আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

খাতনা করার আগে-পরে যেসব বিষয় জানা জরুরি

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টানা কয়েকদিন বন্ধ থাকলে ছেলে সন্তানদের খাতনা বা মুসলমানি করিয়ে থাকেন অধিকাংশ পরিবারের অভিভাবকরা। আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলে অনেকেই হাজাম দিয়ে খাতনা করান সন্তানদের। কিন্তু এই আধুনিক সময় অনেকেই সন্তান যেন ব্যথা বা ভয় না পায়, সে জন্য ডাক্তার দিয়েও করিয়ে থাকেন খাতনা।

শহরাঞ্চলের বা শিক্ষিত মানুষরা সাধারণত শিশুর নিরাপত্তার কথা ভেবে চিকিৎসক দিয়ে খাতনা করিয়ে থাকেন। আর এই খাতনা বা সারকামসিশনের আগে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতালের কনসালট্যান্ট সার্জন ডা. রেজা আহমদ। সম্প্রতি এ ব্যাপারে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

খাতনা করানোর কারণ : ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মুসলিম ছেলে শিশুদের খাতনা করানো হয়। আবার জন্মগতভাবে কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রেও খাতনা করানোর নির্দেশ দেয়া হয়। যেমন লিঙ্গের অগ্রভাগের ছিদ্র ছোট থাকলে, বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে। অনেকের চামড়া গ্লান্স লিঙ্গের পেছনে আটকা পড়ে ব্যথা হয়, তাদেরও খাতনা করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

মেডিকেলের ভাষায় এই দুটি অবস্থাকে বলা হয় ফাইমোসিস ও প্যারাফাইমোসিস। এছাড়া কারও কারও জন্য আবার খাতনা করা নিষেধ। অনেকেরই হিমোফিলিয়া নামক রক্তরোগ থাকে, তাদের খাতনা করতে নিষেধ করা হয়। কেননা, এই রোগীর কাটাছেঁড়া করলে রক্তপাত সহজে বন্ধ হতে চায় না। এছাড়া অনেকের প্রস্রাবের নালির ছিদ্র ভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে এ ধরনের রোগীদের নালি ঠিক করার জন্য অস্ত্রোপচারের সময় লিঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া পুনরায় নালি তৈরিতে প্রয়োজন হয়। এ জন্য তাদের খাতনা করতে নিষেধ করা হয়।

কোন বয়সে সন্তানের খাতনা করাবেন : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন সময় বেছে নেয়া হয় খাতনার জন্য। কোনো কোনো দেশে সন্তান জন্মের পরই খাতনা করানো হয়। আর এ সময় সন্তান ব্যথাবোধ খুব একটা করতে পারেন না। এতে অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষত শুকিয়ে যায় শিশুর। তবে সন্তানের খাতনার জন্য ৪ থেকে ১২ বছর বয়স ভালো। এ সময় খাতনা করলে শিশুর খুব বেশি সমস্যা হয় না।

বেশি ছোট শিশুদের খাতনা না করানো ভালো। তারা ভয় পায় ও কান্নাকাটি করে। আবার বয়স বেশি হলে তাদের অস্ত্রোপচার-পরবর্তী ইরেকশনের জন্য রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর সন্তানের খাতনার আগে তাকে বাড়ি থেকে সবার সাহস দিতে হবে। কখনোই সন্তানকে না বলে, তার ইচ্ছার বিপরীতে খাতনা করাতে যাবেন না। দেখা যাবে জোর করে খাতনা করাতে গিয়ে সার্জারির সময় সন্তান আঘাত পেতে পারে বা সমস্যা হতে পারে।

এছাড়া আধুনিক এই সময় কিছু ডিভাইস রয়েছে। যা লেজারের মাধ্যমে খাতনার সার্জারি করে থাকে। তবে ডিভাইস দিয়ে খাতনা করানোর আগে জানতে হবে, ব্যবহারকারী চিকিৎসক এ ব্যাপারে কতটা প্রশিক্ষিত। আবার লোকাল অ্যানেসথেসিয়া বা জেনারেল অ্যানেসথেসিয়ার মাধ্যমেও অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে। যদি জেনারেল অ্যানেসথেসিয়ার মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করা হয় তাহলে সন্তানকে ৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হবে। কিন্তু দেশে অবেদনবিদ ও এনআইসিইউ সুবিধা নেই বলে অনেক সময় সন্তানের মৃত্যু হয়। এ জন্য সন্তানের খাতনা বা অস্ত্রোপচারের আগে অ্যানেসথেসিয়া কোন ধরবের ব্যবহার করা হবে, এ সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেয়া উচিত।

