আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

খুলনা বিভাগে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন করে ৮০০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সোমবার (১৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় ২ জন, সাতক্ষীরায় ৩ জন, কুষ্টিয়ায় ৩ জন, ঝিনাইদহে ২ জন ও বাগেরহাটে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

সোমবার (১৪ জুন) করোনায় ৭ জনের মৃত্যু ও ৬১৪ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে। রোববার (১৩ জুন) করোনায় ৮ জনের মৃত্যু ও ৬০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া শনিবার (১২ জুন) করোনায় ১০ জনের মৃত্যু ও শনাক্ত হয় ৩১৯ জনের শরীরে।

খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৪১ হাজার ২৮ জন। 

নিউজ ট্যাগ: করোনাভাইরাস

আরও খবর



চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত চার বছরে মাধ্যমিক স্তরে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩ সালে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জনে। অর্থাৎ এই চার বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১০ লাখের বেশি। শিক্ষার্থী কমার এই সংখ্যা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। সংস্থাটি শিক্ষার্থী কমার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি।

ব্যানবেইস বলছে, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে ব্যানবেইসের নিজস্ব কোনো পর্যালোচনা নেই। এই তথ্য নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কাজ করতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ সবাই জানে। করোনা প্রতিঘাতের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করে। তাদের ক্লাস রুমে ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, মাধ্যমিকে কমে যাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশই ছাত্রী। এই শিক্ষার্থীরা দেশের ১৮ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ে পড়ত।

মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমলেও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে। একই সময়ে মাদ্রাসায় প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বেড়েছে। একইভাবে কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমেও শিক্ষার্থী বেড়েছে।

ব্যানবেইসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চার বছরের ব্যবধানে সরকারের অধীনে থাকা মাদ্রাসাগুলোতে (দাখিল ও আলিম ধারার মাদ্রাসা) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৪ শতাংশ।

সরকার কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি (এর মধ্যে ৫৮৮টি সরকারি) কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যায় সমতা এলেও কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। কারিগরিতে যত শিক্ষার্থী পড়ে, তার মধ্যে ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।

ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী; যা চার বছর আগে ছিল ২৬ হাজারের বেশি।


আরও খবর



বান্দরবানে ১৮ নারীসহ কেএনএফে’র ৪৯ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে ১৮ নারীসহ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৪৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৭টি অস্ত্র ও গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে কেএনএফর পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রুমার পাহাড়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এই অভিযানে আরও ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে, রবিবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার ও কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রবিবার বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করেছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জব্দের কথাও জানান তিনি।

সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের পরপরই র‌্যাব জানায়, বান্দরবানে এক বিশেষ অভিযানে কেএনএফ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারনপাড়ার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও খবর



ঢাক-ঢোলে আর জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদযাপনে বরাবরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে। যাত্রা শুরুর আগে প্রথমে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১৮ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে যাত্রা করে। শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে শাহবাগ, ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্কের সামনে থেকে ইউটার্ন নিয়ে টিএসসিতে এসে শেষ হওয়ার কথা আছে।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুতে ছিল র‌্যাবসহ নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। এরপর ঢাক ঢোল বাজিয়ে যাচ্ছিল আরো একটি দল। তারপরে উৎসব প্রেমীরা সেই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। সহযাত্রা অংশ নেওয়ার জন্য হাতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্রতিকৃতি তৈরি করেছিল বিভিন্ন চিত্রশিল্পীরা। এসবের প্রদর্শনী দেখা গেছে শোভাযাত্রায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুর আগে সকাল থেকে শাহবাগ এবং চারুকলা ঘুরে দেখা গেছে, মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করার জন্য বাঙালিয়ানা সাজে হাজারো উৎসব প্রেমী মানুষ শাহবাগ থেকে চারুকলা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করেছেন। এছাড়া দেশের বাইরের কিছু উৎসব প্রেমীরাও অংশগ্রহণ করতে চারুকলায় এসেছেন।

