আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ নিহত ৫ জন

প্রকাশিত:শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ইটবাহী ট্রাক ও ইজিবাইকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় একই পরিবারের বাবা ও শিশুকন্যাসহ পাঁচ ইজিবাইক আরোহী নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আরও দুইজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহতরা হলেন খর্নিয়া ইউনিয়নের আংগারদোহা গ্রামের সাব্বির মোড়ল (২৩), শোভনা ইউনিয়নের জিয়েলতলা গ্রামের বিশ্বজিৎ বিশ্বাস (৩০) ও তার দুই বছরের মেয়ে অর্নি বিশ্বাস, গুটুদিয়া ইউনিয়নের বিল পাবলা গ্রামের নিপা ঢালী (২৫) ও অজ্ঞাত নারী (২৬)। গুরুতর আহত অরজিত (৩০) নামের এক যুবক ও বিশ্বজিত বিশ্বাসের স্ত্রী অন্তিমা বিশ্বাস খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খর্নিয়া ইউনিয়নের আংগারদোহা কালভার্ট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খর্নিয়া হাইওয়ে থানার ওসি হামিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পৌনে চারটার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। চালকসহ ইজিবাইকে সাতজন যাত্রী ছিলেন। ইজিবাইকটি চুকনগর থেকে খুলনার দিকে যাচ্ছিল। অন্যদিকে খুলনা থেকে একটি ইটবাহী ডাম্পিং ট্রাক চুকনগরের দিকে যাওয়ার পথে ওই মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজনকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। ইজিবাইকটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। ট্রাকটি আটক করা হয়েছে।

ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, ঘটনাস্থলে দুইজন ও ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন মারা গেছেন। বাকি তিনজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাইওয়ে থানা পুলিশ এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সেখানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তিনজনকে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে অর্নি বিশ্বাস নামের দুই বছরের এক শিশু মারা গেছে।

নিউজ ট্যাগ: সড়ক দুর্ঘটনা

আরও খবর



প্রথম এমপক্সের টিকা পেল গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্য আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো (ডি আর কঙ্গো) মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সের টিকার প্রথম চালান হাতে পেয়েছে। গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার জেরে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।

ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৭ হাজার মানুষের এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১ হাজার ১০০ জনের বেশি। আক্রান্ত ও মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বড় অংশই শিশু।

ডি আর কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এমপক্সের টিকার প্রথম চালান নিয়ে একটি উড়োজাহাজ অবতরণ করে। দেশটিকে অনুদান হিসেবে এসব টিকা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্যামুয়েল রজার কাম্বা মুলাম্বা বলেন, যেসব প্রদেশে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে, সেখানে সবার আগে টিকা দেওয়া হবে। এ টিকা ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদিত। তবে শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের দেওয়া যায়।

এমপক্সে সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এমপক্স ভাইরাস অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। এমন সংস্পর্শের মধ্যে রয়েছে শারীরিক সম্পর্ক, ত্বকের স্পর্শ, কাছাকাছি থেকে কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ ফ্লুর মতো। রোগের একপর্যায়ে শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

এ মুহূর্তে এমপক্স ভাইরাসের কয়েকটি ধরনে সংক্রমণের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি ধরন বেশি বিপজ্জনক। ক্লেড ১বি নামের ধরনটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে শনাক্ত হয়েছে।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ধর্ষকদের জন্য শাস্তি আনা উচিত: রুক্মিণী মৈত্র

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কলকাতা শহরে এক ডাক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। তারকা থেকে আইনজীবী, পথে নেমেছেন অনেকেই। অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র তার ব্যতিক্রম না। যদিও, কোনও মিছিলে তাকে দেখা যায়নি।

দেব এবং রুক্মিণী বহুদিন ছুটি কাটাতে ব্যস্ত ছিলেন মরুর দেশে। সেখান থেকে নানা ছবি পোস্ট করতেই তাদের জুটেছিল কটাক্ষ। তার পাশাপাশি দেশে ফিরতেই দেবের বাবা অসুস্থ থাকায় ফের একবার ব্যস্ত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। কিন্তু, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্টোরি শেয়ার করে ধর্ষকদের শাস্তির জন্য ভারতীয় আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্টোরি এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ভারতীয় আইন সংহিতায় বেশ কিছু বদল আনা দরকার। এটিকে রিফর্ম করা হোক। কারণ, ধর্ষকদের জন্য শাস্তি আনা উচিত। ক্ষমা অযোগ্য শাস্তি খুব দরকার। এবং ধর্ষণের চিন্তা ভাবনা যাতে কমে, সেটা মাথায় রাখা দরকার।

তিনি আরও লিখেছেন, প্রাথমিকভাবে নিজের মুখের ভাষা সংযত করতে শিখুন। যেমন, কোনও মহিলার উদ্দেশ্যে মা-বোন সংক্রান্ত গালি না দেওয়া। সে বন্ধু হোক, সহকর্মী কিংবা বস অথবা আত্মীয়, কিংবা কোনও কৌতুক-অভিনেতা হোক। সে কোন লিঙ্গের সেটা বড় কথা না। ধর্ষণ কালচার বন্ধ হোক, অস্বাভাবিক হোক।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল।

