আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কিডনি রোগ জীবন নাশা প্রতিরোধই বাঁচার আশা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মানবদেহে সাধারণত এক জোড়া কিডনি থাকে। বড় কলাই আকৃতির কিডনি দুটি দৈর্ঘ্যে ৯-১২ সেন্টিমিটার; প্রস্থে ৫-৬ সেন্টিমিটার ও ৩-৪ সেন্টিমিটার মোটা হয়। মেরুদণ্ডের দুই পাশে কোমরের একটু উপরে এদের অবস্থান।

প্রাথমিক অবস্থায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। লক্ষণ যখন দেখা যায়, তখন কিডনি শতকরা ৭০ ভাগ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। দুটি সহজ পরীক্ষায় কিডনি রোগ নির্ণয় করা যায়। ১. মূত্র পরীক্ষায় আমিষের উপস্থিতি দেখা ও ২. রক্ত পরীক্ষায় ক্রিয়োটিনিনের মাত্রা দেখা।

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কিছু লক্ষণ হলো, শরীর ফুলে যাওয়া, ক্লান্তিবোধ করা, মনোযোগহীনতা, ক্ষুধামান্দ্য ও ফেনাযুক্ত প্রস্রাব হওয়া।

কিডনির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যিনি কিডনির মেডিসিন বিষয়ক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন, তাকে আমরা নেফ্রোলজিস্ট বলি। আর কিডনির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যিনি কিডনির সার্জিক্যাল রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন, তাকে বলি ইউরোলজিস্ট।

কাদের সতর্ক হতে হবে

১. আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২. উচ্চ রক্তচাপ।

৩. স্থূলতা।

৪. ধূমপানের অভ্যাস।

৫. অধিক বয়স (৫০ বা তদূর্ধ্ব)।

৬. পরিবারে কারো কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সতর্ক হতে হবে।

সুরক্ষায় মেনে চলুন ৮ নিয়ম

১. নিজেকে সবল ও কর্মব্যস্ত রাখুন।

২. রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন।

৩. রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করুন।

৪. সুষম খাদ্য খান এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখুন।

৫. পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।

৬. ধূমপান পরিহার করুন।

৭. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকুন।

৮. আপনি যদি কিডনি ঝুঁকিতে থাকেন, তাহলে এক বা একাধিক কিডনি রোগ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করুন।

কে আক্রান্ত হবেন?

১. পৃথিবীতে শতকরা ১০ জন মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন।

২. কিডনি রোগ সকল বয়সের এবং সকল জাতিকে আক্রান্ত করতে পারে।

৩. ৭৫ বৎসর বয়সের ৫০ শতাংশ মানুষ কমবেশি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি জটিলতায় ভোগেন।

৪. ৬৫-৭৫ বয়সের প্রতি ৫ জনে একজন পুরুষ এবং প্রতি ৪ জনে একজন নারী কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৫. উচ্চ রক্তচাপ এবং বহুমূত্র রোগ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান কারণ।

আপনি কি ঝুঁকিতে আছেন? তাহলে দেখুন, আপনার কি উচ্চ রক্তচাপ আছে? আপনি কি বহুমূত্র রোগে ভুগছেন? আপনার পরিবারের কারও কি কিডনি রোগ আছে? আপনার দৈহিক ওজন কি বেশি? আপনার কি জাতিগতভাবে আফ্রিকান, হিসপানিক বা এশিয়ান বংশধর?

আপনার উত্তর এক বা একাধিক হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক, যা আপনার সুস্থ জীবন-যাপন বাধাগ্রস্ত করে। এখানে কিছু সহজ উপায় বলা আছে যা আপনাকে কিডনি রোগ থেকে রক্ষা করবে।

কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয়

কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক। বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি বিকল হয়ে প্রতি ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হচ্ছে। কিডনি বিকল রোগীর চিকিৎসা এত ব্যয়বহুল যে, এ দেশে শতকরা ৫ ভাগ লোকেরও দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। সাধারণত ৭০ ভাগ কিডনি নষ্ট হওয়ার আগে রোগীরা বুঝতেই পারে না যে সে ঘাতক ব্যাধিত আক্রান্ত। এই ঘাতক ব্যাধি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় অঙ্কুরেই কিডনি রোগ নির্ণয় ও কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা।

কিডনি বিকল প্রতিরোধের ১০টি উপায়

১. ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস কিডনি

বিকলের প্রধান কারণ।

২. ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখা (HBAIC ৭ (সাত) এর নিচে)।

