আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

কলকাতায় চলচ্চিত্র উৎসবে যাচ্ছে বাংলাদেশের ৩৭ সিনেমা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

‘হাওয়া’, পরাণ’, হৃদিতা’সহ বাংলাদেশের ৩৭টি সিনেমা নিয়ে কলকাতায় শুরু হচ্ছে চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। শনিবার থেকে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী নন্দনের তিন প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে বলে বুধবার কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। 

 কলকাতার রবীন্দ্র সদনে শনিবার বিকেল ৪টায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্যটন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও বলিউড তারকা বাবুল সুপ্রিয়, জয়া আহসান, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী।

বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ও কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ উৎসবে পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্রসহ মোট ৩৭টি সিনেমা প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে গুণিন’, হৃদিতা’, বিউটি সার্কাস’, হাওয়া’, পরাণ’, পায়ের তলায় মাটি নাই’, পাপ পুণ্য’, কালবেলা’, চন্দ্রাবতী কথা’, চিরঞ্জীব মুজিব’, রেহানা মরিয়ম নূর’, নোনাজলের কাব্য’, রাতজাগা ফুল’, লাল মোরগের ঝুঁটি’, গোর’, গলুই’, গণ্ডি’, বিশ্বসুন্দরী’, রূপসা নদীর বাঁকে’, শাটল ট্রেন’, মনের মতো মানুষ পাইলাম না’, ন-ডরাই’, কমলা রকেট’, ‘গহীন বালুচর’ ও ঊনপঞ্চাশ বাতাস’।

থাকছে ৪টি প্রমাণ্যচিত্র হাসিনা আ ডটারস টেল’, বধ্যভূমিতে একদিন’, একটি দেশের জন্য গান’ ও মধুমতী পারের মানুষটি শেখ মুজিবুর রহমান’। প্রদর্শিত হবে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ৮টি ছবি ধর’, ময়না’, ট্রানজিট’, কোথায় পাবো তারে’, ফেরা’, নারী জীবন’, কাগজ খেলা’, আড়ং’।

বাংলাদেশের ৩৭ সিনেমা নিয়ে কলকাতায় চলচ্চিত্র উৎসব

সাংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস ও উপহাইকমিশনের প্রেস সচিব রঞ্জন সেন।


আরও খবর



ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: কেন বাদ পড়লেন আহমাদিনেজাদ?

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহতের পর নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে ইরান। আগামী ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ছয়জন প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেছে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে সেই তালিকায় নেই সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করে সম্প্রতি আবারও আলোচনায় এসেছিলেন আহমাদিনেজাদ। তবে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন তিনি।

ইরানের সাবেক কট্টরপন্থি এই প্রেসিডেন্টকে মনোনয়ন দেয়নি দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল। ২০১৭ ও ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রার্থিতার আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে দুবারই অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি।

গত ২ জুন প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধনের কথা জানান আহমাদিনেজাদ। তবে বিশ্লেষকরা সে সময় মত দিয়েছিলেন, গার্ডিয়ান কাউন্সিল খুব সম্ভবত তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেবে না। কারণ হিসেবে তারা দেখান, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির সঙ্গে তার সম্পর্কে টানাপড়েন। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস সেনাদলের সাবেক সদস্য আহমাদিনেজাদ প্রথম ২০০৫ আলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে মেয়াদ পূর্তির পর পদ ছেড়ে দেন।

২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর তাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। সে সময় আহমাদিনেজাদের বিরুদ্ধে গণবিদ্রোহ দানা বেঁধে ওঠে। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের নেতৃত্বে সেই বিদ্রোহ দমন করা হয়।

সে সময়য় এই রক্তাক্ত দমনপীড়ন অভিযানে অসংখ্য মানুষ নিহত হন ও হাজারো বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্বিতীয় মেয়াদের শেষের দিকে এসে খামেনির সমালোচনায় মুখর হন আহমাদিনেজাদ।

২০১৬ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তাকে সতর্ক করে বলেন, তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ দেশের স্বার্থপরিপন্থি। এরপর ২০১৭ সালে তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়নি গার্ডিয়ান কাউন্সিল। ২০১৮ সালে আহমাদিনেজাদ খামেনির সরাসরি সমালোচনা করেন, যা ইরানে খুবই বিরল। তিনি তাকে চিঠি পাঠিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান। ইরানের সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে খামেনির একছত্র আধিপত্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আহমাদিনেজাদ। এরপর থেকেই খামেনির সঙ্গে তার সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়।

ইরানের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ছয়জন প্রার্থী। তারা হলেন, পার্লামেন্টের রক্ষণশীল স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, অতি রক্ষণশীল সাবেক পারমাণবিক আলোচক সাইদ জলিলি, তেহরানের রক্ষণশীল মেয়র আলিরেজা জাকানি এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদ ফাউন্ডেশনের অতি রক্ষণশীল প্রধান আমির হোসেন গাজিজাদেহ-হাশেমি। এ ছাড়াও রক্ষণশীল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদিকেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শুধু একজন সংস্কারপন্থি প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অনুমোদন পেয়েছেন। তিনি হলেন, ইরানের পার্লামেন্টে তাবরিজের প্রতিনিধিত্বকারী আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান।


