আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

‘কেউ ভোটে না আসতে চাইলে আনা সরকারের দায়িত্ব নয়’

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কেউ নির্বাচনে না এলে তাদের আনা সরকারের দায়িত্ব নয়।

সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এটা দেশ বিরোধী অপতৎপরতা। আগুন, ভাঙচুরের ভিডিও থাকলে কর্মীদের প্রমোশন হয়। যে দল এমন কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা সবাই দুস্কৃতিকারী। আবার ক্ষমতায় এলে আগুন সন্ত্রসীদের নিমূর্ল করা হবে।

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহবান জানানো হবে কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক, সেটা আমরা চাই। একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকা। নির্বাচন বর্জন যে কেউ করতে পারেন, প্রতিহত করার এখতিয়ার কারও নেই।

টেকনোক্র্যট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা গতবারের মতো পদত্যাগ করেছেন। তা গ্রহণ করা না করা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। যারা সংসদ সদস্য তাদের মন্ত্রী হিসেবে থাকতে আইনি বাধা নেই।


আরও খবর
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




ভালোবাসার পূর্ণতা দিতে সাভারে ছুটে এলেন সাইপ্রাসের তরুণী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ভালোবাসার পূর্ণতা দিতে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন সাইপ্রাসের এক তরুণী। আঁট বছর আগে বাংলাদেশের তরুণ শামীম আহমেদ স্টুডেন্ট ভিসায় সাইপ্রাসে গেলে প্রথম দেখায় ভালোলাগার সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই তরুণীর সাথে। আগ্রহী হয়ে ওঠেন একে অপরের দেশীয় সংস্কৃতি জানতে। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর একে অপরের সাথে ভালোবাসার গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে যান তারা। ভিসার মেয়াদ শেষে শামীম দেশে চলে আসে কিন্তু ভালোবাসা দেশের দূরত্ব আটকে রাখতে পারেনি সাইপ্রাসের তরুণীকে। শামীমকে চমকে দিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই হঠাৎ বাংলাদেশে চলে আসে সাইপ্রাসের তরুণী আন্থি তেলেবান্তো।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সাভারের আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় শামীমের ভিনদেশী স্ত্রীকে ঘিরে চলে নানা আয়োজন। আত্মীয়স্বজন আর পাড়াপ্রতিবেশীরা ছুটে আসছেন ভিনদেশী বউকে একবার দেখতে। সাইপ্রাসের নাগরিক আন্থি তেলেবান্থুও সবাইকে আপন করে নিয়েছেন।

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর আশুলিয়ায় শামীমের বাড়িতে আসেন আন্থি তেলেবান্থু। ৩০ নভেম্বর ঢাকা জজকোর্টে বাংলাদেশের আইন অনুসারে বিয়ে করেন আন্থি ও শামীম। শামীম আহমেদ সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানধীন দক্ষিণ গাজীরচট আয়নাল মার্কেট এলাকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা( মৃত) ফিরোজ আহমেদ এর বড় ছেলে।

আন্থির সঙ্গে পরিচয়ও প্রেমের বিষয়ে শামীম আহমেদ বলেন, স্টুন্ডেন্ট ভিসায় ২০১৫ সালে আমি সাইপ্রাস চলে যাই। সেখানকার সিডিএ কলেজে ভর্তি হওয়ার পর লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরি নেই। সেখানেই প্রথম আন্থির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। একসময় আমরা দুজন দুইজনকে পছন্দ করা শুরু করি। পরে প্রেম থেকে এখন বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছি। অনেক আগে থেকেই সে বাংলাদেশে আমার বাড়িতে আসার জন্য উদগ্রীব ছিল। এরপর গত ২৮ নভেম্বর সে সত্যি সত্যিই বাংলাদেশে চলে আসে। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমরা দুজন গতকাল ঢাকা জজকোর্টে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।

আন্থি তেলেবান্থু বলেন, আমরা প্রথমে বন্ধু হয়েছি। পরে আস্তে আস্তে আমি তার প্রেমে পড়ে যাই। আমার পরিবার শামীমকে অনেক পছন্দ করে। তারাও আমাদের এই সম্পর্ক মেনে নিয়েছে। আমি বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ।

