আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কমেছে তিস্তার পানি, বাড়ছে ভাঙন

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সপ্তম দফায় তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার গত তিনদিন ধরে বন্যার পর কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে তিস্তার তীব্র ভাঙন। এদিকে বন্যা আর ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে তিস্তাপারের হাজারো কৃষক। বন্যা কবলিত এলাকায় এখনও কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।

শনিবার  (০৩ সেপ্টেম্বর ) লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ ৫২.০৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২.৬০) যা বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার রেকর্ড করা হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলায় তিস্তা নদীর গর্ভে ৪২টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। পরিবারগুলো ঘরবাড়ি হারিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।

জানা গেছে, এ বছরের কয়েক দফা বন্যা ও নদীর ভাঙনে  লালমনিহাটের পাঁচ উপজেলার ২০টি পয়েন্টে তিস্তা নদীর ভয়াবহ  ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে বিলীন হয়েছে ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, ফসলী জমি, স্কুলসহ বিভিন্ন স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনা। তিস্তার ভয়াবহ ভাঙনে সহায় সম্বল হাড়িয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে প্রায় হাজারও পরিবার।

এ দিকে তিস্তার পানি কমা বাড়ার ফলে লালমনিরহাটের সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, দিঘলটারি, কালমাটি, চোংগাডারা, গোকুন্ডা, মোগলহাট আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী, পাটিকাপাড়া, সিন্দুর্না, গড্ডিমারী ও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামসহ জেলার প্রায় ১০টি পয়েন্টের দেখা দিয়েছে ভয়াভয় ভাঙন। এসব এলাকায় তিস্তার ভাঙন থেকে রক্ষা পায়নি বসতভিটে, গাছ পালা ফসলী জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

তিস্তা পারের বন্যাকবলিত জাহানারা বলেন, গত দুইদিন ধরে পানির নিচে ডুবে আছি। এখনও কোন সরকার থেকে সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের  চোংগাডারা গ্রামের শফিকুল মিয়া বলেন, গত তিনদিন ধরে বন্যার পানিতে কষ্ট ভোগ করলাম। এখন নদীর পানি নেমে যাচ্ছে এখন ভাঙনের আতঙ্কে পড়ছি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, তিস্তার পানি কমার পাশাপাশি নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, বন্যা কবলিত মানুষদের তালিকা করা হয়েছে খুব দ্রুত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের পুনর্বাসন করা হবে।


আরও খবর
কপালের বলিরেখা দূর করার উপায়!

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অভিযানেও স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪




আসন বাড়ানো নয়, মানসম্মত শিক্ষার পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ানো নয় বরং মানসম্মত চিকিৎসা ও শিক্ষার পক্ষে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, মনসম্মত চিকিৎসক-শিক্ষক ও পড়ার পরিবেশ থাকলে আসন বাড়ানো হবে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) বাংলাদেশ ডেন্টাল সার্জন্স (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আসন সংখ্যা বাড়িয়ে দিলাম কিন্তু মানসম্মত শিক্ষক বা ট্রেনিং দেওয়ার মতো কেউ না থাকলে সেই আসন বাড়ানোর পক্ষে আমি না। যখন দেখব মানসম্মত চিকিৎসক আছেন, পড়াশোনার ভালো পরিবেশ আছে, ভালো মানের ডাক্তার আছে তখনই আমি আসন বাড়াব।

বেসরকারি হাসপাতাল খাতে মনিটরিং জোরদার করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অবৈধ ক্লিনিক হাসপাতালের বিষয়ে আমি আগেও বলেছি সেগুলো যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে অবশ্যই সেগুলো মনিটরিং করে তারপর বন্ধ করা হয় তাও নিশ্চিত করতে বলেছি।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এবার মোট ৫০৭৯৫ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছে। এ বছর ডেন্টাল বিভাগে সরকারি মোট ৫৪৫টি এবং বেসরকারি মোট ১৪০৫টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র সংখ্যা মোট ১২টি এবং ভেন্যু সংখ্যা ২০টি।

