আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে : ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মে ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তাকে এখনও সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তার চিকিৎসা করছেন।

তিনি বলেন, শনিবার (৮ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়েছে। আমরাসহ দেশবাসী তার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা দোয়া করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ইতোমধ্যে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হয়েছেন।

গত ২৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। ৩ মে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন করেছে। সরকারি অনুমতি পেলে তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হবে বলে দলীয় সুত্র জানিয়েছে।


আরও খবর



বিবিএসের জরিপ : দেশে পুরুষের তুলনায় নারী বেশি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। মোট ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ৩১ লাথ ৯০ হাজার বেশি।

রবিবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩ ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও পরিসংখ্যান অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।

সভায় জানানো হয়, জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর ভিত্তিতে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, বাংলাদেশে সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। সে হিসাবে দেশে নতুন করে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯ জন।


আরও খবর



দ্বিতীয়বার ময়মনসিংহের নগরপিতা হলেন ইকরামুল হক টিটু

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঘড়ি প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী ইকরামুল হক টিটু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। আজ শনিবার দিনভর ইভিএমে ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী। ময়মনসিংহের টাউন হলের তারেক স্মৃতি মিলনায়তন থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

আরও পড়ুন>> কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র তাহসীন বাহার

ময়মনসিংহের ১২৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫৯ (এক লাখ পয়ত্রিশ হাজার নয়শত উনষাট) ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাতি  প্রতীকের সাদেকুল হক খান টজু পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৯৫ (চৌত্রিশ হাজার তিনশত পঁচানব্বই) ভোট। ১০ হাজার ৬৪৩ (দশ হাজার ছয়শ তেতাল্লিশ) ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এহতেশামুল আলম। লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ১ হাজার ২৭৬ (এক হাজার দুইশত ছিয়াত্তর) ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। পঞ্চম হয়েছেন হরিণ প্রতীকের প্রার্থী কৃষিবিদ রেজাউল করিম। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫৮ (এক হাজার চারশ আটান্ন) ভোট।

ইকরামুল হক টিটু জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালে তিনি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথম প্রশাসক এবং ২০০৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত বিলুপ্ত পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৯ সালে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মহাকাব্য : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মহাকাব্য বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। গতকাল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বুধবার (৬ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। পুরো বাঙালি জাতি সেদিন মন্ত্রমুগ্ধের মতো অবগাহন করেছিল রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধুর অমর কবিতা। মাত্র ১৮ মিনিটের এই মহাকাব্যে ধ্বনিত হয়েছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মহামন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর শাণিত ও প্রদীপ্ত উচ্চারণে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের মসনদ। মূলত ৭ মার্চের ভাষণেই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালি জাতি খুঁজে পেয়েছিল শোষণমুক্তির কাঙ্ক্ষিত পথ। তাই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মহাকাব্য।

তিনি বলেন, ৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। স্বাধীনতা বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তবে তা একদিনে অর্জিত হয়নি। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ এর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে তালবাহানা শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, অনন্য বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাস্বর ওই ভাষণে বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে একসূত্রে গেঁথে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ঐতিহাসিক সেই ভাষণের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহুকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। বাংলার মানুষের সাথে বঙ্গবন্ধুর আত্মার সম্পর্ক ছিল। তাই, তার ভাষণে মূলত মানুষের মনে কথাগুলো ফুটে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয় বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।


আরও খবর



নিষিদ্ধ জাল উৎপাদন বন্ধের আহ্বান করে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল উৎপাদন বন্ধ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।

সোমবার (১১ মার্চ) চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার মোলহেড এ জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর, চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক জনাব কামরুল হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তিনি বলেন, দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। অথচ অবৈধভাবে জাটকা আহরণের নেপথ্যে কিছু মানুষ কাজ করে থাকে। জাটকা ধরার সাথে জড়িতরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন জাটকা ধরলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যারা কারেন্ট জালসহ অবৈধ জাল ব্যবহার করে জাটকাসহ রেনুপোনা ধরে ফেলে তারা সমাজ ও দেশের শত্রু। দেশের মৎস্য সম্পদের যারা শত্রু তাদের ব্যাপারে কোন তদবীর শোনা হবে না এবং এ ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করা হবে বলে তিনি এ সময় জানান।

মন্ত্রী বলেন, জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ এবং ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তর ১১ মার্চ হতে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ইলিশ হলো মাছের রাজা, জাটকা ধরলে হবে সাজা

