্য। ইউরোপের অনেকেই ফসের লেখার ঢংকে সাবেক নোবেলজয়ী কিংবদন্তী সাহিত্যিক স্যামুয়েল ব্যাকেট এবং হারলড পিন্টারের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন।

এবারের নোবেল জয়ে সম্মান এবং জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ফসে পাচ্ছেন ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা, মার্কিন মুদ্রায় যার মূল্যমান দাঁড়ায় ৯ লাখ ৯১ হাজার ডলার।

১৯৫৯ সালে নরওয়ের পশ্চিম উপকূলে। আশির দশকে ধীরে ধীরে নিজের লেখার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন ফসে। নোবেল কমিটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে ফসেকে সম্পর্কে বলা হয়েছে, নাট্য রচনায় ফসে নিজেকে বাকি লেখকদের চেয়ে অনেক বেশি আলাদা করতে পেরেছেন। অসহায় মানুষের অসহায়ত্ব, সমাজের হিংসা-বিদ্বেষ, জীবনের অন্তঃসারশূন্যতাকে এতটা শক্তিশালীভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যা উত্তরাধুনিক যুগে অনন্য।

ফসের নাটক সম্পর্কে থিয়েটার সমালোচক বেন ব্রান্টলি বলেছেন, বেশি না মাত্র ১০-১৫ মিনিট ফসের নাটক দেখলে বোঝা যায় কী মারাত্মক তার লিখনশৈলী। কুশীলবদের দিয়ে সব কিছু বলিয়েও যেন অনেক কিছু উহ্য রেখে দেন ফসে। শিউরে ওঠার মতো একেকটি শব্দ, চমকে ওঠার মতো কাহিনী, হতাশায় ডুবে যাওয়ার মতো বার্তা। একই ঘটনা বারবার ঘটতে থাকে তবু মনে হয় নতুন। নতুন নতুন কিছুর উদ্ভাবন ঘটতে থাকে কিন্তু বারংবার মনেহয় একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

ফসের একটি গ্রীষ্মের দিন কিংবা এইতো জীবন নাটকে কুশীলবদের জীবনে একই ঘটনা ঘটতে থাকে। মঞ্চের বিপরীতে বসে থাকা মানুষগুলো এক পর্যায়ে বুঝতে পারে ইউরোপের সারহীন জীবনের ছবিই যেন দেখছে তারা। তারা যেন বসে আছে একটি দর্পণের সামনে, যেখানে নিজেদের কার্যকলাপ দেখে দেখে তারা বুঝতে পারে সভ্যতা এবং সীমাহীন সুযোগের মধ্যেও তাদের জীবন কতটা অসহনীয়।

নাটকের পাশাপাশি ২০২১ সালে ফসের লেখা বিখ্যাত উপন্যাস সেপটোলজি অনেকের নজর কেড়েছে। বিশেষ করে ১২৫০ পৃষ্ঠার এই সিরিজ উপন্যাসে ফসের বিরমাচিহ্নের ব্যবহার সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ফসের সেপটোলজি উপন্যাসের একটি অংশ প্রকাশ করেছে যেখানে পঁচিশ লাইনের কোথাও ফুলস্টপ ব্যবহার করেননি ফসে। কমা আর প্রশ্নবোধক চিহ্নে সম্বলিত এই লাইনগুলো হয়তো উত্তরাধুনিক যুগের মানুষের ক্লান্তিকর জীবনেরই প্রতিচ্ছবি।

থমকে যাওয়া, আবার চলতে থাকা, চলতে চলতে আবার প্রশ্ন করা কেন এই পথচলা, কোনদিকে গন্তব্য। উত্তর না পেয়ে আবারও কিছুক্ষণ থমকে গিয়ে চলতে থাকা। এই যে বেদনাদায়ক পুনরাবৃত্তি, এই যে বলতে না পারার ব্যথা, নিজে কী চাই বুঝতে না পারার অসহনীয় যন্ত্রণা, এই অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী নিপীড়নের নীরবতাই কণ্ঠস্বর পেয়েছে ফসের লেখার মাধ্যমে। যে ফসেকে এতদিন ইউরোপবাসী চিনতো, নোবেল পুরস্কারের বদলে এক বিকেলের ব্যবধানে সেই জন ফসে এখন বিশ্বে সমাদৃত।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিতল পাঞ্জাব