খাতনার পর জটিলতা এড়াতে করণীয় : খাতনার ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারে যে জটিলতা বেশি হয়ে থাকে তা হচ্ছে রক্তপাতজনিত সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায় সন্তানকে বাড়ি আনার পর পুনরায় রক্তপাত শুরু হয়। রক্তপাত বেশি হলে কাপড় দিয়ে প্রথমে চেপে ধরে রাখতে হয়। তারপরও যদি রক্তপাত না কমে তাহলে চিকিৎসকের কাছে যান।

সন্তানের খাতনার পর লিঙ্গে কোনো ধরনের ইনফেকশন কিংবা অগ্রভাবে ক্ষত হয় কিনা, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য সঠিক ড্রেসিং ও ওষুধ খেতে হবে। এতে ঠিক হয়ে যায়। সন্তানের যদি লোকাল অ্যানেসথেসিয়ার মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করা হয়, তাহলে কখনো কখনো লিঙ্গের গোড়া তিন-চারদিন ফোলা থাকার সম্ভাবনা তাকে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

এছাড়া খাতনার সপ্তাহখানেক পর (এক সপ্তাহ) ক্ষত জায়গা থেকে সামান্য রক্তমিশ্রিত পানির মতো তরল বের হতে পারে। এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ঠিক হয়ে যায়। সন্তানকে নিয়মিত হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। এতে ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে যায়। খাতনার পর ঢিলে কাপড় বা লুঙ্গি পরান সন্তানকে, এতে ব্যথা কম অনুভব হবে। আর এক সপ্তাহের মধ্যে যদি ক্ষত সেরে যায়, তাহলে আগের মতো স্বাভাবিক পোশাক পরতে পারবে শিশু।


আরও খবর



চিফ হিট অফিসার ডিএনসিসির কেউ নন : মেয়র আতিক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কেউ নন বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির অফিসে তার জন্য নির্ধারিত কোনও বসার জায়গাও নেই বলে জানান তিনি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের নিয়োগ ও বেতন ভাতা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমি দেখছি কয়েকদিন যাবত চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে অনেকে বলছেন সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন, আসলে এটা সঠিক নয়। হিট অফিসার নিয়োগ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি কোম্পানি অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক) থেকে। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ করেছে। চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দেবে কিন্তু সরাসরি কাজ করবে না।

মেয়র আতিক বলেন, চিফ হিট অফিসার আমাদের সাজেশন (পরামর্শ) দেবে। কাজ কিন্তু আমাদের সকলকে করতে হবে। হিট অফিসার কোনও কাজ করবে না। সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। আমি আগেও বলেছি, সিটি করপোরেশনে তার কোনও বসার ব্যবস্থাও নেই। তার কোনও চেয়ারও নেই।

তিনি বলেন, তারা বিশ্বের ৭টি দেশে নারী হিট অফিসার নিয়োগ করেছেন। আমি তাদের বলেছিলাম নারী কেন নিয়োগ করেছে, তারা বলেছে, নারীরা গরমের অনুভবটা বেশি করতে পারে। এ জন্যই তারা নারী হিট অফিসারদের নিয়োগ করেছে।


আরও খবর



ঈদের রেসিপি: মজাদার দুধ সেমাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঈদের সকালে কয়েক ধরনের সেমাই থাকে টেবিলে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুধ সেমাই।

ঈদের খাদ্যতালিকায় যে রেসিপিটি না থাকলেই নয়, সেটি দুধ সেমাই। কীভাবে পারফেক্ট স্বাদের দুধ সেমাই রান্না করবেন? জেনে নিন সেটা।

