আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সরকার পদত্যাগের এক দফা ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন।

শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহীদ মিনারে সমবেত ছাত্র-জনতার উদ্দেশে বক্তব্য দেন নাহিদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আর এক মিনিটও এই সরকার থাকবে না। এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

তিনি বলেন, আমরা আর তাদের কাছে কী বিচার চাইব? তারাই তো খুনি। আমাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আপনাদের আন্দোলনের কারণে আমরা ছাড়া পেয়েছি। আজকেও গুলি চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এক দফা ঘোষণা করছি। শেখ হাসিনা বলেছেন, আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে। তিনি আগেই বুঝেছেন, দরজা খোলা রাখার সময় হয়েছে। আমরা আসছি। এই যে খুন-হত্যা হয়েছে, এজন্য তাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা নন, সব মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমাদের এক দফা হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং এই সরকারের লুটপাট-দুর্নীতির বিচার। আমরা জেলের তালা ভেঙে আমাদের ভাইদের আনব। যে অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে, এতে সব জনতা যোগ দিন। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সম্মিলিত মোর্চা গঠন করব। আমরা আমাদের দেশের রূপরেখা ঘোষণা করব। আগামীকাল থেকে সর্বত্র অসহযোগ আন্দোলন হবে।

এই সমন্বয়ক বলেন, যদি ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি হয় আমরা মেনে নেব না। এখন ছাত্র-জনতার এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ আন্দোলন পালন করবেন। সরকার যদি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, এটা জনগণ মানবে না। আপনারা যদি অস্ত্র চালান তাহলে প্রতিরোধ হবে। আমরা সব গণহত্যার বিচার করব বাংলার মাটিতে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগ দাবিতে রোববার (৪ আগস্ট) সারাদেশে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে বলে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর ড্রোন হামলা, নিহত ২০০

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা রোহিঙ্গাদের ওপর ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দুই শতাধিক নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার রোহিঙ্গাদের ওপর এই হামলা চালানো হয়। চারজন প্রত্যক্ষদর্শী, মানবাধিকার কর্মী ও একজন কূটনীতিক এ ড্রোন হামলার বর্ণনা দিয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন, যারা হামলা থেকে বেঁচে গেছেন তারা মৃতদেহের স্তূপের মধ্যে নিহত ও আহত স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী ও তার দুই বছর বয়সী মেয়েও আছে।

তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি নিজে কমপক্ষে ৭০টি মরদেহ দেখেছেন।

এসব প্রত্যক্ষদর্শী শুক্রবার রয়টার্সকে জানান, আরাকান আর্মি এই হামলার জন্য দায়ী। তবে এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে এই গোষ্ঠী।

রয়টার্স বলছে, এই হামলার জন্য আরাকানের এই বিদ্রোহী বাহিনী ও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একে অপরকে দোষারোপ করেছে।

তবে হামলাটি কারা চালিয়েছে বা হামলায় কতজন নিহত হয়েছেন, স্বতন্ত্রভাবে তা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।


আরও খবর



বন্যার্তদের সহায়তায় রাজনৈতিক-ধর্মীয় পরিচয় নয়: তারেক রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বন্যাদুর্গত মানুষদের সহায়তায় রাজনৈতিক বা ধর্মীয় পরিচয় না দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক ভিডিও বার্তায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এই আহ্বান জানান তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আপনারা সমন্বীতভাবে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। বন্যাকবলিত অঞ্চলের মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও ওষুধের সহায়তা দিন এবং ব্যবস্থা নিন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাব যে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার দেশে মানুষে মানুষে হিংসা-বিরোধী-বিভেদ তৈরি করেছিল। কিন্তু আপনাদের প্রতি একান্ত অনুরোধ, মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে আপনারা দয়া করে কারও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিচয়কে প্রাধান্য দেবেন না। একই সঙ্গে আপনারা ব্যক্তিগত ও দলীয় উদ্যোগের পাশাপাশি বন্যার্তদের সহায়তার জন্য সরকার ও প্রশাসন আপনাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চাইলে দয়া করে সাধ্যমত সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।

দেশবাসীর উদ্দেশে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দলমত নির্বিশেষে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াই, যার যার সাধ্যমত বিপদগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসি আল্লাহর রহমতে অবশ্যই এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম হবো।

তারেক রহমান বলেন, হঠাৎ করেই আকস্মিক বন্যায় দেশের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পূর্বাঞ্চলে জেলার পর জেলা প্লাবিত হওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। জীবন ও যানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরইমধ্যে জীবন গেছে কয়েকজন মানুষের। ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

বাংলাদেশের এই আকস্মিক বন্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই বন্যা দেশের অভ্যন্তরে উদ্ভূত কোনো কারণে নয়। বন্যা কবলিত অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হলেও সেটি পূর্বাঞ্চলের বন্যার মূলকারণ নয়। বরং এবারের বন্যার মূল কারণ উজানের দেশ প্রতিবেশী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য প্রশানের দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালিপনা। হঠাৎ করে বাঁধ খুলে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবিয়ে দিলেও একটি বারের জন্যও বাংলাদেশকে আগাম কোনো সতর্কতা দেইনি তারা। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়ে নিলেও বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সামন্যটুকু প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পর্যন্ত পায়নি।

