
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় খালে জাল পাতা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের মহিলাসহ ৬ জন আহত হয়েছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরআইচা গ্রামের আজিজ সরদার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে
আহত মো. হারুন (২৫) দৈনিক আজকের দর্পণ’কে বলেন, আমাদের
বাড়ির সামনের খালে আমি মাছ ধরার জন্য জাল পাতি। এরপর আমার ছোট চাচা মৃত ফয়েজউল্লার
মেয়ে সাদিয়াসহ কয়েজন মিলে আমার জাল গুলো উঠিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে আমি সাদিয়ার মাকে জাল উঠানোর বিষয় জিজ্ঞাসা করিলে
সাদিয়ার মা আমাকে সাদিয়াকে মারধর করেছি বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমাকে
গালিগালাজ করতে থাকে এসময় আমি প্রতিবাদ করলে প্রতিবেশী কাশেম ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে লাঠি
দিয়ে মারধর করে। পরে আমার পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসলে কাশেমে ও তার আত্মীয় স্বজনরা
দলবদ্ধভাবে এসে আমার বাবা হাফিজউল্লাহ, মা মহিফুল বিবি, ভাই রিপনের উপর হামলা চালায়।
পরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে
অভিযুক্ত কাশেম বলেন, একই বাড়ির হারুন খালে জাল পাতলে কে বা কাহারা তার জাল উঠিয়ে ফেলে।
কিন্তু সে সন্দেহ করে তার আপন চাচাতো বোন সাদিয়াকে মারধর করে এবং তার আপন ছোট চাচি
অর্থাৎ আমার স্ত্রী খায়রুন নেছাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এসময়
আমি প্রতিবাদ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির সামনে থাকা গাছের লাঠি দিয়ে আমার মাথায় ও
হাতে আঘাত করে এরপর আমি মাটিতে পড়ে যাই। তারপর হারুন ও তার বাবা হাফিজউল্লাহ, তার ভাই
রিপন সহ ৪/ ৫ জনে মিলে আমার পিতা হাসান কাজীকেও মারধর করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে
আমার পিতাকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়। আর আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি
করেন।
এদিকে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাশেমের কারনেই শনিবার সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। কাশেম দলীয় প্রভাব দেখিয়ে ওই বাড়ির
লোকজনকে ভয়ভীতি দেখান এবং নারীদেরকে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাবও দেন। কাশেমের পরিবারের
বিরুদ্ধেও নানান ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় সূত্রে।
এ
বিষয় দক্ষিণ আইচা থানার (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, দু’পক্ষের
অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।