আরও খবর



কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল ঢাবি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কর্পোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকুরিতে কোটা পুনর্বহালের রায় বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ফের বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে একে একে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে কলাভবনসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা, সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে, আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে, লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই, কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, কোটা না মেধা? মেধা মেধা, আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উপস্থাপন করে। সেগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ১৮' এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ছাত্র সমাবেশের শেষের দিকে হাজারো কণ্ঠে আপেল মাহমুদের দেশাত্মবোধক গান তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবো রে গাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন।


আরও খবর



বন্যার শঙ্কায় আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বন্যার বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যা হতে পারে, পূর্বাভাস সে রকম পাওয়া যাচ্ছে। কাজেই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এসব নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব বিষয় তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রকল্প পরিচালকদের প্রশিক্ষণে জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে এক প্রকল্পের জন্য যেন একজন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয় সেই কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া ঢাকা অঞ্চলের আশে পাশে যেখানে জমি আছে সেগুলোতে চাষাবাদ ত্বরান্বিত করার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জমি অধিকাংশ চলে যাচ্ছে আবাসন প্রকল্পের জন্য। তবে যেসব জমি এখনও আছে সেগুলো যাতে ফাঁকা পড়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেসব এলাকায় তিন ফসলি বা দো ফসলি জমিতে ফসল ভাল হয় সেসব এলাকায় প্রকল্প নেওয়া যাবে না।

পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ৪১ এর বাস্তবায়ন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ সময়ে যেসব প্রকল্পের অনুকূলে অর্থবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেই টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সারাদেশের যেসব থানা জরাজীর্ণ আছে সেগুলো সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তারাই যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে কীভাবে হবে?

প্রধানমন্ত্রী চলতি অর্থবছরে প্রথম তিন মাসে প্রকল্পের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, যেহেতু বৃষ্টির কারণে মাঠে প্রকল্পের কাজ করা যায় না সেজন্য কাগুজে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কাজের মান নিশ্চিত করতে সবারই দায়িত্ব আছে। আগামী ৪ জুন সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। যাতে প্রকল্পের কাজ দ্রুত হয়। এ বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে। ২০৪১ সালের দিকে উন্নয়নশীল দেশে চলে আসব আমরা। এজন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. এমদাদউল্লাহ মিয়ান, কৃষি, পানি পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকী এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।


আরও খবর



সারা দেশের রোহিঙ্গা ভোটারের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তদন্ত করে তার তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১১ জুন) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে এ তালিকা দাখিলের জন্য নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার সচিব, কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদেশে।

এর আগে সোমবার (১০ জুন) সারা দেশে কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তদন্ত করে তার তালিকা দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।

গত ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার দায়ের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে পুরো কক্সবাজারে কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তার তালিকা চান হাইকোর্ট। কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ জুন সম্পূরক আবেদনটি করা হয়।


আরও খবর



২০৩৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত হবে হাইড্রোজেন জ্বালানি

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

হাইড্রোজেন ও অ্যামেনিয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে।

বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সিলেট-৩ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেট্রোবাংলার অধীনে রূপান্তরিত গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডে (আরপিজিসিএল) জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন উৎপাদনে টেকসই ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতির ওপর উন্নত বিশ্বের চলমান অধিকতর গবেষণাগুলোর ফলাফল এবং গৃহীত কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহরে লক্ষ্যে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। ওই সেল গ্রহণযোগ্য তথ্যাদি প্রাপ্তির পর একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করবে। আশা করা যায় ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে।

আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার জন্য সমতার ভিত্তিতে সুবিচার নিশ্চিত করা এবং বিচার ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধন করে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর। বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সঠিক বিচারের নিশ্চিয়তা প্রদান করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

২০০৯ সাল থেকে অধস্তন আদালতে এক হাজার ৪২৯ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী মোট মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি। এ পর্যন্ত ৫৮টি জেলা এবং ৪৬৪টি উপজেলা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীএ পাঁচটি বিভাগ এখন সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত। অর্থ্যাৎ এসব জেলা, উপজেলা ও বিভাগে কোনও ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ নেই।

তিনি বলেন, ব্যারাক হাউসের মাধ্যমে আমরা ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করেছি। ব্যারাক হাউস ছাড়াও আমরা ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫৩টি পরিবারকে নিজ জমিতে বিনামূল্যে গৃহ নির্মাণ করে দিই। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫টি পরিবারের কাছে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ২ শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা একক ঘর হস্তান্তর করেছি। মুজিববর্ষে উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল মানুষকে জমির মালিকানাসহ ঘর করে দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ৬ হাজার ৯৪৫ একর খাসজমি উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য তিন হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা।

সাতক্ষীরা-৪ আসনের এস এম আতাউল হকের প্রশ্নের সংসদ নেতা বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থ বছরের ১৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা থেকে ৯ দশমিক ১২ গুণ বাড়িয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এক লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ১১৯টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


আরও খবর