শামীমের চাচা ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিদেশী মেয়ে হলেও ওর সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক হয়ে গেছে। গত তিন দিন ধরে যখনই সে আমার সামনে আসছে ঘোমটা পরে আসছে, বাঙ্গালি মেয়েদের মতো। সে আমাদের মতোই শাকসবজি, তরকারি খাচ্ছে। আমার পূত্রবধূকে নিয়ে কোন সমস্যা পরিবারে নাই।


আরও খবর



শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে কেন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন জানালেন আফ্রিদি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শহিদ আফ্রিদির দ্বিতীয় মেয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৩ বছর বয়সি এ পেসার।

নিজ মেয়েকে কেন শাহিন আফ্রিদির কাছে বিয়ে দিয়েছেন, সে বিষয়টি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন আফ্রিদি। খবর জিও টিভির। শহিদ আফ্রিদি জানিয়েছেন, তাদের দুই পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই জানাশোনা ছিল। আর শাহিন মানুষ হিসেবে ভালো হওয়ায় নিজের মেয়েকে তার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে আফ্রিদি বলেন, শাহিনের পরিবার আমার পরিবারের মধ্যে এ ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই কথাবার্তা বলছিল। একজনকে সবার আগে অবশ্যই ভালো মানুষ হতে হবে। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শাহিন একজন অসাধারণ ছেলে। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম না। আমাদের দুই পরিবারের মুরব্বিরা একে অপরকে জানতেন। যদিও আমাদের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে যারাই শাহিনের সঙ্গে খেলেছে, তারাই তার আচরণের প্রশংসা করেছেন। তারা তাকে ভালো মানুষ এবং খুবই পরিপক্ব বলতেন। আর এ বিষয়গুলো আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

এ ছাড়া শহিদ আফ্রিদিকে ওই সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি কখনো ছবি করার প্রস্তাব পেয়েছেন কিনা। এর জবাবে তিনি বলেন, তার পরিচয় একমাত্র ক্রিকেটার। তার পরিবারের কেউ কখনো ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তাই তিনিও হবেন না। যদিও ভারত থেকেও ছবি করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। ক্রিকেটার হিসেবে বিজ্ঞাপনে বিভিন্ন সময় অভিনয় করেছেন, এটিই তার জন্য যথেষ্ট।


আরও খবর
ইউরো ২০২৪ এর ড্র অনুষ্ঠিত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




২৪ দিনে সারা দেশে ১৫ স্থাপনাসহ ১৮৫ যানবাহনে আগুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

গত ২৮ অক্টোবর হতে গতকাল ২০ নভেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত ২৪ দিনে উচ্ছৃঙ্খল জনতার দেওয়া আগুনে ১৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি গাজীপুরে, উপজেলা হিসেবে বগুড়া সদরে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৩৪১টি ইউনিট ও ১৮৮৮ জন জনবলকে কাজ করতে হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ২৪ দিনে গড়ে প্রায় ৫টি করে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে আগুনের ঘটনা বেশি। উত্তরে বেশি মিরপুরে।

তালহা বিন জসিম বলেন, সারা দেশে ৩৪ জেলায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এরমধ্যে বাকি ৩০টি জেলায় আগুন নেই। ৬০টি উপজেলায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ৪৩৫টি উপজেলায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেনি। জেলা হিসেবে গাজীপুরে ও উপজেলা হিসেবে বগুড়া সদরে আগুন দেওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ২৪ দিনে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক সারা দেশে মোট ১৯৭টি (যানবাহন ও স্থাপনাসহ) আগুনের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩১ অক্টোবর ১২টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর ৭টি, ৪ নভেম্বর ৬টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর ২টি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর ৭টি, ১০ নভেম্বর ২টি, ১১ নভেম্বর ৭টি, ১২ নভেম্বর ৭টি, ১৩ নভেম্বর ৮টি, ১৪ নভেম্বর ৪টি, ১৫ নভেম্বর ৬টি, ১৬ নভেম্বর ৭টি, ১৮ নভেম্বর ৬টি, ১৯ নভেম্বর ১৩টি, ২০ নভেম্বর ৬টি অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