মন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে সরকারি ডেন্টাল কলেজ ১টি ও বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ৮টি ডেন্টাল ইউনিট আছে। বেসরকারি পর্যায়ে মোট ২৬টি ডেন্টাল কলেজ আছে। সারা দেশে পরীক্ষা অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ডাক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফাইরুজ আবন্তিকা নামে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল তিনটায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন তারা। নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফাইরুজ আবন্তিকার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও ক্যাম্পাসের ভিতর টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন করে। এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অব্যাহতি ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।

একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সঙ্গীতের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ।

শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পরপরই উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম রাত ১টার দিকে ক্যাম্পাসে আসলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আটকে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তখন ড. সাদেকা হালিম শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দেন।

এসময় এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত কর্মদিবস সময় নিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১২ ঘণ্টায় মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানান। একই সঙ্গে রাতের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিসহ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে গেছেন। তাই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ফাইরুজ আবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আত্মহত্যা চেষ্টার আগে ফেসবুকে দেয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন।


আরও খবর



মিয়ানমারের শরণার্থীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে পালিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানো শুরু করেছে ভারত। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুর থেকে গত শুক্রবার প্রথম দফায় কয়েকজনকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে রাজ্য সরকার। এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এক্সে এক পোস্টে লেখেন, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রথম দলকে আজ (শুক্রবার) ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

মিয়ানমারের সঙ্গে ভিসামুক্ত সীমান্ত নীতি থেকে সরে আসার কয়েক সপ্তাহ পর আশ্রয়প্রার্থীদের প্রত্যাবাসন শুরু করল ভারত। সামনের দিনগুলোতে এমন আরও অনেককে ফেরত পাঠাবে দেশটি।

প্রথম দফায় কতজনকে পাঠানো হয়েছে, সেই সংখ্যা জানাননি মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। যতটুকু জানা গেছে, অন্তত ৭৭ শরণার্থীকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে মনিপুর সরকার, যার কার্যক্রম শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে।

২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান এবং সংঘাতময় পরিস্থিতিতে সেখান থেকে পালিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নেয় দেশটির হাজারো নাগরিক। বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের আক্রমণের মুখে শত শত সেনাসদস্যও পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।

সামরিক অভ্যুত্থানের তিন বছর পর মিয়ানমারে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুমুল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী। যুদ্ধবিধ্বস্ত এমন পরিস্থিতিতেই আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত।

মনিপুরের সঙ্গে সীমান্ত সংযোগ রয়েছে মিয়ানমারের। সীমান্তের দুই পাশের মানুষের মধ্যে জাতিগত মিলও রয়েছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে সংঘাতে উত্তপ্ত হওয়া মনিপুরে মিয়ানমারের শরণার্থীদের কারণে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও বাড়ার ঝুঁকি দেখছে দিল্লি। গত বছরের মে মাস থেকে জাতিগত সহিংসতায় মণিপুরে প্রায় ২০০ জনের প্রাণ গেছে।

নাম প্রকাশ না করে ভারতের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, শরণার্থীদের প্রথম দলটিকে ভারতের সীমান্ত শহর মোরেহ-তে নেওয়ার পর তাদের হস্তান্তর করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এক্সে একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যায়, কয়েকজন নারী শরণার্থীকে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভ্যানে তুলে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



ইসরায়েলের খেজুর বয়কট করছে মালয়েশিয়া–ইন্দোনেশিয়ার মানুষেরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাসে অনেক দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করছেন। এই তালিকায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় দুটি দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। দেশ দুটির বেশির ভাগ মানুষই ইসরায়েল থেকে আমদানি হওয়া খেজুর কেনা বর্জন করেছেন।

হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় এক ব্যক্তিকে ভুল লেবেলে ইসরায়েলি খেজুর বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কাস্টমস বিভাগ। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম নেতারা দেশটির জনগণকে ইসরায়েলি পণ্য আমদানি বর্জন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা শুরু করলে এর প্রতিবাদে বিশ্বের অনেক মুসলিম অধ্যুষিত দেশর জনগণ ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করতে শুরু করেন। এর মধ্যে পবিত্র রজমান মাস শুরু হওয়ায় মুসলিম অধ্যুশষিত অঞ্চলগুলোতে ইসরায়েলি পণ্য, বিশেষ করে খেজুর বর্জন করার প্রবণতা বেড়েছে।

গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের পর থেকে গত পাঁচ মাসে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। নৃশংস এ হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ইসরায়েলি পণ্য বর্জন আরও বেগবান হচ্ছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের ফলে মালয়েশিয়ায় ইসরায়েলি পণ্য বর্জন ব্যাপক মাত্রা পেয়েছে। ইসরায়েলে সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন অনেক কোম্পানির বেচাবিক্রিতে ভয়াবহ ধ্বস নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্টারবাকসের মালয়েশিয়া শাখা ধনী গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে নানা ধরনের ফন্দিফিকির করছে। ম্যাকডোনাল্ডস এরই মধ্যে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনী পদক্ষেপ নিয়েছে।

এদিকে ইন্দোনেশিয়াতেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ইসরায়েলি খেজুর বর্জনে প্রচারণা চলছে। দেশটির সামাজিক চ্যাট গ্রুপগুলোতে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, ইন্দোনেশিয়ায় ইসরায়েলি খেজুর বেনামে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব খেজুর বর্জন করুন।

গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গরের ক্লাং পোর্টে একটি খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়। সে সময় দেশটির অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়বিষয়ক মন্ত্রী আরমিজান মোহাম্মদ আলী বলেন, যারা ইসরায়েলি পণ্য বিক্রি করে ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ইন্দোনেশিয়ান কাউন্সিল অব ওলেমা (এমইউআই) এবং বৃহত্তম মুসলিম গণ সংগঠন নাদহাতুল উলেমা ইসরায়েল থেকে আমদানি করা খেজুরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

নাদহাতুল উলেমার চেয়ারম্যান আহমেদ ফাহরুর রোজি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি দেখানোর এটাই (ইসরায়েলি পণ্য বর্জন) সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ পথ।


আরও খবর



ব্যাংকে ৫৪ কোটি টাকা জমা দিলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়ের করার জন্য ব্যাংকে ৫৪ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে রুপালী ব্যাংক পল্লবী শাখায় হাইকোর্টের নির্দেশে এই অর্থ জমা দেয়া হয়।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫৪ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়ের করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে এর লিখিত রায় প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে আপিল বিভাগে না গিয়ে ব্যাংকে অর্থ জমা দিয়ে দিলেন তিনি।

গত ২৮ জানুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অপর তিন কর্মকর্তা। সেই আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলি জানান, ২০২০ সালের নভেম্বরে ২০১১ থেকে ২০১৩ দুই বছরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর কাছে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্ট অর্থ নেই বলে মওকুফ চান। ওই আবেদন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রিজেক্ট করার পরে তারা আয় করের টাকা মওকুফ চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তাদের একটি অ্যাকাউন্টে-ই প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি থেকে প্রায় চারশ কোটি টাকার মতো ছিল।

তিনি আরও বলেন, অ্যাকাউন্টে অর্থ রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই অর্থ চেয়ে নোটিশ করার পরে কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে নোটিশ কেন বেআইনি বলা হবে না এনিয়ে রুলও জারি করেন আদালত। এরপর গত তিন বছরে বিভিন্ন আদালত ঘুরে মামলাটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আসে। আজ সেটির শুনানি শেষে গ্রামীণ টেলিকমের রিট আবেদন খারিজ করেন আদালত। সেই সঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমকে আদেশ দেন নিয়ম অনুযায়ী দাবি করা আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমা দিয়ে এর পর এনবিআরেরব বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে।


আরও খবর