আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

কী হবে দেশের ১৪ লাখ ওয়াই-ফাই রাউটারের

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

দেশে বর্তমানে প্রায় ২০ লাখের বেশি সচল ওয়াই-ফাই রাউটার রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ আইপিভি-৬ (ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন-সিক্স) সমর্থন করে। অবশিষ্ট ৭০ শতাংশ তথা ১৪ লাখের বেশি সমর্থন করে না। প্রশ্ন হলো, আইপিভি-৬ চালু হলে এই বিশাল সংখ্যক রাউটারের কী হবে?

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি রাউটারের লাইফ সাইকেল (জীবন চক্র) তিন থেকে সাড়ে তিন বছর। ফলে দেশের সব রাউটার আইপিভি-৬ সমর্থিত হতে এই সময় প্রয়োজন হবে। তার আগে এটা করতে হলে বিশাল সংখ্যক রাউটার বাদ দিতে হবে।

প্রযুক্তি পণ্যের বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এলসি খোলার ওপর কড়াকড়ি আরোপ থাকা, ডলারের সংকট, প্রযুক্তি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া ইত্যাদির কারণে রাউটারের আমদানি নেই বললেই চলে। ফলে আগামী তিন থেকে সাড়ে তিন বছরে এই সমস্যার সমাধান হবে না বলে তারা মনে করছেন। এসব কারণে দেশে আইপিভি-৬ পুরোপুরি বাস্তবায়নে আরও চার বছর লেগে যেতে পারে।

জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ইন্টারেনেট ব্যবহারকারীর (১২ কোটির বেশি) মধ্যে সংখ্যার মাত্র ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ আইপিভি-৬ ব্যবহারকারী। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত এপনিকের (এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার) ৪৯তম সম্মেলনে বাংলাদেশ ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশে আইপিভি-৬ বাস্তবায়নের হার শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। দুই বছর শেষে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

এপনিকের (এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার) নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পলিসি চেয়ার সুমন আহমেদ সাবির বলেন, আইপিভি-৬ বাস্তবায়ন (ব্যবহার) হলে ইন্টারনেট ব্যবহারের কোয়ালিটি অব সার্ভিস ভালো হবে। আইএসপিগুলোর খরচ কম, যার প্রভার গ্রাহকের ওপরও পড়বে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপরাধীকে শনাক্তকরণ সহজ হবে। এই খাতের চ্যালেঞ্জ হলো ডিভাইস (ওয়াইফাই রাউটার)। ডিভাইস ডেপ্লয় করে আইপিভি-৬ বাস্তবায়নের দ্রুত ৫০ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব। আইএসপিগুলো চাইলেই এটা পারে। তিনি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের রাউটার কেনার আগে তা আইপিভি-৬ সাপোর্ট করে কি না, তা দেখে নেওয়ার আহ্বান জানান।

জানা যায়, দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইপিভি-৬ ব্যবহারের হার খুবই কম। আইএসপিগুলো এত দিন এই বিষয়ে উদাসীন থাকলেও সম্প্রতি তারা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়ে এই হার বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে এই ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে দেশের মোবাইলফোন অপারেটরগুলো। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের চেয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইপিভি-৬ ব্যবহারের হার বেশি। এর ব্যবহারে মোবাইল অপারেটরগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। এরপর রয়েছে বাংলালিংক। রবির অবস্থান আরও পরে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোবাইল অপারেটররা বেশ জোরেশোরে এই ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। অথচ আইএসপিগুলোর এই সুযোগ সবচেয়ে বেশি। এপনিকের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ২০২০ সালের পর থেকে আইপিভি-৬-এর ব্যবহার বাড়তে শুরু করে। ২০২২ সালে এসে আইপিভি-৬-এর ব্যবহার সর্বোচ্চ পর্যায়ে (৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ) পৌঁছায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যা ৭৮ দশমিক ১৭ শতাংশ, নেপাল ৩৪ দশমিক ৯১, ভুটান ১৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৪৯ দশমিক ০৭ শতাংশ, মিয়ানমার ৫৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। এমনকি পাকিস্তানেও এই হার ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে দেশে আইপিভি-৬ বাস্তবায়নের হার ছিল ২ দশমিক ২৩ শতাংশ।

খাত-সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, হঠাৎ করেই ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধির হার সন্তোষজনক। এই হারে ব্যবহার বাড়তে থাকলে চলতি বছর শেষে এই হার একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে।

দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত ৭০ শতাংশের বেশি রাউটার আইপিভি-৬ সাপোর্ট করে না। চাইলেই এগুলো একবারে বদলে ফেলা যাবে না। সময় লাগবে। আমরা সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছি। বিটিআরসিকে (টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা) আমরা অনুরোধ করেছি, দেশে এ সময় আইপিভি-৬ সাপোর্ট করে না, এমন রাউটার আমদানির অনুমতি না দিতে। কোনও রাউটার দেশে এলে আমাদের কাছে পাঠানো হয়। আমরা দেখে বিটিআরসিকে সেগুলো পাঠাই। অনেক ধরনের সমস্যা কাটিয়ে আমরাও শুরু করেছি। আগামী এক বছরের মধ্যে এই হার অনেক বাড়বে।

প্রসঙ্গত, আইপিভি-৬ হলো ইন্টারনেট প্রটোকলের সর্বশেষ সংস্করণ। বর্তমানে বাংলাদেশে আইপিভি-৪ ব্যবহার হচ্ছে। আইপিভি-৬-এর ব্যবহারের হার মাত্র ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আইপিভি-৪ হলো ৩২ বিটের প্রথম প্রজন্মের ইন্টারনেট প্রটোকল, যার মাধ্যমে ৪৩০ কোটি অ্যাড্রেস ব্যবহার করা সম্ভব। কিন্তু এই অপ্রতুল ৩২ বিট দিয়ে বিশাল আইপি অ্যাড্রেসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। এ কারণেই নতুন ধরনের একটি নেটওয়ার্ক লেয়ারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আইপিভি-৬ হলো ১২৮ বিটের অ্যাড্রেস লেয়ার প্রটোকল, যা ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি নেটওয়ার্ক ডিভাইসকে স্বতন্ত্র পরিচয় দেয়।

নিউজ ট্যাগ: ওয়াই-ফাই রাউটার

আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বন কর্মকর্তা হত্যা: ৯ দিন পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান সজল (৩০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাপ্পীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রোববার (৩১ মার্চ) মাঝ রাতে পাহাড়ের মাটি কেটে পাচারের সময় বাঁধা দেন উখিয়ায় বন বিট কর্মকর্তা সজল। এরপর ডাম্পার চাপা দিয়ে তাকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে উখিয়ার হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে ডাম্প ট্রাকে করে মাটি পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে মোটরসাইকেলে করে সাজ্জাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় পাহাড় কেটে মাটি পাচার কাজে ব্যবহৃত একটি ডাম্পার তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তার সঙ্গে থাকা বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭) আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।


আরও খবর



ভয়াবহ খরায় জিম্বাবুয়েতে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দীর্ঘদিন ধরে ভয়াবহ খরায় ভুগছে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশ জিম্বাবুয়ে। আর এরই জেরে এবার খরা মোকাবিলায় জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এছাড়া ক্ষুধা মোকাবিলায় বিপুল অর্থ প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে দেশটি। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী খরা সংকট মোকাবিলায় জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া দেশটিতে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছেন। নানগাগওয়া বুধবার বলেছেন, কম বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট খরা ও ক্ষুধা মোকাবিলায় তার দেশের ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। মূলত বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে দেশটির প্রায় অর্ধেক ভুট্টা ফসল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

এদিকে শস্যের ঘাটতি জিম্বাবুয়েতে খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এবং এতে করে আনুমানিক ২৭ লাখ মানুষ ক্ষুধার মুখোমুখি হবে। এছাড়া প্রতিবেশী জাম্বিয়া এবং মালাউইও সম্প্রতি খরার কারণে রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের ঘোষণা দিয়েছে।

কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোতে চলমান এই খরা হবে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) বলেছে, ১ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ বর্তমানে এই অঞ্চলে সংকট স্তরের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া বলেন, সমস্ত জিম্বাবুয়ের জন্য খাদ্য সুরক্ষিত করাই আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। জিম্বাবুয়ের কোনও নাগরিককে ক্ষুধায় আত্মহত্যা করতে বা মরতে হবে না।

জিম্বাবুয়ে অবশ্য ইতোমধ্যেই খাদ্য মূল্যের কারণে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির শিকার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশটি এখন আন্তর্জাতিক বাজারে পর্যাপ্ত ভুট্টা খুঁজে পেতে আঞ্চলিক লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে।

বিবিসি বলছে, জিম্বাবুয়ে একসময় আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফসল এবং গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মারাত্মক খরার সম্মুখীন হয়েছে দেশটি। আফ্রিকার এই দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ খরা ঘটেছিল ১৯৯২ সালে। সেসময় দেশটির গবাদি পশুর এক-চতুর্থাংশই মারা গিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ক্রমবর্ধমান শুষ্ক আবহাওয়া আবারও ফিরে এসেছে। এর আগে ২০১৬ সালে এবং এরপর ২০১৯ সালেও দেশটিতে খরা ঘোষণা করা হয়েছিল।

যদিও সব খরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয় না, তবে বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত তাপ পৃথিবী থেকে আরও বেশি আর্দ্রতা বের করে দেয় এবং এতে করে খরা আরও বেশি খারাপ হয়ে উঠছে।