৩. উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে (১৩০/৮০এর নিচে)।

৪. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত রোগীদের কিডনির কার্যকারিতা ও প্রস্রাবে মাইক্রো অ্যালবুমিন প্রতি ৬ মাস অন্তর পরীক্ষা করা।

৫. শিশুদের গলাব্যথা, জ্বর ও ত্বকে খোসপাঁচড়ার দ্রুত সঠিক চিকিৎসা করা উচিত।

৬. ডায়রিয়া, বমি ও রক্ত আমাশয়ের কারণে রক্ত, পানি ও লবণ শূন্য হয়ে কিডনি বিকল হতে পারে। তাই দ্রুত খাবার স্যালাইন খেতে হবে। প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে

৭. ধূমপান বর্জন করুন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

৮. চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত এন্টিবায়োটিক ও তীব্র ব্যথার ওষুধ সেবন না করা।

৯. প্রস্রাবের ঘন ঘন ইনফেকশনের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।

১০. পাঁচ রঙের সবজি খাবেন, বেশি করে ফল খাবেন, চর্বি জাতীয় খাবার ও লবণ কম খাবেন ও পরিমিত পানি পান করবেন।

লেখকঃ ডাঃ ফজলে এলাহী খাঁন

সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (কিডনী বিভাগ)

আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী ।

সভাপতি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ(স্বাচিপ), নোয়াখালী জেলা।

নিউজ ট্যাগ: কিডনি রোগ

আরও খবর



সরকার শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বৈশ্বিক মন্দা ও নানামুখী চ্যালেঞ্জ থাকা স্বত্বেও সরকার শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনীয় শ্রম সম্পর্ক তৈরির জন্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নের আলোকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রমক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ৩৫০তম গভর্নিং বডি অধিবেশনে গতকাল মঙ্গলবার এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। আজ বুধবার (১৩ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে সরকার কর্তৃক গৃহীত রোড ম্যাপ (২০২১-২৬) এর আলোকে আইনগত সংস্কার, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন, শ্রম সংক্রান্ত পরিদর্শন এবং শ্রমিকদের অন্যান্য অধিকারে চারটি ক্ষেত্রে শ্রম সংস্থার অধিবেশনে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

প্রস্তাবিত বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন বিলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য শিল্পখাতে প্রয়োজনীয় শ্রমিক সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা, ইউনিয়নের প্রতি অনায্য আচরণের শাস্তি দ্বিগুণ করা, বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করার শাস্তি তিনগুণ করা, শিশু শ্রমের শাস্তি চারগুণ করার বিধান রাখার কথাও উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী।

এ ছাড়া প্রস্তাবিত এ সংশোধনীটিতে বেসামরিক বিমান পরিবহণ খাতে এবং নৌপরিবহণ খাতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও পরিচালনা সহজীকরণ, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে আপিল আবেদন সহজীকরণ সংক্রান্ত বিধান সংযুক্ত করার কথাও উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রস্তাবিত এ সংশোধনীটিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বিভিন্ন কনভেনশনের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে বলে তিনি অধিবেশনকে অবহিত করেন। যথাযথ ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব হলে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে শ্রম আইনের সংশোধন বিল আকারে উপস্থাপিত হতে পারে বলে মন্ত্রী জানান।

প্রচলিত আবেদন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন চালু করা, প্রাক-আবেদন সেবা চালুকরণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গুণগত ও পরিমাণগত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে আইনমন্ত্রী জানান। এর ফলে তৈরি পোশাক খাতে গত ৯ বছরে নিবন্ধন ৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত হয়েছে। তাছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনভুক্তি আবেদনের সফলতার হার গত চার বছরে ৬০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আনিসুল হক আরও বলেন, কারখানা পরিদর্শকের পদ আড়াই গুণ বৃদ্ধি, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় পরিদর্শন মডিউল চালু করা, পরিদর্শকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ প্রদানের ফলে কারখানা ও স্থাপনা পরিদর্শনে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। কেবল গত ২০২৩ সালের শেষ ছয় মাসে ২০ হাজারেরও বেশি পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি তথ্য প্রদান করেন। এ ছাড়া ইপিজেডগুলোতে নিজস্ব উন্নত পরিদর্শন ব্যবস্থা থাকা স্বত্বেও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরও পরিদর্শন শুরু করেছে। ছয়টি নতুন শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠার ফলে বর্তমানে মোট ১৩টি শ্রম আদালত কাজ করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি উচ্চক্ষমতার বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সেল চালু করা হয়েছে। এটি অদ্যাবধি প্রাপ্ত ৯০ শতাংশের বেশি সালিশ আবেদনের নিষ্পত্তি করেছে। শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ সহজে দায়ের করার জন্য সরকার কর্তৃক চালু করা হেল্পলাইন সফলভাবে কাজ করেছে বলেও তিনি জানান।

ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের প্রতি বৈষম্য বন্ধের লক্ষ্যে সরকার গত তিন বছরে প্রায় ৩৬ হাজার শ্রমিক, ব্যবস্থাপক, মালিক, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী, আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। সরকার এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


আরও খবর



রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলো পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলো পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।

আজ সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, যেভাবে একের পর এক রুফটপ রেস্টুরেন্ট হচ্ছে তাতে আমরা অবাক হচ্ছি। এসব রেস্টুরেন্ট একটা ফ্যান লাগিয়ে চালু করে দিচ্ছে। কি একটা অবস্থা চলছে।

এ সময় রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েটের বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিংয়ের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা চার মাসের মধ্যে জানানোর নির্দেশও দেন হাইকোর্ট।

গতকাল (৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির অনুমতি নেওয়া হয়।

এর আগে রোববার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডসহ সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ছাড়াও আহত, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের মধ্যে বাসায় ফিরেছেন ১১ জন। এখনো ভর্তি আছেন তিনজন। আর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন আরও দুজন।


আরও খবর



ভুল চিকিৎসায় স্থপতির মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চর্মরোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় স্থপতি রাজীব আহমেদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন রাজীব আহমেদের স্ত্রীর বড় ভাই রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আরেফ উদ্দিন আহমেদ। কোথায় কোথায় ভুল হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের অবহেলার সবিস্তারে ব্যাখ্যা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্থপতি রাজীব আহমেদ, বুয়েট ২০০৩ ব্যাচের সদস্য ও রুফলাইনারস স্টুডিও অব আর্কিটেকচারের অন্যতম প্রধান স্থপতি। তিনি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর। আকস্মিক মৃত্যুতে তার পরিবার হতবিহ্বল হয়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে তার প্রেসক্রিপশন ও হাসপাতালের রেকর্ড নিয়ে কয়েক দফা আলোচনায় বসে। এতে ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যুর বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ডা. আরেফের অভিযোগ, দেড় বছর ধরে রাজীব চর্মরোগের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত ২৮ জানুয়ারি তিনি চিকিৎসকের কাছে গেলে নতুন ওষুধ দেওয়া হয়। সেই ওষুধ খেয়ে প্রচণ্ড পেটব্যথা নিয়ে রাজীব ৭ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি হাসপাতাল শমরিতায় ভর্তি হন। সেখানে তাকে দুটি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন তাকে বেসরকারি অপর হাসপাতাল স্কয়ারে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাকে আরও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রাজীবের কিডনি অকার্যকর হয়ে যায়। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাকে যে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, একজন চিকিৎসক হিসেবে তার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন ডা. আরেফ উদ্দিন।

তিনি বলেন, দুই হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে অব্যবস্থাপনা ছিল। চিকিৎসকরা অনেক তথ্য পরিবারের সদস্যদের কাছে আড়াল করেছেন। চিকিৎসকদের কাছে রাজীবের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা সব সময় ধৈর্য ধরতে বলেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে আমরা বিএমডিসিতে (চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিকারের জন্য তদারকি সংস্থা বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল) অভিযোগ করেছি। আশা করছি নায্য বিচার পাব।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থপতি রাজীব আহমেদের স্ত্রী স্থপতি সারাওয়াত ইকবাল, রাজীবের ছোট বোন তানিয়া শবনম, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি মাহফুজুল হক জগলুল ও রাজীবের সহপাঠীরা।

তানিয়া শবনম বলেন, চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসায় আমার ভাই মারা গেছেন। আমি চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার হোক। যাতে আর কোনো সন্তান এভাবে তার বাবাকে না হারায়, কোনো বোন তার ভাইকে না হারায়।’

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি মাহফুজুল হক বলেন, এ ঘটনার সুবিচার না পেলে তারা কঠোর আন্দোলন করবেন।


আরও খবর



ডিইউজের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টায় এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফরিদ হোসেন।

নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে। ফলে সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

নির্বাচনে সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন-আবদুল মজিদ, সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন-আকতার হোসেন, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, এ জিহাদুর রহমান জিহাদ ও খায়রুল আলম।

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন-আশরাফুল ইসলাম, আসলাম সানী, নজরুল ইসলাম মিঠু ও হামিদ মোহাম্মদ জসিম। সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন- ইব্রাহিম খলিল খোকন, বাঁধন কুমার সরকার, মো. রেজাউর রহিম, রফিকুল ইসলাম সুজন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর।