উৎসব প্রেমী ছেলেদের পরনে রয়েছে সাদা পাঞ্জাবি এবং পায়জামা। সঙ্গে রয়েছে কালো সানগ্লাস। অন্যদিকে মেয়েদের পরনে রয়েছে সাদা রঙের শাড়ি ও লাল রঙের ব্লাউজ। তাদের সঙ্গে যে শিশুরা এসেছে তাদের বেশিরভাগের পরনেও দেখা গেছে পায়জামা পাঞ্জাবি।

এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, এবারের শোভাযাত্রার উপজীব্য হলো অন্ধকারকে কাটিয়ে আলোর দিকে ধাবিত হওয়া। প্রতিবারের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ দিবসটি উদযাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া করেছে। শোভাযাত্রা এটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্ক ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হবে। এছাড়া বিকাল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।

পহেলা বৈশাখ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, তবে নিরাপত্তার কারণে শোভাযাত্রার ভাবগাম্ভীর্য যেন নষ্ট না হয় সেই বিষয়টিও দেখা হবে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাস এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে থাকবে। এছাড়া ইভটিজিং প্রতিরোধ পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল টিম প্রস্তুত থাকবে।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এই শোভাযাত্রায় কোনও বাণিজ্যিক প্রচারণা করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটটি বন্ধ রাখা হবে। আগত দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও মোবাইল টয়লেটের সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও রকম ভুভুজেলা বাঁশী বাজানো ও বিক্রয় করা যাবে না।


আরও খবর



গ্রাহকদের আরও ৬০ লাখ টাকা ফেরত দিল ইভ্যালি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গ্রাহকের পাওনা আরও ৬০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেল নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।

টাকা ফেরত দেয়া গ্রাহকদের একটি তালিকা পোস্ট করে রাসেল লিখেছেন, আমরা আমাদের ক্যাম্পেইন মার্জিন (আগের) থেকে বিভিন্ন লংকাবাংলার কার্ড হোল্ডারদের ৬০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি। এসব গ্রাহকদের লংকাবাংলা দ্বারা নির্বাচিত করা হয়েছে। যদি তালিকায় আপনার নাম থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার ব্যাংক বা কার্ড চেক করুন।

এর আগে গত ৫ মার্চ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় ইভ্যালি ১০০ জন গ্রাহককে তাদের পাওনা টাকা ফেরত দেয়। তার আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি, জানুয়ারি মাসের আয়ের টাকার লাভের অংশ থেকে প্রথম দফায় ১৫০ জনের পাওনা টাকা ফেরত দিয়েছিল ইভ্যালি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে বের হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল। তারপর থেকেই গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য বিগ ব্যাং’ ক্যাম্পেইনসহ নানা অফার ও পাওনা টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এর আগে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর চেক জালিয়াতি, টাকা দিয়ে পণ্য না পাওয়াসহ নানা অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে সারা দেশে অনেক মামলা হয়।


