আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

খিলগাঁও কবরস্থানে শায়িত হবেন ফকির আলমগীর

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন গণসংগীত শিল্পী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ফকির আলমগীর। ফকির আলমগীরের ছোট ভাই ফকির সিরাজ গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার বেলা ১১টায় খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সেখানকার মাটির মসজিদে বাদ যোহর দ্বিতীয় জানাজা শেষে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।

এদিকে ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব জানিয়েছেন, আজ শনিবার সকাল ১১টায় খিলগাঁও পল্লীমা সংসদ প্রাঙ্গনে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁর লাশ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে এক ঘণ্টা রাখার পর খিলগাঁও মাটির মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা ও গার্ড অব অনার শেষে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে হবে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রখ্যাত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর (৭১) শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। সবশেষ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়।

গত ১৪ জুলাই (বুধবার) করোনার নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে ফকির আলমগীরের। তখন চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এই সংগীতশিল্পী। পরদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভর্তি হওয়ার পর রাত ১টার দিকে তাঁকে হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।

গণসংগীত ও দেশীয় পপ সংগীতে ব্যাপক অবদান রেখেছেন ফকির আলমগীর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন। তাঁর ও সখিনা গান এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

সংগীতের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ পর্যন্ত পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় একুশে পদক, শেরেবাংলা পদক, ভাসানী পদক, সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার, তর্কবাগীশ স্বর্ণপদক, জসীমউদ্‌দীন স্বর্ণপদক, কান্তকবি পদক, গণনাট্য পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক মহাসম্মাননা, ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় পুরস্কার, ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড যুক্তরাষ্ট্র, জনসংযোগ সমিতি বিশেষ সম্মাননা, চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বিশেষ সম্মাননাবাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ



আরও খবর



দেশে বাড়ল সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির কারণে এই দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে এক টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২২ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৪.৫০ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৬.০০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৮.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য আজ রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩১ মার্চ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে বহুল ব্যবহৃত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল। ওই সময় এই দুটি জ্বালানির পণ্যের দাম লিটারপ্রতি কমানো হয়েছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রল আগের মতোই ১২২ এবং প্রতি লিটার অকটেন ১২৬ টাকায় বিক্রি হবে। তবে পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।

এর আগে গত ৭ মার্চ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করায় দেশে ব্যবহৃত অকটেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমেছে, যা ৮ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ থেকে ৪ টাকা কমে ১২৬ টাকা এবং পেট্রলের দাম ১২৫ থেকে ৩ টাকা কমে ১২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ ডিজেল, পেট্রল ৫ দশমিক ৮৬ এবং অকটেন ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লাখ টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ থেকে ৪৯ লাখ টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে। আর পরিশোধিত তেল আমদানি হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সাশ্রয়ী দামে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ডিজেল আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসরকারি খাতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি তেল ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হয়। এই তেল নিজ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহারের অনুমোদন নেই।

অকটেন ও পেট্রল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।


আরও খবর



কাল খুলছে অফিস-আদালত, বাস-ট্রেনে শহরমুখী মানুষের ভিড়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষ হচ্ছে। দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে ১০-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি চলছে। টানা পাঁচ দিন ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) খুলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার। এরইমধ্যে ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকায় প্রবেশ করা প্রতিটি ট্রেনে ছিল যাত্রীদের ভিড়। প্রিয়জনের সঙ্গে সুখস্মৃতি নিয়ে ফেরা সাধারণ মানুষ বলছেন নির্বিঘ্নে রাজধানীতে ফিরতে পারছেন তারা।

মাথায় কাজের তাড়না, মননে প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো সুখস্মৃতি। ফেলে আসা আপনজন আর ঈদের আনন্দ। সব পেছনে ফেলে আবারো কর্মব্যস্ত হয়ে উঠবে রাজধানী। তবে স্কুল-কলেজ যেহেতু খুলছে আগামী সপ্তাহে, তখন রাজধানী স্বাভাবিকরূপে ফিরবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে যারা, নানা ব্যস্ততায় ঈদের ছুটিতে গ্রামে যেতে পারেননি তারাও ছুটছেন প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে।


আরও খবর



গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য

সামরিক শক্তিতে ইসরায়েলের চেয়ে ৩ ধাপ এগিয়ে ইরান

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে গত ১ এপ্রিল হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে গত শনিবার তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। এরপর দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের নজর এখন ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতির দিকে।

দুই দেশের মধ্যে যদি আসলেই পূর্ণ যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় তাহলে কী ঘটবে? আর কে কার থেকে এগিয়ে আছে সামরিক শক্তিতে? এমন প্রশ্ন এখন অনেকেরই মনে।

দুটি দেশই সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী। দুটি দেশই বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশের শীর্ষ কুড়িটি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে। তবে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর পরিসংখ্যান বলছে, ইরান সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরায়েলের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে আছে। সামরিক সক্ষমতায় শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে র‍্যাংকিংয়ে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম।

সামরিক শক্তির তুলনা : প্রতিরক্ষা খাতে ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশই প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। তবে বাৎসরিক সামরিক বাজেটে ইরানের তুলনায় ইসরায়েলের ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেট হলো ২৪৪০ কোটি ডলার। অন্যদিকে ইরানের বাজেট ৯৯৫ কোটি ডলার। প্রতিরক্ষা বাজেটের দিক থেকে র‍্যাংকিংয়ের ১৪৫ দেশের মধ্যে ইরান ৩৩তম অবস্থানে আর ইসরায়েল ১৯তম অবস্থানে রয়েছে।

নিয়মিত সৈন্য : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার জানাচ্ছে, সৈন্য সংখ্যার হিসেবে ইসরায়েলের চেয়ে এগিয়ে আছে ইরান। ইরানের নিয়মিত সেনা আছে ১১ লাখ ৮০ হাজার, ইসরায়েলের সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরায়েলের রিজার্ভ সেনা আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার।

যুদ্ধ বিমান : ইরানের মোট সামরিক বিমানের সংখ্যা ৫৫১টি আর ইসরায়েলের আছে ৬১২টি। এর মধ্যে ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। ইরানের অ্যাটাকিং বিমান সংখ্যা ২৩টি, ইসরায়েলের আছে ৩৯টি। ইরানের পরিবহন বিমান আছে ৮৬টি, ইসরায়েলের আছে ১২টি। ইরানের প্রশিক্ষণ বিমান ১০২টি আর ইসরায়েলের আছে ১৫৫টি।

হেলিকপ্টার : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের পরিসংখ্যান বলছে, ইরানের হেলিকপ্টার আছে ১২৯টি আর ইসরায়েলের ১৪৬টি। ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার নিয়ে ইরানের চেয়ে শক্তিশালী ইসরায়েল। ইরানের অ্যাটক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ১৩টি।

ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর তথ্য অনুযায়ী, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরায়েলের চাইতে এগিয়ে আছে ইরান। ইসরায়েলের ট্যাংক আছে ১৩৭০টি আর ইরানের ১৯৯৬টি। সাঁজোয়া যান আছে ইরানের ৬৫ হাজার ৭৬৫টি আর ইসরায়েলের আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি।

এছাড়া আর্টিলারি সক্ষমতায় এগিয়ে ইরান। তাদের রকেট আর্টিলারি এমএলআরএস-এর সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি। অন্যদিকে, ইসরায়েলের এদিক থেকে সেফল প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৬৫০টি এবং এমএলআরএস বা রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ১৫০টি।

নৌ শক্তি : নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকেও এগিয়ে আছে ইরান। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, ইরানের ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে যেখানে ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ আর ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ সংখ্যা ৬৭টি। সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। দেশটির সাবমেরিন আছে ১৯টি, ইসরায়েলের সাবমেরিন আছে ৫টি।

পারমাণবিক শক্তি : সুইডেন-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরুতে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫১২টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল। এই তালিকায় ইরানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই ছিল না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। ইরান দাবি করে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেনি যে, কোন দেশের হাতে কতটি এ ধরনের অস্ত্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র ক্ষমতার বিষয়টি তারা তাদের রিপোর্টে বিবেচনায় নেয়নি।


আরও খবর



নো স্টুডেন্ট পলিটিক্স ইন বুয়েট: অপি করিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ছাত্ররাজনীতি নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এই ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হয়েছে নানা মত। একদল চাইছে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালিয়ে নিতে, আরেক দল ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে অনড়। এমন অবস্থায় দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানা মত দিচ্ছেন। এবার এই ইস্যুতে নিজের অভিমত জানালেন সাবেক বুয়েটিয়ান ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম। ক্যাম্পাসটিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে অপি করিম লিখেছেন, বুয়েটের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং এলামনাই হিসেবে আমি বুয়েটে সকল প্রকার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে। বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমি একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং তাদের সফলতা কামনা করছি।

হ্যাশট্যাগে লিখেছেন, নো স্টুডেন্ট পলিটিক্স ইন বুয়েট। দেশজুড়ে আলোচিত এই ইস্যুতে নিজের মতামত স্পষ্টভাবে প্রকাশের জন্য নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন অভিনেত্রী। মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, সহমত। আর আমাদের শিল্পীদের মাঝে একজনকে পেলাম যিনি সত্যি বলতে দ্বিধা করেন না।

এবার একটু পুরনো দিনে ফিরে যাওয়া যাক। অপি করিম তখন বুয়েটের শিক্ষার্থী। সেসময় ছাত্র রাজনীতির বিরূপ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন তিনি। বুয়েট ক্যাম্পাসে তখন ছাত্রদলের আধিপত্য। ২৮ আগস্ট ২০০২ সাল। অপি করিম তার মাকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন পরীক্ষা দিতে। এ সময় তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন তখনকার বুয়েট ছাত্র সংসদের ভিপি ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা গোলাম মোর্শেদ লায়ন।

সেদিন পরীক্ষা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছে গেলে লায়ন তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে অপির পথরোধ করে দাঁড়ান। তিনি অপিকে জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চান। অপির সঙ্গে তার মা ছিলেন। এ ঘটনায় মা-মেয়ে দুজনেই ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী করবেন? এ রকম পরিস্থিতিতে অপি তার এক বান্ধবীর সাহায্য নিয়ে অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমেদের বাসায় আশ্রয় নেন। লায়ন তখন দলবল নিয়ে ওই বাসার সামনে পাহারা বসান। পরে ডিবির গাড়ি এলে তারা কেটে পড়েন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপরই ছাত্রদের তীব্র আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ হয় ছাত্ররাজনীতি।


আরও খবর



আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হই। ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসটাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। কাজেই এসব ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, গতবছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। যেমন, রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করায় আমি খুবই সন্তুষ্ট।

এ সময়ে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। তারা বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রকৃতি এক হওয়ায় সমস্যা মোকাবিলায় আমরা ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।


আরও খবর