যুগ্ম সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন-আছাদুজ্জামান, এস এম সাইফ আলী, জাকির হোসেন ইমন, ফজলুল হক বাবু, ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী ও মো. শাহজাহান মিঞা। কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য লড়ছেন-মীর আফরোজ জামান, রেজাউল কারীম, সাকিলা পারভীন ও সোহেলী চৌধুরী।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন গোলাম মুজতবা ধ্রুব, জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও রাজু হামিদ। আইন বিষয়ক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আসাদুর রহমান, মাসুম আহাম্মদ ও রবিউল হক। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আমানউল্লাহ আমান, এম শাহজাহান সাজু ও মুহাম্মদ মামুন শেখ।

দপ্তর সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আইরিন নিয়াজি মান্না, এ কে এম ওবায়দুর রহমান ও জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী। কল্যাণ সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন- আনোয়ার হোসেন, রেহানা পারভীন ও শাহজাহান স্বপন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন- ইস্রাফিল হাওলাদার, এস এম বাবুল হোসেন, দুলাল খান ও মো. আসাদুজ্জামান (লিমন আহমেদ)। নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন দীপা ঘোষ রীতা, সুমি খান ও সুরাইয়া অনু।

নির্বাহী পরিষদ সদস্য হিসেবে ৮টি পদের জন্য লড়ছেন-অনজন রহমান, আতাউর রহমান জুয়েল, আনোয়ার সাদাত সবুজ, আনোয়ার হোসেন আকাশ, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, এ এম শাহজাহান মিয়া, এম এ রহিম রনো, এম জহিরুল ইসলাম, এস এম মোশাররফ হোসেন, জি এম মাসুদ ঢালী, নাঈম মাশরেকী, নাসরিন বেগম গীতি, মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী হিমেল, মো. কিরণ মোস্তফা, মো. মেহেদী জামান, মো. শাহীন আলম, মো. সাজেদুল ইসলাম রাজু, মোহাম্মদ খসরু নোমান, রাগেবুল রেজা, রারজানা সুলতানা, শহিদুল ইসলাম স্বপন, শাহিদুর রহমান শাহিদ, সাজেদা হক, সাজ্জাদ হোসেন চিশতী এবং সালাম মাহমুদ।

নিউজ ট্যাগ: ডিইউজে

আরও খবর



মিয়ানমারের শরণার্থীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে পালিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানো শুরু করেছে ভারত। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুর থেকে গত শুক্রবার প্রথম দফায় কয়েকজনকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে রাজ্য সরকার। এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এক্সে এক পোস্টে লেখেন, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রথম দলকে আজ (শুক্রবার) ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

মিয়ানমারের সঙ্গে ভিসামুক্ত সীমান্ত নীতি থেকে সরে আসার কয়েক সপ্তাহ পর আশ্রয়প্রার্থীদের প্রত্যাবাসন শুরু করল ভারত। সামনের দিনগুলোতে এমন আরও অনেককে ফেরত পাঠাবে দেশটি।

প্রথম দফায় কতজনকে পাঠানো হয়েছে, সেই সংখ্যা জানাননি মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। যতটুকু জানা গেছে, অন্তত ৭৭ শরণার্থীকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে মনিপুর সরকার, যার কার্যক্রম শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে।

২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান এবং সংঘাতময় পরিস্থিতিতে সেখান থেকে পালিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নেয় দেশটির হাজারো নাগরিক। বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের আক্রমণের মুখে শত শত সেনাসদস্যও পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।

সামরিক অভ্যুত্থানের তিন বছর পর মিয়ানমারে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুমুল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী। যুদ্ধবিধ্বস্ত এমন পরিস্থিতিতেই আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত।

মনিপুরের সঙ্গে সীমান্ত সংযোগ রয়েছে মিয়ানমারের। সীমান্তের দুই পাশের মানুষের মধ্যে জাতিগত মিলও রয়েছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে সংঘাতে উত্তপ্ত হওয়া মনিপুরে মিয়ানমারের শরণার্থীদের কারণে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও বাড়ার ঝুঁকি দেখছে দিল্লি। গত বছরের মে মাস থেকে জাতিগত সহিংসতায় মণিপুরে প্রায় ২০০ জনের প্রাণ গেছে।

নাম প্রকাশ না করে ভারতের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, শরণার্থীদের প্রথম দলটিকে ভারতের সীমান্ত শহর মোরেহ-তে নেওয়ার পর তাদের হস্তান্তর করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এক্সে একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যায়, কয়েকজন নারী শরণার্থীকে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভ্যানে তুলে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর