আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

খানজাহান আলী মাজারের কুমিরের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ অক্টোবর ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ অক্টোবর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের ঐতিহাসিক হযরত খান জাহান (র.) এর মাজারের দিঘিতে থাকা দুটি মাদ্রাজি কুমিরের একটি মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে দিঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে পুরুষ কুমিরটির মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসনকে জানায় স্থানীয়রা। পরে বিকেলে দিঘি থেকে কুমিরটির মরদেহ তোলা হয়।

কুমিরটির মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনোহর চন্দ্র মন্ডল।

১৪ শতকের প্রথম হযরত খানজাহান এই দিঘিতে কালাপাহাড়ধলাপাহাড় নামে দুটি কুমির ছাড়েন বলে প্রচলিত রয়েছে। সেই থেকে কুমির এই মাজারের ঐতিহ্য। পরে ২০০৫ সালে ভারতের মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাংক থেকে এই কুমির এনে এখানে ছাড়া হয়েছিল। এখানকার কুমির দেখতে দেশ-বিদেশের হাজারো দর্শণার্থী নিয়মিত বাগেরহাটে আসেন।

মাজারের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির বলেন, কুমির আটকে রেখে মানুষের কাছ থেকে পয়সা নেওয়া হতো। প্রায় ৭-৮ মাস ধরে মুস্তাফা ফকিরের পুকুরে আটকানো ছিল কুমিরটি। এতদিন ধরে কুমির এক জায়গায় থাকে না। আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগও করেছি। এই কুমির মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।

কুমিরটির মৃত্যুর বিষয়ে জানার জন্য মোস্তফা ফকিরের বাড়িতে গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এ সময় তার স্ত্রী শাকিলা বেগম বলেন, দুপুরে দীঘিতে আমার ননদ কুমিরটির মরদেহ ভাসছে দেখে আমাকে জানায়। কীভাবে কুমিরটি মারা গেছে সেই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। কুমিরটি এতদিন আমার স্বামী মোস্তফা ফকিরের দায়িত্বে ছিল তিনি গত কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়া গেছেন।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এখানে মাদ্রাজ থেকে আনা দুটি কুমির ছিল। এর একটি বড় ও অন্যটি ছোট। বড় কুমিরটি মারা গেছে। কুমিরের ময়নাতদন্ত করা হবে।