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আইপিএলের ইতিহাসে ইডেন গার্ডেন্সে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। এক ইনিংসে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান। বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েই স্কোরবোর্ডে ২৬১ রানের বিশাল পুঁজি গড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে চার ছক্কার বৃষ্টির ম্যাচে পাহাড়সম পুঁজিও জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না কলকাতার জন্য। ৮ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে পাঞ্জাব সুপার কিংস। শুধু আইপিএল নয়, যে কোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নজির গড়ল প্রীতি জিনতার দল।

শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ফিল সল্ট আর সুনীল নারিনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল কলকাতা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারেস্টোর দুর্দান্ত শতকে ভর করে ৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। ৪৮ বলে ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারেস্টো। এ ছাড়া ২৮ বলে ৬৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শশাঙ্ক সিং।

ভারত-বাংলাদেশসহ এশিয়ার এই অঞ্চলে কার্যত প্রবল খরা চলছে। ঝড় বৃষ্টির দেখা নেই কোথাও। তাপপ্রবাহ প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। এর মধ্যেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের বাইশগজে যেন কালবৈশাখী তুফান ছোটালেন দুই দলের ব্যাটাররা। একটা পরিসংখ্যানে আরেকটু পরিস্কার করা যাক এই ম্যাচটা। কলকাতা ও পাঞ্জাব মিলে ৩৮.৪ ওভারে রান করেছে ৫২৪! উভয় দল ছক্কা মেরেছে ৪২টি! যা টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। এ ছাড়া আজকের ম্যাচে চারের মার রয়েছে ৩৮টি! মোট চার-ছক্কা ৮০টি! শুধু ছক্কা থেকে এসেছে ২৫২ রান (প্রায় ৫০%)।

চলতি আসরে যেন উড়ছিল কলকাতা। এদিনও টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লেতে যোগ করেন ৭৬ রান। ৮ ওভারেই তিন অঙ্ক ছাড়িয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩৭ বলে ৩৫ রান করে সল্ট সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।

সল্টের মতোই তাণ্ডব চালিয়েছেন নারিনও। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৭১ রান। এই ইনিংস খেলার পথে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে শীর্ষ দুইয়ে উঠে এসেছেন এই ক্যারবিয়ান ওপেনার। চলতি আসরেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছেছেন।

দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়ে বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। পাঁচে নেমে ১২ বলে ২৪ রান করেছেন আন্দ্রে রাসেল। শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ২৮ রান। তাছাড়া ২৩ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ভেঙ্কেটেশ আইয়ার।

২৬২ রানের লক্ষ্য একপ্রকার অসম্ভবই ছিল পাঞ্জাবের কাছে। এমনিতেও ভালো ফর্মে নেই তারা। কিন্তু প্রথম থেকেই মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন প্রভসীমরন সিং আর জনি বেয়ারস্টো। প্রভসীমরনের ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি ছয় ও চারটি চারের মার। অন্যদিকে বেয়ারস্টো তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় আইপিএল সেঞ্চুরি। বলতে গেলে তাঁর হাতেই পরাস্ত হয় কেকেআর। মাঝে রাইলো রুশো ঝড় তোলার আভাস দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরে গেছেন ১৬ বলে ২৬ রান করে। ইডেনের আলো ঝলমলে রাতে শেষের দিকে সব আলো কেড়ে নেন শশাঙ্ক সিং। ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৮টি ছয়।

কলকাতার হয়ে একমাত্র সাফল্য পেয়েছেন নারিন। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে এক উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া কেউই উইকেটের দেখা পাননি।


আরও খবর



ইসরায়েলে হামলায় যেসব ভয়ংকর অস্ত্র ব্যবহার করল ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করেছে ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে এই পাল্টা হামলা শুরু করেছে তেহরান। হামলার পরপর তেল আবিব ও পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েলি শহরগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের ৭২০টির বেশি জায়গায় বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর শব্দ শোনা গেছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে ইসরায়েলের দিকে লক্ষ্য করে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান।

ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম করপোরেশন জানিয়েছে, শনিবারের হামলায় ইরান ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৬০টি সুইসাইড ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই ভূপাতিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ক্রুজ মিসাইলসহ বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। তাদের হামলায় ২০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগ ইসরায়েলি সীমার বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরানের এই সমন্বিত আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনার সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।


আরও খবর



রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের রাফাহতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

অবশ্য রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে সোমবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অবশ্য গাজার মিডিয়া আউটলেট মৃতের সংখ্যা ১৫ বলে জানিয়েছে।

অন্যদিকে গাজা উপত্যকার উত্তরে অবস্থিত গাজা শহরে ইসরায়েলি বিমান দুটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মূলত হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা করে ১৩ লাখ মানুষ রাফাহতে এসে আশ্রয় নেন। এখন সেই রাফাহতে হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েলিরা।

এছাড়া রাফাহতে এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য হামাসের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিসর।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

রবিবার হামাস কর্মকর্তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর গাজার উপ-প্রধান খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হামাসের পক্ষ থেকে কাতার এবং মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হস্তান্তর করা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পাশাপাশি ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন।

ইসরায়েল রাফাহ আক্রমণের হুমকি দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত মধ্যস্থতাকারীরা একটি চুক্তি সম্পাদনের জন্য তাদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করেছে।

রয়টার্সের সাথে কথা বলা হামাসের দুই কর্মকর্তা সর্বশেষ প্রস্তাবের বিষয়ে বিশদ তথ্য প্রকাশ করেননি। তবে আলোচনার বিষয়ে অবগত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, হামাস শনিবার ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সাড়া দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আরও খবর



মাথাপিছু ঋণ বেড়ে দেড় লাখ টাকা: সিপিডি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গত তিন বছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলেছে, তিন বছর আগে মানুষের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখ টাকা। শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে, ফলে বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার মতোই বিপজ্জনক পথে আছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান, সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য; মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান বলেছেন, আশির দশকে অনেক আফ্রিকান ও লাতিন আমেরিকান দেশ স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বিপদে পড়েছিল। সম্প্রতি এর বড় উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে, শ্রীলঙ্কার মতোই বিপজ্জনক পথে আছে এ দেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঋণের বড় বাধা এখন ঋণগুলোর শর্ত এবং এর সঠিক বাস্তবায়ন।

আমরা যদি আশির দশকে ওপেকের সময় ঋণের সংকটের দিকে তাকাই, সেখানে দুটি পরিস্থিতি ছিল। একটি, লাতিন আমেরিকায় খুব বেশি ঋণ নিয়ে বিপদে পড়া। তারা বিপদে পড়েছিল স্বল্পমেয়াদি ঋণে, সেগুলো তাদের খুব সস্তায় দেওয়া হয়েছিল। ফলে তারা একসময় গিয়ে ঋণসংকটে পড়েছিল। একই ঘটনা শ্রীলঙ্কার ঋণ সংকটের। শ্রীলঙ্কার অনেক ঋণ স্বল্পমেয়াদি। শ্রীলঙ্কার একই সময় অনেক আফ্রিকান দেশেও একই সমস্যা তৈরি হয়েছে।’

ড. রেহমান সোবহান বলেন, একইভাবে বাংলাদেশও স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে সংকটের পথেই আছে। এটা খুবই উল্লেখ করার মতো, এ ধরনের ঋণ এখন বাড়ছে। যেহেতু আমাদের রপ্তানি আফ্রিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো, তাই এ জায়গায় তেমন সংকট নেই।’

মূল প্রবন্ধে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত আমাদের বিদেশি ঋণ ছিল সহনীয় পর্যায়ে। আমরা এখন যদি সতর্ক না হই, তাহলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে সরকার যে সতর্ক তা আইএমএফের কাছে ৪.৭ বিলিয়নের জন্য যে গেল সেটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।’

প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি বলেন, বিদেশি ঋণ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না, ১৯৮০ সালের দিকে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো বিদেশি ঋণ নিয়ে এ ধরনের বড় সমস্যায় পড়েছিল। সাম্প্রতিক ঋণ নিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়া গ্রিস বড় উদাহরণ। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা ও ঘানার মতো দেশের উদাহরণ তো আছেই।’