উল্লেখ্য, শিল্প যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে পৃথিবী ইতোমধ্যেই প্রায় ১.২ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উষ্ণ হয়েছে এবং বিশ্বের সকল দেশ কার্বন নির্গমন ব্যাপকভাবে হ্রাস না করলে তাপমাত্রা আরও বাড়তেই থাকবে।


আরও খবর



আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ২০০ বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি পাচ্ছে। থাইল্যান্ড ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের এই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে।

গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির সাথে সংঘাতে টিকতে না পেরে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিজিপির ১৭৯ সদস্য। বিজিপির এই সদস্যরা বর্তমানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হেফাজতে আছেন।

ইরাবতির প্রতিবেদন বলছে, এপ্রিলের শুরুতে এই বিনিময় সম্পন্ন হতে পারে। বিজিপি সদস্যদের মধ্যে অন্তত একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

অবশ্য এ বিষয়ে বিজিবির কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সরকারের একটি সূত্রের কথা উল্লেখ করে ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্যসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা কারাগারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জান্তা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তারা বাংলাদেশি কারাবন্দিদের ফেরত পাঠাতে চায়। ধারণা করা হচ্ছে যে জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া হবে সেই জাহাজেই বাংলাদেশি বন্দিদের নিয়ে আসা হবে।

সেই সূত্রটি বলে, এটাকে এক অর্থে বন্দি বিনিময় বলা যায় না, কারণ বিজিপি সদস্যরা এখানে আশ্রয় চেয়েছেন। তারা সবাই মিয়ানমারে ফেরত যেতে চান। এদের মধ্যে কেউ শরণ চাইলে আমরা বিষয়টি জাতিসংঘকে অবহিত করব।

সেই কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত বিজিপি কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, যদি তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সেনা সদরদপ্তরের দখল নিয়েছে তারা।

সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দিনভর সংঘর্ষ, আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলাবারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে এরআগেও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের ৩৩০ কর্মকর্তা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর



৭৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, ডুবলো সংযুক্ত আরব আমিরাত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গত ৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের সাক্ষী হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দেশটিতে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১৯৪৯ সালের পর থেকে দেশটি কখনোই আর এতো বৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেনি।

প্লাবিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনেক এলাকা। তলিয়ে গেছে দুবাইয়ের প্রধান সড়কগুলো। এমনকি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কিছু অংশও পানির নীচে চলে যায়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে আল শাকলা এলাকায়। আল আইনের ওই অঞ্চলটিতে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে একক অঞ্চল হিসেবে শুয়াইব স্টেশনে ২৮৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিলো। এই অবস্থায় বিপর্যয় এড়াতে পরিবারের সব সদস্যদের একসাথে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

সামনে আরো বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে শঙ্কা করছে আমিরাতের আবহাওয়া দপ্তর। তারা জানিয়েছে, আবহাওয়ার রেকর্ড লিপিবদ্ধ করার পর থেকেই এ পর্যন্ত এবারই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোথাও কোথাও গাছপালাও ভেঙে পড়েছে।

এমন বৃষ্টিপাতের ফলে দেশটির বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বেড়েছে। সেই সাথে দেশটির মাটির অভ্যন্তরের পানির রিজার্ভের পরিমাণও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা।


আরও খবর



তামিম-মিরাজের সেই বিজ্ঞাপন ইস্যুতে যা বললেন পাপন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বেশ কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের এক ফোনালাপ। দেশের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের অংশ ছিল সেটি। তামিম-মিরাজের এমন বিজ্ঞাপনী প্রচারণা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। এবার সেই বিজ্ঞাপন ইস্যুতে কথা বলেছেন যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাপন জানান, এখনও সমালোচিত সেই বিজ্ঞাপনটি দেখেননি তিনি।

বিসিবি সভাপতি বলেন, আমি বিজ্ঞাপনটা দেখিনি, তবে শুনেছি। একজন আমাকে বলেছে যে এ রকম একটা বিজ্ঞাপন হয়েছে। ওরা যদি বিসিবির কোন নিয়ম ভেঙে থাকে তাহলে বোর্ড তার সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি আরও বলেন, এমন কোনো বিজ্ঞাপন কিংবা নাটক করা উচিত না যেটা কোনো ক্রিকেটারকে হাস্যকরে পরিণত করে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিসিবি প্রধান বলেন, এরা কেউ বাচ্চা ছেলে না যে, হঠাৎ করে আজকে ওদেরকে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জিনিসটা বলে দিতে হবে। তারা প্রত্যেকে জানে। এই কারণে আমাদের মনটা খারাপ হয়েছে এবং সেটা নিয়েই কথা বলব। সেজন্য আজকে সবার সঙ্গে বসার জন্য এখানে আসছি।


আরও খবর