বন্যা কবলিত এলাকার মানুষগুলো এখন সহায়সম্বল হারিয়ে লাখ লাখ মানুষ এখন নিদারুন অসহায় বলে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, এমন পরিস্থিতিতে কোনো অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করে এখন সময় ক্ষেপণেরও সময় নেই। বিএনপি বিশ্বাস করে বন্যাকবলিত মানুষের জীবন সম্পদ রক্ষা করাই এই মুহূর্তে প্রধান অগ্রাধিকার। দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে আমি সারা দেশে বিশেষ করে যেসব এলাকা এখনো আক্রান্ত হয়নি, সেসব এলাকার বিএনপি এবং এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, আপনারা সমন্বিতভাবে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ান, সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। তাদের নিরাপত্তায় পাশে দাঁড়ান।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সালমান এফ রহমানসহ ১৭৪ জনের বিরুদ্ধে দোহার থানায় মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সাবেক এমপি সালান এফ রহমানসহ ১৭৪ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি এ মামলায় অজ্ঞাতনামা প্রায় ২৫০ জনকে উল্লেখ করা হয়েছে। রবিবার সকালে ঢাকা জেলার দোহার থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী হয়েছেন দোহারের রামনাপুর গ্রামের মো. শাজাহান মাঝি।

মামলায় সালমান এফ রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় আসামি হয়েছেন আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, দোহার পৌর মেয়র আলমাছ উদ্দিন, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক বেপারিসহ দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতাকর্মী। আছেন বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানও।

তারা হলেন- মুকসুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমএ হান্নান, সুতারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, বিলাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদার, রাইপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, নয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান তরুণ, নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচীতে অংশ নিতে বাদী শাজাহান মাঝি ও তাঁর স্বজন সোনিয়া আক্তার দোহার করম আলীর মোড়ে যায়। এসময় সালমান এফ রহমানের পরোক্ষ মদদে দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অস্ত্র হাতে তাঁদের উপর হামলা করে। এতে শাজাহান মাঝিসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। মামলায় হামলা জখম ও বিস্ফোরক ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে শাজাহান মাঝি বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা করে। এসময় আরো অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়।

দোহার থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, ১৭৪ জনকে এজাহার নামীয় ও ২০০/২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সালমান এফ রহমান

আরও খবর



ড. ইউনূসকে চিঠি, কী লিখলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে লেখা ওই চিঠিতে কিয়ার স্টারমার বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনার নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সঙ্গে জনগণের গভীর সম্পর্ক এবং কমনওয়েলথ মূল্যবোধ দ্বারা দুদেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে এ দৃঢ় স্থায়ী সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে।

চিঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বন্ধু হিসেবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা ছাত্র-জনতার সাহসিকতা স্বীকার করি। যারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের প্রকাশ কয়রে স্টারমার এরপর বলেন, বাংলাদেশে শান্তি-সমৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে ব্রিটিশ সরকার আপনাকে সহায়তা করতে চায়।


আরও খবর



সাবেক এমপি রতনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শহীদুল ইসলাম, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে নূর জামাল নামে সাবেক এক ইউপি সদস্য মামলা করেছেন। নূর জামাল রবিবার ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রতনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সঠিক তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল মোতালিব খানের পক্ষে কাজ করেন নূর জামাল। ভোট গ্রহণের দিন বালিজুড়ি কেন্দ্রে তিনি তাঁর প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভোটগ্রহণ চলাকালে আসামিগণ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম আহমেদ মুরাদের পক্ষে জাল ভোট দিতে চাইলে বাধা দেন নূর জামাল। আর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামিদের সাথে নূর জামালরে দ্বন্ধ শুরু হয়।

পরে ২০১৫ সালে ২ অক্টোবর সাবেক এমপি রতন তার লোকজন দিয়ে নূর জামাল ও তার ছেলে নূরুল হুদাকে সেলবরষ ইউনিয়নের মহিষাখালী বাজার থেকে জোরপূর্বক বাদশাগঞ্জ বাজারে তুলে আনেন। পরে সেখানে স্থানীয় ক্যাবল টিভির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাদেরকে আটকে রেখে নির্যাতন ও মারধর করা হয় এবং ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ সময় নূরজামাল ও নূরুল হুদার আত্মচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে আহতাবস্থায় নূরুল হুদাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং নূর জামাল স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।

মামলার বাদি নূর জামাল বলেন, ঘটনার পরপরই থানায় মামলা করার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু থানায় আমার মামলা নেয়নি। মামলা করলে আমাকে ও আমার ছেলেকে গুমের হুমকি দেওয়া আর আইনি পদক্ষেপ নিতে সাহস পাইনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এখন সুবিচার পাবো বলে বিশ্বাস করি।


আরও খবর