আরও খবর
হজ প্যাকেজের খরচ কমল

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24




পাহাড়ে সক্রিয় ভয়ংকর বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রাণ প্রকৃতির নিসর্গ পার্বত্য জেলা বান্দরবানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) শান্তির পাহাড়ে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পরপর দুই দিনে তিনটি সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় ঢুকে টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ে শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে অনেকগুলো ভার্চুয়াল বৈঠকের পর গত বছরের ৫ নভেম্বর শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের প্রথম সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গত ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক। এর মধ্যে পাহাড়ে বড় ধরনের কোনো সশস্ত্র তৎপরতা দেখা যায়নি। হঠাৎ করে পরপর তিনটি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় কেএনএফ সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের শুরুতে দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্রের গর্জন শোনা যায়। গত বছরের ৭ এপ্রিল বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গুলিবর্ষণের ঘটনায় আটজন নিহত হন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কেএনএফের সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সদস্যরা সম্প্রতি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের ওপর নির্বিচারে হামলা, লুটপাট ছাড়াও সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তদের খুন, জখম ও অপহরণের ঘটনাও ঘটায় কুকি সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় নিরীহ পাহাড়ি বাসিন্দাদেরও হুমকি-ধামকি ও নির্যাতন করে তারা। কেএনএফের এ তাণ্ডবের কারণে জীবন বাঁচাতে নিজ পাড়া বা বসতভিটা ছেড়ে উপজেলা সদরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু পাহাড়ি বাসিন্দা। স্থানীয় পর্যায়ে আতঙ্ক ছড়াতে পাহাড়ের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপরও তারা অতর্কিত সশস্ত্র হামলা চালায়। কিন্তু গত মঙ্গল ও বুধবার তিনটি সরকারি ব্যাংকের শাখায় ঢুকে নগদ টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনায় নতুন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। টাকার অভাবে কেএনএফ লুটপাটে জড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ব্যাংক লুটের আগে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানচি বাজারে গুলি ছুড়তে ছুড়তে দোকানগুলো থেকে মোবাইল সেট ও নগদ টাকা কেড়ে নেয় অস্ত্রধারীরা। পরে সোনালী ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকে ঢুকে ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা লুটতরাজ করে চলে যায়। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্রমাগত অভিযানের পর কথিত বিচ্ছিন্নতাবাদী কেএনএফের কুকিল্যান্ডের সেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। কেএনএফের সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) পার্বত্য এলাকায় যেসব আস্তানা গেড়েছিল সেগুলোর অধিকাংশই এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ফলে সশস্ত্র তৎপরতার শক্তি ও সুযোগ হারিয়ে কুকি সন্ত্রাসীরা এখন বিচ্ছিন্নভাবে চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের জন্য অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। বাজারে হামলা ও ব্যাংক লুটের ঘটনা তারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও বেশকিছু অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনার সঙ্গে কেএনএফ বা কেএনএর সম্পৃক্ততা পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেএনএফ বা কেএনএ ছাড়াও পার্বত্য তিন জেলায় চাঁদাবাজির আধিপত্য নিয়ে জেএসএস, ইউপিডিএফসহ অন্য আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলোও বেপরোয়া সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি তৎপরতা গত এক বছর ধরে সক্রিয় ছিল। তারই অংশ হিসেবে গত ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠক করে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কমিটির আহ্বায়ক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। গত ৬ মার্চ দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক হয় তাদের সঙ্গে। দ্বিতীয় দফা সরাসরি আলোচনায় ৭টি বিষয় নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল। এর মধ্যে কেএনএফের মামলা প্রত্যাহার, জেলে আটক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া, মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া নাগরিকদের ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসন করা, চাঁদাবাজি বন্ধ, কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে এসে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলার পর গতকাল কেএনএফের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। ১৯ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনু গতকাল বিকালে বলেন, আমরা অনেকগুলো বৈঠক করে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংলাপ ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলাম। এই সময়ে কোনো বড় ঘটনাও ঘটেনি। তিনি বলেন, হঠাৎ তাদের এই কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, কমান্ড পর্যায়ে কোনো পরিবর্তন এসেছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে সশস্ত্র এই সংগঠনটি। নগদ টাকার প্রয়োজন থেকেই তারা বাজার ও ব্যাংক ডাকাতির মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নেমেছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় তাদের সাংগঠনিক শক্তি অনেকটা পর্যুদস্ত অবস্থায় রয়েছে। তারা হয়তো মনে করছে, পৃথক কুকিল্যান্ডের স্বপ্নপূরণ সম্ভব নয়। সেজন্যই তারা শক্তির জানান দিতে চাইছে। এদিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন রাসেলকে অপহরণের দুই দিন পর গতকাল সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয়েছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধরতে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে পার্বত্য গণপরিষদের উদ্যোগে বান্দরবান প্রেস ক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বিভিন্ন স্পর্শকাতর পয়েন্টে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, পার্বত্য এলাকায় তারা (কেএনএ) এখনো তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের তাণ্ডবের কারণে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় যাতায়াত ও পর্যটকদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সবখানেই একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ পরিস্থিতির মধ্যেও নিরাপত্তা বাহিনীর মোটামুটি শক্ত অবস্থান রয়েছে।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশ ও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই। পার্বত্য অঞ্চলের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে আরও অনেক সেনা ক্যাম্প চালু করা এখন সময়ের দাবি। যেসব স্থান থেকে একসময় সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছিল সেগুলোও দ্রুত চালু করা প্রয়োজন। শুধু পুলিশ দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।


আরও খবর