আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

কেরানীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কেরানীগঞ্জে ২ অটোরিকশার সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। নিহত কবির হোসেন শাহিন হাম্মাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় এক শিশুসহ নিহত শিক্ষার্থীর বাবা আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোনাখোলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: আজ ২০ জেলায় ঝড়-বৃষ্টি আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা

আহতের ভাগনে মো. রানা জানান, শুক্রবার বিকেলে সুমন তার স্ত্রী ইয়াসমিন, মেয়ে লায়ভা, ছেলে শাহিন এবং তাদের আত্মীয় ফাতেমা আক্তার এবং তার দুই ছেলে লাবিব ও নাবিলকে নিয়ে কেরানীগঞ্জে ঘুরতে যান। সেখান থেকে একটি অটোরিকশায় করে তারা বংশালের বাসায় ফিরছিলেন। কেরানীগঞ্জের কোনাখোলা এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিশার সঙ্গে তাদের অটোরিকশাটির সংঘর্ষ হয়। এতে সুমন, শাহিন ও নাবিল আহত হয়। তাদেরকে দ্রুত মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাহিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সুমন ও নাবিলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।

আরও পড়ুন: মাটি খননকালে কষ্টিপাথরের তৈরি রাধাকৃষ্ণের মূর্তির সন্ধান

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের স্বজনরা জানান, শাহিন নামে এক শিক্ষার্থী মিটফোর্ড হাসপাতালে মারা গেছে। এ ঘটনায় এক রিকশাসহ চালককে আটক করা হয়েছে। তবে অন্য রিকশা নিয়ে চালক পালিয়ে গেছেন।


আরও খবর



জামায়াতের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনের শুনানি আজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ করার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা, জনসভা বা মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদনটির শুনানি আজ। সোমবার (৬ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চের কার্য তালিকায় আবেদনটি শুনানির জন্য ৬ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর শুনানির জন্য ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছিল। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানীয়া আমীর। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড জয়নাল আবেদীন তুহিন।

জামায়াতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিটকারী মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ তিনজন হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ করার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা, জনসভা বা মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ১০ বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে গত মাসে পৃথক আবেদন করে।

গত ২৬ জুন আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী আবেদনগুলো শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। এর মধ্যে আরও ৪২ জন পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেছেন। যারা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্টজন।

গত ২৬ জুন আইনজীবী তানিয়া আমীর বলেছিলেন, আমরা দুটি আবেদন করেছি। একটি হচ্ছে হাইকোর্টের রায় বলবৎ থাকার পরও ১০ বছর পরে জামায়াতে ইসলামী কর্মসূচি পালন করেছে। আরেকটা আদালত অবমাননার। কারণ তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন যেখানে আদালত অবমাননার বিষয় রয়েছে। অথচ হাইকোর্টের রায়ে তাদের নিবন্ধন অবৈধ। চেম্বার আদালত আবেদন দুটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ রিট করেন। রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আরজি জানান।

এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ (বি) (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।

জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুইবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দুইবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। এসব সংশোধনীতে দলের নাম জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী করা হয়।

পরে ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আবেদনকারীরা এ রুল শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৫ মার্চ আবেদনটি বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। ১০ মার্চ সাংবিধানিক ও আইনের প্রশ্ন জড়িত থাকায় বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন দ্বৈত বেঞ্চ। ওইদিন প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন।

২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হলে যেকোনো দিন রায় দেবেন বলে জানিয়ে অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ। পরে জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন ২০১৩ সালের ১ আগস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন। তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ওই আপিল শুনানিতে উদ্যোগ নেন রিটকারী পক্ষ। সে অনুসারে আপিলটি চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার কার্যতালিকায় ওঠে।

এরপর ৩১ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সার সংক্ষেপ প্রস্তুত করতে চূড়ান্তভাবে দুই মাস সময় দেন।


আরও খবর
তফসিল স্থগিত চাওয়া রিটের শুনানি আজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

হাইকোর্টে জিতলেন ড. ইউনূস

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




মা-খালাসহ নিহত ৩, বেঁচে গেল শিশু কন্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের তারাকান্দার কাশিগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিনজন।

তাঁরা হলেন- নেত্রকোনা সদরের লাকি আক্তার (৩০), তার ফুফাতো বোন সাকি আক্তার (২২) ও সিএনজিচালক মোস্তাকিম আহমেদ (৩৫)। সিএনজিচালক সম্পর্কে লাকির মামাতো ভাই।

লাকি আক্তার ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে নিজের মেয়ে, ভাই, ভাগ্নি ছিল। দুর্ঘটনায় লাকি মারা গেলেও তার তিন বছরের মেয়ে হুমায়রা আক্তার বেঁচে আছে। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।

