২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সাত বছর পর আবারও ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে টানা দুই জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। অপরদিকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ নিতে চট্টগ্রামে শেষ ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামছে লিটন দাসের দল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় টিম ইন্ডিয়া। তবে কিশান-কোহলি ঝড়ো ব্যাটিং তান্ডবে বাংলাদেশের সামনে ৪১০ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্য বেধে দিয়েছে ভারত।
শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকে ভারত। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে ফেরান অফ স্পিনার মিরাজ।
অপরদিকে ব্যাক্তিগত দ্বিতীয় ওভার করতে এসে মিরাজ আবারও সুযোগ তৈরি করে। তবে বিরাট কোহলির সহজ ক্যাচ লুফে নিতে ব্যর্থ হন লিটন কুমার দাস। এক রানে জীবন পাওয়া কোহলি এরপর তাণ্ডব চালাতে শুরু করে বাংলাদেশের বোলারদের।
অপরদিকে ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চেনান এই উইকেটরক্ষক ও ব্যাটার। ৮৯ বলে করেন নিজের প্রথম শতক। এছাড়া ১২৬ বলে করেন ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম ডবল সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড। টাইগারদের বিপক্ষে ১৩১ বলে ১০ ছক্কা ও ২৪ চারে ২১০ রান করে মাঠ ছাড়েন কিশান। ৩৪তম ওভারে তাসকিনের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে বিরাট কোহলির সঙ্গে ২৯০ রানের জুটি গড়েন এই ব্যাটার।
অন্যদিকে একপ্রান্ত আগলে রেখে টাইগার বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাতে থাকে বিরাট কোহলি। তাসকিনের বলে কোহলিকে আবার দিলেও। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের বলে আউট হয়ে দুই ছক্কা ও ১১ চারে ৯১ বলে ১১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।
শেষ দিকে আক্সার প্যাটেলের ২০, শ্রেয়াস আইয়ারের ৩, অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ৮ ও ওয়াশিংটন সুন্দরের ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৪০৯ রানের সংগ্রহ পায় ভারত।
এ দিন বাংলাদেশের হয়ে বোলিংয়ে তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেন দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান নেন একটি করে উইকেট।