তবে মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের পর প্রথমে ফুঁসে ওঠে কলকাতা, পরে গর্জে ওঠে পুরো পশ্চিমবঙ্গ।

নিউজ ট্যাগ: রুক্মিণী মৈত্র

আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শহীদ আহনাফের বাসায় তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বুধবার মিরপুরের পাইকপাড়ায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পুলিশের গুলিতে নিহত কলেজছাত্র আহনাফের বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্ররা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন, তাদের আত্মত্যাগের ফলে আজ আমরা নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। খুব শিগগিরেই সব শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি স্মরণসভা করা হবে। সেখানে আপনাদের উপস্থিতি কাম্য।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের দেশ মনে রাখবে। নাম না জানা অনেক ছাত্র-জনতা এ আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন। তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮০০ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। শহিদদের জন্যই আমরা বেঁচে আছি। স্বাধীনভাবে, প্রাণ খুলে কথা বলতে পারছি।

তথ্য উপদেষ্টা আহনাফের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার খোঁজ-খবর নেন এবং এখন থেকে যে কোনো সময়, যে কোনো প্রয়োজনে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় বাসায় আহনাফের মা, বাবা, দুই ভাই এবং খালা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শহিদ শফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ (১৭) রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ০৪ আগস্ট তিনি মিরপুর ১০-এ পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়। গুলি তার বুকের ডান দিক দিয়ে ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।


আরও খবর



বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের তীব্র আন্দোলনে মুখে শিক্ষকের পদত্যাগ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

ঘুষের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ এনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করলেন বেলাব উপজেলার রাজারবাগ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিনুর আক্তার হেপি ও অফিস সহকারী রুবেল মিয়া। তবে পদত্যাগ করা দুই শিক্ষকের অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকশ নেতা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূবর্ক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে নেন।

এসময় পক্ষ বিপক্ষের লোকদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী ও জনতা। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়ে বেলাব পাইলট মর্ডান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর অনন্ত নামে এক শিক্ষার্থীকে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার সকালে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসির কিছু অংশ রাজারবাগ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিনুর আক্তার হেপি বেগমের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে শিক্ষকদের রুমে ঢুকে জোড়পূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেন বলে অভিযোগ করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিনুর আক্তার ও অফিস সহকারী রুবেল মিয়া।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিনুর আক্তার হেপি বেগম বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার দাপটে নিয়োগ পান। এসময় তারা বলেন, উক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিএড সার্টিফিকেটও নাকি জাল।

এদিকে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে এঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাজারবাগসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ ছুটে আসে বিদ্যালয়ে। ছুটে আসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নরসিংদী জেলার স্বেচ্ছাসেবক কর্মী জেসমিন আক্তার আন্দোলনকারীদের সমর্থন দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলার জন্য বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীদের নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিনুর আক্তার হেপির ছেলে সাদির মোল্লা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবককমী জেসমিন আক্তারের উপরে হামলা করে। হামলায় সাদির মোল্লাও আহত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা আরো উত্তেজিত হয়ে যায়। এসময় শিক্ষার্থীরা সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিনুর আক্তার হেপি ও অফিস সহকারী রুবেল মিয়ার পদত্যাগের দাবিতে ভূয়া ভূয়া বলে স্লোগান দিতে থাকে।

এরই মধ্যে পার্শ্ববতী বেলাব পাইলট মর্ডান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী রাজারবাগ স্কুলে আসে। এসময় রাজারবাগ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও বেলাব পাইলট মর্ডান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য যে রাজারবাগ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিনুর আক্তার হেপির স্বামী মোঃ নাজমুল হোসেন বেলাব পাইলট মর্ডান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষককতা করেন।

বেলাব পাইলট মর্ডান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, তারা খবর পান তাদের শিক্ষক নাজমুল হোসেনকে নাকি রাজারবাগ উচ্চ বিদালয়ে আটক করেছে। এখবর শুনে তারা রাজারবাগ আসলে এলাকাবাসি ও রাজারবাগ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাঁধে।

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে এসময় উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি আহত হয়। এর মধ্যে বেলাব পাইলট মর্ডান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর অনন্ত নামে এক শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়। তাকে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় বেলাব পাইলট মর্ডান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিনুর আক্তার হেপি বলেন,তারা আগেই আমার বিরুদ্ধে বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেয়। ইউএনও স্যার বলছে চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে তদন্তপূর্বক ঘটনাটি দেখবে জানান। কিন্তু তার আগে আজ রোববার স্কুলচলাকালীন সময়ে তারা স্কুলে এসে আমাকে মারধর করে। এসময় আমার ছেলে আমাকে বাঁচাতে আসলে তাকেও মারধর করে তারা। পরে জোড়পূর্বক আমার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়।

অফিস সহকারী মোঃ রুবেল মিয়া বলেন, আমি বৈধভাবে পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ পাই। আজকে বহিরাগত ছাত্ররা বিদ্যালয়ে ঢুকে আমাকে হুমকী দিয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়। যা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়েছে।