এ অগ্নিকাণ্ডে ১৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা পুড়ে যায়। যানবাহনের মধ্যে মোট বাস ১১৮টি, ট্রাক ২৬টি, কাভার্ড ভ্যান ১৩টি, মোটরসাইকেল ৮টি, প্রাইভেটকার ২টি, মাইক্রোবাস ৩টি, পিকআপ ৩টি, সিএনজি ৩টি, ট্রেন ২টি, নছিমন ১টি, লেগুনা ৩টি, ফায়ার সার্ভিস এর পানিবাহী গাড়ি ১টি, পুলিশের গাড়ি ১টি, অ্যাম্বুলেন্স ১টি। স্থাপনার মধ্যে বিএনপি অফিস ৫টি, আওয়ামী লীগ অফিস ১টি, পুলিশ বক্স ১টি, কাউন্সিলর অফিস ১টি, বিদ্যুৎ অফিস ২টি, বাস কাউন্টার ১টি, শোরুমসহ ৪টি স্থাপনা পুড়ে যায়।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৯৫টি, ঢাকা বিভাগে ৩৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪টি, বরিশাল বিভাগে ৭টি, রংপুর বিভাগে ৭টি, খুলনা বিভাগে ২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২টি, সিলেট বিভাগে ১টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬০টি, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৫টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

এলাকাভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মিরপুরে এলাকায় সবচেয়ে আগুনের ঘটনা বেশি। মিরপুর এলাকায় ১৭টি, গুলিস্তানে ৯টি, নয়াপল্টন-কাকরাইল এলাকায় ৭টি, খিলগাঁও-মুগদা এলাকায় ৭টি, পোস্তাগোলা-যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৭টি, মতিঝিল-আরামবাগ এলাকায় ৫টি, মোহাম্মদ ৪টি, বারিধারা ৪টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

এদিকে জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৬টি, চট্টগ্রামে ১৪টি, বগুড়া ১৩টি, নারায়ণগঞ্জ ৬টি, মানিকগঞ্জ ৪টি, ফরিদপুর ৪টি, লালমনিরহাট ৪টি, নাটোর ৪টি করে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

উপজেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বগুড়া সদর উপজেলায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। বগুড়া সদরে ৮টি, গাজীপুর সদরে ৬টি, নারায়ণগঞ্জ সদরে ৪টি, ফেনী সদরে ৩টি, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৪টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

নিউজ ট্যাগ: বাসে আগুন

আরও খবর
নবম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




রক্তনালি কেটে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফের মৃত্যু, শরীরে ২০টি সুচালো আঘাত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেট নগরের বালুচর এলাকায় দলীয় কর্মীদের ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদের (১৯) শরীরে ২০টি সুচালো ও ধারালো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এতে রক্তনালি কেটে যাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আরিফের শরীরে আরও তিনটি হালকা জখমের চিহ্ন রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে আরিফের ময়নাতদন্ত শেষে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান মো. শামসুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, নিহত আরিফের দুই পায়ের ঊরুর পেছনের দিকে, গোড়ালিতে ও হাতে এসব আঘাত লেগেছে। নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হবে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের বালুচর টিবিগেট এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে আরিফকে (১৯) ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান কয়েকজন যুবক। তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত একটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। আরিফ নগরের টিলাগড় এলাকার স্টেইট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ ওরফে নিপুর নেতৃত্বে আরিফকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। হিরণ মাহমুদ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। আরিফ পদে না থাকলেও জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলামের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। তিনিও এ হত্যাকাণ্ডে হিরণ মাহমুদ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর থেকে কয়েক দফা চেষ্টা করেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় অভিযোগের বিষয়ে হিরণ মাহমুদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

১৫ নভেম্বর আরিফের ওপর আরেক দফা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় আরিফের মা আঁখি বেগম বাদী হয়ে গতকাল রাতে শাহপরান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ করার পর আরিফকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে টিলাগড় এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। আঁখি বেগমের দাবি, ছেলে মারা যাওয়ার আগে হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন।

শাহপরান থানায় করা অভিযোগটি রাতেই মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সিলেট বিমানবন্দর থানা এলাকায় হওয়ায় ওই থানায় মামলা করার কথা আছে।

বিমানবন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন  বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।


আরও খবর



যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে বাসে আগুন, আহত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজার সামনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি বাসে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজার মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে কুয়াকাটার দিকে যাচ্ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধলেশ্বরী টোল প্লাজার ৭ নম্বর লেনে আকস্মিক বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এ সময় বাসের আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় বাসের যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে পড়েন।

খবর পেয়ে সিরাজদিখান ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হন। এদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

সিরাজদিখান ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ বাদল রহমান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন তারা।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিন রেজা জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাসে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: বাসে আগুন

আরও খবর