দুর্ঘটনায় আহত শাহীন খান বলেন, বোনের চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। আমাদের সামনে ও পেছনে দুটি ট্রাক ছিল। হঠাৎ সমানে থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে আমাদের সিএনজির সংঘর্ষ হয়। এতে আমার বোন, ফুফাতো বোন ও মামাতো ভাই সিএনজি চালক মারা গেছেন। আমার বোনের মেয়ের অবস্থাও ভালো নয়।

দুর্ঘটনায় তিন বছরের হুমায়রা বেঁচে গেলও তার অবস্থা সংকটাপন্ন। হুমায়রা নেত্রকোনা সদরের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। স্বজনরা হুমায়রাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে না রাখায় ফের ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি সিএনজি নেত্রকোনার দিকে যাচ্ছিল। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কাশিগঞ্জ বাজার এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন জামালপুর থেকে ছাড়ার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি জামালপুর থেকে চালুর সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন জামালপুর নাগরিক কমিটি ও সম্মিলিত সমাজিক আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখা।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে এ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিক ও মানববাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অজয় কুমার পাল, সহ-সভাপতি অধ্যাপক কায়েদুজ্জামান, পরিবেশ আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক রতন, সম্প্রীতি বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি তুষার মল্লিক, জামালপুর প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ কাফি পারভেজ, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা মনজু, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফজলে এলাহি মাকাম, নাট্যনীড়ের সাধারণ সম্পাদক সাগর মুখার্জি প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, কয়েক বছর আগে ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হয়। এরপর থেকেই জামালপুরের সাধারণ জনগণ এই ট্রেনটি জামালপুর থেকে ছাড়ার জন্য দাবি তুলে আসছিলো। এই ট্রেন জামালপুর থেকে চালু হলে হাজারো মানুষ উপকৃত হবে। সম্প্রতি বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন জামালপুর থেকে ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই ময়মনসিংহের একটি স্বার্থান্বেষী মহল এর বিরোধিতা করে আন্দোলন করে আসছে। 

বক্তারা তাদের এই আন্দোলনের তীব্র নিন্দা জানান এবং অতি দ্রুত বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি জামালপুর থেকে ছাড়ার দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাবার হুশিয়ারি দেন তারা।


আরও খবর



অবরোধ সফল করতে সন্ত্রাসী সংগঠনের কৌশল নিয়েছে বিএনপি : জয়

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশব্যাপী চলমান অবরোধ কর্মসূচির সফল করতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি'র সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো কৌশল গ্রহণ করার কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

নিজের ফেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে বিএনপির অফিসিয়াল পেজকে মেনশন করে জয় লেখেন, এদের কর্মকাণ্ড ঠিক যেন একটা সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো। তাদের চলমান অবরোধ সফল করতে পিকেটার @bdbnp78-এর ছাত্র সংগঠন পুলিশের ভ্যানে ককটেল নিক্ষেপ করেছে।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সহিংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, কয়েকদিন আগে এই দলের হিংস্র ক্যাডাররা একজন পুলিশ অফিসারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে। এই ঘটনায় ১০০ জনেরও বেশি পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন।

পুলিশ সদস্যের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে স্বাগত জানিয়ে, বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা সমাবেশ সফল হয়েছে বলে প্রকাশ্যে যে দাবি করেছেন সেটাকে সহিংসতা ও খুনিদের মহিমান্বিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখেছেন জয়।

এছাড়া বিএনপি-জামায়াত ক্যাডারদের অতীত কর্মকাণ্ডের কথা স্মরণ করে জয় লেখেন, ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে ৮ মাস ধরে বিএনপি-জামায়াত এই ধরনের অবরোধ ডেকে ৯০ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছিলো।

এদিকে শনিবার (৪ নভেম্বর) এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে তাদের আন্দোলনের নামে সহিংসতা এবং মানুষ হত্যার বিষয়ে সতর্ক করে এগুলো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এই ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড কীভাবে বন্ধ করতে হয় সরকারের তা জানা আছে।

ঢাকাবাসীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আগুন দিয়ে পোড়াবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। দরকার হলে তাদের ধরে ওই আগুনের মধ্যে ফেলতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে সেই হাত আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই তাদের শিক্ষা হবে।

রাজধানীতে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে সারা দেশে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি শেষ হয় ২ নভেম্বর। হরতাল ও অবরোধ চলাকালে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্সসহ যাত্রীবাহী বেশ কিছু যাত্রীবাস ও পণ্যবাহী গাড়িতে ভাঙচুর চালায় ও আগুন দেয় অবরোধকারীরা।