আমলাব ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনার সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন করে বলেন বিদ্যালয়ে আসার জন্য। এসময় এসে দেখি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। তারা আমার কাছে জানান সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিনুর আক্তার হেপির নিয়োগে দুর্নীতি আছে অফিস সহকারী রুবেল মিয়া নিয়োগে ১১ লক্ষ টাকা সাবেক সভাপতির মাধ্যমে বিনিময় হয়ছে। এসব প্রমাণের ডকুমেন্ট নাকি তাদের সংগ্রহে আছে। এসব কারণে ছাত্ররা তাদের পদত্যাগ দাবি করছে । এসময় অফিসে কথা বলার সময় বেলাব পাইলট মর্ডান উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই তিন শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অর্তকিতভাবে হামলা করে। খবর শুনে বেলাব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। শুনেছি দুইজন শিক্ষকই স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এখন পরিবেশ শান্ত আছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবক কর্মী জেসমিন আক্তার বলেন,আমরা বিদ্যালয়ের এই দুইজন শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আমরা গেছি। উনি আমাদের সময় দিয়েছিলেন। রবিবার দিন তিনি আসার কথা ছিল। তিনি আসেননি। তাই আমরা আজকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলেনের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয়ে আসি শিক্ষকদের সাথে কথা বলার জন্য। এসময় শিক্ষক শাহিনুর আক্তার হেপির ছেলে সাদির মোল্লা আমার উপর হামলা করে। পরে আমরা শিক্ষকদের সাথে বসি। এসময় শাহিনুর আক্তার হেপির স্বামী বেলাব পাইলট মর্ডান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমুল হোসেনের নের্তৃত্বে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা এসে গন্ডগোল সৃষ্টি করে। পরে উনারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল হোসেন বলেন, আমি বিদালয়ে এসে দেখি ছাত্ররা বলছে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীকে পদত্যাগ করতে হবে। ফলে আজকের ঘটনার সমাধানের জন্য আমরা এলাকাবাসি নিয়ে বিদ্যালয়ে বসেছিলাম। এসময় হঠাৎ করেই বেলাব পাইলট মর্ডান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কিছু শিক্ষার্থী এসে গন্ডগোল শুরু করে। এতে কয়েকজন আহত হয়। পরে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার ও বেলাব থানায় খবর দেই। পরে থানা পুলিশ চলে যাবার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাদেরা পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়।

বেলাব থানার ওসি(তদন্ত) মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, গন্ডগোলের খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।

বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল করিম বলেন, আমি মিটিং এ থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। আগামীকাল স্কুলে গিয়ে বিস্তারিত নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ নিব।


আরও খবর



হাসপাতাল থেকে ফিরেই বড় চমক পেলেন ঊর্বশী রাউতেলা

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কয়েক দিন আগে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউতেলা। সে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল তার রক্তারক্তি কাণ্ড!

মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরা। ভিডিওটি পোস্ট করার পর অনেক সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছে তাকে। খুব বড় যে কিছু ঘটেনি তা ভিডিও দেখে অনেকেই বুঝেছিলেন।

একদিকে যেমন তাকে নিয়ে সমালোচনা হয়েছে, আবার কিছু অংশ বেশ চিন্তিতও ছিলেন। তাই তো তিনি বাড়িতে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই পেলেন বিশাল এক সারপ্রাইজ। তার পুরো ঘর ভরে গেছে লাল গোলাপে।

বলিউডসূত্রের খবর, তিনি যাতে সুস্থ হয়ে ওঠেন সেই প্রার্থনাতেই এই ফুলের উপহার। প্রায় এক লক্ষ গোলাপ ফুল উপহার পেয়েছেন তিনি! আর তা পেয়ে ঊর্বশী বেশ উত্তেজিত ছিলেন।

সেদিনের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আঙুল কেটে রক্ত ঝরছে ঊর্বশীর। তবে খুব যে বাড়াবাড়ি হয়েছে তেমনটা নয়। সেটা তার ভিডিও দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। তাই উলটে প্রার্থনার বদলে নায়িকাকে রীতিমতো কটাক্ষের মুখেই পড়তে হয়েছে। সেদিন নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে গিয়েছিল তার পোস্ট।

অভিনেত্রীকে কেউ লিখেছেন,একটু হলুদ লাগিয়ে দিলেই ঝামেলা মিটে যেত। আবার কেউ লিখেছেন,আপনি দেশের প্রথম মহিলা যে এত ছোট কারণে হাসপাতালে ভর্তি হলেন।

তবে শুধুই কি এই আঙুল কাটার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।

কয়েক দিন আগে অন্য একটি কারণে আলোচনায় উঠে এসেছিল অভিনেত্রীর নাম। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল ঊর্বশীর। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে স্নানের জন্য পোশাক খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঊর্বশীর মতো দেখতে এক মহিলা। বিভিন্ন পাপারাৎজি অ্যাকাউন্ট থেকে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। এর পরেই শুরু আলোচনা।

নিউজ ট্যাগ: ঊর্বশী রাউতেলা

আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