আরও খবর



পাহাড়ে সক্রিয় ভয়ংকর বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রাণ প্রকৃতির নিসর্গ পার্বত্য জেলা বান্দরবানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) শান্তির পাহাড়ে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পরপর দুই দিনে তিনটি সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় ঢুকে টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ে শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে অনেকগুলো ভার্চুয়াল বৈঠকের পর গত বছরের ৫ নভেম্বর শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের প্রথম সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গত ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক। এর মধ্যে পাহাড়ে বড় ধরনের কোনো সশস্ত্র তৎপরতা দেখা যায়নি। হঠাৎ করে পরপর তিনটি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় কেএনএফ সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের শুরুতে দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্রের গর্জন শোনা যায়। গত বছরের ৭ এপ্রিল বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গুলিবর্ষণের ঘটনায় আটজন নিহত হন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কেএনএফের সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সদস্যরা সম্প্রতি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের ওপর নির্বিচারে হামলা, লুটপাট ছাড়াও সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তদের খুন, জখম ও অপহরণের ঘটনাও ঘটায় কুকি সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় নিরীহ পাহাড়ি বাসিন্দাদেরও হুমকি-ধামকি ও নির্যাতন করে তারা। কেএনএফের এ তাণ্ডবের কারণে জীবন বাঁচাতে নিজ পাড়া বা বসতভিটা ছেড়ে উপজেলা সদরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু পাহাড়ি বাসিন্দা। স্থানীয় পর্যায়ে আতঙ্ক ছড়াতে পাহাড়ের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপরও তারা অতর্কিত সশস্ত্র হামলা চালায়। কিন্তু গত মঙ্গল ও বুধবার তিনটি সরকারি ব্যাংকের শাখায় ঢুকে নগদ টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনায় নতুন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। টাকার অভাবে কেএনএফ লুটপাটে জড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ব্যাংক লুটের আগে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানচি বাজারে গুলি ছুড়তে ছুড়তে দোকানগুলো থেকে মোবাইল সেট ও নগদ টাকা কেড়ে নেয় অস্ত্রধারীরা। পরে সোনালী ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকে ঢুকে ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা লুটতরাজ করে চলে যায়। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্রমাগত অভিযানের পর কথিত বিচ্ছিন্নতাবাদী কেএনএফের কুকিল্যান্ডের সেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। কেএনএফের সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) পার্বত্য এলাকায় যেসব আস্তানা গেড়েছিল সেগুলোর অধিকাংশই এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ফলে সশস্ত্র তৎপরতার শক্তি ও সুযোগ হারিয়ে কুকি সন্ত্রাসীরা এখন বিচ্ছিন্নভাবে চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের জন্য অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। বাজারে হামলা ও ব্যাংক লুটের ঘটনা তারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও বেশকিছু অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনার সঙ্গে কেএনএফ বা কেএনএর সম্পৃক্ততা পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেএনএফ বা কেএনএ ছাড়াও পার্বত্য তিন জেলায় চাঁদাবাজির আধিপত্য নিয়ে জেএসএস, ইউপিডিএফসহ অন্য আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলোও বেপরোয়া সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি তৎপরতা গত এক বছর ধরে সক্রিয় ছিল। তারই অংশ হিসেবে গত ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠক করে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কমিটির আহ্বায়ক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। গত ৬ মার্চ দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক হয় তাদের সঙ্গে। দ্বিতীয় দফা সরাসরি আলোচনায় ৭টি বিষয় নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল। এর মধ্যে কেএনএফের মামলা প্রত্যাহার, জেলে আটক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া, মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া নাগরিকদের ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসন করা, চাঁদাবাজি বন্ধ, কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে এসে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলার পর গতকাল কেএনএফের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। ১৯ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনু গতকাল বিকালে বলেন, আমরা অনেকগুলো বৈঠক করে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংলাপ ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলাম। এই সময়ে কোনো বড় ঘটনাও ঘটেনি। তিনি বলেন, হঠাৎ তাদের এই কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, কমান্ড পর্যায়ে কোনো পরিবর্তন এসেছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে সশস্ত্র এই সংগঠনটি। নগদ টাকার প্রয়োজন থেকেই তারা বাজার ও ব্যাংক ডাকাতির মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নেমেছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় তাদের সাংগঠনিক শক্তি অনেকটা পর্যুদস্ত অবস্থায় রয়েছে। তারা হয়তো মনে করছে, পৃথক কুকিল্যান্ডের স্বপ্নপূরণ সম্ভব নয়। সেজন্যই তারা শক্তির জানান দিতে চাইছে। এদিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন রাসেলকে অপহরণের দুই দিন পর গতকাল সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয়েছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধরতে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে পার্বত্য গণপরিষদের উদ্যোগে বান্দরবান প্রেস ক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বিভিন্ন স্পর্শকাতর পয়েন্টে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, পার্বত্য এলাকায় তারা (কেএনএ) এখনো তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের তাণ্ডবের কারণে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় যাতায়াত ও পর্যটকদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সবখানেই একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ পরিস্থিতির মধ্যেও নিরাপত্তা বাহিনীর মোটামুটি শক্ত অবস্থান রয়েছে।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশ ও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই। পার্বত্য অঞ্চলের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে আরও অনেক সেনা ক্যাম্প চালু করা এখন সময়ের দাবি। যেসব স্থান থেকে একসময় সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছিল সেগুলোও দ্রুত চালু করা প্রয়োজন। শুধু পুলিশ দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।


আরও খবর



আলুর দাম বাড়ার কারণ জানা গেল

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর থেকে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর দাম। প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১২ টাকা। চাহিদার তুলনায় দেশীয় আলুর সরবরাহ কম এবং ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আলু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে দেখা দিয়েছে সংকট। দামও বেড়েছে। এতে কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আলু আমদানি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগে যে ভারতীয় আলু বন্দর অভ্যন্তরে পাইকাররা কেজিতে ২৮-৩০ টাকা কেজিতে কিনেছে। সেই আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। আমদানিকৃত এসব আলুর মান অনেকটাই খারাপ।

কারণ হিসেবে আমদানিকারকরা জানান, ভারত অভ্যন্তরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছুটা পচন ধরেছে। আলু আমদানিকারক মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী সেলিম হোসেন বলেন, ঈদের আগে ভারতে আলুর দাম ছিল ২৮-২৯ টাকা। ভারতে কৃষকরা আলু কোল্ড স্টোরে সংরক্ষণ করার কারণে সেখানে আলুর সংকট। তাই পূর্বের তুলনায় কেজিতে ৭-৮ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানি না হলে দেশে আলুর দাম ৭০/৮০ টাকা হবে।

হিলি স্থলবন্দরে আলু কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী জানান, ঈদের ছুটি শেষে সোমবার প্রথম আলু আমদানি হয়। ওই দিন ৩৬-৩৮ টাকা দরে আলু কিনে বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হয়েছে। আজ আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৩৯ টাকা। তাছাড়া আলুর মানও খারাপ।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, হিলি স্থলবন্দরে আলু আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। রমজানে আলু আমদানিতে খরচ পড়তো ২৮-২৯ টাকা। সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেখানে আলুর আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে আলুর সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পূর্বের তুলনায় অন্তত ৫-৭ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

এদিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় আমদানিকৃত আলু ৪২ টাকা। হল্যান্ড (দেশীয় হাইব্রিড) ৪৮ টাকা, এবং দেশীয় আলু ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের তথ্য মতে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৭১৭ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।

নিউজ ট্যাগ: আলু আগাম আলু

আরও খবর



গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন’: হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলি অবরোধের কারণে ত্রাণবাহিনী ট্রাকের প্রবেশে বাধা ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহলে আরও সাহায্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় দুর্ভিক্ষের চরম ঝুঁকি রয়েছে। উত্তর গাজায় এর ঝুঁকি ও উপস্থিতি উভয়ই রয়েছে। সম্ভবত অন্তত কিছু অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ রয়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। যদিও গাজায় দুর্ভিক্ষ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছে ইউএসএআইডি। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়ের গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে মার্কিন মূল্যায়নের ওপর ব্রিফিং করেছেন। এর আগে ইউএসএআইডি প্রধান সামান্থা পাওয়ার বলেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে বলে মূল্যায়ন করাটা বিশ্বাসযোগ্য

জ্যঁ-পিয়েরে পাওয়ারের মন্তব্য সরাসরি সম্বোধন করেননি। কিন্তু তিনি বারবার বলেছেন, গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি আসন্ন। তার এই বক্তব্য পাওয়ারের মূল্যায়নকে লঘু করে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, আমরা গাজায় মানবিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় সাহায্য বহনকারী ট্রাকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

তিনি বলেছেন, আমরা জানি গাজার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তাই আমরা অবশ্যই এই ধরনের প্রতিবেদনগুলো নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গাজায় সেই সাহায্য আরও বেশি বেশি করে পাঠাতে আমরা চব্বিশ ঘণ্টা, চব্বিশ ঘণ্টাই কাজ করে যাচ্ছি। গাজায় সাহায্যের প্রবাহ আরও বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকবে

এদিকে গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৩ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছে। ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়া বুধবার (১০ এপ্রিল) আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।


আরও খবর



ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ মামলার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলা স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

২০২১ সালে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নুর জাহান বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ দোহা, বোর্ড সদস্য ইমামুস সুলতান, রতন কুমার নাগ ও শাহ জাহান।

মামলার বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, মামলার বাদী অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি বাবদ নয় লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ড. ইউনূসসহ আরও ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী গোলাম মোস্তফা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন ইউনিট কার্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে বাদীর অবসর গ্র্যাচুইটি এবং অর্জিত ছুটি নগদায়ন বাবদ পরিশোধ না করে তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া, পাওনা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠানটি টালবাহানা করে আসছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।


আরও খবর
মুক্তি পেতে যাচ্ছেন মামুনুল হক

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




‘যুদ্ধে ব্যয় না করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থ খরচ করুন’

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যয় করলে বিশ্ব রক্ষা পেত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ পৃথিবীর জন্য সবার সমন্বিত চেষ্টায় তাগিদ দেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়তে জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণে বিশ্বের সামনে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর