আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কক্সবাজারে পাহাড়ে অভিযান: আরসা নেতা ছলেসহ ৬ ডাকাত গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড়কেন্দ্রিক একের পর এক অপহরণ ও মুক্তিপণের অন্যতম হোতা ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় তার অন্যতম সহযোগী সোহেল ডাকাতসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‍্যাব জানায়, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) অন্যতম নেতা এই ছলে।

শুক্রবার (৫ মে) দিনগত রাত ৯টা থেকে দুই ঘণ্টার অভিযানে টেকনাফের বাহারছড়া পাহাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র‍্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। রাতে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, কক্সবাজারে বেশকিছু দিন ধরে একের পর এক অপহরণ, মুক্তিপণ ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছিল। এসব ঘটনায় কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ ও র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা দল নজরদারি শুরু করে। দীর্ঘ নজরদারির এক পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় কক্সবাজার টেকনাফ কেন্দ্রিক এসব অপরাধ ঘটিয়ে আসছিল ছালেহ বাহিনী নানে একটি বাহিনী। এ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীন। তাকে গ্রেপ্তারে আজ শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়।

আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে শিক্ষক হত্যা মামলায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫

অভিযানে অপহরণ ও মুক্তিপণের অন্যতম হোতা ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীন ও তার অন্যতম সহযোগী সোহেল ডাকাতসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলছে, কক্সবাজারে এসব ঘটনায় জড়িত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) অন্যতম নেতা হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দিন। এ যুবক বর্তমানে আরসা প্রধান আতাউল্লাহর পরেই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ছলের গ্রুপে অপহরণ বাণিজ্যে জড়িত ১০ থেকে ১৫ জন। কক্সবাজারের গহীন পাহাড়ে ছলের আস্তানাও রয়েছে।

আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্ত থেকে ২০ পিচ স্বর্ণের বারসহ আটক ২

মিয়ানমার থেকে দেশে আসা রোহিঙ্গাদের তালিকা থাকলেও সরকারিভাবে ছলের কোনো নামের তালিকা পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ ছলে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা নয়। প্রতিবারই অপরাধ করে তিনি আবার মিয়ানমারে আত্মগোপন করেন।

টেকনাফের বাহারছাড়া, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নে অপহরণ এখন নিত্যদিনের ঘটনা। একের পর এক ঘটনা ঘটলেও কারা অপহরণে জড়িত তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। ফলে ধরাছোঁয়ার বাইরে অপহরণকারীরা। অপহরণের পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। ফেরত আসা ব্যক্তিরা প্রাণনাশের ভয়ে অপহরণকারীদের সম্পর্কে কিছু বলছেন না।

আরও পড়ুন: কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিতডলফিন

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, আরসা নেতা হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দিন বর্তমানে আরসার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবার নাম মো. শফি। মাতা লতি বানু বেগম। মিয়ানমার থেকে এদেশে প্রবেশ করলেও ছলে বা তার পরিবার রোহিঙ্গা তালিকাভুক্ত না। দেশে থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকায় কাগজে-কলমে নাম না থাকায় অপহরণ-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ নির্বিঘ্নে করে আসছেন ছলে উদ্দিন। ছলের গ্রুপের সদস্যরা নানা অপরাধে জড়িত।

বিশেষত সম্প্রতি কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণের ঘটনার প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকায় ছিলেন এই ছলে। আরসা নেতা আতাউল্লাহর নির্দেশে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহাড়ে অবস্থা করে ছলে বাহিনী। সেখানেই অপহৃতদের জিম্মি করে রাখা হয়। পরে অর্থের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়। নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে এই ছলে ও তার দলবল মিয়ানমারে আশ্রয় নেয়।

গোয়েন্দা সূত্র আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশে থেকে ভারত, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে মানবপাচারে জড়িত এই ছলে বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকলেও ছলের নাম রোহিঙ্গা তালিকায় না থাকায় তাকে আইনের আনা সম্ভব হচ্ছে না।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। গত কয়েক দিন ধরেই গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে রাজধানীর বাতাসে নেই কোনো সুখবর।

রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। ১২৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে ঢাকা।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৫১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের শহর দিল্লি। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহরের স্কোর ২৩১। আর ১৯০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর, ১৭২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার মেদান শহরের স্কোর ১৬৩।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


আরও খবর
বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শকের স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলো অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে বেনজীর আহমেদের নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ, গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




৮ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল: মোজাম্মেল হক

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ইতিমধ্যে ৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া কেউ যদি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারে তাহলে সেই মুক্তিযোদ্ধার সনদও বাতিল করা হবে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে, স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মন্ত্রী।

মুজিবনগরের উন্নয়নের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দীন নাছিম, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এর পরে আম্রকাননে জাঁকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, আনছার, বিএনসিসি ও ছাত্রছাত্রীদের একাধিক দল কুজকাওয়াজ প্রদর্শন করে। আজ সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা মঞ্চে শুরু হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা।


আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪এর বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী বাবার সঙ্গে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করত। কিশোরীর মা বিদেশে থাকতেন। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাসায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার জন্মদাতা বাবা। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের মামলা করে। পুলিশ কিশোরীর বাবাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩০ আগস্ট কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ছয়জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।


আরও খবর



জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্যের ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই সনদ দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে সনদ তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশীকাঁথার জিআই সনদ তুলে দেওয়া হয়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মেহনতি মানুষ শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্য সাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি বা টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল নামে একটি শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেয়। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) এর কাছ থেকে অনুমোদনও পেয়ে যায় তারা। বিষয়টি বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। টাঙ্গাইল বাংলাদেশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হওয়ার পরও ভারত কীভাবে তা নিজেদের পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পায়, সেট প্রশ্ন তোলেন শাড়ির ব্যবসায়ী, আইনজ্ঞ ও অধিকার কর্মীরা।

এরপর বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো উদ্যোগী হয়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির আবেদন করে। পরে তা অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সনদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী।


আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