বিএনপি চেয়ারপারসন
বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আবেদন
করা হয়নি। বিদেশ যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (৪ মে)
রাজধানীতে কর্মহীন আসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক
প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা
জিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে তার ইচ্ছানুযায়ী রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা
নিচ্ছেন। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে আমরা জানি। খালেদা জিয়া
কিংবা তার পরিবারের তরফ থেকে কোনো ধরনের আবেদন-নিবেদন আমাদের কাছে আসেনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বলেন, বিদেশ নিতে পারবে কি পারবে না সেটা আদালত নির্ধারণ করবেন। তিনি যেন দেশে থেকে
সুচিকিৎসা পান, সে ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছেন। এরপরও যদি তিনি (খালেদা জিয়া)
আরও কিছু পেতে চান, তাহলে আদালতের মাধ্যমে আসতে হবে।
এদিকে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট
বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে খালেদা জিয়াকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিসিইউতে
স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকেই তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে দেশের বাইরে নেয়ার বিষয় নিয়ে
নানা মহলে শুরু হয় গুঞ্জন।
ওইদিন রাতে বিএনপির
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন দিয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক
অবস্থা সম্পর্কে অবগত করেন। ফোনালাপের পরপরই শুরু হয় গুঞ্জন।
এর আগে, গত ১১
এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসার বিষয়টি ওইদিন বিকেলে নিশ্চিত
করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখান থেকে এক মাসের মধ্যেই ফেরার কথা থাকলেও চিকিৎসায় সময় লাগায় হওয়ায় দেশে ফিরতে দেরি হয়। ওই বছর ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া।