আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পরিবারের আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছে পরিবার। এবারও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই আবেদন করেছেন বলে বিএনপি চেয়ারপারসন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, এটা পরিবারের বিষয়, আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেনি।

এ পর্যন্ত ৬ মাস করে চারবার খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী ২৪ মার্চ চলতি মেয়াদ শেষ হবে।


আরও খবর



স্বামী-সন্তানকে নিয়ে রামলালা দর্শনে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত সপ্তাহে ভারতে এসেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। বেশ লম্বা একটা সময় পর দেশে ফিরলেন অভিনেত্রী। মেয়ে মালতী মেরি চোপড়াকে নিয়ে প্রথমে একাই আসেন প্রিয়ঙ্কা। তার দিন দুয়েকের মাথায় আসেন স্বামী নিক জোনাস। তার পরই মা মধু চোপড়াকে নিয়ে তিন জনে মিলে গেলেন অযোধ্যা রামলালার মন্দিরে। পুজো দিলেন, দর্শন করলেন রামলালার।

প্রিয়ঙ্কার পরনে হলুদ শাড়ি, কোলে ছোট্ট মালতী। সে-ও পরেছে ফুলছাপ চুড়িদার, নিকের পরনে কুর্তা-পাজামা। অযোধ্যার মন্দির দর্শন করতে যান দেশি গার্ল। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবেও আমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু সেই সময় দেশে থাকতে না পারায় সেই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি প্রিয়ঙ্কাকে। তবে দেশে ফেরার তিন দিনের মাথায় রামলালার আশীর্বাদ নিতে গেলেন প্রিয়ঙ্কা। হাতে ১০ দিনের সময় নিয়ে এসেছেন তিনি। হাতে বেশ কিছু নতুন প্রজেক্টের কাজ নিয়ে এসেছেন। তবে ছবির কাজ নয়, বরং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারের কাজে এসেছেন। কিন্তু এর মাঝেই বলিপাড়ার পরিচালকদের বাড়িতে ঢুঁ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি ফারহান আখতারের বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ফারহানের বাড়িতে তাঁকে দেখা মাত্র শুরু হয়েছে জল্পনা। নেটপাড়ার একাংশের সন্দেহ জি লে জ়ারা ছবি নিয়ে কি তবে কথাবার্তা এগোলেন প্রিয়ঙ্কা, না কি নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ?


আরও খবর
বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




রমজানের জন্য প্রস্তুত মক্কার ১২ হাজার মসজিদ, নামাজ পড়বেন নারীরাও

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

পবিত্র রমজানের জন্য মক্কা নগরীর ১২ হাজার ১০৪টি মসজিদ পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে। মুসল্লিদের বরণ করতে এসব মসজিদ প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব মসজিদের মধ্যে মক্কার কেন্দ্রে রয়েছে ৪৬০টি মসজিদ। খবর গালফ নিউজ

রমজানকে সামনে রেখে মক্কার ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসব মসজিদ প্রস্তুত করেছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মসজিদগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে, কার্পেট বিছানো হয়েছে, সুগন্ধি ছিটানো হয়েছে এবং পুরুষ ও নারীদের নামাজের স্থানগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে।

রোববার (১০ মার্চ) সৌদি আরবে রমজানের চাঁদ দেখা গেলে সোমবার থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে রোজা শুরু হবে। আর যদি কাল চাঁদ দেখা না যায় তাহলে মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরু হবে।

রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই সৌদির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ইমামদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইফতারের জন্য কোনো ধরনের অর্থ সংগ্রহ করা যাবে না। এছাড়া মসজিদের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় এর ভেতরে ইফতার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে মসজিদের আশপাশের খালি জায়গায় ইফতার আয়োজন করা যাবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নামাজ চলাকালে কোনো ধরনের ভিডিও করা এবং এগুলো প্রচার করা যাবে না। এছাড়া সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আজান দেয়ার জন্য এবং আজান দেয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ শুরুর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং করবে চসিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। উচ্ছেদ অভিযানে কারণে এবারের রোজায় সড়কে যানজট কমবে বলে মনে করেন মেয়র।

বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিক বাজার মনিটরিং কমিটির উদ্যোগে আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে আমাদের দুটি সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং যানজট। কেবল আইন বা শাস্তির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব নয়। এজন্য ব্যবসায়ী ভাইদের সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি সেবা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ রোজাদাররা যাতে কষ্ট না পান সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কেউ সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করলে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সাথে কাজ করবে চসিক। আমরা বাজার মনিটরিং করব। প্রয়োজনে রোজা উপলক্ষে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। একারণে অসাধুদের সাবধান করছি, নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দিলে আইনি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হন।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ যানজট কমাতে সাহায্য করবে জানিয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে যানজট বেড়ে যায়। তবে এবার নিউ মার্কেট ও আগ্রাবাদ মোড়ে আমরা যে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি তার কারণে যানজট কম হবে বলে মনে করি। আমরা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখব। যারা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধে হুমকি দিচ্ছে এবং নানাভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে তাদের উদ্দেশ্যে বলব কোন হুমকিতে অভিযান বন্ধ হবেনা। উদ্ধারকৃত জায়গা প্রতিটি থানা মনিটরিং করলে জনগণকে মুক্ত ফুটপাত, রাস্তা দেয়ার আমার যে পরিকল্পনা তা বাস্তব রূপ নিবে।

সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এবং বাজারের প্রতিনিধিরা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন। সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, মেয়রের উদ্যোগে নগরীর অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অবৈধ হকারমুক্ত হওয়ায় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। তবে, দখলের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হুমকি ও চাপ দিচ্ছে।

চট্টগ্রাম অবৈধ হকারমুক্ত হলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে৷ কারণ, প্রকৃত ব্যবসায়ীরা সরকারকে ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করে৷ পক্ষান্তরে, অবৈধভাবে রাস্তা-ফুটপাত দখল করে যারা ব্যবসা করে তারা অপরাধীদের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করে, যা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য হুমকি৷ চসিক যেহেতু ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে সেহেতু লাইসেন্সধারী প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে আমাদের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। আমরা অন্যান্য সরকারি সংস্থাকে সাথে নিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করব৷ মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের সামনে ফুটপাত ও হাঁটার রাস্তা দখল না করার আহ্বান জানান৷

সভায় বাজারমূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুমসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন৷ সভায় চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম,  চৈতী সর্ববিদ্যা,  জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ,

চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক নিখিল রায়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতিমালা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কেউ ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হলে তার বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সুবিধায় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বিদেশে ভ্রমণ, ট্রেড লাইসেন্স ও কোম্পানি নিবন্ধনের মতো নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন ঋণখেলাপিরা। এছাড়া কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য যোগ্য হবেন না এসব ব্যক্তি। এ ধরনের ঋণখেলাপি শনাক্তে ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়ে পৃথক ইউনিট খুলতে হবে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানির আলোকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমে আসবে। পাশাপাশি ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ব্যাংকিং খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

সার্কুলারে বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) কাছে কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থায় এ ধরনের খেলাপির তালিকা পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া গাড়ি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হবে। তালিকার আলোকে এসব সংস্থা বিদ্যমান আইনের আওতায় যথাযথ কার্যব্যবস্থা নিতে পারবে। এছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননা পাবে না। আবার কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় কারও নাম এলে ঋণ পরিশোধ করে তালিকা থেকে অব্যহতির ৫ বছরের মধ্যে কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। আর যদি কোনো পরিচালক ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে পড়েন তবে তার পরিচালক পদ বাতিল হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি ত্রৈমাসিকে ব্যাংকের অডিট কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির আরোপিত বা অনারোপিত কোনো সুদ মওকুফ করা যাবে না এবং পুনঃতফসিলও করা যাবে না। আবার ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ঋণ হিসাবটি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া ঋণ সম্পূর্ণ আদায় বা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। কেউ ইচ্ছাকৃত খেলাপি হওয়ার পর তালিকার বিরুদ্ধে আপিল না করলে বা আপিল করার পর না মঞ্জুর হলে তাকে ২ মাসের মধ্যে অর্থ পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ক্রমে খেলাপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে ব্যাংক। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঋণ, অগ্রিম বা পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না।

যারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি বিবেচিত হবেন: কোনো খেলাপি ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি নিজের, তার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির অনুকূলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা আরোপিত সুদ বা মুনাফা তার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিশোধ না করলে তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে সে সে উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করলে অথবা অন্য কোনো ব্যাংকের জামানতকৃত সম্পদ অনুমতি ছাড়া নতুন ঋণে জামানত হিসেবে দেখালে তাকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করতে ব্যাংকের এমডি ও সিইওর দুই ধাপ নিচের কর্মকর্তার অধীনে প্রধান কার্যলয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ নামে একটি পৃথক ইউনিট আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে গঠন করতে হবে। তারা ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি তা শনাক্ত করবেন। ইচ্ছাকৃত খেলাপি শনাক্ত হওয়ার পর শনাক্তকরণের কারণ উল্লেখ করে ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে তার বক্তব্য প্রদানের জন্য ১৪ কর্মদিবস সময় দিতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অথবা তার বক্তব্য যথাযথ বিবেচিত না হলে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ কর্তৃক এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা হিসেবে চূড়ান্তকরণের পর সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতাকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।

কোনো ব্যাংক এসব নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা এবং অনধিক ১ কোটি টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে। যদি উক্ত লঙ্ঘন অব্যহত থাকে, তাহলে প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব ১ লাখ টাকা জরিমানা আরোপিত হবে।


আরও খবর



দুই দশক পর র‍্যাবের খাঁচায় কক্সবাজারের ‘আজরাইল’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

দীর্ঘ দুই দশক পলাতক থাকার পর কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া দ্বীপের একটি গোপন আস্তানা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

আজরাইল মহেশখালীর আলোচিত জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং নবনিয়োগ শাখার (রিক্রুটমেন্ট উইং) প্রধান হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ৪ হত্যা মামলা ও ৪ হত্যাচেষ্টাসহ কমপক্ষে ১০ মামলার রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালীতে খুন, ডাকাতি, অপহরণ, ঘের দখল-পালটা দখলের অন্ধকার জগতে লোকমান ওরফে আজরাইল এক সুপরিচিত নাম। সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতা ও লক্ষ্যবস্তুর প্রতি নৃশংসতার ভয়াবহতায় ধীরে ধীরে মহেশখালীর মূর্তিমান আতঙ্কের নামান্তর হয়ে উঠলেও নানান কৌশলে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০০৬ সাল থেকে অপরাধ জগতে সদর্প পদচারণার পর অবশেষে গ্রেফতার হলেন লোকমান। তাকে মহেশখালী থানার দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে মর্মে র‍্যাব সূত্রে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৮ ডিসেম্বর লোকমান ও তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহিদ শরীফ চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে এবং কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান ও মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওসমান গনিকে কুপিয়ে ও গলায় গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। এছাড়া ২০১১ সালের ২১ মে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জলদস্যু দমনে সহায়তা করার সন্দেহে কুরআনের হাফেজ আব্দুল গফুরকে কুপিয়ে হত্যা করার পর তার দ্বিখণ্ডিত মস্তক হতে হাত দিয়ে মগজ বের করে নেন তারা।

লোকমান ও তার সহযোগিদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই মেলেনি মহেশখালীর মাছ ব্যবসায়ী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনিরও৷ নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করতে ২০১২ সালের ২৯ মার্চ কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। একই বছরের ১১ জুন কুপিয়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মৎস্যজীবী বেলাল হোসেনকে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, লোকমান উপজেলার সক্রিয় প্রধান ডাকাত গ্রুপ জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একজন ক্রমিক খুনি (সিরিয়াল কিলার) হিসেবে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভাড়াটে খুনি হিসেবেও তিনি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ঘের দখলকারী হিসেবে তার এবং তার দলের পরিচিতি স্থানীয়ভাবে সর্বজনবিদিত।

গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকা র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, দীর্ঘদিন নিবিড় অনুসরণের পর আমরা আসামি লোকমানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। কক্সবাজারে সক্রিয় বিভিন্ন নামে বাহিনীগুলোর সশস্ত্র ক্যাডারদের আইনের আওতায় আনতে র‍্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: কক্সবাজার

আরও খবর