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সর্বসাধারণকে বিশেষ করে জেলে, মৎস্যজীবী সম্প্রদায় ও ইলিশের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী, আড়তদারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করা এবং ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর ইলিশসহ সকল মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও মৎস্য সম্পদের সাথে জড়িত মৎস্য চাষী, জেলে/মৎস্যজীবী জীবনমান উন্নয়নে বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যার ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৭১ লক্ষ মেট্রিকটনে যা ২০০২-০৩ অর্থবছরে ছিল মাত্র ১.৯৯ লক্ষ মে.টন।

দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১২ ভাগ ইলিশ থেকে আসে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ মৎস্য প্রজাতির উৎপাদন বৃদ্ধি ও এ সম্পদের টেকসই উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, জনবান্ধব এ সরকার জেলে ও মৎস্যজীবীদের উন্নয়নেও বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তরসহ মাঠ প্রশাসন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌপুলিশ, র‌্যাব এবং বিজিবি জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। প্রয়োজনীয় লোকবল, নৌযানসহ প্রয়োজনীয় রশদের স্বল্পতা এবং অভিযানে নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়ন করছেন।

মন্ত্রী বলেন, জাটকা ও মা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মাধ্যমে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসেবে বকনা বাছুর(গরু), ছাগল, ভ্যান বিতরণসহ ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। প্রকল্প মেয়াদে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও উপকূল-মোহনা তীরবর্তী ৩১৭০০টি সুফলভোগী জেলে পরিবারকে বিকল্প কর্মসংস্থানে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণসহ উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে জাটকা নিবিড়ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। জাটকা আহরণ বন্ধে অভিযান জোরদারকরণের পাশাপাশি দেশের সকলকে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। মা ইলিশ সংরক্ষণ ও জাটকা রক্ষার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে এবং ইলিশ সাধারণ মানুষের জন্য আরো সহজলভ্য হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, আর এই সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। দেশের সকল মানুষের হাতের নাগালে ইলিশ মাছ যেমন পৌছে দিতে চাই তেমনি দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করতে চাই।

এ লক্ষ্যে মা ইলিশ রক্ষা ও জাটকা সংরক্ষণে আপামর জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধকরণের জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া যে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করছেন তার জন্য তিনি গণমাধ্যমকর্মী দের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


আরও খবর



ভারতের সঙ্গে শর্তহীন বন্ধুত্ব এখনো বিদ্যমান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, যতদিন বাংলাদেশ ও ভারত থাকবে, ততদিন দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব বজায় থাকবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি শর্তহীন বন্ধুত্ব ছিল, যা এখনো বিদ্যমান। এখনো যেকোনো বিষয়ে ভারত সত্যিকার অর্থে আমাদের পাশে থাকে। ভারতকে আমরা সামনেও বন্ধু হিসেবে পাব।’

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের ৫২ বছর পূর্তি’ শীর্ষক সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এ কে এম বজলুর রহমান ফাউন্ডেশন।

সেমিনারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই স্বাধীনতা আনার জন্য অন্য দেশের সেনাবাহিনী প্রবেশ করেছে। তবে যুদ্ধের পর এত দ্রুত কেউই সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়নি। ভারত আমাদের বন্ধু বলেই এত দ্রুত সৈন্য প্রত্যাহার করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের এক হাজার ৬৬১ জন জীবন দেন। এটি তাদের নিজের দেশও নয়। তবুও তারা এদেশের যোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেন।’

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ তো এমনি এমনি হয়নি। বঙ্গবন্ধু আন্দোলনের পর আন্দোলন করে মানুষকে একত্রিত করেছিলেন। মানুষ তখন শুধু বুঝত— বঙ্গবন্ধু যা বলেছেন, তাই করতে হবে।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমাদের কোটি লোক ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। ভারতের সরকার তো বটেই, সাধারণ জনগণ যদি বাংলাদেশের মানুষকে আশ্রয় না দিত, তাহলে ইতিহাস বোধ হয় অন্যভাবেই লেখা হতো।’

সেমিনারে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমান বলেন, কোনো দেশে আর্ম ফোর্স প্রবেশ করলে দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার ইতিহাস বিরল। তারা জেঁকে বসে। দ্রুত সেনা প্রত্যাহার ভারতের সঙ্গে অকৃত্রিম বন্ধুত্বের প্রকাশ।’

সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সৈন্য প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে একদিকে যেমন কূটনৈতিক দক্ষতা ছিল, অন্যদিকে ভারতীয় জনগণ আমাদের স্বাধীনতার অনিবার্যতা উপলব্ধি করেছিল। বঙ্গবন্ধু পৃথিবীকে আমাদের স্বাধীনতার অনিবার্যতা বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন।’

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী প্রণয় কুমার ভার্মা প্রমুখ।


আরও খবর