খেলনা গাড়ির জন্য শিশুবন্ধু জিসানকে হত্যা করে লাশ গুম করেছ তুহিন (১২) নামের আরেক শিশু। এ ঘটনায় তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এরপর শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসে শিশু সংশোধনাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁয়ের তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আহসানউল্লাহ আদালতে স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জবানবন্দি দেওয়া শিশুর বাড়ি সোনারগাঁ জামপুর ইউনিয়নের মটিষটেক বাড়িপাড়া এলাকায়। সে জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর গ্রামের মোতালিব মিয়ার ছেলে। সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
নিহত শিশু জিসান বি আর স্পিনিং লিমিটেড কোম্পানির মালি ইলিয়াস শেখের ছেলে।
তালতলা পুলিচ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আহসান উল্লাহ জানান, শিশু জিসান ও তুহিন মহজমপুর গ্রামের মরীষটেক এলাকায় একই বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ভাড়ায় বসবাস করতো। গত ১ ডিসেম্বর দুপুরে তুহিনের ঘরের সামনে জিসান খেলনা গাড়ি নিয়ে খেলতে গেলে তুহিন তাকে মারধর করে গাড়িটি নিতে চেষ্টা করে। এ সময় জিসান বাঁধা দিলে তুহিন জিসানকে মাথায় আঘাত করে গলাটিপে হত্যা করে। পরে পাশের একটি পরিত্যাক্ত বাড়ির রান্নার ঘরে নিয়ে জিসানের লাশ বস্তাবন্দী করে রেখে দেয়।নিখোঁজের ৯ দিন পর বৃহস্পতিবার ১০ ডিসেম্বর জিসানের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান আসামি শিশু তুহিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর শনিবার দুপুরে তুহিনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে সে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে হত্যার ঘটনার বর্ননা দেয়। পরে পুলিশ গতকাল শনিবার দুপুরে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসে শিশু সংশোধনাগারে পাঠায়।
ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, শিশু জিসান হত্যার অপরাধে শিশু তুহিনকে গ্রেপ্তার করে শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। তুহিন পুলিশের কাছে জিসান হত্যার দায় স্বীকার করেছে।