দিনাজপুরের
খানসামা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৭-৮ মণ মাছ নিধনের
অভিযোগ পাওয়া গেছে মোকারম নামের এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার
আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ানগড় গ্রামের মশিয়ার শাহ্ পাড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পড়ে আজ রবিবার
সকাল সাড়ে ৬ টায় ছফুর উদ্দিন নামে একজন পুকুরের দিক দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেন, পুকুরের
মাছগুলো মৃত অবস্থায় ভেসে উঠছে। পরে সবাইকে ডাকাডাকি করে বিষয়টি জানায়।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
পরিবার ফজলে, মান্নান ও জবেদ আলী জানান, প্রায় বছর ৪ আগে আমরা তিন পরিবার মিলে আমাদের
বাড়ির পাশেই ২০শতকের একটি পুকুর মঞ্জুরুল নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে ক্রয় করি এবং
সেটাতে প্রতিবছরই মাছ চাষ করে আসছি। সেখানে অবশ্য মৃত আবুল কালামের ছেলের ১০ শতক অংশ
আছে। তারাও সেখানে মাছ চাষ করে। কিন্তু প্রায় এক-দেড় বছর থেকে তারা ঐ পুকুর নিয়ে
আমাদের সাথে বিভিন্ন ভাবে ঝগড়া, মারামারি, হামলা মামলায় লিপ্ত রয়েছে। তারা আমাদেরকে
পুকুরে মাছ ছাড়তে নানাভাবে নিষেধ করতো এমনকি পুকুরের মাছ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে।
তাই মোকারম ও তার পরিবারের সদস্যরা লোকজনই পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলেছেন।
তারা আরো জানায়, গত ৫ মাস আগে তারা ৩ পরিবার মিলে বাড়ির পাশের ওই ২০ শতক পুকুরে বিভিন্ন জাতের ৫ মণ মাছের পোনা ছাড়েন। সব মিলিয়ে পুকুরে ৭ থেকে ৮ মণ মাছ ছিল। এতে তাদের প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী
পরিবারের সদস্য সংবাদকর্মী জসিম উদ্দিন বলেন, এই পুকুরটি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এর
আগে আমার উপর হামলা চালিয়েছিল মোকারম ও তার পরিবারের লোকজন। তখন আমার মাকে তারা গুরুতর
আহত করেছিল, তখন আমি থানার দ্বারস্থ হয়ে একটি মামলা করেছিলাম সেটি এখনো বর্তমানে আদালতে
চলমান। গত ২৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সেই মামলার তারিখ ছিল আমি কোর্টে গিয়েছিলাম
কিন্তু তারা (মোকারমের পরিবার) কেউ উপস্থিত হননি। মূলত সেখান থেকেই হয়তো বা নোটিশ
আসার কারণে আক্রোশে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাদের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে।
এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা রতন কুমার সঙ্গে জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং মৎস অফিস থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোকারম বলেন, আমরা এই কাজ করিনি।
খানসামা থানার
ওসি চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, ‘ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার লিখিত অভিযোগ
দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’