উপকরণ: দুধ এক লিটার, চিনি এক কাপ, সেমাই এক কাপ, ঘি এক টেবিল চামচ, বাদামকুচি এক টেবিল চামচ, কিশমিশ এক টেবিল চামচ, এলাচ দুইটি ও দারুচিনি দুই টুকরা।

প্রণালি: একটি পাত্রে ঘি দিয়ে অল্প আঁচে সেমাই হালকা ভেজে নিন। তারপর আরেকটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। দুধে চিনি মেশান। তারপর সেমাই দিন। এবার একে একে এলাচ, দারুচিনি, বাদামকুচি ও কিশমিশ দিয়ে দিন। একটি পাত্রে ঢেলে নিন। ঠান্ডা হয়ে এলে পরিবেশন করুন।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখ : পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই শুরু হয়েছে বর্ষবরণ। এদিন ভোর থেকে রমনার বটমূল থেকে গান, কবিতায় বরণ করা শুরু হয় বাংলা নতুন বছর ১৪৩১।

এদিকে সকালে সোয়া ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বেরোয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ তৈরি করেছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের প্রথম দিন সকালে রাজধানী শাহবাগ মোড়কে কেন্দ্র করে বাংলামোটর, মৎস ভবন মোড়, টিএসসি রোড এবং কাটাবনের দিকে যাওয়ার প্রতিটি প্রধান সড়কের বাইরে পাশের রোডগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ রোডগুলোতে দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা দিতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। র‍্যাবকেও দৃশ্যমান টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড়ে প্রায় শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য বলেন, সার্বিক বিষয় নিরাপত্তা দিতেই বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। এ কারণে বার বার এ আয়োজনে আঘাত হানা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তাই সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দিনটি সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হবে। প্রধান অনুষ্ঠান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা বটমূল, সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ডিএমপির পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠান ঘিরেই ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশে-পাশের এলাকায় নজরদারি করা হবে। পুরো এলাকা এসবির ইক্যুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে, এরইমধ্যে এসব কাজ শুরু হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে।


আরও খবর



নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ১৫

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে দুদফায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় নারী ও শিশুসহ ১৫ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা এই তথ্য দিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

নুসেইরাত থেকে ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় একটি ছোট মেয়ে শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে নুসেইরাতের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এ ছাড়া নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আরেকটি বাড়িতে হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩০ জন আহত হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়া গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে অংশ হিসেবে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস এঞ্জেলেসের (ইউসিএলএ) বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

এ বিষয়ে ইউসিএলএর একজন শিক্ষার্থী কেনজা কারোই আলজাজিরাকে বলেন, বিক্ষোভকারীরা চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন ওই তহবিল পরিত্যাগ করে। কারোই জানান, প্রাইভেট ইকুইটি কোম্পানির মাধ্যমে সংগ্রহ করা বিপুল অর্থ ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি অস্ত্র তৈরির কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে থাকে। কারোই এসব বিনিয়োগের অর্থ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশেরও দাবি জানান।

এ ছাড়া গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে যারা বিক্ষোভ করছে, তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির সামনে জড়ো হয়েছে কয়েকশ প্রতিবাদকারী। তারা প্রতিবাদ জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রাঙ্গণের বাইরে পর্যন্ত চলে যান। এ ছাড়া সেখানে থাকা তাঁবুতে কেউ কেউ আরও একটি রাত কাটিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।

গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আকাশ ও স্থলপথে চালানো হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৩৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজার ৩৬৮ জন।


আরও খবর



ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচনে আজ প্রথম দফায় ২১টি রাজ্য এবং‌ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে দেশের ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে অরুণাচল, আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, রাজস্থান, সিকিম, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ।

নির্বাচন কমিশন ১ লাখ ৮৭ হাজার ভোটকেন্দ্র জুড়ে ১৮ লাখেরও বেশি ভোটকর্মী মোতায়েন করেছে। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৮ কোটি ৪০ লাখ পুরুষ, ৮ কোটি ২৩ লাখ নারী এবং ১১ হাজার ৩৭১ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩ কোটি ৫১ লাখ তরুণ ভোটার ছাড়াও প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ভোটার।


আরও খবর