আন্তর্জাতিকভাবে এ প্রভাব পড়ার বৈশ্বিক কারণগুলো হলো—কভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব, বিশ্বে মালামাল ও সেবার চাহিদা কমে যাওয়া। দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ কারণ—ঋণ ব্যবস্থাপনা অনেক দুর্বল, অনেক দেশ অদূরদর্শী ঋণ নিয়েছে। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কঠিন শর্তে ঋণ নেওয়া হয়েছে, মুদ্রার ওঠানামাও অনেক দেশে হয়েছে। এসব কারণ অভ্যন্তরীণ।’

গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়, জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ বলেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশের তুলনায় অনেক দ্রুত ও বেশি বিদেশি ঋণ নিয়েছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশেই এ কারণে তা উদ্বেগের কারণ হয়েছে। ঋণের চাপে অনেকে আছে, অনেকে খেলাপি হয়েছে।

উন্নয়নশীল এসব দেশের সরকারি ঋণ ২০১০ সালে জিডিপির তুলনায় ৩৫ শতাংশ ছিল, ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে। এর মধ্যে একই সময় দেশগুলোর বিদেশি ঋণ ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশ হয়েছে। এসব বিদেশি ঋণের মধ্যে ব্যক্তি খাতের ঋণও একইভাবে বেড়েছে। একই সময় ব্যক্তি খাতের ঋণ ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬২ শতাংশ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এই অর্থনীতিবিদ।

বিশ্বব্যাংকের গবেষণার একটি অংশ তুলে ধরে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ১০৯ শতাংশ, যেটি দেশগুলোর জিডিপির ৩৩ শতাংশ। পাবলিক অ্যান্ড পাবলিকলি গ্যারান্টেড (পিপিজি) ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

আইএমএফের সতর্কবাণী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইএমএফ এসব দেশকে সতর্ক করে একটি প্রতিবেদন বানিয়েছে। আমরা কি আরেকটি ঋণ সংকটের দিকে যাচ্ছি?

তার মতে, বাংলাদেশের ঋণ ও পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বাড়ছে, যা সরকারকে অপর্যাপ্ত রাজস্ব আদায়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের জন্য ক্রমাগত নতুন ঋণ নিতে বাধ্য করছে।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমরা পাকলিক ও পাবলিকলি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণের দায়বদ্ধতার একটি বড় অংশ পরিশোধের জন্য ঋণ নিচ্ছি। তাই দ্রুত অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

সিপিডি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার হার বেড়েছে। ২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদেশি ঋণ ছিল ৯৮.৯ বিলিয়ন ডলার, যা একই বছরের সেপ্টেম্বরে ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

অনুষ্ঠানে সিপিডি জানিয়েছে, ঋণ পোর্টফোলিওর গঠন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। রেয়াতি ঋণের অনুপাত কমছে, অন্যদিকে রেয়াতি ও বাজারভিত্তিক ঋণের অংশ বাড়ছে। ঋণের শর্তাবলিও আরো কঠোর হচ্ছে।

বিশেষ করে জিডিপি, রাজস্ব আয়, রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে তুলনা করলে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের দায়বদ্ধতা দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এর সঙ্গে ঋণ বহনের সক্ষমতা ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা উদ্বেগ তৈরি করেছে। দিন শেষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ, যা অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি উভয় ঋণ পরিশোধের জন্য বিবেচনা করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদের একটি ক্রমবর্ধমান অংশ দেশি ও বিদেশি ঋণের মূল ও সুদ পরিশোধে ব্যবহার করা হচ্ছে।

মেগাপ্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থপাচারের সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বড় আকারের অনেক প্রকল্পই অতিমূল্যায়িত করে খরচ বাড়ানো হয়েছে। আবার প্রকল্পের ভেতরে বাস্তবায়ন পর্যায়ে কোনো না কোনো স্বার্থগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, অন্যান্য দেশে জনগণের প্রাথমিক সঞ্চয়ের মাধ্যমে পুঁজি গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে ব্যাংকের টাকা ফেরত না দিয়ে ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে জনসাধারণের টাকা লুটের মাধ্যমে পুঁজি গড়ে উঠেছে। বিদেশি ঋণ নেওয়া প্রকল্পগুলোর মাধ্যমেও ব্যক্তি খাতে পুঁজি গড়ে উঠেছে। এটা বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতের জন্যই প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পুঁজি সঞ্চয়কারী অলিগার্ক তৈরি হয়েছে। এর ফলে রাজনৈতিক নেতারা যে আশায় এই প্রকল্পগুলো নিয়েছিলেন, সেটায় সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

দেশি-বিদেশি ঋণ থেকে সরকারের দায় বৃদ্ধির প্রবণতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের মাথাপিছু বিদেশি ঋণ তিন হাজার ১০ ডলার। আর অভ্যন্তরীণ উৎসর ঋণ মিলে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়ায় আট হাজার ৫০ ডলারে। স্বাধীনতার এত বছর পরে সরকারের মাথাপিছু ঋণ এক লাখ টাকায় উঠেছিল অথচ তা পরের তিন বছরেই দেড়গুণ হয়ে গেছে।

কভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার কারণে ঋণ বেড়েছে বলে অনেকে দাবি করলেও প্রকৃত কারণ ভিন্ন বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। ঋণ পরিশোধের চাপের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ সালেও সরকারের আদায় হওয়া রাজস্বের ২৬ শতাংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় হতো। অথচ এই হার এখন ৩৪ শতাংশে উঠেছে, যেখানে অভ্যন্তরীণ ঋণ যাচ্ছে ২৮ শতাংশ আর বিদেশি ঋণ সাড়ে ৫ শতাংশ।

বিদেশি ঋণ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে অনেকেই দাবি করলেও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মোডি বা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস হিসেবে বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কমছে বলে দাবি করেন ড. দেবপ্রিয়। সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিরতাসহ বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক ফলাফলের মধ্যেও বিপুল পরিমাণ ঋণে নেওয়া মেগাপ্রকল্প প্রকৃত সুফল দিতে পারছে না বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, বিনিয়োগ না বাড়লে প্রকল্পের ফলাফল পাওয়া যাবে না।

ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির ২৩.৪ থেকে ২৩.৮ শতাংশে আটকে আছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। গত দেড় দশকের সাফল্য কেন বিনিয়োগে প্রতিফলিত হয়নি? এফডিআই কেন জিডিপির ১ শতাংশে আটকে আছে? প্রশ্ন রেখে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ২০২৩ সালের ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাতে সরকারের হিসেবেই কমেছে। এ ছাড়া শিক্ষা, ট্রেনিং বা কর্মে নেই এমন মানুষের হার বেড়েছে, বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাহীন পরিবারের সংখ্যাও বেড়েছে। ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ দৈনন্দিন প্রয়োজনে ঋণ করে চলে।

বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করতে গিয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ক্ষতি হয়েছে মন্তব্য করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, শিক্ষায় গত ১৫ বছরে কোনোভাবেই জিডিপির ২ শতাংশের বেশি এবং স্বাস্থ্যে ১ শতাংশের বেশি বরাদ্দ হয়নি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে অবহেলার প্রতিফলন এই এসভিআরএস প্রতিবেদনেও এসেছে বলে তিনি জানান। এই ধরনের সমস্যা সমাধানে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি যথাযথ কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।

তিনি বলেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য তিন মাস পর আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না। এ ছাড়া অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কেবিনেটের সাব কমিটি ক্রয় কমিটিতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর



বিয়ে করছেন শাকিব, পাত্রী ডাক্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেমায় অনিয়মিত হলেও অপু বিশ্বাস বুবলীর সঙ্গে নিয়মিত ঝগড়া করেন। তাদের ঝগড়ার মূল কারণ শাকিব খান। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন এই অভিনেতা।

নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, সেই পার্শ্ববর্তী জেলাটি হলো মুন্সিগঞ্জ। এখন অবধি ২-৩ পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এরমধ্যে মুন্সিগঞ্জের ডাক্তার মেয়েই এগিয়ে আছেন। ইতোমধ্যেই শাকিবের মত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই মিলে পাত্রী দেখছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।

শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।

এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।

শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি।


আরও খবর