এরপর সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সারা দেশে দোয়া মাহফিল করে বিএনপি। শনিবার বিরতি দিয়ে রবি ও সোমবার (৫ ও ৬ নভেম্বর) দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ পালন করছে দলটি। এতে গত দুই দিনে রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, চট্টগ্রাম, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন, পুলিশের ওপর হামলাসহ নানা ধরনের নাশকতার খবর পাওয়া গেছে।


আরও খবর
নবম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




তিশা-ফারুকী অভিনীত সিনেমা ‘অটোবায়োগ্রাফি’ মুক্তি পাচ্ছে ৩০ নভেম্বর

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মিনিস্ট্রি অব লাভ-প্রজেক্টে জনপ্রিয় ১২ জন নির্মাতা ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাচ্ছেন। এই পুরো প্রজেক্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি নিজে নির্মাণ করেছেন দুটি সিনেমা অটোবায়োগ্রাফিমনোগামী। আগামীকাল ৩০ নভেম্বর রাত ৮টায় মুক্তি পাবে মিনিস্ট্রি অব লাভ-এর প্রথম সিনেমা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত চরকি অরিজিনাল ফিল্ম সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি

সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি ইলহাম হওয়ার পর আমার প্রথম কাজ। রাইটার হিসেবে আমার প্রথম লেখা। ইলহামের প্রথম মিউজিক ভিডিও, একজন ডিরেক্টর ফারুকীর প্রথম অভিনয়-এই ফিল্মে অনেক কিছুই প্রথমবার ঘটেছে। আর যে কোনো প্রথম বিষয় মানুষের জীবনে অনেক স্পেশাল। তাই সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি আমার জন্য অনেক স্পেশাল। কথাগুলো বলছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

তিশা কথাতেই উঠে এসেছে সিনেমাটিতে অনেকগুলো প্রথমের সমন্বয় ঘটেছে। তিশা আরও বলেন, এই সিনেমা নিয়ে যদি আরও কিছু বলতে হয় তাহলে আমি ছোট্ট করে বলব এই সিনেমাটা হচ্ছে সকল সন্তানের প্রতি তার মা বাবার অনুভূতির উপহার।

পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, অনেক দিন তো কাজ করছি। কখনো ভাবি নাই অভিনয় করব। সেটাও করা হয়ে গেল। ফলে এক ধরনের সংকোচ ভাবত আছেই। একই সঙ্গে উত্তেজনাও কাজ করছে। নিজেদের জীবনের গল্প বের করে আনার মধ্যে একটা ভালনারেবিলিটি আছে। কিন্তু হৃদয় খুঁড়ে বেদনা বের করে আনাইতো শিল্পীর কাজ।

ফারুকী আরও বলেন, নিজের সময়টার সাক্ষী হওয়া ছাড়া আমাদের আর কিই বা করার আছে। আমরা এখানে সেটাই করার চেষ্টা করেছি। বাবা মা হিসাবে আমরা বিশেষ কেউ না। সব বাবা-মায়ের গল্পই এক। সন্তানের জন্য সব বাবা মায়েরই স্পেশাল ত্যাগের গল্প আছে, আনন্দের গল্প আছে, বিব্রতকর গল্প আছে, এই ছবিটা যদি তাদের সেই সব অনুভূতির কথা মনে করিয়ে দেয় তাহলেই আমরা খুশি হব। 

আরও পড়ুন>> কাকে বিয়ে করছেন দর্শনা বণিক

অটোবায়োগ্রাফি-এর সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন তাহসিন রহমান, সম্পাদনার কাজটি সুনিপুণভাবে করেছেন মোমিন বিশ্বাস। কালার গ্রেডিংয়ে ছিলেন দেবজ্যোতি ঘোষ। সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন রিপন নাথ ও ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করেছেন পাভেন আরিন। আর্ট ডিরেকশন দিয়েছেন শিহাব নুরুন নবী। মেকআপের দায়িত্বে ছিলেন আতিয়া রহমান ও কস্টিউমে ইদিলা ফরিদ তুরিন।

ফারুকী ও তিশার সঙ্গে এই সিনেমায় অভিনয় করেছেনইরেশ যাকের, ডলি জহুর, শরাফ আহমেদ জীবনসহ আরও অনেকে।

অভিনেত্রী তিথি আর তার চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারহানের পক্ষ থেকে তাদের সদ্যোজাত কন্যার উদ্দেশে লেখা লাভ লেটার সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি। বাইরে থেকে দেখলে এটা সন্তানের দুনিয়াতে আগমন পর্যন্ত এক প্রকার দিনলিপি হলেও, ভেতরে লুকিয়ে আছে ব্যক্তি থেকে সমাজ হয়ে রাষ্ট্রের নানা চেহারা।


আরও খবর